খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

বিলম্ব না করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন: মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
বিলম্ব না করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন: মির্জা ফখরুল

নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করা হলে অনেক বিতর্কের অবসান হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, আর বিলম্ব না করে যত দ্রুত সম্ভব একটা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। সেটি খুব জরুরি এই মুহূর্তে।’

শনিবার বিকেলে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।

জনসভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের মধ্যে নতুন প্রত্যাশা। আমাদের একটাই কথা, দেশে অনেক জঞ্জাল, অনেক আবর্জনা। এক বা দুই দিনের মধ্যে সব জঞ্জাল সরানো সম্ভব নয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব একটা নির্বাচন দিয়ে আপনাদের দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন।’

একটি নির্বাচনই দেশকে স্থিতিশীলতা দিতে পারে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকেই বলছেন, নেতারা এত নির্বাচন নির্বাচন করছেন, রাজনৈতিক দলের নেতারা নির্বাচন নির্বাচন করছেন কেন। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে নির্বাচনের কথা বলছি। কারণ, একটি অবাধ নির্বাচনই পারে বাংলাদেশকে স্থিতিশীলতা দিতে।’

নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার তো অবশ্যই করতে হবে, সংস্কার করার জন্য সরকার অনেকগুলো কমিশনও গঠন করেছে। তাদের ওপর জনগণের আস্থা আছে, আমাদেরও আস্থা আছে। কিন্তু আমাদের যেটা প্রত্যাশা, স্বল্প সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে, বিশেষ করে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার করে সেই নতুন আলোর দিকে এগিয়ে যাওয়া।’

মির্জা ফখরুল বলেন, যত দেরি হবে, তত বিতর্কের সৃষ্টি হবে এবং ততই বাংলাদেশের শত্রুরা সংগঠিত হবে; শেখ হাসিনা বেশি শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করবেন। সেই চেষ্টা চলছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একটা বিশাল সংগ্রাম, একটা অভাবনীয় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন দম ভরে নিশ্বাস নিচ্ছে। এই শহিদ মিনারে দাঁড়িয়ে কথা বলব, কিছুদিন আগেও তা কল্পনা করিনি। কারণ, ফ্যাসিস্টরা এই জায়গাগুলো আমাদের জন্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। এমনকি যারা স্বাধীনতাযুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, তারাও তাদের শেষনিশ্বাস ত্যাগ করার পর তাদের সম্মানটুকু পাননি। এই দানবীয় ফ্যাসিস্ট সরকারকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটানো হয়েছে।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মাওলানা ভাসানীকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। মাওলানা ভাসানীর জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

দেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা হাজির করার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মুস্তফা জামান হায়দার বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কাছে এই মুহূর্তে দেশ এবং জাতির একমাত্র প্রত্যাশা, জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের একটা সুস্পষ্ট রূপরেখা আপনারা হাজির করুন।’

সরকার এমন একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করুক, যেটি সবাই গ্রহণ করতে পারবে, এ আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এমন একটা নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে সবাই ভোট দিতে পারেন। আমরা এই সরকারকে অনুরোধ করি, যত দ্রুত সম্ভব সেই রকম একটা নির্বাচন দিয়ে মানসম্মান নিয়ে, আরও বেশি সম্মান অর্জন করে, আবার জনগণের কাতারে বা নিজ নিজ পেশায় ফিরে যান।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা সরকারকে সতর্ক করে দিতে চাই, ১০০ দিন পর এখন আমরা আপনাদের পরিষ্কার পথনকশা দেখতে চাই। আমি আশা করব, আপনারা পথ হারাবেন না। এ দেশের জনগণ এবং বিরোধী দল—এখন পর্যন্ত আমরা কিন্তু সব হজম করছি। কারণ, এটি আমাদের সমর্থিত সরকার। কিন্তু আমাদের সমর্থনটা শর্তহীন সমর্থন নয়। যে পর্যন্ত আপনার সোজা পথে আছেন, রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের সহযোগিতা করবে।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আমাদের ভাবতে হবে, আগামী নির্বাচনকে সংবিধান পরিবর্তনের, নতুন সংবিধান করার নির্বাচনে, নতুন ক্ষমতাকাঠামো, নতুন নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রণয়ন নির্বাচনে পরিণত করতে হবে।’

জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে উল্লেখ করে জনসভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র আমাদের রুখতে হবে। আর রুখতে হলে এই অপরাধীদের বিচার করতে হবে। যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার থেকে কোনো রেহাই নেই।’

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এ সরকারকে বলি, তিন মাস হয়েছে, দ্রব্যমূল্য কমেনি, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই, এমনকি শহিদদের তালিকা করা, তাদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, আহতদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে চিন্তা করা, এই বিষয়গুলো ঠিকভাবে হচ্ছে না।’

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উপদেষ্টা জসিম উদ্দিন বলেন, আজ সব ক্ষেত্রে যেখানে যে অসুবিধা হচ্ছে, সেগুলো দূর করার জন্য সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে যদি একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হয়, সেই সরকার সব সমস্যা থেকে মুক্ত করার জন্য চেষ্টা করবে।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।