খুঁজুন
বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বিলম্ব না করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন: মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
বিলম্ব না করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন: মির্জা ফখরুল

নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করা হলে অনেক বিতর্কের অবসান হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, আর বিলম্ব না করে যত দ্রুত সম্ভব একটা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। সেটি খুব জরুরি এই মুহূর্তে।’

শনিবার বিকেলে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।

জনসভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের মধ্যে নতুন প্রত্যাশা। আমাদের একটাই কথা, দেশে অনেক জঞ্জাল, অনেক আবর্জনা। এক বা দুই দিনের মধ্যে সব জঞ্জাল সরানো সম্ভব নয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব একটা নির্বাচন দিয়ে আপনাদের দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন।’

একটি নির্বাচনই দেশকে স্থিতিশীলতা দিতে পারে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকেই বলছেন, নেতারা এত নির্বাচন নির্বাচন করছেন, রাজনৈতিক দলের নেতারা নির্বাচন নির্বাচন করছেন কেন। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে নির্বাচনের কথা বলছি। কারণ, একটি অবাধ নির্বাচনই পারে বাংলাদেশকে স্থিতিশীলতা দিতে।’

নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার তো অবশ্যই করতে হবে, সংস্কার করার জন্য সরকার অনেকগুলো কমিশনও গঠন করেছে। তাদের ওপর জনগণের আস্থা আছে, আমাদেরও আস্থা আছে। কিন্তু আমাদের যেটা প্রত্যাশা, স্বল্প সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে, বিশেষ করে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার করে সেই নতুন আলোর দিকে এগিয়ে যাওয়া।’

মির্জা ফখরুল বলেন, যত দেরি হবে, তত বিতর্কের সৃষ্টি হবে এবং ততই বাংলাদেশের শত্রুরা সংগঠিত হবে; শেখ হাসিনা বেশি শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করবেন। সেই চেষ্টা চলছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একটা বিশাল সংগ্রাম, একটা অভাবনীয় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন দম ভরে নিশ্বাস নিচ্ছে। এই শহিদ মিনারে দাঁড়িয়ে কথা বলব, কিছুদিন আগেও তা কল্পনা করিনি। কারণ, ফ্যাসিস্টরা এই জায়গাগুলো আমাদের জন্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। এমনকি যারা স্বাধীনতাযুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, তারাও তাদের শেষনিশ্বাস ত্যাগ করার পর তাদের সম্মানটুকু পাননি। এই দানবীয় ফ্যাসিস্ট সরকারকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটানো হয়েছে।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মাওলানা ভাসানীকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। মাওলানা ভাসানীর জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

দেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা হাজির করার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মুস্তফা জামান হায়দার বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কাছে এই মুহূর্তে দেশ এবং জাতির একমাত্র প্রত্যাশা, জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের একটা সুস্পষ্ট রূপরেখা আপনারা হাজির করুন।’

সরকার এমন একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করুক, যেটি সবাই গ্রহণ করতে পারবে, এ আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এমন একটা নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে সবাই ভোট দিতে পারেন। আমরা এই সরকারকে অনুরোধ করি, যত দ্রুত সম্ভব সেই রকম একটা নির্বাচন দিয়ে মানসম্মান নিয়ে, আরও বেশি সম্মান অর্জন করে, আবার জনগণের কাতারে বা নিজ নিজ পেশায় ফিরে যান।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা সরকারকে সতর্ক করে দিতে চাই, ১০০ দিন পর এখন আমরা আপনাদের পরিষ্কার পথনকশা দেখতে চাই। আমি আশা করব, আপনারা পথ হারাবেন না। এ দেশের জনগণ এবং বিরোধী দল—এখন পর্যন্ত আমরা কিন্তু সব হজম করছি। কারণ, এটি আমাদের সমর্থিত সরকার। কিন্তু আমাদের সমর্থনটা শর্তহীন সমর্থন নয়। যে পর্যন্ত আপনার সোজা পথে আছেন, রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের সহযোগিতা করবে।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আমাদের ভাবতে হবে, আগামী নির্বাচনকে সংবিধান পরিবর্তনের, নতুন সংবিধান করার নির্বাচনে, নতুন ক্ষমতাকাঠামো, নতুন নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রণয়ন নির্বাচনে পরিণত করতে হবে।’

জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে উল্লেখ করে জনসভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র আমাদের রুখতে হবে। আর রুখতে হলে এই অপরাধীদের বিচার করতে হবে। যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার থেকে কোনো রেহাই নেই।’

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এ সরকারকে বলি, তিন মাস হয়েছে, দ্রব্যমূল্য কমেনি, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই, এমনকি শহিদদের তালিকা করা, তাদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, আহতদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে চিন্তা করা, এই বিষয়গুলো ঠিকভাবে হচ্ছে না।’

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উপদেষ্টা জসিম উদ্দিন বলেন, আজ সব ক্ষেত্রে যেখানে যে অসুবিধা হচ্ছে, সেগুলো দূর করার জন্য সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে যদি একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হয়, সেই সরকার সব সমস্যা থেকে মুক্ত করার জন্য চেষ্টা করবে।

ঈদে ১০ দিন ছুটির আগে আজ শেষ কর্ম দিবস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ১:১৫ অপরাহ্ণ
ঈদে ১০ দিন ছুটির আগে আজ শেষ কর্ম দিবস

ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ৭ জুন। ঈদের টানা ১০ দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৫ জুন)। আজ বুধবার (৪ জুন) শেষ কর্ম দিবস। ছুটি শেষে আগামী ১৫ জুন অফিস খুলবে।

ঈদের ছুটিতে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। শেষ কর্ম দিবসে সড়কে ভিড় বাড়বে। আর রাজধানীর বিভিন্ন হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচাও শুরু হয়েছে।

গত ৬ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে টানা ১০ দিন ছুটির সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ৭ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকার আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১ ও ১২ জুন যথাক্রমে বুধবার ও বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি এবং দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে ১৭ মে শনিবার ও ২৪ মে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা রাখার ঘোষণা করে।

ছুটিকালীন সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে এবং উল্লেখিত সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন (১৭ মে ও ২৪ মে) সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এবং চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।

ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। আর আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

নারীর ১০০ আসন নিয়ে একমত বিএনপি, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দ্বিমত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ১:১২ অপরাহ্ণ
নারীর ১০০ আসন নিয়ে একমত বিএনপি, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দ্বিমত

জাতীয় সংসদে নারী আসন সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০ আসনে উন্নীত করার বিষয়ে বিএনপি একমত হলেও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগে একসময় ৩০ আসন ছিল, পরে এটা আমরা বাড়িয়ে ৪৫ করেছিলাম এবং পরবর্তী লাস্ট সংশোধনের মধ্যে এটা ৫০ আসন হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন পদ্ধতিটা হচ্ছে আনুপাতিক হারে যাদের যত সদস্য আছে সেই অনুপাতে সেটা নির্ধারিত হয়। পরে আমরা আরও ৫০ আসন বাড়ানোর প্রস্তাব করলাম। প্রায় সব দলের এটা একই রকম প্রস্তাব ছিল। কিছু কিছু দল বাদে এবং কিছু কিছু দল এমনও প্রস্তাব করেছে যে ১০০ তারা মানে, যদি প্রপোরশনেট হয়। কিন্তু অধিকাংশ দল এটা প্রস্তাব করেছে যে নারীর আসন ৫০ থেকে ১০০ তে উন্নীত হলে ভালো হয়। তো সেই জায়গাতেই এখন ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবটা আছে। তবে সেটা নির্বাচন পদ্ধতি কি হবে এ বিষয়ে কোনো ঐক্য এখনো হয়নি। সেটা পরবর্তীতে আরও আলোচনার জন্য দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দলের পক্ষ থেকে আমরা যেটা প্রস্তাব করেছি সরাসরি নির্বাচনের জন্য, যে পদ্ধতিগুলো ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি অথবা সরাসরি নির্বাচন পদ্ধতি- যেগুলো আলোচনায় এসেছে। সেটা দেশের রাজনৈতিক কালচারে সংসদীয় কালচারে এখনো পর্যন্ত ফিজিবল বলে আমাদের মনে হয়নি। সেজন্য আমরা বলেছি এটা আরও প্র্যাকটিসের মধ্যদিয়ে এক-দুইটা পার্লামেন্ট চলার মধ্যদিয়ে সেটা এমন একটা অবস্থায় যাবে যাতে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা তখন করা যাবে।

নারীদের সংরক্ষিত আসন থাকার যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, স্পেশালি অ্যাবলড অথবা ফিজিক্যালি ডিজেবল্ড যারা তাদের জন্য এ বিধানটা কার্যকর করা যায় কি না সেটাও সংবিধানে আসতে হবে। আমাদের নারী সমাজের এখনো পর্যন্ত তেমন অগ্রগতি হয়নি। আমরা নারীর আসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব করেছি। আশা করি, কনস্টিটিউশনালি লিগালি এবং সমাজের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের নারী সমাজ বিভিন্নভাবে ক্ষমতায়িত হবে।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিরোধীদলীয় দল থেকে বানানোর বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে বিরোধীদলীয় সদস্যদের মধ্য থেকে যে প্রস্তাবটা ওখানে প্লেস হয়েছিল যেসব পদ বিরোধীদলীয় সদস্যদের দেওয়া যায় কি না। এ বিষয়ে প্রথম পর্বের আলোচনায় প্রত্যেকে লিখিত এবং মৌখিক জবাব দাখিল করেছে। আমরাও করেছিলাম। সেই জায়গায় কয়েকটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিরোধীদলের সদস্যদের দেওয়ার ব্যাপারে তখনই প্রায় সব দল একমত হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে কয়েকটি সংসদীয় কমিটির এ জাতীয় দেওয়ার পক্ষে আমরা প্রস্তাব করেছি যাতে পার্লামেন্টে জবাবদিহি এবং ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয়। মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে বিরোধীদলীয় সদস্যদের নিয়োগ সদস্যদের মনোনীত করার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে আমার মনে হলো সেটা এখনো প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু কয়টা সংখ্যা এবং কি কি মন্ত্রণালয় সেটা এখনো নির্ধারণ হবে না। সেটা জাতীয় সংসদে আলাপ আলোচনার মধ্যদিয়ে এবং সাইজ অব দি অপোজিশন পার্টি ম্যাটার করে। সেই সংখ্যাটা তখন নির্ধারণ করা যাবে। কারণ যদি বিরোধীদলের সদস্য সংখ্যা কম হয়, এখন প্রপোরশন নির্ধারণ করা হয় বা পারসেন্টেজ নির্ধারণ করা হয় সেটা তখন একটু প্রশ্নের সম্মুখে পড়বে।

মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে বিরোধীদলের সদস্যদের থেকে নিয়োগ দেওয়া যাবে কি না বা মনোনয়ন দেওয়া যাবে কি না। সে বিষয়েও একটা প্রায় একমত হয়েছে। কিন্তু কতটা কোন কোন মন্ত্রণালয় বা পারসেন্টেজ কত এগুলো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। সেটা উচিতও হবে না। সেটা সংসদে আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে।

তিনি বলেন, একটা লার্জেস্ট অপোজিশন হতে পারে। বিভিন্ন দলের ছোট ছোট প্রতিনিধিত্ব থাকে। কেউ পাঁচ সদস্যের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিত্ব থাকে। তো তাদের মধ্য থেকেও তো বিবেচনা করতে হবে। শুধু লার্জেস্ট অপোজিশন পার্টি থেকেই সব সভাপতি মনোনয়ন দেওয়াটাও অনুচিত। সেজন্য সে বিষয়টা পার্লামেন্টে আলোচনার মধ্যদিয়ে নির্ধারণ হওয়ার বিষয়ে মোটামুটি আলোচনা হয়েছে।

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ১:১০ অপরাহ্ণ
ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

পবিত্র ঈদুল-আজহার দিন আগামী ৭ জুন শনিবার ঢাকা মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলম সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (৪ জুন) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদের পরদিন অর্থাৎ ৮ জুন রবিবার সকাল ৮টা থেকে ৩০ মিনিট বিরতি (হেডওয়ে) দিয়ে অনুযায়ী মেট্রো ট্রেন চলাচল করবে।

৯ জুন থেকে সরকারি ছুটির দিনের সময়সূচি অনুযায়ী মেট্রো যথারীতি চলাচল করবে।