খুঁজুন
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ, ১৪৩১

হতে চলছে স্মরণকালের বৃহত্তর আন্দোলন

বিশ্বিবদ্যালয়ের দাবিতে তিতুমীর ঐক্যের বারাসাত ব্যারিকেড

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
বিশ্বিবদ্যালয়ের দাবিতে তিতুমীর ঐক্যের বারাসাত ব্যারিকেড

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে তিতুমীর কলেজের সকল শিক্ষার্থীরা। তবে সোমবার (১৮ নভেম্বর) কলেজটির ইতিহাসে বৃহত্তম আন্দোলন হতে চলেছে বলে জানিয়েছে তিতুমীর ঐক্য প্লাটফর্ম।

তিতুমীর ঐক্যের উপদেষ্টা আবদুল হামিদ বলেন, আমরা আমাদের একটি যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি। আমরা আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রথমে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করি। সেই কর্মসূচিতে আমরা আমাদের দাবির পক্ষে ৯৪ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠায় এবং আমাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরি।

তারা আরো বলেন, কিন্তু তাতেও আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো কর্তৃপক্ষের নজরে না আসলে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কলেজ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। তার পর বাংলা ব্লকেড নামে কর্মসূচি পালন করি। এই কর্মসূচির স্থায়িত্ব ছিলো অল্প। কারণ আমরা জনদূর্ভগের কথা চিন্তা করে এ কর্মসূচি সীমিত আকারে করা হয়।

তিতুমীর ঐক্য জানায় আমরা ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী ‘ এবং ‘ডেথ অব এডুকেশ ‘ নামে কর্মসূচি ও পালন করি, তারপরও কর্তৃপক্ষ এতেও আমাদের সাথে আলোচনায় না আসার কারনে বাধ্য হয়ে আমরা শান্তিপূর্ন ভাবে কর্মসূচির পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

দাবিতে অনড় থাকার উল্লেখ করে তিতুমীর ঐক্য থেকে জানানো হয়, আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া প্রর্যন্ত পিছ পা হবো না। কারন এ দাবি আমাদের দীর্ঘ ২৭ বছরের লালিত দাবি। তারা বলেন রাজধানীর অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হয় ২০০৫ সালে। ঠিক তখনই সর্বমহল থেকে তাদের সাথে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি ওঠে। তিতুমীর কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার জন্য সকল যোগ্যতা থাকার পরও রাজনৈতিক কারনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হয়। অথচ বঞ্চিত হয় ঐতিহ্যবাহী সরকারি তিতুমীর কলেজ।

দাবির পক্ষে তিতুমীর ঐক্যের নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ আমারা তাদের দিকে তাকালে দেখতে পাই তাদের লেখা পড়ার কতোটা উন্নত হয়েছে। একটা রাষ্ট্রের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো শিক্ষা ব্যবস্থা। সেই শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি করতে এত টাল বাহানা কেন? রাষ্ট্রের দায়িত্ব একজন নাগরিককে তার মৌলিক অধিকার গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে তা পূরণ করা। তাই শিক্ষা যেহেতু একটি অন্যতম মৌলিক অধিকার, তাই আমরা এখান থেকে দূরে থাকবো কেন? আমাদেরকে বঞ্চিত করার অধিকার কারো নেই।

মূলত তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে তিতুমীর ঐক্য থেকে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এই আন্দোলনের ডাক দেন।

তারা বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি আমাদের লক্ষ না। আমরা প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়েছি। কিন্তু এতে কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করায় আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামছি। এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে সরকারকেই বহন করতে হবে।

তিতুমীর ঐক্য আরো বলে, আমরা এই আন্দোলনে সড়ক ও রেলপথ অবোধ করবো। আমরা বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতুমীর ঐক্য জানায়, কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য করায় জন-ভোগান্তির দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। এমনকি দাবি আদায়ের পূর্ব প্রর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যহত থাকবে বলেও জানায় তারা।

কর্মসূচিতে তারা শ্লোগান তোলেনঃ

“শিক্ষা মোদের অধিকার
শিক্ষা হবে জনতার”

”ব্যারিকেড ব্যারিকেড
বারাসাত ব্যারিকেড”

“বাশের কেল্লা গঠন করো
তিতুমীর স্বাধীন করো”

“পেতে চাইলে মুক্তি,
ছাড়ো ঢাবি ভক্তি“

“তিতুমীর চায় কি
ভার্সিটি, ভার্সিটি”

“অধ্যক্ষ না ভিসি,
ভিসি, ভিসি “

“Demand for north city
Titumir University“

“সেন্ট্রাল না স্বতন্ত্র
স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র”

“আমার সোনার বাংলায়
বৈষম্যের ঠাঁই নাই”

“শিক্ষা নিয়ে বানিজ্য
মানিনা মানবো না”

“ঢাবির আগ্রাসন
ভেঙ্গ দাও,গুড়িয়ে দাও”

মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি ৭টি নামকরা কলেজকে নিয়ে টম-জেরি খেলা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। পড়ালেখার মান উন্নয়নের নামে এই ৭টি কলেজের শিক্ষার্থীদের হয়রানির শেষ নেই। বিশেষ করে সর্বাধিক শিক্ষার্থীর প্রাণকেন্দ্র সরকারি তিতুমীর কলেজ এগিয়ে আছে সামগ্রিকভাবে।

অনেকে অভিযোগ করে বলেন, তিতুমীর কলেজ সম্পূর্ণ ইউনিভার্সিটি হওয়ার যোগ্যতা রাখে। তাদের দাবি যাতে না মানতে হয়, সেজন্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি সহ কর্তৃপক্ষের কুচক্রী যোগসাজশে ৭টি কলেজকে নিয়ে নাটকের মঞ্চ তৈরি করা হয়। আমরা এই নাটকের পরিসমাপ্তি চাই।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৫৩ অপরাহ্ণ
আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতির সঙ্গে পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সড়কের নৈরাজ্যের সাথে একটা পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত। সড়ক ও পরিবহণ খাতে আগে একদল দুর্নীতি করত এখন অন্যদল করছে। এটা খুব সহজে সমাধান হবে না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু রাজনৈতিক কর্মী ও নেতারা জড়িত তাই সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রাখতে হবে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সার্কিট হাউস সংলগ্ন প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। দিনব্যাপী এ সংলাপে সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও পরিবহণ সেক্টরের অংশীদারজনও উপস্থিত ছিলেন।

এ-সময় নাহিদ বলেন, বুয়েটের একজন মারা গেল। একটা ধারণা যে সমাজের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যারা আছেন তাদের বিচার হয় না, জবাবদিহিতা হয় না। এখানে সাধারণ মানুষদের জীবনটাই আসলে যায়। এই চিত্র আমাদের সমাজে আছে। এটার পরিবর্তন দরকার। সবাইক বিচারের আওতায় আনা দরকার। এখানে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। উন্নয়ন নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, এখন রাস্তায় বের হয়ে মানুষ মারা গেলে সেটাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলা হচ্ছে। কারণ এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে হচ্ছে। এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করে রাখা হয়েছে রাস্তায় মানুষ বের হলে মানুষ মারা যেতে পারে৷ এখানে ব্যবস্থাপনাতেই সমস্যা রয়েছে। যে ধরনের প্রতিষ্ঠান সড়কের নিরাপত্তা দিতে পারে সেটাই তৈরি হয়নি।

পরিবহণ সেক্টরের দুর্নীতি চলমান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের দল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল আবার এখন আরেক দল রয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা প্রয়োজন। কারণ রাজনৈতিক কর্মীরাই এগুলোত জড়িত।

জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহণ সমন্বয়ক কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আরমানা সাবিহা হকসহ অন্যান্যরা।

অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৪৯ অপরাহ্ণ
অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের আঁচ এবার শিক্ষার্থীদের ওপরও লাগছে। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিক্ষার্থীদের শনাক্তে ভারতের রাজধানী দিল্লির সব স্কুলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় যথাযথভাবে শনাক্তও যাচাইয়ের বিষয়টিও আছে নির্দেশনাতে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিল্লি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (এমসিডি) জারি করা ওই নির্দেশনাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি সরকারের প্রধান সচিবের (গৃহ বিভাগ) সভাপতিত্বে গত ১২ ডিসেম্বর এমসিডি একটি ভার্চুয়াল সভা আয়োজন করে। এতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে স্কুলে তাদের শনাক্তকরণ ও তাদের জন্ম সনদ না দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এছাড়া কোনও অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে জন্ম সনদ না দেওয়ার ব্যাপারে দিল্লির জনস্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমসিডি তাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে এবং সঠিক পরিচয় ও যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনারও নির্দেশ দিয়েছে।

এমনকি যেসব জায়গায় এই অভিবাসীরা অন্যের জমি বা জায়গা দখল করে রেখেছে, সেগুলো খালি করে দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন। কারণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য তাদের নিজস্ব রেকর্ড রাখে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে অল ইন্ডিয়া সার্ভে ফর হায়ার এডুকেশনের ২০২১-২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী ভারতে উচ্চশিক্ষার জন্য গেছেন।

শিক্ষার্থীদের আগে নয়া দিল্লিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরতেও পুলিশ অভিযানে নেমেছিল।

বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর কয়েকদিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরপর থেকেই ঢাকা ও নয়া দিল্লির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।

এরপর তা আরও নাজুক হয়ে পড়ে গত নভেম্বরে হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর। তার প্রতিবাদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় এক বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ মিশনে হামলা হয়। অন্যদিকে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ বাংলাদেশেও চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন।