খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

ভারতে প্রাচীন আমলের মসজিদে জরিপকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
ভারতে প্রাচীন আমলের মসজিদে জরিপকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ৩

ভারতের উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে সকালে মুঘল আমলের জামে মসজিদে আদালত নির্দেশিত জরিপকে কেন্দ্র করে সহিংস সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হন এবং ৩০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অ্যাডভোকেট কমিশনারের নেতৃত্বে জরিপ দল সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে কাজ শুরু করলে মসজিদের সামনে লোকজন জড়ো হতে থাকে। উপস্থিত জনতা পুলিশের প্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে ভিড় হাজারের বেশি মানুষে রূপ নেয়।

জনতার একটি অংশ পুলিশের দিকে পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে ১০টিরও বেশি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে। এ সময় দুই ব্যক্তি নিহত হন এবং পুলিশের ৩০ জনেরও বেশি সদস্য আহত হন।

মোরাদাবাদ বিভাগের কমিশনার অঞ্জনেয় কুমার সিং বলেছেন, নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা হলেন নাঈম, বিলাল ও নওমান। সংঘর্ষে সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশের বন্দুকধারীসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন।

জামে মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি আইনি লড়াই চলছে। আবেদনকারীরা দাবি করেছেন, মসজিদের স্থানে আগে একটি মন্দির ছিল। এই দাবি সমর্থনে তারা ঐতিহাসিক গ্রন্থ ‘বাবুরনামা’ ও ‘আইন-ই-আকবরি’-এর উদ্ধৃতি দিয়েছেন, যেখানে দাবি করা হয়েছে, মুঘল সম্রাট বাবর ১৫২৯ সালে মন্দিরটি ধ্বংস করেন।

জরিপ সমর্থকরা বলছেন, ঐতিহাসিক সত্য উন্মোচনে এটি একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। অন্যদিকে সমালোচকরা মনে করেন, এটি ১৯৯১ সালের উপাসনালয় আইন লঙ্ঘন এবং ধর্মীয় স্থানের পবিত্রতায় আঘাত।

সম্ভল পুলিশ সুপার কৃষ্ণ কুমার বিষ্ণোই জানান, জনতার একটি অংশ পাথর নিক্ষেপ করলে পুলিশ সামান্য বলপ্রয়োগ এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সহিংসতায় জড়িতদের শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া হবে।

মোরাদাবাদ পুলিশ কমিশনার আনঞ্জয় কুমার সিং জানান, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মসজিদের সামনে পাথর নিক্ষেপ ও বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

ঘটনাটি নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির (এসপি) প্রধান অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে জরিপ দল পাঠিয়ে এই সহিংসতার সৃষ্টি করেছে, যাতে নির্বাচনি অনিয়ম নিয়ে আলোচনা থেকে দৃষ্টি সরানো যায়।

সমাজবাদী পার্টির এমপি জিয়া উর রহমান বারক জরিপের সমালোচনা করে বলেন, সম্ভলের জামে মসজিদ একটি ঐতিহাসিক স্থান। ১৯৪৭ সালে ধর্মীয় স্থাপনার যে অবস্থান ছিল, তা অপরিবর্তিত রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে।

উত্তেজনার মধ্যেও আদালতের নির্দেশ মোতাবেক জরিপ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জরিপ দলের অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শংকর জৈন জানান, দলটি জায়গার বিস্তারিত পর্যালোচনা করেছে এবং ভিডিওগ্রাফি ও ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছে। প্রতিবেদন ২৯ নভেম্বর আদালতে জমা দেওয়া হবে।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।