খুঁজুন
রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

নরসিংদীতে প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইল চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ণ
নরসিংদীতে প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইল চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার

নরসিংদীতে এক দিকে সুন্দরী নারীর রূপের সম্মোহনী আকর্ষণ, অন্যদিকে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত সহজ সরল ও বিত্তশালী মানুষ। মধুচক্রের ফাঁদ পেতে শতাধিক মানুষকে সর্বস্বান্ত করার পর অবশেষে পুলিশের ফাঁদে পা দিয়েছে অভিনব এই প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইলকারী চক্রের চার সদস্য।

গত (৪ ডিসেম্বর) বুধবার ভোরে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম এর নেতৃত্বে নরসিংদী পৌর শহরের চিনিশপুর এলাকার এক আবাসিক ভবনে অবস্থিত চক্রটির আস্তানা ও টর্চার সেল ঘেরাও করে অভিযান পরিচালনা করেন পুলিশ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতারণা চক্রের কয়েক সদস্য দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও চক্র-প্রধান মোঃ ইয়াসিন, সেকেন্ড ইন কমান্ড ও আস্তানার ভাড়া গ্রহীতা শারমিনসহ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং টর্চার সেলের বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হন পুলিশ। এ সময় তাদের হেফাজত হতে উদ্ধার করা হয় ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে উপার্জিত নগদ ৫ হাজার টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতানুগতিক ব্ল্যাকমেইলকারী চক্রগুলো থেকে একেবারেই আলাদা ছিল এই চক্রটির কর্মপন্থা। টার্গেট নির্ধারণ করে কৌশলে তাদেরকে গোপন আস্তানায় নিয়ে গিয়ে সুন্দরী নারীর সাথে আপত্তিকর ছবি তুলে সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা। তাতেও যারা রাজিহতো না বা গড়িমসি করতো তাদের জন্য ব্যবস্থা ছিল টর্চার সেলের। সেখানে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বৈদ্যুতিক শট, ওয়াটার বোর্ডিং, প্লাস দিয়ে নখ উপড়ে নেওয়াসহ চলতো মধ্যযুগীয় নির্যাতনের সব কলা কৌশল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নরসিংদী জেলার শিবপুর থানাধীন আইয়ূবপুর ইউনিয়ন হিজুলিয়া এলাকার বাসিন্দা এক মাদ্রাসাছাত্র ও কোরআনে হাফেজ চক্রটির শিকারে পরিণত হলে, তিনি এর প্রতিকার চেয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হন। তাকে গোপন আস্তানায় নিয়ে নির্যাতনের পর উলঙ্গ করে অশ্লীল ছবি তুলে সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তিনি পকেটে থাকা নগদ ৫ হাজার টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য হন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, নরসিংদী সদর উপজেলাধীন টাওয়াদী এলাকার বাসিন্দা মুজিবুর রহমানের পুত্র ইয়াসিন (৩০), ও তার স্ত্রী আফসানা (২৫)।

একই উপজেলার গাবতলি এলাকার রতনের স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩০), এবং শিবপুর থানাধীন খৈশাখালী গ্রামের বাসিন্দা জনৈক নুরুল ইসলামের কন্যা রেজিয়া আক্তার বৃষ্টি (২৮)। এই চক্রটির হাতে বিগত কয়েক বছরে শতাধিক ব্যক্তি ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বলে অভিযানে থাকা একটি সূত্র জানান।

এ বিষয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান স্যারের নির্দেশ আমরা কোনোরকম সময় নষ্ট না করে চক্রটির প্রধান কার্যালয় এবং নির্যাতন কেন্দ্রে (টর্চার সেল) অভিযান পরিচালনা করি। তিনি আরও বলেন, এই চক্রগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়ে প্রধানত বিত্তবান ও গ্রামের সহজসরল মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করতো। তাদেরকে নির্মূলে কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান। এছাড়া কোনো প্রলোভনেই অপরিচিত ব্যক্তির বাড়িতে না যেতে এবং পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতেও অনুরোধ জানান তিনি।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্র কর্তৃক নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের পর তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেনাপ্রধানের স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কিছু সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেন, ‘ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তার স্ত্রী।’

উল্লেখ্য, একই দিনে দুপুরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানও তার স্ত্রীসহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঈদ উপলক্ষে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এই সাক্ষাৎ ছিল রাষ্ট্রীয় সৌজন্যের অংশ হিসেবে।

ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

ঈদুল আজহার দিনেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। খবর আল জাজিরার।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নগরীর আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-শিফা হাসপাতালে।

নগরীর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিহত পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দাইর আল-বালাহ শহরে নিহত আরও পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে।

দাইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু-আজৌম বলেন, গাজায় ঈদ এমনই দেখা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় এ বছর আনন্দের বদলে বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি ও প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে ঈদের দিনটি পার হচ্ছে।

১৯ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেই সঙ্গে ঘর ছাড়া হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এ হামলার ফলে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ইসরাইলি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় অনেক ইহুদি বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যান।

ইসরাইলি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনি নেতারা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের এ ধরনের হামলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে এবং গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রতিরোধ কৌশলের অংশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘আল আকসা ঝড়’ নামে এক আকস্মিক পাল্টা হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। সেই থেকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে।