খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৩ পৌষ, ১৪৩১

শিশুকে নিয়ে ট্রেনের নিচে পড়ে মায়ের আত্মহত্যা, হাসপাতালে নেওয়ার পর শিশুর মৃত্যু

মো: রিপন মিয়া, গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:১৫ অপরাহ্ণ
শিশুকে নিয়ে ট্রেনের নিচে পড়ে মায়ের আত্মহত্যা, হাসপাতালে নেওয়ার পর শিশুর মৃত্যু

গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলার সাতখামাইর গ্রামে কোলে ১১ মাস বয়সী এক শিশুকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাসরিন আক্তার নামের এক নারী। এই ঘটনায় বেঁচেথাকা শিশুটি গুরুতর আহত হয় ওই শিশুর নাম রওজাতুল জান্নাত রাফসা (১১ মাস)। শিশুর বাচ্চা চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নাসরিন আক্তার ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার টাঙাব গ্রামের রাসেল আহমেদের স্ত্রী। রাসেল একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। স্বামীর চাকরির সুবাদে তিনি শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামে স্বামীর সাথে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনেরা জানান, সাতখামাইর রেল স্টেশনের কিছুটা উত্তরে আমতলা নামক স্থানে সকাল থেকেই একটি নারী বসে মোবাইলে কথা বলতেছিলেন। এসময় উচ্চ স্বরে কারো সাথে ঝগড়াঝাটি করতেছিলেন ওই নারী। সাড়ে দশটার পর ময়মনসিংহগামী একটি ট্রেন আসলে হঠাৎ শিশুকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন নাসরিন। চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় তারা দুজন রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়েন।

এতে ঘটনাস্থলেই নাসরিনের মৃত্যু হয়। তবে, গুরুতর আহত হয় কোলে থাকা শিশুটি। আহত অবস্থায় ওই শিশুকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকৃত ঘোষণা করেন। পারিবারিক কলহের কারণে শিশুসহ ওই নারী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা স্থানীয়দের।

ঝগড়াঝাটির কথা অস্বীকার করে ওই নারীর স্বামী রাসেল আহমেদ বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পাই আমার স্ত্রী ও সন্তান ঘরে নেই। আশপাশে খুঁজেও তাদের পাওয়া যায়নি। বিষয়টি বাড়ির মালিক কে জানাই। এরপর স্ত্রীর সাথে থাকা মোবাইলে কল দিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে স্ত্রী ফোন রিসিভ করে জানান তিনি তার সন্তান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছেন। কোথায় গেছেন জানতে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দিয়ে সেটি বন্ধ করে রাখেন।’

শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, ‘সাতখামাইর রেলস্টেশনের পাশে একটি দুর্ঘটনায় কোলে বাচ্চাসহ এক মহিলা আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। আমি রেলওয়ে পুলিশকে খবর দিয়েছি।