খুঁজুন
শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ২০ বৈশাখ, ১৪৩২

সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার সভায় অভিযোগ

গত ৫৩ বছরেও সকল মানুষের রাষ্ট্র হতে পারেনি বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
গত ৫৩ বছরেও সকল মানুষের রাষ্ট্র হতে পারেনি বাংলাদেশ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় থিতু হতে হবে বাংলাদেশকে। গত ৫৩ বছরেও বাংলাদেশ সকল মানুষের রাষ্ট্র হতে পারেনি। তাই বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূলে রয়েছে অসাম্প্রদায়িকতা, সকল নাগরিকের সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার।

আজ শনিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২৪ উপলক্ষে সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার উদ্যোগে ‘ধর্মীয় ও জাতিগত জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তরা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও। ঐক্য মোর্চার পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনা করেন ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রঞ্জন কর্মকার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হবে। কিন্তু আজ অবধি তা অধরাই রয়ে গেছে। রাষ্ট্রধর্ম বাংলাদেশের সবচেয়ে সর্বনাশ করেছে। সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও রাষ্ট্রধর্ম সাংঘর্ষিক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, আমাদের একটি ইউনিভার্সেল আইডেনটিটি প্রয়োজন যা ধর্মের ভিত্তিতে হবে না। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ রোগের লক্ষণ, মূল হলো সাম্প্রদায়িকতা। তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পর সবচেয়ে বেশী বৈষম্যের শিকার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালী জাতি একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র চেয়েছিল বলেই বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা অন্যতম মূলনীতি হিসেবে এসেছিল। আজ ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী কেন কমছে তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন রাখেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্য থাকলে কেন মন্দির, মসজিদ, গীর্জা ও প্যাগোডা পাহারা দিতে হবে? তিনি জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সাথে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা মনে করেন। এটা আজকের বিশ্বের বিশ্বজনীন বাস্তবতা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন বলেন, গত ৫৩ বছরে সাম্প্রদায়িকতার চর্চা হয়েছে নানাভাবে। ২০২৪’র গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে ন্যায্যতা ও বলার স্বাধীনতা। আজকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা কেন ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করতে বাধ্য হল তা বিবেচনায় নিয়ে সরকার, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজকে তাদের কৌশল নির্ধারণ করা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার দোহাই দিয়ে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হামলা জায়েজ করা যাবে না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের নামে মামলা দেয়ার পেছনে কাজ করছে তাদেরকে ভয়ের ভিতরে রাখা। তিনি সংখ্যালঘু জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান।

দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের মাটি থেকে সাম্প্রদায়িকতা উচ্ছেদ করা যায়নি। যখনই কোন সরকার পরিবর্তন হয়েছে তখনই সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর নির্বিচারে নির্যাতন নিপীড়ন নেমে আসে। তিনি আরও বলেন, যেদিন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার কবর হবে সেদিনই সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু শব্দগুলো থাকবে না। আজকে অসাম্প্রদায়িক আন্দোলনকে সর্বজনীন আন্দোলনে নিয়ে যেতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হবে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা।

মানবাধিকার কর্মী জনাব শামসুল হুদা বলেন, সংখ্যালঘুদের হামলা পেছনে বৈষ্যয়িক স্বার্থ জড়িত রয়েছে। সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত না হলে সে রাষ্ট্র সভ্য রাষ্ট্র হতে পারেনা।

ফাদার অ্যালবার্ট টি রোজারিও বলেন, সংখ্যালঘুরা ট্রাম্পকার্ড হিসেবে সব সরকারের আমলেই ব্যবহৃত হয়েছে, এখনও হচ্ছে।
থিওফিল নকরেক বলেন, সংবিধানে জাতিগোষ্ঠীর যথাযথ স্বীকৃতি নেই। আদিবাসীরা আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি চায়। ভূমি অধিকার নিশ্চিত করার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-র ১০৭, ১৬৯ কার্যকর করতে হবে।

এ্যাড. সুব্রত চৌধুরী বলেন, আজ সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য হচ্ছে। রাজপথের আন্দোলন ছাড়া আমাদের কোন বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সাইফুর রহমান তপন, সাংবদিক বাসুদেব ধর, জয়ন্ত কুমার দেব, সুনন্দপ্রিয় ভিক্ষু, অধ্যাপক চন্দন সরকার, ডা. এস কে রায়, অতুল চন্দ্র মণ্ডল, মনিরুজ্জামান ও রাজ কুমার দাস প্রমুখ।

বক্তারা আরো বলেন, আলোচনায় সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমে সকল সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রাণা দাশগুপ্তসহ যে সকল সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে তা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়। সংখ্যালঘু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীসহ যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি জানানো হয়।

আলোচনা থেকে পাওয়া সুপারিশসমূহ নিয়ে সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার পক্ষ থেকে একটি অবস্থানপত্র তৈরী করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল কমিশনকে দেয়া হবে।

গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা জাহাজে বোমা হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ণ
গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা জাহাজে বোমা হামলা

মানবিক সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাওয়া একটি জাহাজে ড্রোন দিয়ে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। মাল্টা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ হামলা চালানো হয়েছে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ওই মানবিক সহায়তা আয়োজনকারী সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এক বিবৃতিতে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ত্রাণবাহী জাহাজটি বর্তমানে মাল্টা উপকূল থেকে ১৪ নটিক্যাল মাইল (২৫ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। জাহাজে গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তার পাশাপাশি অধিকারকর্মীরা ছিলেন।

সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২৩ মিনিটে নিরস্ত্র বেসামরিক জাহাজটির সম্মুখভাগে সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে দুইবার হামলা চালানো হয়েছে। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায় এবং এর কাঠামোয় বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। হামলার পরপর জাহাজ থেকে এসওএস সিগন্যাল পাঠানো হয়।

অধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, জাহাজের জেনারেটর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে জাহাজটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে এবং ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, জাহাজের ওপর আগুন জ্বলছে ও বিস্ফোরণ ঘটছে।

তবে এ বিষয়ে এখনো ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি।

মাল্টা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজে ১২ জন নাবিক ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে আছেন। রাতেই জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছে, ২১ দেশের অধিকারকর্মীরা জাহাজটিতে ছিলেন। ইসরায়েলের বেআইনিভাবে গাজা অবরোধ করে সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদ এবং গাজাবাসীর জীবন রক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তারা যাত্রা করেছিলেন।

ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১১:৩০ অপরাহ্ণ
ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মানুষজন এক লম্বা ছুটি উপভোগ করতে যাচ্ছে। কারণ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক হিসাব অনুযায়ী দেশগুলোতে আসন্ন ঈদুল আজহা আগামী ৬ জুন (শুক্রবার) শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর আরাফাহ দিবস হবে তার একদিন আগে, অর্থাৎ ৫ জুন।

তবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে সৌদি আরবসহ অঞ্চলটির বিভিন্ন দেশের জাতীয় চাঁদ দেখার কমিটি।

গত বুধবার আল-আরাবিয়্যার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল-জারওয়ান জানিয়েছেন, জিলহজ মাসের চাঁদ আগামী ২৭ মে (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এটি নিশ্চিত হয়, তাহলে ২৮ মে (বুধবার) হবে জিলহজ মাসের প্রথম দিন। এই হিসাবে ১০ জিলহজ অর্থাৎ ঈদুল আজহা পড়বে ৬ জুন শুক্রবারে।

এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যেই ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি অনুমোদন করেছে। তাদের মতে, ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) আরাফাহ দিবস।৬ জুন থেকে ৮ জুন (শুক্র-রোববার) ঈদুল আজহার তিন দিনের ছুটি।

আর এ ছুটি সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের জন্যই প্রযোজ্য বলে উল্লেখ করেছে।

মূলত, ঈদুল আজহা হজের পরবর্তী দিন পালিত হয়। এ সময় বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান পবিত্র নগরী মক্কায় হজব্রত পালন করেন।

পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে চাকরি হারালেন ভারতের বিমান বাহিনীর উপপ্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে চাকরি হারালেন ভারতের বিমান বাহিনীর উপপ্রধান

এবার ভারতের সমালোচনার এই ধাক্কায় অধিকৃত কাশ্মীরে টহলরত ভারতীয় বিমান বাহিনীর চারটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের জেএফ-১৭ জেটের মুখোমুখি হয়ে কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হওয়ায়, ভারতের বিমান বাহিনীর উপপ্রধান এয়ার মার্শাল সুজিত পুষ্পকর ধরকারকে সময়ের আগেই ‘অবসরে’ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান ট্রিবিউন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০ এপ্রিল অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের চারটি রাফায়েল যুদ্ধবিমানকে টহল দিতে দেখা যায়। তবে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) জেটগুলো দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে তাদের ধাওয়া করে। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে ভারতীয় জেটগুলো তাড়াহুড়ো করে এলাকা ত্যাগ করে।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, পিএএফ যুদ্ধবিমানগুলোর তৎপরতায় ভারতীয় রাফায়েলগুলো বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে এবং আকাশসীমা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভারতের অভ্যন্তরে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ভারতেরই একটি শীর্ষ গণমাধ্যম ইয়ন টিভি-র অনলাইন সংস্করণ ধরকারের ‘অবসর’-এর খবর নিশ্চিত করেছে। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র সাত মাসের মাথায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলো।