খুঁজুন
সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ট্রাম্পকে দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে এবিসি নিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৩৬ অপরাহ্ণ
ট্রাম্পকে দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে এবিসি নিউজ

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা একটি মানহানির মামলায় তাকে দেড় কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম এবিসি নিউজ। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে, এবিসি নিউজের একজন তারকা সঞ্চালক ট্রাম্পকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তিনি ওই অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে ‘ধর্ষণের দায়ে দোষী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। খবর বিবিসির।

জর্জ স্টেফানোপোলাস নামের ওই সঞ্চালক চলতি বছরের ১০ মার্চ সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় বারবার এই মন্তব্য করেছেন। তিনি একজন নারী সদস্যের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওই নারী সদস্য কেন ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন সে বিষয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।

গত বছর এক দেওয়ানি মামলায় জুরি বলেছিলেন যে, ট্রাম্প যৌন হয়রানির জন্য দায়ী কিন্তু ধর্ষণের জন্য দায়ী নন। কারণ নিউইয়র্কের আইনে যৌন নির্যাতনের আলাদা সংজ্ঞা রয়েছে।

শনিবারের এই মীমাংসার অংশ হিসাবে এবিসি নিউজ একটি বিবৃতি প্রকাশ করবে যেখানে স্টেফানোপোলাসের মন্তব্যের জন্য ‌‘দুঃখ প্রকাশ’ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে প্রথম রিপোর্ট করেছে ফক্স নিউজ ডিজিটাল।

সমঝোতা অনুযায়ী, এবিসি নিউজ একটি ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ফাউন্ডেশন এবং মিউজিয়াম’ প্রতিষ্ঠার জন্য ১৫ মিলিয়ন ডলার দান করবে, যা মামলার বাদী ট্রাম্প বা তার পক্ষে প্রতিষ্ঠা করা হবে যেমনটা আগের মার্কিন প্রেসিডেন্টরা করেছিলেন।

এছাড়া আরও এক মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে ট্রাম্পের আইনগত খরচের জন্য। মীমাংসার শর্তানুসারে, এবিসি নিউজ চলতি বছরের ১০ মার্চ অনলাইনে প্রকাশিত তাদের প্রতিবেদনের নিচে এডিটরের একটি নোট যোগ করবে।

এতে লেখা থাকবে, এবিসি নিউজ এবং জর্জ স্টেফানোপোলাস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে ১০ মার্চ ২০২৪ এবিসির ‘দিস উইক’ অনুষ্ঠানে জর্জ স্টেফানোপোলাসের সঙ্গে প্রতিনিধি ন্যান্সি ম্যাসের সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য অনুতপ্ত।

এবিসি নিউজের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, কোম্পানি খুশি যে উভয় পক্ষ আদালতে দাখিল করা শর্ত অনুযায়ী মামলা মিটমাট করেছে।

২০২৩ সালে নিউ ইয়র্কের এক দেওয়ানি আদালত অভিযোগ তুলেছিল যে, ট্রাম্প ১৯৯৬ সালে একটি দোকানের ড্রেসিং রুমে ই. জিন ক্যারলকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন। ওই ম্যাগাজিনের কলামিস্টকে মানহানির জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

বিচারক লুইস ক্যাপলান বলেন, জুরির সিদ্ধান্ত ছিল যে ক্যারল প্রমাণ করতে পারেননি যে ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। মূলত নিউইয়র্ক দণ্ডবিধিতে ধর্ষণের নির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে।

বিচারক ক্যাপলান আরও বলেন, সাধারণ ভাষায়, অভিধানে এবং অন্য আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞা যেভাবে দেওয়া হয়েছে সেই তুলনায় নিউইয়র্কের আইনে এর সংজ্ঞা ‘অনেক বেশি সংকীর্ণ’।

পৃথক আরেকটি মামলায় একই বিচারকের অধীনে জুরি ক্যারলের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্যের জন্য ট্রাম্পকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছিল।

১০ মার্চের ওই টেলিভিশন অনুষ্ঠানের সম্প্রচারে স্টেফানোপোলাস দক্ষিণ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান
নারী সদস্য ন্যান্সি ম্যাসকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কীভাবে ট্রাম্পকে সমর্থন করতে পারেন। উপস্থাপক বলেছিলেন, বিচারক এবং দুটি পৃথক জুরি ট্রাম্পকে ধর্ষণের জন্য দায়ী বলেছে। কিন্তু তার দেওয়া এই তথ্য ভুল ছিল। স্টেফানোপোলাসের পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে এই কথা অন্তত ১০ বার বলেছেন।

ট্রাম্প কমলা হ্যারিসের সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কার নিয়ে ‘প্রতারণামূলক আচরণ’ করার জন্য বিবিসির মার্কিন সম্প্রচার অংশীদার সিবিএস-এর বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন। ২০২৩ সালে সিএনএনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মানহানি মামলা খারিজ করে দেন এক বিচারক। ওই মামলায় ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, নেটওয়ার্কটি তাকে অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছে। তিনি নিউইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোস্টের বিরুদ্ধেও মামলা করেছিলেন। যদিও মামলাগুলো পরে খারিজ হয়ে যায়।

বেলকুচিতে পূবালী ব্যাংকের ২৩২ তম উপশাখার উদ্বোধন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে পূবালী ব্যাংকের ২৩২ তম উপশাখার উদ্বোধন

গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে এবং সর্বস্তরের মানুষের দোরগোড়ায় আধুনিক ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পূবালী ব্যাংক পিএলসি-এর ২৩২ তম উপশাখার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার (১ জুন) সকালে উপজেলার চালা ওয়াবদা বাঁধ সংলগ্ন আলহাজ্ব আবুল হাসেম সরকার মার্কেটের ২য় তলায় অবস্থিত নতুন উপ-শাখা প্রাঙ্গণে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও বগুড়া অঞ্চলের অঞ্চল প্রধান এ এস এম রায়হান শামীম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবু জাফর মো: রকিবুল্লাহ, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পূবালী ব্যাংক পিএলসি খামারগ্রাম শাখার ব্যবস্থাপক মো: মাহবুব আলম, সঞ্চালনা করেন বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো: শওকত রহমান।

পূবালী ব্যাংকের নতুন এই উপশাখাটি খামারগ্রাম শাখার অধীনে পরিচালিত হবে। এর মাধ্যমে বেলকুচিসহ আশেপাশের অঞ্চলের সাধারণ জনগণ, ব্যবসায়ী, কৃষক ও চাকরিজীবীরা সহজে ও দ্রুত আধুনিক ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে স্থানীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: রেজাউল করিম, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তাঁদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ব্যাংকের সংযোগকে আরও দৃঢ় করে তোলে। পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, নতুন এই উপশাখার মাধ্যমে এখন থেকে সঞ্চয় ও চলতি হিসাব, ক্ষুদ্রঋণ, মোবাইল ও কার্ড ব্যাংকিং, এবং এটিএমসহ অন্যান্য আধুনিক সেবা সহজে পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে পুবালী ব্যাংকের ৫০৮টি শাখা এবং ৬১৪টি এটিএম সার্ভিস রয়েছে, যা সারা দেশে একটি বিস্তৃত ও গতিশীল আর্থিক সেবাব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। এই উপশাখা চালুর মাধ্যমে পূবালী ব্যাংক আবারও প্রমাণ করল যে, এটি কেবল একটি ব্যাংক নয় বরং দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও উন্নয়নের একটি নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।

নির্বাচন চাওয়াকে অপরাধ হিসেবে দেখার কিছু নেই: জোনায়েদ সাকি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১০:১৬ অপরাহ্ণ
নির্বাচন চাওয়াকে অপরাধ হিসেবে দেখার কিছু নেই: জোনায়েদ সাকি

নির্বাচন চাওয়াকে অপরাধ হিসেবে দেখার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বিচারের বিষয়ে মানুষ দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায়। সংস্কার, নির্বাচন এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এগুলো পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন- এগুলো এক সূত্রে গাথা।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংস্কারগুলো দূরত্ব ও অনাস্থা দেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে। নির্বাচন চাওয়াকে অপরাধ হিসেবে দেখার কিছু নেই। যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন না হয় তাহলে সেটার ব্যাখ্যা জনগণের সামনে হাজির করতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ না দিলে সংস্কারের অনেক বিষয় সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। সংস্কারের অনেকগুলো বিষয়ে ঐক্যমত্য আছে আবার কিছু বিষয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে ঐক্যমত তৈরি করা এবং নানা বিষয় সংস্কারও সম্ভব। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকার নিজেও নানা পক্ষপাত দেখাচ্ছে। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও জরুরি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, যারা শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন, এখন তারা নতুন বন্দোবস্ত করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। ফ্যাসিজমের থেকে যাওয়া শিকড়ে পানি ঢেলে তারা আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাচ্ছেন।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্যে ফাটল ধরেছে। কোনো অভ্যুত্থানের প্রথম সারির নেতারা এতটা বিতর্কিত হননি, যতটা এখন হচ্ছেন। তরুণরা অনাকাঙ্ক্ষিত কাজে জড়িত হয়ে পড়েছেন, যা লজ্জাজনক।

এবি পার্টির সভাপতি মজিবর রহমান মঞ্জু বলেন, বিএনপিকে বলেছিলাম জাতীয় অধিকারের প্রশ্নে আপনারা ঐক্য গড়ে তুলুন। সরকার আমাদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারে নাই, রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিতে পারে নাই। আমাদের ঐতিহাসিক সুযোগ আমরা যেন নষ্ট না করি।

আদালতের নির্দেশনা পেলে জামায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: ইসি সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ণ
আদালতের নির্দেশনা পেলে জামায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, আদালতের নির্দেশনা কমিশনে পৌঁছালে জামায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আজ রবিবার রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, আদালতের নির্দেশনা ইসিতে পৌঁছালে জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।

রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আর্জি জানান।

এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের (বর্তমানে অবসর) হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দু’বার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দু’বার তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় জামায়াত। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।

২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হয়। একই বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন) ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের (১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন) সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।

সে সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একইসঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে দেন।

তবে এ রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে গত বছর জুলাই মাস থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে ছাত্র-জনতা সরকার পতনের দাবি তোলে। এর মধ্যে ১ আগস্ট সরকার অঙ্গসংগঠনসহ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের আবেদন বাতিলের উদ্যোগ নেয়।