খুঁজুন
শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ২০ বৈশাখ, ১৪৩২

অফিস আওয়ারে সেবা বৃদ্ধির দাবি

মেট্রোরেলে একক যাত্রার কার্ড সংকট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:১৮ অপরাহ্ণ
মেট্রোরেলে একক যাত্রার কার্ড সংকট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিট সংকট পৌঁছেছে চরমে। টিকিট সংকটের কারণে মূল প্রবেশ পথ থেকেই যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আবার প্রবেশ পথে টিকিট সংকটের নোটিশও ঝুলিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি টিকিট সংকটের কারণে অধিকাংশ টিভিএম বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি মাসেই নতুন ২০ হাজার কার্ড (টিকিট) ইস্যু হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, এই ভোগান্তি অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতেই নতুন এই কার্ড ইস্যু করা হচ্ছে। যদিও নভেম্বরে নতুন ২০ হাজার কার্ড স্টেশনগুলোতে যুক্ত হয়েছে।

এর আগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছিলেন, মেট্রোরেলের দুই লাখেরও বেশি একক যাত্রার টিকিট যাত্রীরা সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ায় টিকিট সংকট দেখা দেয়। এই কার্ড সংকটে স্টেশনগুলোতে প্রায়ই বন্ধ থাকে টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম)।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, কার্ড সংকটের কারণে একেকটি প্রবেশ পথের তিনটি টিভিএম এর কখনো কখনো দুইটি বন্ধ রাখা হয়। আবার একটি বন্ধ দুইটি খোলা। কোথাওবা অপারেটরই নেই। সবমিলিয়ে যাত্রী ভোগান্তি চরমে।

মেট্রোরেল স্টেশনের কর্মীরা জানান, ‘একক যাত্রার কার্ড নেই তাই এই মেশিন চালানোর প্রয়োজন হচ্ছে না। আবার কোনো কোনো স্টেশনে একক যাত্রার কার্ড না থাকায় শুধু এমআরটি পাস ও র‍্যাপিড পাসধারী যাত্রীদের মেট্রোরেলে চড়তে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সাময়িক ভোগান্তিতে পড়েছেন মেট্রোরেলের সাধারণ যাত্রীরা। তবে শীগ্রই এই সমস্যা আর থাকবে না।’

মিরপুর-১১ স্টেশন পূরবী সিনেমা হলের সামনে কথা হয় জিয়াউল হক নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘সচিবালয়ের পাশে তার একটা জরুরি কাজ আছে। দ্রুত সময়ে যেতে হবে বলে বাস ছেড়ে মেট্রোতে যাবেন বলে ঠিক করেছেন। অথচ এখন এই ভোগান্তি।’

তিনি বলেন, ‘এখন হাতেও সময় নেই, এসে দেখি কলাপসিবল গেটই ছোট করে খোলা রাখা হয়েছে। বলে একক যাত্রার টিকিট নেই।’

কারওয়ান বাজার স্টেশনে এক যাত্রী বলেন, তিনি উত্তরা যাবেন। মাঝে মধ্যে মেট্রোতে চড়েন বলে স্থায়ী পাসের প্রয়োজন হয়না। এখন একক টিকিট না থাকায় বিপদে পড়েছেন তিনি। অনেক যাত্রীকেই স্টেশনের কাছে গিয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

মিরপুর, বিজয় স্মরণী, কারওয়ান বাজার, সচিবালয়, মতিঝিল স্টেশন গুলোতে দেখা যায়, স্টেশনের মূল প্রবেশ পথের কলাপসিবল গেট সামান্য ফাঁকা করে রাখা হয়েছে। একক যাত্রার টিকিট নেই বলে একপ্রকার নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়া আছে।

বিষয়টি জানতে চাইলে আনসার সদস্য বলেন, ‘একক যাত্রার টিকিট নেই বলে যাত্রীর চাপ কম। সেজন্য গেট বড় করে খোলা হচ্ছে না। তিনি গেটের ওপরে নোটিশ দেখিয়ে দেন। নোটিশে লেখা, ‘একক যাত্রার টিকিট স্বল্পতার কারণে শুধুমাত্র এমআরটি আর র‍্যাপিড কার্ডধারী যাত্রীরাই ভ্রমন করতে পারবেন।’

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা যায়, মেট্রোরেল যখন চালু হয় তখন স্টেশনগুলোতে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪১টি একক যাত্রার কার্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক বছর ৯ মাস পর গত অক্টোবর মাসে জানানো হয় ২ লাখের বেশি একক যাত্রার কার্ড হারিয়ে গেছে।

কারণ হিসেবে বলা হয়, যাত্রীরা নাকি অনেক কার্ড সঙ্গে নিয়ে গেছেন। আবার কিছু কার্ড নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তখন প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে যাওয়া কার্ডগুলো যাত্রীদের ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানায়। এজন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে একটি করে বক্সও দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে অক্টোবর মাসে কার্ডের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ হাজার। যদিও তখন গড়ে প্রতিদিন এক লাখের বেশি যাত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণ করছিলেন। ফলে কার্ড সংকট আরও দৃশ্যমান হয়। পরে সংকট মোকাবিলায় ডিএমটিসিএল নতুন করে একক যাত্রার কার্ড সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়।

তাই নতুন উদ্যোগে ৪ লাখ নতুন কার্ড অর্ডার করা হয় জাপানে। এর মধ্যে প্রথম ২০ হাজার কার্ড গত নভেম্বর মাসে দেশে আসে।

এ প্রসঙ্গে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইনের একজন প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কার্ড কিছু আছে। তবে সমস্যা হলো- ধরুন আমাদের চাহিদা ১০০০ দিতে পারছি ৫০০ কার্ড। তবে শিগগিরই চাহিদা অনুযায়ী কার্ড চলে আসবে।’

কার্ড ভোগান্তিতে বিরক্ত হয়ে মোঃ ওহিদুল ইসলাম নামে একজন যাত্রী বলেন, “ভাই শেখ হাসিনার আমলে এই মেট্রোরেল নিয়ে বহু নাটক দেখেছি। শুরু থেকেই টিকিট মেশিন গুলোতে ঠিকমতো অপারেটর থাকতো না। এখনতো আর আগের সরকার নেই। তাহলে এখন ঝামেলা হবে কেনো ?
এখনো অধিকাংশ দিন অফিস আওয়ারে লম্বা সিরিয়ালে থাকতে হয়। দেখা যায় মেশিন ফাঁকা, অপারেটর নেই। অথবা মেশিনে কাজ করছে না। সবমিলিয়ে এরা রাজার হালে থাকে ভাই। এদেরকে সুষ্ঠু তদারকি করা জরুরি। তাহলেই এরা কাজে মন দিবে। আর আমরা সাধারণ যাত্রীরাও কিছুটা স্বস্তি পাবো।”

গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা জাহাজে বোমা হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ণ
গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা জাহাজে বোমা হামলা

মানবিক সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাওয়া একটি জাহাজে ড্রোন দিয়ে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। মাল্টা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ হামলা চালানো হয়েছে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ওই মানবিক সহায়তা আয়োজনকারী সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এক বিবৃতিতে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ত্রাণবাহী জাহাজটি বর্তমানে মাল্টা উপকূল থেকে ১৪ নটিক্যাল মাইল (২৫ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। জাহাজে গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তার পাশাপাশি অধিকারকর্মীরা ছিলেন।

সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২৩ মিনিটে নিরস্ত্র বেসামরিক জাহাজটির সম্মুখভাগে সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে দুইবার হামলা চালানো হয়েছে। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায় এবং এর কাঠামোয় বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। হামলার পরপর জাহাজ থেকে এসওএস সিগন্যাল পাঠানো হয়।

অধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, জাহাজের জেনারেটর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে জাহাজটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে এবং ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, জাহাজের ওপর আগুন জ্বলছে ও বিস্ফোরণ ঘটছে।

তবে এ বিষয়ে এখনো ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি।

মাল্টা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজে ১২ জন নাবিক ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে আছেন। রাতেই জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছে, ২১ দেশের অধিকারকর্মীরা জাহাজটিতে ছিলেন। ইসরায়েলের বেআইনিভাবে গাজা অবরোধ করে সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদ এবং গাজাবাসীর জীবন রক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তারা যাত্রা করেছিলেন।

ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১১:৩০ অপরাহ্ণ
ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মানুষজন এক লম্বা ছুটি উপভোগ করতে যাচ্ছে। কারণ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক হিসাব অনুযায়ী দেশগুলোতে আসন্ন ঈদুল আজহা আগামী ৬ জুন (শুক্রবার) শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর আরাফাহ দিবস হবে তার একদিন আগে, অর্থাৎ ৫ জুন।

তবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে সৌদি আরবসহ অঞ্চলটির বিভিন্ন দেশের জাতীয় চাঁদ দেখার কমিটি।

গত বুধবার আল-আরাবিয়্যার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল-জারওয়ান জানিয়েছেন, জিলহজ মাসের চাঁদ আগামী ২৭ মে (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এটি নিশ্চিত হয়, তাহলে ২৮ মে (বুধবার) হবে জিলহজ মাসের প্রথম দিন। এই হিসাবে ১০ জিলহজ অর্থাৎ ঈদুল আজহা পড়বে ৬ জুন শুক্রবারে।

এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যেই ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি অনুমোদন করেছে। তাদের মতে, ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) আরাফাহ দিবস।৬ জুন থেকে ৮ জুন (শুক্র-রোববার) ঈদুল আজহার তিন দিনের ছুটি।

আর এ ছুটি সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের জন্যই প্রযোজ্য বলে উল্লেখ করেছে।

মূলত, ঈদুল আজহা হজের পরবর্তী দিন পালিত হয়। এ সময় বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান পবিত্র নগরী মক্কায় হজব্রত পালন করেন।

পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে চাকরি হারালেন ভারতের বিমান বাহিনীর উপপ্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে চাকরি হারালেন ভারতের বিমান বাহিনীর উপপ্রধান

এবার ভারতের সমালোচনার এই ধাক্কায় অধিকৃত কাশ্মীরে টহলরত ভারতীয় বিমান বাহিনীর চারটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের জেএফ-১৭ জেটের মুখোমুখি হয়ে কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হওয়ায়, ভারতের বিমান বাহিনীর উপপ্রধান এয়ার মার্শাল সুজিত পুষ্পকর ধরকারকে সময়ের আগেই ‘অবসরে’ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান ট্রিবিউন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০ এপ্রিল অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের চারটি রাফায়েল যুদ্ধবিমানকে টহল দিতে দেখা যায়। তবে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) জেটগুলো দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে তাদের ধাওয়া করে। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে ভারতীয় জেটগুলো তাড়াহুড়ো করে এলাকা ত্যাগ করে।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, পিএএফ যুদ্ধবিমানগুলোর তৎপরতায় ভারতীয় রাফায়েলগুলো বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে এবং আকাশসীমা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভারতের অভ্যন্তরে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ভারতেরই একটি শীর্ষ গণমাধ্যম ইয়ন টিভি-র অনলাইন সংস্করণ ধরকারের ‘অবসর’-এর খবর নিশ্চিত করেছে। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র সাত মাসের মাথায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলো।