খুঁজুন
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৬ পৌষ, ১৪৩১

১২ দলীয় জোটের সমাবেশে বক্তারা

“অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই সমাধান করতে পারছে না”

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ণ
“অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই সমাধান করতে পারছে না”

জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার কোনোকিছুই সমাধান করতে পারছেন না। সংস্কার করার যোগ্যতা এই সরকারের নেই। অবিলম্বে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সসম্মানে বিদায় নিন।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী স্বৈরচারের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দোসরদের গ্রেপ্তার এবং বিচার দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করতে চায়। এতে করে দেশের শিল্প কারখানা ধ্বংস হয়ে যাবে। অতীতে শেখ হাসিনার সরকারও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের কলকারখানা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এখন বর্তমান সরকারকেও কি সেরকমই একটা সরকার মনে করবো? আমি বলবো- আগুনে হাত দেবেন না। শ্রমিক অসন্তোষের মুখে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে কলকারখানা ধ্বংস করবেন না। মানুষের অসন্তোষ বৃদ্ধি করবেন না।

তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনা করে বলেন, খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছেন। আল্লাহ তাকে সুস্থ করে দিয়ে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুন। অনেকেই তাকে মাইনাস করার কথা বলছেন। কিন্তু এ ধরেনর চক্রান্ত দেশের ছাত্রজনতা কোনোভাবেই সহ্য করবেনা।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোট প্রধান সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মুহাম্মদ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা শওকত আমিন, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির এম এ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) ফিরোজ মো. লিটন এবং লেবার পার্টির মহাসচিব আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু।

শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, জনগণ যা চায় তা বুঝে অবিলম্বে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যেই নির্বাচন দিন। ভোটারের বয়স ১৭ এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স করতে চান ২১ বছর। দুটোই সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা বলবো- দেশে কচিকাঁচার সংসদ গড়বেন না। আপনাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। পাঁচ মাস ধরে কিছুই করতে পারছেন না। আইনশৃঙ্খলা, নিত্যপণ্যের বাজার কোথাও শৃঙ্খলা আনতে পারছেন না। আমাদের মাঠে নামতে বাধ্য করবেন না। কারণ আমাদের মাঠে নামার অভিজ্ঞতা আছে। সুনাম রক্ষা করতে চাইলে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য কারও হাতিয়ার হবেন না।

অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, শেখ হাসিনার আমলে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছিল। মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিলো। অতঃপর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বতীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। কিন্তু আজ পাঁচ মাস হয়ে গেলেও সরকার কিছুই করতে পারেনি। আমি বলবো- টালবাহানা না করে অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে নির্বাচিত সরকার। সেইসঙ্গে জুলাই আগস্টে ছাত্রজনতার গণহত্যাকারী পুলিশ ও প্রশাসনের দোসরদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনুন। মানুষ অক্সফোর্ড আর হার্ভার্ডের সংস্কার বোঝেনা। জনাব হুদা বলেন বঙ্গভবন হয়ে উঠছে বাংলার আরেকটি কাশিমবাজার কুঠি শেখ হাসিনার ফ্যাসিজমের অন্যতম দোসর চুপ্পো চুপি চুপি ফ্যাসিবাদের দোসরদেরকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছেন। অবিলম্বে গণহত্যাকারী সকল পুলিশ সদস্য এবং ফ্যাসিজমের দোসর প্রশাসনে গাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

গোলাম মুহিউদ্দীন ইকরাম সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ভাঁওতাবাজির সংস্থার ছাড়েন। বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কারই হবে সংস্কার। আপনারা জনআকাঙ্খা পূরণে দ্রুত সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নইলে পরিণতি কী হয় আওয়ামী সরকারের কাছ থেকে শিক্ষা নিন।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান বলেন, শেখ পরিবারের বিচার করলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ফিরে আসতো না। আজও শেখ পরিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এই পরিবার দেশের আশা-আকাংখা, গণতন্ত্র ও ভবিষ্যৎ সবকিছু ধ্বংস করেছে। এই পরিবারকে কিছুতেই ক্ষমা করা যায় না। শেখ পরিবার বাংলাদেশের জন্য কলংক। বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রের জননী। তিনি বলেন, ভারত আমাদের বাংলাদেশের জন্য বিষফোঁড়া। সেখানে বসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে। সরকারকে বলবো- অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দিবেন না।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, অবিলম্বে সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। তা না হলে দেশের চলমান সংকট সমাধান সম্ভব হবে না। শেখ হাসিনার পতনের জন্য দেশের ছাত্রজনতা রাজপথে নেমে এসেছিল। এখন জনআকাঙ্খা পূরণে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। না হলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ আবারও মাথাচাড়া দিবে। গরিব মানুষ কিন্তু সংস্কার বুঝে না। তারা চায় দুবেলা দুমুঠো খেয়ে নিরাপদে বাঁচতে। অতএব জাতীয় সংসদ নির্বাচন দ্রুত করতে হবে।
তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের সিন্ডিকেট ও দোসররা এখনও বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা ষড়যন্ত্র করে নিত্যপণ্যের দাম ইচ্ছামতো বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে কষ্টে ফেলেছে। তারা দেশীয় পণ উৎপাদন ও নিত্যপণ্যের দাম কমাতে আহ্বান জানান।

তুরস্ককে বাংলাদেশের যুবশক্তি কাজে লাগানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ
তুরস্ককে বাংলাদেশের যুবশক্তি কাজে লাগানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্ককে তাদের প্রযুক্তি বাংলাদেশে নিয়ে আসা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কারখানা স্থানান্তর এবং যুবশক্তিকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বলাতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশকে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের যুবসমাজের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে এবং এ ব্যাপারে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন।

‌‘আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠীকে সুযোগ দিতে আপনাদের সাহায্য চাচ্ছি; এটি আমার দেশের প্রতি আপনার দেশের প্রতি আবেদন,’ তিনি বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের তরুণদের ব্যবহার করে এখানে আপনার কারখানা পরিচালনা করুন, যেন আপনি এই অঞ্চলে পণ্য সরবরাহ করতে পারেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্ক পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একটি স্বপ্নের সম্পর্ক গড়ে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে।

‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ; আমরা এটি সবক্ষেত্রে তৈরি করতে চাই,’ তিনি বলেন।

‘এখানে অনেক কিছু করার আছে। কিছু ক্ষেত্রে আমরা আপনাদের সহায়তা, প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ চাই।’

‘আপনারা প্রযুক্তিতে নেতা। আপনারা এখানে প্রতিরক্ষা শিল্প তৈরি করতে পারেন। আসুন শুরু করি… আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে আমরা প্রস্তুত,’ তিনি বলেন।

তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বলাত বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্ক টেক্সটাইল শিল্পের বাইরে তাদের সহযোগিতা বৈচিত্র্যময় করতে পারে, যা বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে তাদের প্রধান আমদানি পণ্য।

তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি যন্ত্রপাতি ক্ষেত্রেও অর্থনৈতিক সহযোগিতা হতে পারে।

‘আমরা বাংলাদেশে আমদানির ক্ষেত্রে ভারত এবং অন্যান্য বাজারকে প্রতিস্থাপন করতে পারি। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও সকল পর্যায়ে সহযোগিতা হতে পারে,’ তিনি বলেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের তুরস্কে রপ্তানি ছিল প্রায় ৫৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর আমদানি ছিল প্রায় ৪২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বর্তমানে প্রায় ২০টি বড় তুর্কি কোম্পানি বাংলাদেশে গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল, আনুষঙ্গিক পণ্য, রাসায়নিক, প্রকৌশল, নির্মাণ এবং জ্বালানি খাতে কাজ করছে।

বাংলাদেশে কার্যরত উল্লেখযোগ্য তুর্কি কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে তুর্কি এলপিজি কোম্পানি এওয়াইজিএজেড, কোকা-কোলা ইচেজেক এবং রেফ্রিজারেটর ও এসি নির্মাতা আরকিলিক (যারা সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড অধিগ্রহণ করেছে)।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা গত আগস্টে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানের সঙ্গে তার টেলিফোন আলাপ এবং এরপরে অক্টোবরে তুরস্কের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন।

কমার্স উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সচিব লামিয়া মুরশেদ এবং বিডা চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

‘জামায়াত ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ
‘জামায়াত ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না’

নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির ও কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাওলানা আব্দুল জাব্বার বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীদের বোরকার ভেতরে রাখবে এমন মিথ্যা অপ্রচার করা হয়েছে। একইভাবে হিন্দু ভাই বোনদের মাঝে ভয় ছড়ানো হয়েছে, জামায়াত ক্ষমতায় আসলে দেশ থেকে বের করে ভারতে পাঠিয়ে দেবে।

এসব অপপ্রচার করে শেখ হাসিনা সরকার জামায়াতে ইসলামী বিরোধী প্রচার চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে ১৮নং ওয়ার্ডের বাপ্পী চত্বরে জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগর দক্ষিণ সাংগঠনিক থানার উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আব্দুল জব্বার বলেন, আমরা কারো ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ করি না। ফ্যাসিবাদী সরকারের কারণে আপনাদের পাশে আমরা দাঁড়াতে পারিনি। আপনাদের জন্য শুধু শীতবস্ত্র নয়, ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য যাবতীয় জিনিসপত্র ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে প্রায় ৫৩ বছর যাবৎ যারা সংসদ সদস্য, কাউন্সিলর ও মেম্বার হয়েছেন তাদের লোভের কারণে সরকারের বরাদ্ধকৃত মালামাল সাধারণ মানুষদের কাছে পৌছাতে পারেনি। আমরা সব সময় মানুষের পাশে ছিলাম। আজকে আমরা কিছু কম্বল নিয়ে আসতে পেরেছি, হাসিনার জামানায় যদি এভাবে আসতাম তাহলে কম্বলও নিত-আমাদের সাথে আপনাদের নিয়ে যেত। আমরা এখনো স্বাধীনতা লাভ করতে পারি নাই। মানুষের সকল চাহিদা পরিপূর্ণ না হলে মানুষ স্বাধীনতা পেতে পারে না। সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর ও পৌরসভা ইউনিয়ন অফিসে জন্মনিবন্ধন করতে যাই এতেও ঘুষ দিতে হয়। আমরা আসলেই দূর্ভাগা জাতি। আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে দূরবস্থা থাকবে না।

জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগর দক্ষিণ সাংগঠনিক থানার আমীর খলিলুর রহমান টিটুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ, পরিকল্পনা আইন আইসিটি ও মিডিয়া সম্পাদক মনির হোসাইন মোল্লা, যুব ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আখতার হোসাইন, বায়তুল মাল সম্পাদক মাসুদ উল ইসলাম ও গোগনগর উত্তর সভাপতি শিপলু হাসান।

ঢাকায় যানজটে ভোগান্তি নিরসনে পদক্ষেপের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ
ঢাকায় যানজটে ভোগান্তি নিরসনে পদক্ষেপের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

রাজধানী ঢাকার অসহনীয় যানজটে নগরবাসীর ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, আজ প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে যানজটে ভোগান্তি দূরীকরণে করণীয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা কীভাবে দ্রুত যানজট সমস্যা সমাধান করা যায়, কী পদক্ষেপ নিলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে তা জানতে চান এবং আরও দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন বলে জানান শফিকুল আলম।