স্কুলে ভর্তি কার্যক্রম বিদ্যমান সমস্যাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি কাম্য « বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

স্কুলে ভর্তি কার্যক্রম বিদ্যমান সমস্যাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি কাম্য

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ | ১১:০৬
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ | ১১:০৬
Link Copied!

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর বিষয়টি প্রশংসার দাবি রাখে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। জানা গেছে, ভর্তিতে অনিয়ম-দুর্নীতি ঠেকাতে প্রথমবারের মতো এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের বেসরকারি হাইস্কুলেও মাউশির তত্ত্বাবধানে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার কেবল জেলা সদর পর্যন্ত স্কুলগুলো এ প্রক্রিয়ায় আনা হয়েছে। জানা গেছে, অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতেই বেশি আগ্রহী। শহরের বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয়ে আবেদনকারীরা সুযোগ না পেয়ে ঘুরলেও মফস্বলের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে সংকট। যখন সনাতনী পদ্ধতিতে আবেদন নিয়ে স্কুলভিত্তিক শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো, তখন নামিদামি কিছু স্কুলে ভিড় জমাতেন অভিভাবকরা। এবারও ওইসব স্কুলেই অতিরিক্ত আবেদন পড়েছে।

এ অবস্থায় এখনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার আসনে কাউকে নির্বাচন করা যায়নি। অনলাইন পদ্ধতি চালু হওয়ায় যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে অভিভাবকরা অনীহা প্রকাশ করছেন, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কতদিন টিকে থাকতে পারবে এ প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। এছাড়া যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে অভিভাবকরা আগ্রহী নন, সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সবার সতর্ক হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। সারা দেশে কেন কিছুসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এত সুনাম, তা প্রায় সবারই জানা। যেসব কারণে অভিভাবকরা শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে অনীহা প্রকাশ করছেন, সে বিষয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা নানা অজুহাত হাজির করতে পারলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা কী বলবেন? ভর্তিবিষয়ক বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও মান নিয়ে অভিভাবকদের এত প্রশ্ন কেন, তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর পরিবেশ ও শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এটাই কাম্য। দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও সার্বিক পরিবেশ উন্নত করার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। লটারির কারণে বহু নামকরা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ তাদের গৌরব হারানোর শঙ্কায় পড়েছে। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী নামকরা স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ন্যূনতম সংখ্যক শিক্ষার্থীকে নামকরা স্কুলে পড়ার সুযোগ দিতে দেশের কিছুসংখ্যক সরকারি স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা চালু রাখার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। বেসরকারি ভালো স্কুলগুলোতেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। শিক্ষা খাতে কাঙ্ক্ষিত সুফল পেতে শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের উচ্চ বেতন-ভাতা প্রদানের বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া দরকার।

বিষয়ঃ

সর্বশেষ: