নবীনগরে প্রবাসে থেকেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত দেখিয়ে মামলার আসামি হলেন বকুল।
![](https://bdnews999.com/wp-content/themes/Mega%20News/pitw-assets/pitw-image/user_default.png)
![](https://bdnews999.com/wp-content/uploads/2022/10/310618165_5863608197018804_4673419264520231237_n.jpg)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের বিদ্যাকুট ইউনিয়ন মনিপুর গ্রামের তিতাস নদী পাড় সংলগ্ন দক্ষিণ পাড়ায় আহার মিয়া কে হুমকি ধামকি দেয়ার ঘটনা দেখিয়ে প্রবাসে থাকা বকুল মিয়া কে ১নং আসামি করে নবীনগর থানায় আহার মিয়া বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
সরজমিন গিয়ে জানা যায়, বকুল মিয়া ০৪ আগষ্ট ছুটি কাটিয়ে দেশ থেকে সৌদি আরব তার নিজ কর্মস্থলে চলে যায়। গত ২২ সেপ্টেম্বর তার প্রতিবেশী আহার মিয়া নবীনগর থানায় বকুল মিয়াকে ১নং আসামি করে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন যাহার এস ডি আর নং১৫৫৭।উক্ত অভিযোগে স্পষ্ট উল্লেখ্য করেন সৌদি আরবে থাকা বকুল মিয়া ঘটনার সময় ও তারিখে দলবল নিয়ে মামলার বাদীর বসত বাড়িতে গিয়ে হুমকি ধামকি প্রদান করেন। প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সময় ও তারিখের ২ মাস পূর্বে বকুল মিয়া সৌদি আরব চলে যায়।
এবিষয়ে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়,বকুল মিয়া একজন সমাজ সেবক এবং দীর্ঘ ৩ মাস ধরে তাকে এলাকায় দেখিনি।এবং সে ছুটি কাটিয়ে সৌদি আরব চলে গেছে।
অভিযোগ করা বাদী আহার মিয়ার স্ত্রী ও ছোট ভাই জানায়,আমাদের বাড়িতে হামলা করতে কয়েকজন লোকজন এসে ছিল, কিন্তু ঐখানে বকুল মিয়া উপস্থিত ছিলেন না,সে ২ মাস পূর্বে বিদেশ চলে গেছে।
এক কোটি টাকা দিয়ে মারার মিথ্যা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে মানিক মিয়া জানান এগুলো মিথ্যা বানোয়াট আমার সাথে এমন কোন কথাই বলিনি
অভিযোগের ২ ও ৩ নং স্বাক্ষী আমিন ও আলকাছ মিয়া জানান,মারামারি দিন বকুল ঘটনাস্থলে ছিলনা,আমরা তাকে দেখিনি।কিন্তু সে লোক পাঠিয়েছে।
বিদ্যাকুট ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়াড সদস্য মনিপুরের আব্দুল গফুর জানান,আমি একজন ওয়াড মেম্বার হিসেবে মারামারি হয়েছে তা শুনিনি বা দেখিনি।ছোট ছোট ছেলেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে সবাই মিলে শেষ করে দিয়েছে। আমি উপস্থিত ছিলাম বলে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে এর তীব্র নিন্দা জানাই।
মামলার ১নং আসামি বকুলের স্ত্রী জানান,আমরা মনিপুর থাকতে পারতেছিনা, আহার মিয়া ও তার লোকজনের ভয়ে নবীনগর শহরে ভাড়া থাকি।সরকারের নিকট আমরা নিরাপত্তা চাই। এবং আমার স্বামী প্রবাসে থাকা সত্বেও যে মামলার আসামি করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে এর বিচার চাই।
প্রবাস থেকে ভিডিও বার্তায় ১ নং আসামি হওয়া বকুল মিয়া জানান,আমি সৌদি আরব প্রবাসী বকুল মিয়া এই ভিডিও বার্তায় একজন রেমিটেন্সযোদ্ধা হিসেবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি গত ০৪ আগষ্ট বাংলাদেশ থেকে ছুটি কাটিয়ে সৌদি আরব চলে আসি,কিন্তু গত ২২ সেপ্টেম্বর নবীনগর থানায় আমাকে ১ নং আসামি করে ২১ সেপ্টেম্বর আমার উপস্থিত দেখিয়ে আহার মিয়া একটি অভিযোগ করেন যাহা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা প্রবাসীরা প্রবাসে থেকে এত কষ্ট করে দেশের জন্য টাকা পাঠায় অথচ সে দেশে আমি প্রবাসে থাকা সত্বেও দেশে দেখিয়ে মামলা হয় যা দুঃখজনক।আমার বিদেয় আসার সকল তথ্য প্রমাণ রয়েছে। আমি প্রবাসী হিসেবে সরকারের নিকট এর বিচার চাই এবং আমরা ছেলে মেয়ে যেন দেশে নিরাপদে থাকতে পারে তার দাবি জানায়।গতকাল একটি অনলাইন টিভিতে সেই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের সাথে কোন কথা না বলেই একটি সংবাদ প্রকাশ করে আমার কোটি টাকার মানহানি করছে, তারজন্য আমি অচিরেই আদালতে দ্বারস্থ হব।