ফিলিপাইনে বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৭২
ফিলিপাইনে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ন্যালগায় সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ৭২ জন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আরও অনেকে ধসে যাওয়া মাটির নিচে চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা উদ্ধারকর্মীদের।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দেশটির দক্ষিণের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল মিন্দানাও থেকে প্রথমে ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধারকর্মীদের অভিযানে মৃতের সংখ্যা ৭২ এ গিয়ে পৌঁছায়। খবর এএফপির
অঞ্চলটির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী নাগুয়িব সিনারিম্বো দেশটির গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ে মিন্দানাও প্রদেশে প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হলেও দুর্ভাগ্যবশত এমন প্রাণহানি ঘটেছে।
দেশটির দুর্যোগ কর্মকর্তারা বলেছেন, এরই মধ্যে সরকারি উদ্যোগে হাজার হাজার মানুষকে ঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া টানা বৃষ্টিপাতের ফলে শুক্রবার রাতেও মধ্য ফিলিপাইনের সামার প্রদেশে ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলেও আগামীকাল শনিবার সকাল থেকে তা আবারও শুরু হবে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। কারণ, প্রদেশটির বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে দাতু ওডিন শহরে অসংখ্য মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের ক্রমবর্ধমান তীব্রতার ফলে ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিধস ও বন্যা হয়। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়ার এই দেশটি বছরে গড়ে ২০টি ঝড়ের সম্মুখীন হয়।
এরমধ্যে চলমান গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ন্যালগায় ফিলিপাইনে ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার (৪৭ মাইল) গতিতে ঝড়ো বাতাস বইছে। সেই সঙ্গে ঝরছে বৃষ্টি। এ কারণে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি ফ্লাইটও বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে দেশটি। পাশাপাশি স্কুলগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।