আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার « বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ অক্টোবর, ২০২২ | ১১:২৮
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ অক্টোবর, ২০২২ | ১১:২৮
Link Copied!
আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার -- বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

‘আঠারো বছর বয়সে অহরহ/বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি,’ সুকান্ত ভট্টাচার্যের অমর লাইনটির তরুণ পেস অলরাউন্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের অর্জন আর স্বপ্নের সঙ্গে যেন মিলেমিশে এক হয়ে গেল। বয়স ১৮ পেরিয়ে ১৯-এর পথে।

এরই মধ্যে রংপুর বিভাগের হয়ে জাতীয় লিগের (এনসিএল) অভিষেক আসরে বাজিমাত করেছেন বাঁহাতি এ ওপেনার। তৃতীয় রাউন্ডে সিলেটের বিপক্ষে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের অভিষেক আসরে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। এবারের আসরে এটাই তার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে প্রথম দুই দিন একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। তৃতীয় দিনে ব্যাটিং পেয়েই অপরাজিত ছিলেন ৭৯ রানে। চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনের পর যখন ৪০৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে রংপুর, তখন ৩৬৪ বলে ১৬ চার ও ১৩ ছক্কায় মামুনের নামের পাশে ২১০* রান।

বিজ্ঞাপন

ডিউক বলে খেলা হচ্ছে এনসিএল। উইকেটে ঘাসও আছে। তাই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সুইংও হচ্ছে। এসব সামলে সুস্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকার রহস্য কী? মামুনের সাদাসিধে জবাব, ‘যখন ইনিংস শুরু করি। উইকেটে দেখলাম সুইং ও বাউন্স আছে। তখন আমি জোনের বল খেলার চেষ্টা করেছি, বাইরের বল ছেড়ে দিয়েছি। পরিকল্পনা ছিল কমফোর্ট জোনে বল না হলে খেলব না। আমাদের দ্রুত উইকেট পড়তে থাকায় তখন আরও নজর বাড়াই। এভাবেই উইকেটে টিকে ছিলাম।’

উত্তরটা শুনতে যতটা সহজ মনে হচ্ছে, খেলা ততটা সহজ ছিল না। উইকেটে টানা দেড় দিনের বেশি দাঁড়িয়ে থাকার পেছনে মামুনকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন দলের সিনিয়র সতীর্থ নাইম ইসলাম ও নাসির হোসেনরা।

লাল বলে ওপেনিং করায় চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি থাকে। চেষ্টা করেছি নিজেকে মানিয়ে নিতে। টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ, সিনিয়র ভাইয়েরা যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। তারা বলেছিলেন, তুই যেভাবে খেলে আসছিস এতদিন, ওভাবে খেলে যা। মনে কর ছোটবেলায় যারা বল করত ওরাই করতেছে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডাবল সেঞ্চুরিয়ান
মামুনের এমন অর্জনের পেছনের পথটা মসৃণ ছিল না। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সুবিধা করতে পারেননি। তবে পরিবারের সহযোগিতা থাকায় শেষ তিন মাস মাসকো সাকিব ক্রিকেট একাডেমিতে কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। এরপর বিভাগীয় কোচ, নিজের ছোটবেলার কোচদের সান্নিধ্যে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। সেঞ্চুরির পর ডাবল সেঞ্চুরি পেয়ে তাদেরই স্মরণ করেছেন মামুন। ম্যাচের পর অনুপ্রেরণা দিয়েছেন কোচ সালাহউদ্দিনও।

বিজ্ঞাপন

ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়া মামুনের এখন আরও বড় হওয়ার স্বপ্ন। তবে ধীরে ধীরে এগোতে চান তিনি। আপাতত লক্ষ্য নিয়ে বলেছেন, ‘ইচ্ছে আছে ধীরে ধীরে ওপরের দিকে যাওয়ার। এখন চাইব ধারাবাহিক ভালো খেলে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ স্কোরার হওয়ার।’ মামুন জানিয়েছেন, এই স্বপ্ন সফল করার পথে তার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট দুই বাবা ও দুই মা। মামুন তার বড় বাবা ও বড় মায়ের কাছে বেড়ে উঠেছেন। দুই পরিবারকেই এক করে নিয়েছেন নিজেকে গড়ে তোলার জন্য।

বিষয়ঃ

সর্বশেষ: