বশেমুরবিপ্রবির ড্রাইভার-হেলপারের বিরুদ্ধে তেল চুরির অভিযোগ « বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

বশেমুরবিপ্রবির ড্রাইভার-হেলপারের বিরুদ্ধে তেল চুরির অভিযোগ

মোঃ শাহ আলম খান ঢাকা, বাংলাদেশ
আপডেটঃ ২৯ অক্টোবর, ২০২২ | ১২:১৪
মোঃ শাহ আলম খান ঢাকা, বাংলাদেশ
আপডেটঃ ২৯ অক্টোবর, ২০২২ | ১২:১৪
Link Copied!

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বাস থেকে তেল চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রাইভার-হেলপারের বিরুদ্ধে তেল চুরির অভিযোগ উঠেছে।

পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস গাড়ি নম্বর ১ (গোপালগঞ্জ সং ১১-০০০১), ৩ (গোপালগঞ্জ সং ১১-০০০৩), ৭ (গোপালগঞ্জ সং ১১-০০০৭) এবং ১১ এই ৪ বাসের তেলের ট্যাঙ্কের তালা ভেঙে গত বুধবার (২৬ আগস্ট) রাতে তেল চুরি হয়। সরোজমিনে পরিদর্শন করে বাস রাখার ডিপোতে বিভিন্ন স্থানের মাটিতেই তেল পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং কয়েকটি তেলের ট্যাঙ্কার ভাঙা পাওয়া যায়।

পরিবহন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী পাম্প থেকে সব পরিবহনের ট্যাঙ্ক পরিপূর্ণ করে রাখা হয়। তবে ড্রাইভার ঝন্টু কর্তৃক চালিত ১১ নম্বর বাস পরিপূর্ণ করার সময় ট্যাঙ্কে প্রায় ৮৭ লিটার তেল কম পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, দীর্ঘদিন ধরেই কতিপয় ড্রাইভার ও হেলপারদের তৎপরতায় তেল চুরির বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

চুরির বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ’২৬ তারিখ রাত ৯টার থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত আনসার বাহিনী বাস ডিপোতে নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করে। ৯টার দিকে এক আনসার ডিউটিতে গেলে একটি গাড়ির তেলের ট্যাঙ্কের মুখ খোলা পাই এবং ট্যাঙ্গের ভিতর পাইপ ঢুকানো পাই। সেই সঙ্গে পাশে একটি ফাঁকা ৩০ লিটারের ড্রাম গাড়ির নিচে পড়ে থাকতে দেখি।’

তিনি আরও বলেন ‘রাত ১১টার দিকে আমরা আজগর আলী নামে এক বাস ড্রাইভারকে মোটরসাইকেলে ওইদিকে যেতে দেখি, যার অল্প সময় পরে তিনি সেখান থেকে চলে যান। পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি পরিবহণ দপ্তরে অবগত করি।’

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সেই রাতে ক্যাম্পাসে আজগর আলীর ডিউটি থাকলেও রাত ১২টার দিকে পরিবহন ডিপোর দিকে ঘুরে তিনি ক্যাম্পাসে থেকে বের হয়ে অন্যত্র যায় এবং পরবর্তীতে ভোর ৪টার দিকে ফিরে আসে।

বিজ্ঞাপন

তেল চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে বশেমুরবিপ্রবি পরিবহণ প্রশাসক হাসেম রেজা জানান, ‘আমি নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এমন বেশ সংশ্লিষ্ট বিষয় আমরা পর্যেবক্ষণ করছি। দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্যতার ভিত্তিতে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান জানান, ‘এখনো আমাদের কাছে রেজ্যুলেশন আসেনি। আসলে পরবর্তীতে নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেলে বাস, অ্যাম্বুলেন্স, জিপ ও মাইক্রোবাস মিলিয়ে সর্বমোট ২৭ পরিবহন রয়েছে। তন্মধ্যে দুটি এসি কোস্টারসহ বাস সংখ্যা ১৮টি, উপাচার্য দপ্তরের জিপ ও মাইক্রোবাস সংখ্যা ৪টি, পরিবহন সেলে শিক্ষক জিপ ও মাইক্রোবাস ৫টি। বাসগুলো শিডিউল অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিয়ত খুলনা, গোপালগঞ্জ শহর, টুঙ্গিপাড়া, সাতপাড়, কোটালিপাড়া, মুকসুদপুর, কাশিয়ানি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে যাতায়াত করে। বর্তমানে একটি এসি কোস্টার মেরামতে এবং দুটি বাস নষ্ট অবস্থায় আছে।

বিষয়ঃ

সর্বশেষ: