দুমকিতে এস.এস.সি. নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস « বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

দুমকিতে এস.এস.সি. নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস

মোঃ নাসির উদ্দিন জুয়েল বিশেষ প্রতিনিধি, বাংলাদেশ।
আপডেটঃ ৩০ অক্টোবর, ২০২২ | ৭:৩০
মোঃ নাসির উদ্দিন জুয়েল বিশেষ প্রতিনিধি, বাংলাদেশ।
আপডেটঃ ৩০ অক্টোবর, ২০২২ | ৭:৩০
Link Copied!
দুমকিতে এস.এস.সি. নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস -- বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম


পটুয়াখালীর দুমকি মুরাদিয়া জয়গুন নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কতৃক প্রশ্ন ফাসের খবর পাওয়া গেছে। ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষকের প্রাইভেট কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের হাতে পাওয়া প্রশ্নপত্রের সাথে হুবহু মিল থাকায় প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি নিশ্চিৎ হওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে এ বিষয়ে প্রশ্নকরা হলে তিনি জবাব না দিয়ে আকস্মিক অচেতন হয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার মুরাদিয়া জয়গুননেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি’র টেস্ট (বাছনিক) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। গত ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং’র কারনে ২৫অক্টোবরের স্থগিত থাকা ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা গতশুক্রবার (২৮ অক্টোবর) নেয়া হয়। ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান তার প্রাইভেট শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষার আগের দিনই প্রশ্নপত্র দিয়ে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। ওই বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসএসসি পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানায়, যারা হাবিব স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়েন তাদের সবাইকে স্যার আগের দিনই প্রশ্ন দিয়েছেন। তারা পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১ঘন্টা আগেই সব লিখে বের হয়ে গেছেন। আমরা যারা তার কাছে প্রাইভেট পড়িনা তারা কিছুই লিখতে পারিনি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ঘটনার বিষয়ে জানতে ওই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে গেলে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইংরেজি শিক্ষক হাবিবুর রহমান অচেতন হয়ে পড়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষকের আকস্মিক অচেতন হওয়ার বিষয়টি জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন তিনি অজ্ঞান হননি, ভান ধরে ছিলেন। গণমাধ্যমকর্মীদের এসংক্রান্ত নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে তাই তার এমন নাটক। অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুর রহমান অসুস্থতার অযুহাতে বাসায় অবস্থান করলেও কারো ফোন ধরছেন না। একাধিকবার ফোন দেয়ার পর তার স্ত্রী পরিচয়ে ফোন রিসিভ করলেও তিনি কথা বলতে পারছেন না বলে ফোন কেটে দেন।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুব আলী বলেন, আমাদের স্কুল থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, তবে সে (ইংরেজি শিক্ষক) কোথায় প্রশ্ন পেয়েছে তা আমি জানি না। উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা বদরুন নাহার ইয়াসমিন বলেন, ইউএনও স্যারের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি, তবে আমি প্রধান শিক্ষককে ৮/১০ বার ফোন দিয়েছিলাম সে আমার ফোন রিসিভ করেনি। খোলা তারিখে ইউএনও স্যারের সাথে বসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিষয়ঃ

সর্বশেষ: