নীরব ঘাতক নীরব
মেয়েদের ব্ল্যাকমেইল করাই যখন পেশা
![](https://bdnews999.com/wp-content/uploads/2023/01/FB_IMG_1714045682629-150x150.jpg)
![](https://bdnews999.com/wp-content/uploads/2024/04/received_437918098918126.jpeg)
প্রতারণা ব্যবসায়ের দক্ষ ওস্তাদ নীরব খান ওরফে রবিন, বয়স ৩৮। স্ত্রী হাবিবা এবং তিন মেয়ে নিয়ে ভ্লগ করেন তারা। পাশাপাশি কিশোরীদের ভ্লগের নামে ফাঁসানো এবং ব্ল্যাকমেইল করাই তার প্রধান পেশা। আর এসব অপকর্মে তাকে সহযোগিতা করেন তার গুণধর স্ত্রী নিজেই। এসকল অপকর্মের কৌশল হিসেবে তাদের রয়েছে বিভিন্ন পন্থা। ভ্লগ ও টিকটকের নামে সহজ-সরল মেয়েদের টার্গেট করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের রমরমা ব্যবসা।
নানা পরিচয়ে কখনো দেবর-ভাবি কিংবা কখনো ভাই-বোন সেজে মানুষের সাথে প্রতারণা করেন এই দম্পতি। প্রধানত মেয়ের বয়সী কিশোরীদেরকে এরা টার্গেট করেন। ভ্লগ এবং টিকটিক করে অপ্রাপ্ত মেয়েদেরকে নানা কৌশলে ফাসিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে তারা।
গত ঈদের তৃতীয় দিন জিঞ্জিরা থেকে ১৩ বছরের এক মেয়েকে এভাবেই ফাঁদে ফেলে বেড়াতে নিয়ে যায় রবিন-হাবিবা দম্পতি। রাতে বাসায় না ফিরলে মেয়ের বাবা ও স্থানীয় লোকজন হাবিবার বাসায় খোঁজ করতে গেলে সে উল্টো ডাকাতি মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরিস্থিতি বেগতিক হতে থাকলে পুলিশ হাজির হয়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে আশ্বস্ত করে হাবিবা পালাবে না। কিন্তু বিকেলেই হাবিবা তিন কন্যা সহ বাবার বাড়ি মেঘনা উপজেলায় পালিয়ে যায়।
এদিকে নীরব ওরফে রবিন এর মধ্যেই কয়েকবার মেয়েটির বাবার ফোনে কল দেয় এবং মেয়েটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ করা হলে, স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ৫ দিন পর মেয়েটিকে পাওয়া যায়। রাত ১২ টার দিকে ঢাকা ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে তাকে উদ্ধার হয়।
উল্লেখ্য যে, হাবিবার বাড়ি মেঘনা উপজেলায়। সেখানে উদ্ধার অভিযানের সময় স্থানীয় মেম্বার জানান, লোকটা এর আগে তার নিজ শ্যালিকাকেও এভাবে ফাঁদে ফেলেছিলো।কিন্তু পারিবারিক সম্মানহানির জন্য বিষয়টি গোপনীয় ভাবেই সমাধান করেছেন তারা। অপহরণের ৪ দিন পর রাত ১২ টা নাগাদ প্রশাসনের অভিযান টের পেয়ে মেয়েটিকে ভিক্টোরিয়া পার্কে রেখে সরে পড়ে প্রতারক লম্পট নীরব।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ওই কিশোরীকে উদ্ধার কাজে একজন সহায়তা করেন। ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ এসেছে রবিন-হাবিবা দম্পতির বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী বলেন, “এই অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরী উদ্ধার কাজে আমি সহায়তা করেছিলাম। নীরব এবং হাবিবা এখনো বিভিন্ন নাম্বার এবং অ্যাপস দিয়ে কল দিয়ে আমাকে এবং তার বাবাকে ভয় এবং হুমকি দিচ্ছে।
এই বিষয়ে র্যাবের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। র্যাব ধারণা করছে এরা একটি শিশু ও নারী পাচারকারী দলের সদস্য। কোমলপ্রাণ শিশু ও অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোরীরাই এদের টার্গেট। টিকটিক,রিল, ভ্লগ- এসবের আড়ালে এরা আশেপাশের মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়। পরবর্তীতে এদেরকে নানা অসামাজিক অপকর্মতে লিপ্ত করে এবং ব্ল্যাকমেইল করে।”