খুঁজুন
শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৭ পৌষ, ১৪৩১

সীমান্তে ‘জয় শ্রী-রাম’, ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান; কী হয়েছিল?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৫৬ অপরাহ্ণ
সীমান্তে ‘জয় শ্রী-রাম’, ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান; কী হয়েছিল?

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় অংশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিজিবি, বিএসএফ এবং দুই দেশের স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতের উভয় দিকেই স্থানীয় মানুষজন সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে জড়ো হতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় বেশকিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, বাংলাদেশ অংশে লোকজনের ভিড় তুলনামূলক বেশি, আর ভারত অংশে কিছু মানুষ লাঠি, রামদা ও কাস্তের মতো অস্ত্র হাতে ‘বান্দে মাতরম’ স্লোগান দিচ্ছে। তবে এসব ভিডিওর সত্যতা এখনো যাচাই করা যায়নি।

আসলে কী ঘটেছিল?
সম্প্রতি চৌকা সীমান্তের ওপারে ভারতের মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর থানার সুকদেবপুর এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যায়। ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, সীমান্তের প্রায় ১২০০ গজ অংশে আগে কোনও কাঁটাতারের বেড়া ছিল না। নতুন বেড়া নির্মাণের প্রস্তুতি হিসেবে ভারতের ভেতরে ১০০ গজ দূরত্বে মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল। বিজিবি থেকে এ নিয়ে আপত্তি জানানো হলে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রাখা হয়।

নিয়ম অনুযায়ী সীমান্ত লাইন থেকে দেড়শ গজের মধ্যে কিছু করা হলে সেটা অপর পাশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সঠিক নিয়ম মেনে অবহিত করতে হয় যেটা এক্ষেত্রে ভারতের বিএসএফ বাংলাদেশের বিজিবিকে জানায়নি বলে জানান লেফটেনেন্ট কর্নেল কিবরিয়া।

এ ঘটনায় দুই দফায় দুই দেশের বাহিনীর পতাকা-বৈঠক হলেও ফের নির্মাণকাজ শুরু করে বিএসএফ।

এ নিয়ে স্থানীয় দুজন সাংবাদিক জানান, মূলত গত মঙ্গল ও বুধবারে ব্যাপকহারে মানুষের জমায়েত বেড়ে যায় এবং একরকম উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ভারতের দিকেও বিএসএফের সাথে সেখানকার স্থানীয় লোকজনও ছিল।

ভারতের অংশে তোলা কিছু ছবি ও ভিডিও পাঠান বাংলাদেশি অংশের স্থানীয় সাংবাদিক মো. কাওসার আহমেদ। সেখানে অনেকের হাতে রামদা দেখা গেলেও একরকম হাস্যরসাত্মক পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। যেমন- একজন রামদা শানাচ্ছেন বাংলাদেশ থেকে কেউ এলে কাটার জন্য শান দিচ্ছেন বলে হাসতে হাসতে জানান। আরেকজন কাঁধে বস্তা নিয়ে মশকরাচ্ছলে ভিডিওতে বলছেন, ‘বোম, বোম, বোম, ফুটিয়ে দেব বাংলাদেশকে।’

বাংলাদেশ অংশের মানুষের মধ্যে অবশ্য উৎসাহ উদ্দীপনার পাশাপাশি উৎকণ্ঠাও ছিল বলে জানান কাওসার আহমেদ।

তিনি বলেন, অপর পাশ থেকে ‘বন্দে মাতারাম’ ‘জয় শ্রীরাম’ এমন স্লোগান দেওয়া হচ্ছিলো, তখন এপারের মানুষ ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ বলে জবাব দেয়।

এখানে বাংলাদেশ অংশে সীমান্ত ঘেঁষে যেসব কৃষকদের জমি রয়েছে তাদের মধ্যে শঙ্কার জায়গাটা বেশি।

‘ওরা যদি মেরে লাশটা তারের বেড়ায় ঝুলিয়ে দিয়ে যদি বলে তার কাটছিল, আমাদের কিচ্ছু বলার নাই,’ একজন এলাকাবাসীকে উদ্ধৃত করে বলেন এ সাংবাদিক।

সবশেষ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাতের পর বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে এবং এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

গতকাল বৃহস্পতিবার আর নির্মাণকাজ চালানো হয়নি বলে জানান ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।

বিজিবির বেশ কয়েকজন জানান, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শূন্য রেখা বরাবর দুই দেশের অন্তত দেড়শ গজের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হলে দুই দিকের সম্মতির প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ-ভারতের ১৯৭৫ সালের নীতিমালা অনুযায়ী সীমান্ত লাইন নির্ধারিত হওয়ার পর লাইনের উভয় পাশে ১৫০ গজের মধ্যে কোনও পক্ষই স্থায়ী বা অস্থায়ী সীমান্ত রক্ষী বা সশস্ত্র কর্মী রাখবে না এবং উভয় পাশে ১৫০ গজের মধ্যে (মোট ৩০০ গজ এলাকায়) কোনও প্রতিরক্ষামূলক কাঠামো, যেমন পরিখা বা অন্যকিছু থাকলে সেগুলো ধ্বংস বা ভরাট করতে হবে।

বিএসএফ-বিজিবি যা বলছে:
বিএসএফের একজন কর্মকর্তা জানান, বেড়া নির্মাণের কাজটি আগে থেকে অনুমোদন সাপেক্ষেই করা হয়েছে।

মঙ্গলবারে বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এবং মুখপাত্র এন কে পান্ডে জানান, তেমন কোনো সমস্যার কিছু না, আমাদের বেড়া নির্মাণের কাজ চলছে, যেটায় অপর পাশ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছিল যার জবাব দেওয়া হয়েছে, কাজের অগ্রগতি চলছে।

যদিও বৃহস্পতিবারে আর নির্মাণকাজ আর চালু করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে বিজিবির দিক থেকে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, বারবার কাজ থামিয়েও আবার কেন চালু করা হলো, অথবা বিএসএফ যে অনুমোদনের কথা বলছে তা থাকলে সমস্যা হলো কেন?

এ বিষয়ে বিজিবি রাজশাহী ব্যাটালিয়নের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. ইমরান ইবনে আব্দুর রউফ জানান, এখানে অনুমোদন নিয়ে থাকলেও এক্ষেত্রে যে প্রটোকল বা নিয়মনীতি পালনের কথা সেগুলো মানা হয়নি। যারা মাঠে কাজ করেন তাদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না এবং সাধারণত এমন সিদ্ধান্তগুলো ওপর পর্যায় থেকে আসতে হয়।

‘প্রথম দফায় মনে করেন কোম্পানি লেভেলে হয়েছে, আমি জানি এটা সমাধান হবে না। তারপর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেভেলে হলো, ওখানেও সমাধান হলো না। তারপর সন্ধ্যায় আমার সাথে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে হলো। ওখানেও শেষ কথা এমন ছিল যে আমরা দুই পক্ষই অর্ডারবাউন্ড, আমাদের ওপর থেকে যে আদেশটা আসবে আমরা সেটাই করব। এই মুহূর্তে আমরা উত্তেজনা প্রশমনের জন্য যেটুকু দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে, সেটা আমরা দেব।’

সাধারণত কাজগুলো এভাবেই হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পতাকা বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘তারা বলছিল ২০১৬ সালে এরকম মিটিং হয়েছিল, অনুমোদন পেয়েছে, আমরা বলেছি ২০২১ সালের আমাদের একটা চিঠি আছে যেখানে আমরা বলেছি অনুমোদন হয়নি, জয়েন্ট সার্ভে করার জন্য, যেটা হয় এটা। এটার কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি, এখন ২৫ এ এসে বানানো শুরু করে দেওয়া এটা কেমন কথা?’

নওগাঁর সীমান্তেও অনেকটা একই ধরনের বিষয় হয়েছে যেখানে বিএসএফের দিক থেকে পুরোনো অনুমোদনের কথা বলা হচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশের দিকে বিষয়টি মীমাংসিত না বলে উল্লেখ করেন আব্দুর রউফ।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে তারেক রহমানকে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:০০ অপরাহ্ণ
ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে তারেক রহমানকে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির ৩ নেতাকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিএনপির প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা গছে, ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে তারেক রহমান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব আমন্ত্রণ পত্র পেয়েছেন।

আগামী ৫-৬ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএস কংগ্রেসনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বে আয়োজিত ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট হলো যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান। সাধারণত ফেব্রুয়ারির প্রথম বৃহস্পতিবার এটি অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আব্রাহাম ভেরিডে। অনুষ্ঠানটি আসলে সভা, মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজের একটি সিরিজ।

ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে বার্ষিক প্রায় সাড়ে ৩ হাজার অতিথি অংশগ্রহণ করেন। যাদের মধ্যে ১০০টির বেশি দেশ থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরাও থাকেন। এই বার্ষিক ইভেন্টে প্রার্থনা, রাজনীতি এবং ব্যবসাসহ সম সাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে। তাই এতে যোগদান মার্কিন প্রেসিডেন্টদের জন্য একটি প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে।

রাজধানীতে বৃহত্তর কাশিনাথপুর সোসাইটি’র পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৪৭ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে বৃহত্তর কাশিনাথপুর সোসাইটি’র পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ

শুক্রবার(১০ জানুয়ারি)সামাজিকদ্বায়বদ্ধতা থেকে সেবামূলক কার্যক্রমে ধারাবাহিকতায় ঢাকাস্থ বৃহত্তর কাশিনাথপুর সোসাইটি এর পক্ষ থেকে বৃহত্তর কাশিনাথপুর এলাকার ৮টি এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং মাদ্রাসায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

পাবনা জেলার আমিনপুর থানার নান্দিয়ারা দারুল উলুম কাওমিয়া হাফিজিয়া বাতেনিয়া মাদ্রাসা, নগরবাড়ি শ্রীনিবাশদিয়া ইউসুফিয়া নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা,সৈয়দপুর মালেক মিয়া এতিমখানা,নয়াবাড়ি জামিয়া মাদানিয়া আকমালুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসা, আহাম্মদপুর উত্তরপাড়া মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা।

সাথিয়া থানার সমাসনারী জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম হাফিজিয়া কাওমিয়া মাদ্রাসা লিল্লাহ বোর্ডিং ও এতিমখানা,পাইকরহাটি এতিমখানা ও মাদ্রাসা, কাশিনাথপুর কারিমিয়া বহুমুখী মাদ্রাসার কয়েকশত এতিম ও শিক্ষার্থীর মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়।

উক্ত প্রোগ্রাম এ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ঢাকাস্থ বৃহত্তর কাশিনাথপুর সোসাইটি এর পক্ষে উপস্থিত থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন কবি ও গীতিকার জনাব হুমায়ন কবির,মোঃ আসাদুজ্জামান সুজন,মোঃজাহাঙ্গীর হোসেন,মোঃতোফায়েল আহমেদ সিন্টু,মোঃ মাসুদুর রহমান রিপন,মোঃ সোহেল আহমেদ জিন্নাহ,এএনএম শফিকুল করিম তনু, মোঃ সাব্বির আহমেদ সবুজ,সজীব মৃধা,শাকিল হোসেন তনু,মোঃ আব্দুল্লাহ, মোঃ সাকিব হোসেন সাকিল,মোঃসাদ মাহমুদ।প্রোগ্রামটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন মোঃশাহীদুল ইসলাম।

উল্লেখ্যঃ-ঢাকায় অবস্থানকারী পাবনা জেলার বৃহত্তর কাশিনাথপুর (আংশিক সাথিয়া,বেড়া আমিনপুর ও সুজানগর উপজেলা) অধিবাসীদের পারস্পরিক যোগাযোগ, সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় তথ্য আদান প্রদান,এলাকার সকলের সাথে মেলবন্ধন তৈরি এনং বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সেবামূলক সহযোগিতা মূলক কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে ঢাকাস্থ বৃহত্তর কাশিনাথপুর সোসাইটি নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গঠন করে।

তারই ধারাবাহিকতা বেশ কয়েকবার প্রোগ্রাম করে ঢাকায় ইফতার মাহফিল,দেশের গতবছরের বন্যায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কাছে ঢাকাস্থ বৃহত্তর কাশিনাথপুর সোসাইটি এর পক্ষ থেকে খাবার প্রদান,বৃহত্তর কাশিনাথপুর এলাকায় ঈদে দূস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ উল্লেখযোগ্য।

রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞতন নারীর মৃত্যু

মো: আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞতন নারীর মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলগেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাতনামা(৫০)নারীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার(১১জানুয়ারি)সকাল ৭টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল পৌনে ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃশহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা সকালে দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক নারীকে দেখতে পাই।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো বলেন, আশপাশের লোকজনে মুখে জানতে পারি ওই নারী অসতর্কভাবে মগবাজার রেলগেট রাস্তা পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় এই ঘটনাটি ঘটে। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।আমরা এখনও তাঁর নাম-পরিচয় জানতে পারিনি। তবে প্রযুক্তির সহায়তায় তাঁর নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মর্গে রাখা হয়েছে।এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।