খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ, ১৪৩২

সীমান্তে ‘জয় শ্রী-রাম’, ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান; কী হয়েছিল?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৫৬ অপরাহ্ণ
সীমান্তে ‘জয় শ্রী-রাম’, ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান; কী হয়েছিল?

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় অংশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিজিবি, বিএসএফ এবং দুই দেশের স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতের উভয় দিকেই স্থানীয় মানুষজন সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে জড়ো হতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় বেশকিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, বাংলাদেশ অংশে লোকজনের ভিড় তুলনামূলক বেশি, আর ভারত অংশে কিছু মানুষ লাঠি, রামদা ও কাস্তের মতো অস্ত্র হাতে ‘বান্দে মাতরম’ স্লোগান দিচ্ছে। তবে এসব ভিডিওর সত্যতা এখনো যাচাই করা যায়নি।

আসলে কী ঘটেছিল?
সম্প্রতি চৌকা সীমান্তের ওপারে ভারতের মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর থানার সুকদেবপুর এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যায়। ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, সীমান্তের প্রায় ১২০০ গজ অংশে আগে কোনও কাঁটাতারের বেড়া ছিল না। নতুন বেড়া নির্মাণের প্রস্তুতি হিসেবে ভারতের ভেতরে ১০০ গজ দূরত্বে মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল। বিজিবি থেকে এ নিয়ে আপত্তি জানানো হলে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রাখা হয়।

নিয়ম অনুযায়ী সীমান্ত লাইন থেকে দেড়শ গজের মধ্যে কিছু করা হলে সেটা অপর পাশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সঠিক নিয়ম মেনে অবহিত করতে হয় যেটা এক্ষেত্রে ভারতের বিএসএফ বাংলাদেশের বিজিবিকে জানায়নি বলে জানান লেফটেনেন্ট কর্নেল কিবরিয়া।

এ ঘটনায় দুই দফায় দুই দেশের বাহিনীর পতাকা-বৈঠক হলেও ফের নির্মাণকাজ শুরু করে বিএসএফ।

এ নিয়ে স্থানীয় দুজন সাংবাদিক জানান, মূলত গত মঙ্গল ও বুধবারে ব্যাপকহারে মানুষের জমায়েত বেড়ে যায় এবং একরকম উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ভারতের দিকেও বিএসএফের সাথে সেখানকার স্থানীয় লোকজনও ছিল।

ভারতের অংশে তোলা কিছু ছবি ও ভিডিও পাঠান বাংলাদেশি অংশের স্থানীয় সাংবাদিক মো. কাওসার আহমেদ। সেখানে অনেকের হাতে রামদা দেখা গেলেও একরকম হাস্যরসাত্মক পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। যেমন- একজন রামদা শানাচ্ছেন বাংলাদেশ থেকে কেউ এলে কাটার জন্য শান দিচ্ছেন বলে হাসতে হাসতে জানান। আরেকজন কাঁধে বস্তা নিয়ে মশকরাচ্ছলে ভিডিওতে বলছেন, ‘বোম, বোম, বোম, ফুটিয়ে দেব বাংলাদেশকে।’

বাংলাদেশ অংশের মানুষের মধ্যে অবশ্য উৎসাহ উদ্দীপনার পাশাপাশি উৎকণ্ঠাও ছিল বলে জানান কাওসার আহমেদ।

তিনি বলেন, অপর পাশ থেকে ‘বন্দে মাতারাম’ ‘জয় শ্রীরাম’ এমন স্লোগান দেওয়া হচ্ছিলো, তখন এপারের মানুষ ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ বলে জবাব দেয়।

এখানে বাংলাদেশ অংশে সীমান্ত ঘেঁষে যেসব কৃষকদের জমি রয়েছে তাদের মধ্যে শঙ্কার জায়গাটা বেশি।

‘ওরা যদি মেরে লাশটা তারের বেড়ায় ঝুলিয়ে দিয়ে যদি বলে তার কাটছিল, আমাদের কিচ্ছু বলার নাই,’ একজন এলাকাবাসীকে উদ্ধৃত করে বলেন এ সাংবাদিক।

সবশেষ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাতের পর বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে এবং এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

গতকাল বৃহস্পতিবার আর নির্মাণকাজ চালানো হয়নি বলে জানান ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।

বিজিবির বেশ কয়েকজন জানান, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শূন্য রেখা বরাবর দুই দেশের অন্তত দেড়শ গজের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হলে দুই দিকের সম্মতির প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ-ভারতের ১৯৭৫ সালের নীতিমালা অনুযায়ী সীমান্ত লাইন নির্ধারিত হওয়ার পর লাইনের উভয় পাশে ১৫০ গজের মধ্যে কোনও পক্ষই স্থায়ী বা অস্থায়ী সীমান্ত রক্ষী বা সশস্ত্র কর্মী রাখবে না এবং উভয় পাশে ১৫০ গজের মধ্যে (মোট ৩০০ গজ এলাকায়) কোনও প্রতিরক্ষামূলক কাঠামো, যেমন পরিখা বা অন্যকিছু থাকলে সেগুলো ধ্বংস বা ভরাট করতে হবে।

বিএসএফ-বিজিবি যা বলছে:
বিএসএফের একজন কর্মকর্তা জানান, বেড়া নির্মাণের কাজটি আগে থেকে অনুমোদন সাপেক্ষেই করা হয়েছে।

মঙ্গলবারে বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এবং মুখপাত্র এন কে পান্ডে জানান, তেমন কোনো সমস্যার কিছু না, আমাদের বেড়া নির্মাণের কাজ চলছে, যেটায় অপর পাশ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছিল যার জবাব দেওয়া হয়েছে, কাজের অগ্রগতি চলছে।

যদিও বৃহস্পতিবারে আর নির্মাণকাজ আর চালু করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে বিজিবির দিক থেকে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, বারবার কাজ থামিয়েও আবার কেন চালু করা হলো, অথবা বিএসএফ যে অনুমোদনের কথা বলছে তা থাকলে সমস্যা হলো কেন?

এ বিষয়ে বিজিবি রাজশাহী ব্যাটালিয়নের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. ইমরান ইবনে আব্দুর রউফ জানান, এখানে অনুমোদন নিয়ে থাকলেও এক্ষেত্রে যে প্রটোকল বা নিয়মনীতি পালনের কথা সেগুলো মানা হয়নি। যারা মাঠে কাজ করেন তাদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না এবং সাধারণত এমন সিদ্ধান্তগুলো ওপর পর্যায় থেকে আসতে হয়।

‘প্রথম দফায় মনে করেন কোম্পানি লেভেলে হয়েছে, আমি জানি এটা সমাধান হবে না। তারপর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেভেলে হলো, ওখানেও সমাধান হলো না। তারপর সন্ধ্যায় আমার সাথে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে হলো। ওখানেও শেষ কথা এমন ছিল যে আমরা দুই পক্ষই অর্ডারবাউন্ড, আমাদের ওপর থেকে যে আদেশটা আসবে আমরা সেটাই করব। এই মুহূর্তে আমরা উত্তেজনা প্রশমনের জন্য যেটুকু দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে, সেটা আমরা দেব।’

সাধারণত কাজগুলো এভাবেই হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পতাকা বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘তারা বলছিল ২০১৬ সালে এরকম মিটিং হয়েছিল, অনুমোদন পেয়েছে, আমরা বলেছি ২০২১ সালের আমাদের একটা চিঠি আছে যেখানে আমরা বলেছি অনুমোদন হয়নি, জয়েন্ট সার্ভে করার জন্য, যেটা হয় এটা। এটার কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি, এখন ২৫ এ এসে বানানো শুরু করে দেওয়া এটা কেমন কথা?’

নওগাঁর সীমান্তেও অনেকটা একই ধরনের বিষয় হয়েছে যেখানে বিএসএফের দিক থেকে পুরোনো অনুমোদনের কথা বলা হচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশের দিকে বিষয়টি মীমাংসিত না বলে উল্লেখ করেন আব্দুর রউফ।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

১ দিন বন্ধ থাকবে সিটি ব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ণ
১ দিন বন্ধ থাকবে সিটি ব্যাংক

ডাটা সেন্টার স্থানান্তর করার জন্য সিটি ব্যাংক পিএলসির সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে ৪৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হবে। এ বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সিটি ব্যাংক পিএলসির বিদ্যমান ডাটা সেন্টার স্থানান্তর করা হবে। এতে আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার আবেদন করেছে ব্যাংকটি।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে সিটি ব্যাংক পিএলসি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সম্মতি দেয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বেলকুচিতে মহান মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বেলকুচি প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে মহান মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বেলকুচি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১মে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উক্ত  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) প্রতীক মন্ডল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ  আবু হেলাল, প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি রেজাউল করিম, বণিক সমিতির সেক্রেটারি হাজী মোহাম্মদ আলী ভূইয়া, একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ নাজির উদ্দিন এবং বিভিন্ন স্তরের শ্রমিক প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৭:২২ অপরাহ্ণ
‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ‘২২৬টি মামলা হয়েছে, ২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ মর্মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যসংবলিত অডিওর ফরেনসিক রিপোর্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। রিপোর্টে বক্তব্যটি শেখ হাসিনার বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষয়টি আদালত অবমাননা বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনাসহ ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আহমেদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। তাদের আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জবাব দিতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ফরেনসিক রিপোর্ট দাখিলের পর প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল ওই নোটিশ জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে আমাদের কাছে একটা আবেদন পাঠানো হয়। তারা তদন্তকালে সোশ্যাল মিডিয়া ও সাধারণ গণমাধ্যমে তথ্য পান যে, এই ট্রাইব্যুনালের একজন আসামি- অভিযুক্ত শেখ হাসিনা এবং আরও একজন গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদের মধ্যে টেলিফোনে একটা কনভারসেশন হয়, যা সামাজিকমাধ্যমে প্রথমে ভাইরাল হয় এবং পরে প্রিন্ট মিডিয়ায় অনেক নিউজ হয়। সেই কনভারসেশনে দেখা গেছে, আসামি শেখ হাসিনা শাকিল আহমেদকে বলছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সারা দেশে যে ২২৬টা মামলা হয়েছে, যারা এই মামলাগুলো করেছে, তাদের মারার আমি লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’ এদের বাড়িঘর ভাঙচুর করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। তাদের কারও বাড়িঘর যেন অক্ষত না থাকে। একই সঙ্গে তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের হুমকি দেন যে, তারা যেন মনে রাখে, ভবিষ্যতেও চাকরি করতে হবে।”

এই কথোপকথনের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থার কাছে সুস্পষ্ট হয়েছে যে, আসামি শেখ হাসিনা ও শাকিল আহমেদ তাদের কথোপকথনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন এবং সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেছেন, ‘এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে ভয় পাবেন। তদন্ত ও বিচার-প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। এই কনভারসেশন সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ফরেনসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেখ হাসিনা ও শাকিল আহমেদরই কনভারসেশন এটি। বানানো কোনো কিছু নয়। এ জন্য আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম শেখ হাসিনা ও শাকিলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল ওই দুজনের বিরুদ্ধে নোটিশ ইস্যু করেছেন। আগামী ১৫ মে অথবা তার আগে ট্রাইব্যুনালে সশরীরে হাজির হয়ে কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের কথোপকথনের বিষয়ে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।’

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গণমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত শেখ হাসিনার বক্তব্য সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের ওই আদেশের কয়েক দিন আগে শেখ হাসিনার কিছু কিছু বক্তব্য ও ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছে। সেখানে একটি কনভারসেশনে শেখ হাসিনা বলেছেন ২২৬টি মামলা হয়েছে। অতএব তিনি ২২৬ জনকে হত্যার সার্টিফিকেট পেয়ে গেছেন, লাইসেন্স পেয়ে গেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘তোমাদের বাড়িঘর পোড়াচ্ছে, তাদের বাড়িঘর নেই।’

আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যান।