খুঁজুন
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১০ বৈশাখ, ১৪৩২

ঝিনাইদহ পৌরসভায় আট কর্মচারীকে একযোগে বদলী

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:১৭ অপরাহ্ণ
ঝিনাইদহ পৌরসভায় আট কর্মচারীকে একযোগে বদলী

ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ আট কর্মকর্তা কর্মচারীকে একযোগে বদলী করা হয়েছে। এক সঙ্গে এতো কর্মকর্তা কর্মচারীকে গণবদলী করার ঘটনায় নাগরিকদের মাঝে নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।

অনেকে বলছেন পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছরের ইতিহাসে এটা একটা নজীবরিহীন ঘটনা। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের পৌর-১ শাখার আদেশ সুত্রে রোববার এই বদলীর খবর জানা গেছে।

সুত্রমতে ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাক আহমেদকে পাবনার চাটমোহর, নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীনকে সাঁথিয়া, সহকারী প্রকৌশলী মুন্সি মোঃ আবু জাফরকে গোপালগঞ্জ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চানকে পাবনার আটঘরিয়া, নক্সাকার সবুজ মিয়াকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা, সার্ভেয়ার আসাদুজ্জামানকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, কার্যসহকারী হাবিবুর রহমান হাবিবকে মহেশপুর ও সহকারী কর নির্ধারক আব্দুর রহমানকে শৈলকুপা পৌরসভায় বদলী করা হয়েছে।

২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবারের মধ্যে বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদান করা না হলে ২৯ জানুয়ারি তাদের সবাইকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হবে বলে মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বদলীকৃত অনেকের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, ফান্ড তছরুপ, কাজে অবহেলা, রাজনীতিকরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তাদের বদলী করা হয়। এরমধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চান ও কার্য সহকারী হাবিব দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে থাকায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তাদের বিরুদ্ধে পৌর নাগরিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল।

এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ৫ আগষ্টের পর একাধিকবার ঝিনাইদহ পৌরসভায় গিয়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আল্টেমেটাম দেয়।

সুত্রমতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে বিষয়টি মন্ত্রনালয়কে অবহিত করলে একযোগে ৮ কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে বদলীর আদেশ দেয়। বদলীর বিষয়টি স্বীকার করে ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায় জানান, রোববারই আদেশটি তিনি হাতে পেয়েছেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের পৌর-১ শাখা থেকে তাদের বদলী করা হয়েছে। তবে বদলী হওয়া কর্মকর্তা কর্মচারিরা এ নিয়ে কেউ মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

বেলকুচিতে ছাত্রদলের উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ২:১২ পূর্বাহ্ণ
বেলকুচিতে ছাত্রদলের উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ছাত্রদলের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে বেলকুচি উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে প্রচন্ড গরমের কারণে বেলকুচির আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় ও সোহাগপুর শ্যামকিশোর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তারেক আরফান, জেলা ছাত্রদলের
সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান, বেলকুচি উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক এস,এম রানা, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহরিয়ার আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক শাহীন রেজা, বেলকুচি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক রোমান রিয়াদ, পৌর ছাত্রনেতা মাসুদ,,নাজমুল, শাহেদ,নাইম,বরকত উল্লাহ সহ বেলকুচি উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

সিংড়ায় ২৭৬০ জন কৃষক পেল বিনামূল্যে সার ও বীজ

মোঃ কুরবান আলী, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ২:১১ পূর্বাহ্ণ
সিংড়ায় ২৭৬০ জন কৃষক পেল বিনামূল্যে সার ও বীজ

নাটোরের সিংড়ায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে খরিপ-১/ ২০২৫-২৬ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২ হাজার ৭৬০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে পাট, উফশী আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১টায় উপজেলা কৃষি হলরুমে বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার ফরিদ, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২৬০ জন পাটচাষীকে ১ কেজি করে বীজ ও ১০ কেজি করে সার এবং ২৫০০ জন ধানচাষীকে ৫ কেজি করে আউশ ধানের বীজ ও ২০ কেজি করে সার দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, জানতে চায় হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, জানতে চায় হাইকোর্ট

বিগত ৩৩ বছরে দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মাফ করেছেন, তার তালিকা প্রকাশের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার যৌথ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।

এর আগে, ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ৩৩ বছরে দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, তা জানতে চেয়ে গত ২৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিবের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান তিনি।

ওই নোটিশে বলা হয়, ১৯৯১ সাল থেকে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে কতজন দণ্ড পাওয়া আসামির কারাদণ্ড স্থগিত বা মওকুফ করেছেন, সেই তালিকা ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হলো।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, কাদের সুপারিশ বা তদবিরে দাগী, ঘৃণিত, কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করেছেন, তা জানার অধিকার আছে। কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রপতি বহু অপরাধী, হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের ক্ষমা করেছেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া অপরাধীরা জেল থেকে বেরিয়ে আবার মাফিয়া ডন হিসেবে সমাজে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাষ্ট্রপতি কোন প্রক্রিয়ায় সাজাপ্রাপ্তদের দণ্ড মওকুফ করেন, দণ্ড মওকুফের মানদণ্ড কী, সেটা মানুষের জানা দরকার।

কিন্তু, নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।