খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৬ মাঘ, ১৪৩১

সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমন করলো দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ণ
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমন করলো দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন

২ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে “সবাই দেখবে কক্সবাজার” শীর্ষক ২ রাত ৩ দিনের জন্য এক ব্যতিক্রমী কক্সবাজার ভ্রমন আয়োজন করেছে সামাজিক সংগঠন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন।

গত ২৫ শে জানুয়ারি শনিবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুর থেকে বাসযোগে ২ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিম শিশুদের কক্সবাজার ভ্রমনের উদ্দেশ্যে আনা হয়। তাদের আসা-যাওয়া, থাকা-খাওয়ার সব খরচ বহন করেছে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন। এসময় কক্সবাজারে শিশুরা আনন্দে উচ্ছ্বাসে আল্পুত হয়ে যায়।

ভ্রমনের ২য় দিনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সোহাগ আরেফিন ও আবু আদিলের উপস্থাপনায় দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ এর সভাপতিত্বে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানটি উদ্ধোধন করেন অগ্রগামী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম ফারুক মজনু।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন আজ যা করে দেখিয়েছে তা মানবিক কাজে অবিশ্বাস্য একটি বিষয়। তারা আজ চমৎকার একটি আয়োজন করেছে। আমি বিভিন্ন সময় নানা সামাজিক কাজে নিজেকে যুক্ত রাখি। এই আয়োজন ব্যতিক্রমী হওয়ায় অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর সাথে যেকোন কাজে ভবিষ্যতে আমি আছি। মানবিক কাজে নিদারুণ দৃষ্টান্ত তারা স্থাপন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

আয়োজকদের পক্ষে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, এই প্রজেক্ট এর মাধ্যমে আমি সমাজকে একটি বার্তা দিতে চেয়েছি। আমরা তো কেবল একটি পথ দেখিয়ে গেলাম। কক্সবাজারে কেউ যদি পারিবারিকভাবে ঘুরতে আসেন, তাহলে বাসার বুয়া, দারোয়ান ও ড্রাইভারদের নিয়ে আসবেন। গ্রুপভিত্তিক আসলে সাধ্য অনুযায়ী ৫/১০ জন সুবিধাবঞ্চিত বা এতিম শিশু নিয়ে আসবেন। এই কাজটুকু করলে আত্মিক একটি শান্তি আপনারা অনুভব করবেন।

উদ্ভোধনী বক্তব্যে মোঃ গোলাম ফারুক মজনু বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে এর আগে এরকম অনুষ্ঠান আগে আর কোন আয়োজন হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আজ দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর এমন মহতী উদ্যোগে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমাদের সবারই উচিৎ এমন কাজে সংশ্লিষ্ট হওয়া। এই শিশুরাই তো আগামীর ভবিষ্যৎ। সমুদ্রের বিশালতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ বিনির্মানে অগ্রাণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করি।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন, কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসীম উদ্দিন চৌধুরী পিপিএম, বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ মাসুদ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বেসরকারি কারাপরিদর্শক আঁখি সুলতানা, কক্সবাজার জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজসেবক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ঈশাসহ দেশ বরেণ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, আঘাত হানতে পারে শীঘ্রই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, আঘাত হানতে পারে শীঘ্রই

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল এক বিপদ। সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে একটি গ্রহাণু, যার নাম ২০২৪ ওয়াইআর৪। ব্যাস প্রায় ৬০ মিটার (১৯৬ ফুট)। এই গ্রহাণু আগামী ২০৩২ সাল নাগাদ পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসবে বলে শঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

বিষয়টি জানিয়েছে নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (সিএনইওএস)। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে, সম্ভাব্য দূরত্ব ধরা হচ্ছে মাত্র ১,০৬,২০০ কিমি। তবে এর কক্ষপথের হিসাব-নিকাশে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকায় এটি সরাসরি পৃথিবীতে আঘাত হানার শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা ১/৮৩। যা ২০০৪ সালের পর থেকে আবিষ্কৃত গ্রহাণুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এমনকি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) এবং নাসার সেনট্রি রিস্ক টেবিলে এটি ঝুঁকিপূর্ণ গ্রহাণুর তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে।

নাসার অ্যাটলাস প্রোজেক্টের টেলিস্কোপ প্রথম এটি শনাক্ত করে। পরে ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভের পর্যবেক্ষণে নিশ্চিত করা হয়।

পৃথিবীবাসীর কি ভয় পাওয়া উচিত ?
এই গ্রহাণু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই— জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এটি সম্ভবত পৃথিবীকে অতিক্রম করে চলে যাবে। নাসার গবেষক ডেভিড র‍্যাঙ্কিন বলেছেন, ‘মানুষকে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সম্ভাব্য প্রভাব খুবই কম, এবং সর্বোচ্চ সম্ভাবনা হলো এটি আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যাবে।’

পৃথিবীতে আঘাত হানলে কী ঘটতে পারে?
বিজ্ঞানীদের মতে, এটি হয় বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে একটি বিশাল ‘এয়ারবার্স্ট’ সৃষ্টি করবে, যা ভয়ংকর বিস্ফোরণের মাধ্যমে বিশাল এলাকার ক্ষতি করতে পারে। না হলে এটি সরাসরি ভূমিতে আঘাত হানার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ায় সংঘটিত টুঙ্গুস্কা বিস্ফোরণের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। যেখানে প্রায় ৮০ মিলিয়ন গাছপালা ধ্বংস হয়েছিল এবং বিস্ফোরণের শক্তি ছিল প্রায় ৫০ মিলিয়ন টন টিএনটি’র সমান। আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, সেখানে একটি ১০ মিটার ব্যাসের গ্রহাণু আঘাত করেছিল বলে ধরা হয়। আর ২০২৪ ওয়াইআর৪ তার চেয়েও ৬ গুণ বড়।

এটি কোথায় আঘাত হানতে পারে?
বর্তমান কক্ষপথের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সম্ভাব্য ‘ইম্প্যাক্ট করিডর’ দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে সাব-সাহারান আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন, কেননা এই গ্রহাণুর কক্ষপথ সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। ২০২৮ সালে এটি আরও একবার পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে, তখন আরও নিখুঁত পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাওয়া যাবে।

আমরা কি তাহলে নিরাপদ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৪ ওয়াইআর৪ আমাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে, তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। গ্রহাণুর আকার ও গঠনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি যদি আয়রন-সমৃদ্ধ হয়ে থাকে, তাহলে সরাসরি ভূ-পৃষ্ঠে আঘাত হানতে পারে, কিন্তু যদি এটি পাথুরে হয়, তাহলে বায়ুমণ্ডলেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

এখন বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির গতিপথ আরও সুস্পষ্ট করার জন্য কাজ করছেন। ২০২৮ সালের পর্যবেক্ষণে এটি আসলেই পৃথিবীতে আঘাত হানবে কিনা, তা বোঝা যাবে আরও ভালোভাবে।

ক্যারিবীয় ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ
ক্যারিবীয় ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে আগ্রাসী ক্রিকেটের বার্তাটা দিয়ে রেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিগার সুলতানা জ্যোতিদের ১৪৪ রানের টার্গেট ১৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে গিয়েছিল ক্যারিবীয় মেয়েরা। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে এসে ক্যারিবীয় ব্যাটিং তাণ্ডবের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।

প্রথমে ব্যাট করে স্বাগতিকরা স্কোরবোর্ডে জমা করে ৬ উইকেটে ২০১ রান। যার জবাবে ৯ উইকেট খরচ করে ৯৫ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। ফলে ১০৬ রানের হারের সঙ্গে সিরিজটাও হেরেছে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসেবে যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের হার। এর আগে ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কিউইদের মাঠে সিরিজের ১৩২ রানে হেরেছিল টাইগ্রেসরা। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানে হারের রেকর্ড নারী দলের। এদিন অবশ্য আরও একটি রেকর্ড হয়েছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দল হিসেবে ২০০ রানের বেশি করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৮৯ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া।

সেন্ট কিটসে এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয় ক্যারিবীয় মেয়েরা। কুইয়ানা জোসেফ ৩৬ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে বড় রানের পথে রেখে যান। পরে ডিয়ান্ড্রা ডটিনও ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান। ২০ বলে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে খেলেন বিস্ফোরক ৪৯ রানের ইনিংস। যার সুবাদে ৬ উইকেটে ২০১ রানের বিশাল পুঁজি পায় ক্যাবিরীয়রা।

বিশাল এই রান তাড়া করে বাংলাদেশের জয় পাওয়া প্রায় অসম্ভবই ছিল। তবে দেখার ছিল কতটা লড়াই করতে পারে বাংলাদেশ। এদিন সেটিও পারেনি জ্যোতির দল। রান পাহাড়ে চাপা পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। দলীয় সর্বোচ্চ ২২ রান এসেছে শারমিন আক্তারের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ৯৫ রানে।

হেডম থাকলে দেশে আসেন, রাব্বানীকে হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:১০ পূর্বাহ্ণ
হেডম থাকলে দেশে আসেন, রাব্বানীকে হাসনাত

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাঁদাবাজি ও নানাবিধ দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে দেশে আসার আহ্বান জানিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীদের বিচার চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ওই পোস্টে নিষিদ্ধ সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী হাসনাতদের বিচার করার জরুরি বলে কমেন্ট করেন। রাব্বানীর করা কমেন্টের জবাবও দেন হাসনাত।

হাসনাত আবদুল্লাহ তার মূল পোস্টে লেখেন, রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতাকর্মীরও বিচার হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে অপমানের শামিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও লেখেন, অথচ, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়ত। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়ত অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়না ঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারা দেশে তখন নেমে আসত নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।

তিনি আরও লেখেন, ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সঙ্গে করত। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সব নেতাকর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের সব শহিদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।

অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লেখেন, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন।

হাসনাতের পোস্টের কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লিখেছেন, মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।

জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, গোলাম রাব্বানী দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।