খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

হত্যাচেষ্টা মামলায় আ’লীগের সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ কারাগারে

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,, সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:০০ অপরাহ্ণ
হত্যাচেষ্টা মামলায় আ’লীগের সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ কারাগারে

হত্যাচেষ্টা মামলায় সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল আজিজকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টার দিকে ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজকে সিরাজগঞ্জ তাড়াশ আমলি  আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাঁর আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।

এ সময় মামলার মূল নথিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে জামিনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মো. ওবায়দুল হক রুমি। 
আদালতের জিআরও শিউলী খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদারের গাড়িবহরে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ বাদী হয়ে ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজসহ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নামে মামলা করেন।

এই মামলায় গত সোমবার (৩ জানুয়ারি -২০২৫ খ্রিঃ) রাতে রাজধানীর কলাবাগান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা। 

মঙ্গলবার ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ’কে সিরাজগঞ্জ আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাঁকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ শিশু সার্জন হিসেবে ঢাকা শিশু হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হোন। ২০১৮ সালে তিনি শিশু হাসপাতালে পরিচালক পদে নিয়োগ পান এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতৃত্ব দেন। পাশাপাশি সে সময়ের সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অটিজম বোর্ডের একজন মেম্বার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) সংসদ সদস্য পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থী  হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর সময় বিএনপির প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মান্নান তালুকদারের গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে মদদদাতা হিসেবে  আওয়ামীলীগের প্রার্থী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজকে দায়ী করা হয়। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও তিনি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। 

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, ২০১৮ সালের বিএনপির প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদারের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায়, তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টা ও বিষ্ফোরক আইনে সাবেক এমপি অধ্যাপক ডা. মো.আজিজসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর থেকে সাবেক এমপি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ আত্মগোপনে চলে যান।

সিংড়ায় ফেনসিডিলসহ দুই ভাই গ্রেপ্তার

মোঃ কুরবান আলী, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৭:২৬ অপরাহ্ণ
সিংড়ায় ফেনসিডিলসহ দুই ভাই গ্রেপ্তার

নাটোরের সিংড়া উপজেলার শেরকোল এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিএনসি রাজশাহী বিভাগের একটি টিম রবিবার (১১ মে) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে ৩৬৫ বোতল ফেনসিডিলসহ দুজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মুক্তারুল ইসলাম ওরফে দিলদার (২৭) ও মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে বাবু (২৫)। তারা দুজনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার শ্যামপুর গোপাল নগর দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা এবং পরস্পর ভাই। অভিযানকালে তাদের বহনকৃত পাওয়ার টিলারের টুলবক্সে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, মাদকের এই চালানটি চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীর তানোর, বাগমারা ও নওগাঁর আত্রাই হয়ে সিংড়া পর্যন্ত পৌঁছায়। আটকদের বিরুদ্ধে নাটোরের সিংড়া থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওসির দায়িত্বে থাকা সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সিংড়ায় বিএনপির অফিস থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১

মোঃ কুরবান আলী, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৭:২৪ অপরাহ্ণ
সিংড়ায় বিএনপির অফিস থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১

নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির অফিস থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ কুদ্দুস আকন্দ (৫৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার রাতে সিংড়ার বামিহাল এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান সিংড়া থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম।

এসময় বিপুল পরিমাণে দেশীয় অস্ত্র, টেটা, বল্লম উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।

প্রেপ্তার আব্দুল কুদ্দুস আকন্দ সিংড়া উপজেলার বামিহাল গ্রামের প্রয়াত খোকা আকন্দের ছেলে।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিএনপির অফিস খুলে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছেন তিনি এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত উদ্যোগে বামিহালে বিএনপির পার্টি অফিস খুলে এলাকায় চাঁদাবাজি, ভূমি ও পুকুর দখল করে আসছিল কুদ্দুস আকন্দ। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে রোববার মাঝরাতে সেই পার্টি অফিসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদ বলেন, কুদ্দুস আকন্দ আগে থেকেই চিহ্নিত ও প্রমাণিত সন্ত্রাসী। সে দলের কেউ না, বিগত কয়েক বছর আওয়ামী লীগ করেছে, তার আগে বিএনপি করেছে। আবার ৫ তারিখ থেকে বিএনপি করতেছে। সে সবসময় সরকারি দলের ছত্রছায়ায় থাকতে চায়। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার দায়ে আমরা তার বিরুদ্ধে মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি বলে জানান দাউদার মাহমুদ।

সিংড়া থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, কুদ্দুস আকন্দের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রেমের সম্পর্কে মন কষাকষি হতেই পারে: উমামা ফাতেমা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৪:৪১ অপরাহ্ণ
প্রেমের সম্পর্কে মন কষাকষি হতেই পারে: উমামা ফাতেমা

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পর এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে।

রোববার (১১ মে) দিবাগত রাতে উমামা ফাতেমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেন, ‘মেরেছ কলসির কানা! তাই বলে কি প্রেম দিব না? প্রেমের সম্পর্কে টুকটাক মন কষাকষি হতেই পারে। তবে বেশি জনসম্মুখে না হওয়াই ভালো। মেনে নিন, টক্সিসিটিই প্রেমের সৌন্দর্য।’’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্রের এমন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে আলোচনা। কেউ এটিকে সম্পর্কের বাস্তব দিক তুলে ধরার সাহসী প্রচেষ্টা মনে করছেন। আবার অনেকে মনে করছেন, এটি হতে পারে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কারো বক্তব্য বা কাজের প্রতি একটি ইঙ্গিতপূর্ণ প্রতিক্রিয়া।

এর আগে দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে দিনভর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল।

রোববার (১১ মে) আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মওলানা ভাসানীর বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে ফেসবুকের এক পোস্টে লিখেন, ‘দিল্লীর গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়। ওয়াশিংটন কিংবা মস্কোর দাসত্ব করতেও নয়।’

তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটি বাংলাদেশের স্বাধীন ও সার্বভৌম অবস্থানের পক্ষে সাহসী বার্তা হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ বিষয়টিকে কূটনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচনা করছেন।

অন্যদিকে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ‘একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাওয়া’ সংক্রান্ত এক স্ট্যাটাস নিয়ে যখন পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা হচ্ছে, ঠিক তখনই তিনি আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। যেখানে শিবিরের ওপর নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। বলেছেন, পাকিস্তানপন্থিরা যেখানেই থাকবে, সেখানেই আঘাত করা হবে। এ ছাড়াও কয়েকটি আপত্তিকর শব্দও ব্যবহার করেন স্ট্যাটাসে। যদিও সমালোচনার মুখে তাৎক্ষণিক স্ট্যাটাসটি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে নেন তিনি।

শনিবার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর সব আন্দোলনকারী যখন ঘরে ফিরে যায় তখন মাহফুজ আলম তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘দুটি কথা’ শিরোনামে এক পোস্টে লিখেন, ‘৭১-এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। পাকিস্তান এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। (পাকিস্তান অফিসিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, তদুপরি আবারো ক্ষমা চাইতে রাজি হলেও, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীরা এখনো ক্ষমা চায়নি)। ইনিয়ে বিনিয়ে গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোট্যাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে। মুজিববাদী বামদের ক্ষমা নাই। লীগের গুম-খুন আর শাপলায়, মোদীবিরোধী আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞের মস্তিষ্ক এরা। এরা থার্টি সিক্সথ ডিভিশন। জুলাইয়ের সময়ে এরা নিকৃষ্ট দালালি করেও এখন বহাল তবিয়তে আছে। আজ পর্যন্ত মুজিববাদী বামেরা কালচারালি ও ইন্টেলেকচুয়ালি জুলাইয়ের সাথে গাদ্দারি করে যাচ্ছে। দেশে বসে জুলাইয়ের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে এরা চক্রান্ত করেই যাচ্ছে। লীগের এসকল বিটিম ও শীঘ্রই পরাজিত হবে। অন্য কারো কাঁধে ভর করে লাভ নেই।’

এ স্ট্যাটাসে একাত্তর ইস্যু টানায় অনেকে তার পক্ষে-বিপক্ষে সমালোচনা করেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মাদ্রাসা জীবনের বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়। পাঞ্জাবি পরিহিত ওসব ছবি মূলত শিবিরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বলেও প্রচার করে কেউ কেউ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন উপদেষ্টা মাহফুজ। পরে সন্ধ্যায় পাল্টা স্ট্যাটাস দেন তিনি। মুহূর্তেই স্ট্যাটাসটি সরিয়ে নেন তিনি। ততক্ষণে স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায়। সে স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমাকে নিয়ে নোংরামি করতেসো, ঝামেলা নাই। ফ্যামিলি টাইনো না, যুদ্ধাপরাধের সহযোগী রাজাকারেরা। এটা লাস্ট ওয়ার্নিং। আর, যে চুপা শিবিররা এ সরকারে পদ বাগাইসো আর বিভিন্ন সুশীল ব্যানার খুলে পাকিস্তানপন্থা জারি রাখছ, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষ রাজাকার আর দালালদের তুলনায় আরও অধিক ভুগবা। যারা বিতর্কের এবং গালাগালির লিমিট জানে না, তাদের আমি সহ-নাগরিক মনে করি না। পাকিস্তানপন্থিরা যেখানেই থাকবে, সেখানেই আঘাত করা হবে। আমৃত্যু! ঢাবিতে এ রাজাকারদের আগে ঠেকানো হবে, যারা এদের স্পেস দিসে তাদের জন্য গত পঞ্চাশ বছরের তুলনায় অধিক জিল্লতি অপেক্ষা করসে!’

মাহফুজের দুই স্ট্যাটাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষে- বিপক্ষে আলোচনা- সমালোচনা চলছে। প্রথম স্ট্যাটাসে অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী যখন মাহফুজের পক্ষে অবস্থান নেন ঠিক দ্বিতীয় স্ট্যাটাসের কারণে তার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ জামায়াত-শিবিরের যেমন সমালোচনা করছেন ঠিক তেমনই মাহফুজের আক্রমণাত্মক বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। এমন কি মাহফুজ কোনো গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেয়ার মাধ্যমে উপদেষ্টা পদে নেয়া তার শপথ ভঙ্গ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

এদিকে ঐক্যের সময়ে বিভেদ চানা না এবং সামনে বহু লড়াই বাকি আছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। রোববার রাতে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘দয়া করে আওয়ামী বাইনারিগুলো প্রচার করে বিভেদে জড়াবেন না। ঐক্যের সময়ে বিভেদ চাই না। ফ্যাসিস্টবিরোধী ঐক্য যেকোনো মূল্যে আমাদের আরো দৃঢ় করতে হবে। সামনে বহু লড়াই বাকি। এসি রুমে বসে যদি ফিল করতে না পারেন, তাহলে বের হয়ে শহরের বস্তিগুলোতে এসে ঘুরে যান, নদীভাঙনে ঘরবাড়িহারা মানুষগুলোকে দেখতে আসুন, ফুটপাতে শুয়ে থাকা সর্বস্বহীন মানুষগুলোর গল্প শুনুন। এই বিপ্লব কারো একার না, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সকল শ্রেণি-পেশার, যেখানে রাজনৈতিক কোনো বাইনারি ন্যূনতম ফারাক তৈরি করতে পারেনি।’