খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ৯ বৈশাখ, ১৪৩২

‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ উদযাপন প্রসঙ্গে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:১১ অপরাহ্ণ
‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ উদযাপন প্রসঙ্গে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে’ এই বাক্যের অর্থ কোনো অবস্থাতেই ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ নয়।

তিনি বলেন, আমার জানা মতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এই দিবসটাকে ‘ভালোবাসা দিবস’ এ রকম কোনো নামে সাধারণত নামকরণ করা হয়নি। দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা হলো আমাদের সমাজে এটা ‘ভালোবাসা দিবস’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি একটি টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

আহমাদুল্লাহ বলেন, সেন্ট ভ্যালেন্টাইন একজন ধর্মযাজক। তার সঙ্গে কী ঘটেছিল এবং কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে খ্রিস্টানরা পরবর্তীতে কী উদযাপন করেছে, কী ধারণ করে রেখেছে; সেই আলাপ আমরা গুগল করলে, অনলাইন ঘাটলে নিশ্চয়ই আমরা জানতে পারব।

এই দিবসের ইতিহাস নিয়ে তিনি বলেন, এরকম একটা বিষয়কে নিছক ভালাবাসার মতো একটি সেক্যুলার শব্দ, যে শব্দটি কোনো ধর্মের মানুষের নয়। সেরকম একটি শব্দের মোড়ক দিয়ে সবার কাছে গলদকরণ করানো- আমি মনে করি এটা এক ধরনের অসাধুতা, অন্তত এটা একটা ভুল তথ্য। যদি আপনি এটাকে ‘ভালোবাসা দিবস’ বলেন, তাহলে আমার প্রশ্ন হলো-১৪ ফেব্রুয়ারি বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে, এই তারিখটাতে কী বাবা-মা তার সন্তানকে ভালবাসা নিবেদন করে, অথবা সন্তান কী তার মা-বাবাকে ভালবাসা নিবেদন করেন?

‘এই তারিখটাতে কী ভাই-বোন বা স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরকে ভালবাসা নিবেদন করেন? এসব প্রশ্নের উত্তর হলো- এরকম ঘটনা খুবই কম ঘটে। এই দিবসে যেই তথাকথিত ভালবাসা নিবেদন হয় সেটা হলো- বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক হয় সেটি।

তাহলে আমরা বলতে পারি, অবৈধ বা অনৈতিক বা আমাদের বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে অসামাজিক সম্পর্ক এবং যেনা-ব্যভিচারের যে সম্পর্ক- এরকম একটি সম্পর্কের জন্য এই দিনটিকে স্থির করা হয়েছে।’

এই ইসলামিক স্কলার আরও বলেন, আমি বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই- ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে’ তে ভালবাসা বলতে যে বিনিময় হয় তার চেয়ে বেশি বিনিময় হয় বিবাহ বহির্ভূত যে সম্পর্ক সেটার বিনিময়। সর্বোপরি, এটা আসলে ভালবাসা দিবস হিসেবে উদযাপনকে আমরা সঠিক মনে করছি না।

দিবসটি নিয়ে ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, একজন মুসলিম হিসাবে আল্লাহ তায়ালার সামনে আমারে সবকিছুর হিসাব দিতে হবে। এরমধ্যে আমাদের চরিত্রের হেফাজতের বিষয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং যে বিষয়টা আমাদের শরিয়া বৈধ বলছে না- সেটা আমরা ব্যক্তিগত জীবনে করলাম কি করলাম না, তার চেয়ে গুরুতর অন্যায় হলো সেটাকে প্রচার-প্রসারে আমি শামিল হলাম। এটা অনেকটা ইমান নিয়ে টান দেওয়ার মতো একটা বিষয়।

তিনি বলছেন, এর কারণ হলো- যদি আপনি কোনো অন্যায় কাজে লিপ্ত হন তাহলে আপনি অমুসলিম হবেন না যদি সেটা কুফুরির পর্যায় না যায়। কিন্তু এই একই কাজ যদি আপনি মনে করেন এটা করলে কী সমস্যা? যদি আপনি এটাকে বৈধতা দেন, এটা কোনো দূষণীয় মনে করলেন না। এখানে আপনি নিজে লিপ্ত না হয়ে কিন্তু ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেলেন।

সবশেষে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সুতরাং এসব বিষয়ে অবশ্যই আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমাদের এমন অনেকে আছেন যারা বিভিন্ন জোয়ারে নিজের ইমানকে নষ্ট করে ফেলেন। বিশেষ করে আল্লাহ তায়ালা সেটাকে হারাম করেছেন সেটাকে হালাল করার মতো দুঃসাহসিকতা আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে বিদ্রোহ করার শামিল। এটি আমরা নিজের অজান্তেই অনেকে করে ফেলছি।

রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, জানতে চায় হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, জানতে চায় হাইকোর্ট

বিগত ৩৩ বছরে দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মাফ করেছেন, তার তালিকা প্রকাশের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার যৌথ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।

এর আগে, ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ৩৩ বছরে দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, তা জানতে চেয়ে গত ২৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিবের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান তিনি।

ওই নোটিশে বলা হয়, ১৯৯১ সাল থেকে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে কতজন দণ্ড পাওয়া আসামির কারাদণ্ড স্থগিত বা মওকুফ করেছেন, সেই তালিকা ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হলো।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, কাদের সুপারিশ বা তদবিরে দাগী, ঘৃণিত, কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করেছেন, তা জানার অধিকার আছে। কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রপতি বহু অপরাধী, হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের ক্ষমা করেছেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া অপরাধীরা জেল থেকে বেরিয়ে আবার মাফিয়া ডন হিসেবে সমাজে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাষ্ট্রপতি কোন প্রক্রিয়ায় সাজাপ্রাপ্তদের দণ্ড মওকুফ করেন, দণ্ড মওকুফের মানদণ্ড কী, সেটা মানুষের জানা দরকার।

কিন্তু, নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।

হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:০০ অপরাহ্ণ
হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আওতাধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। একটি চিঠির মাধ্যমে তাদের এনআইডি লক করা হয় বলে আজ সোমবার নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।

নথিপত্র অনুযায়ী, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীরের মৌখিক নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। তবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সরাসরি নির্দেশ ছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও যাদের এনআইডি লক করা হয়েছে তারা হলেন, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক এবং তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

ঢাকার ৩৩৮২ ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙা হবে: রাজউক চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
ঢাকার ৩৩৮২ ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙা হবে: রাজউক চেয়ারম্যান

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ঢাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবনের অবৈধ অংশ চিহ্নিত করে ভাঙা হবে, কাজগুলো শুরুও হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘সমস্যার নগরী ঢাকা : সমাধান কোন পথে?’ শীর্ষক এক নগর সংলাপে এ কথা জানান তিনি।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, অবৈধ ভবনগুলোর কাজ স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়ে পর্যায়ক্রমে ভবনগুলো আংশিক অংশ ভেঙে ফেলা হবে। প্রথম ধাপে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ফৌজদারি মামলা দায়ের করা, নকশা বাতিল এবং প্রয়োজনে ভবনগুলো সিলগালা করা হবে।

তিনি জানান, রাজউক এলাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবন চিহ্নিত করেছি, যেগুলো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। এই ভবনগুলোর যেটুকু অংশেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে, সেটুকু ভেঙে ফেলবো। আমি যতদিন দায়িত্বে আছি তার মধ্যে এই কাজ চালিয়েই যাব। এগুলো ভেঙে হোক কিংবা অন্যভাবে হোক, তাদের নিয়মের মধ্যে আনবো। আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।

নগর সরকার কিংবা এক ছাতার নিচে আনার মতো ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব উল্লেখ করে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকাকে এক আমব্রেলার নিচে না আনলে যত পরিকল্পনাই করা হোক না কেন কাজে আসবে না। সবকাজের সিদ্ধান্ত একটি জায়গা থেকে আসতে হবে। সেখানে নগর সরকার হোক কিংবা এক মেয়রের কাছে ক্ষমতা থাকুক, সেটায় সমস্যা নেই। নগরের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সেবাসহ সব সেবার বিষয়ে একটি জায়গা থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, এই মুহূর্তে যারা বাড়ি করে ফেলেছে সেগুলোর ব্যবস্থা পরে নেবো। সব কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। তবে আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিংয়ে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না, সেটা নিশ্চিত করছি। আমাদের নতুন করে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা বেদখল হওয়া প্লটগুলো উদ্ধার করে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করবো।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির প্রকাশনা ‘ঢাকাই’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। একইসঙ্গে সংগঠনের সিনিয়র সদস্য হেলিমুল আলম বিপ্লবের প্রকাশিত ঢাকার খালগুলো নিয়ে প্রকাশিত “Dhaka’s Canals on Their Dying Breath, An In-Depth Look at How the capital’s Waterways Are Being Choked” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।