খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১ ফাল্গুন, ১৪৩১

আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৩০০ প্রবাসী শিক্ষার্থী-গবেষকদের চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৩০০ প্রবাসী শিক্ষার্থী-গবেষকদের চিঠি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে নিষিদ্ধের দাবিতে চিঠি লিখেছেন ৩০০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবী। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের ই-মেইলে তারা এই চিঠি পাঠান।

চিঠি বলা হয়েছে, বিগত ১৬ বছরের জুলুম, নির্যাতন-নিপীড়ন ও দুঃশাসনের কবল থেকে ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার খুনি ফ্যাসিবাদী শক্তি এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যসূত্র উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, সরাসরি রাজনৈতিক নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারী সাধারণ জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৮৩৪ জনকে হত্যা এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষকে আহত করেছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। দুটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রমাণ পেয়েছে যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্দোলন দমনে বেআইনিভাবে ও অপ্রয়োজনীয়ভাবে শক্তির ব্যবহার করেছে।

জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্ট উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা জানতে পেরেছি, সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ১ হাজার ৪০০ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ শিশুও রয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কীভাবে হত্যার জন্য শিশুদের টার্গেট করা হয়েছে। আহত হয়েছে অজস্র মানুষ। ১১ হাজার ৭০০-এর বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ও পুলিশ।

এতে বলা হয়েছে, শুধু জুলাই হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানিয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে আওয়ামী লীগের শাসনামলে দুই হাজারের বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। গুম কমিশনের রিপোর্টে উঠে এসেছে কীভাবে ছোট বাচ্চাকে জিম্মি করে মায়ের বুকের দুধ পান করতে না দিয়ে মায়ের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। সারাদেশে ৭০০-৮০০ আয়নাঘর তৈরি করে বছরের পর বছর সলিটারি কনফাইনমেন্টে রেখে পাশবিক নিপীড়ন চালিয়েছে অসংখ্য মানুষের উপর। নিউইয়র্ক টাইমসের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, শেখ হাসিনা ও সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে গুম করেছে যেখানে হাজার হাজার মানুষ ভুক্তভোগী হয়েছেন (হাসনাত ও মাশাল, ২০২৪)।

চিঠিতে জানানো হয়, গুমসংক্রান্ত কমিশনের রিপোর্ট, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট ও সম্প্রতি আপনার নেতৃত্বে আয়নাঘর উন্মুক্ত হওয়ার পর মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, হত্যার যে ভয়াবহ চিত্র আমরা দেখতে পেয়েছি এরপরে রাজনৈতিক দল হিসেবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বাংলাদেশে চলতে পারে না। আমরা অবিলম্বে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার খুন, গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। ফ্যাসিবাদী দলকে নিষিদ্ধ না করলে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আপনি জেনে থাকবেন, সম্প্রতি সিরিয়ায় স্বৈরাচারী আসাদ সরকারের উৎখাতের পর একই ধরনের অভিযোগে আসাদের বাথ পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জুলুম নিপীড়নের মাত্রা আসাদের চেয়েও ভয়াবহ ছিল যাকে আপনি ‘আইয়ামে জাহিলিয়াতের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন। আমাদের সামনে ফ্যাসিবাদী নাৎসি পার্টিকে নিষিদ্ধ করার উদাহরণও রয়েছে। দুনিয়ার কোথাও বিপ্লবের পরে ফ্যাসিবাদী দলকে রাজনীতি করতে দেওয়ার ইতিহাস নেই।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, শুধু গুম-খুন নয়, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। এইসব গুম-খুন-নিপীড়ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুসারে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানের ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আওয়ামী লীগ তাদের পরিকল্পিত নিপীড়ন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মাধ্যমে রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে তাদের বৈধতা হারিয়েছে। যদি অনতিবিলম্বে দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ না করা হয়, তবে তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত নেতৃত্ব, যারা কিনা তাদের জঘন্য অপরাধের জন্য একদমই অনুতপ্ত নয়, তারা আবার বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণ করতে পুনরায় সংগঠিত হবে। আওয়ামী লীগের মতো সন্ত্রাসী-ফ্যাসিবাদী দল আবারো সংগঠিত হলে আরও অনেক বেশি গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। তাছাড়া আওয়ামী লীগ দেশে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে, এতে করে আপনার সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম ও আপনার গণতান্ত্রিক শাসন পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করার মারাত্মক ঝুঁকি রয়ে যাবে।

প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি দলটির শাসনামলে সংঘটিত সব মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলা হয়েছে, আমরা ন্যায়সংগত, স্বচ্ছ ও স্বাধীন বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জুলাই ২০২৪-এর গণহত্যা ও অন্যান্য সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের সুবিচার নিশ্চিত করার প্রতি জোর দাবি জানাই। আমরা এই ক্রান্তিলগ্নে আপনার নেতৃত্বের প্রশংসা করি এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র সুরক্ষা, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং রাজনৈতিক সহিংসতা প্রতিরোধে আপনার সরকার চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবে এই প্রত্যাশা করি।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন:
ড. শিব্বির আহমদ, ড. মোহাম্মদ তারিক, ড. মারুফ মল্লিক, ড. রাশেদুল ইসলাম, ড. ফয়জুল কবির, ড. মো. খালেদ হোসেন, ড. আবু ইউসুফ, ড. এমরান হোসেন, মো. ফাহিম শারকার ঈশাত, মো. আলী আজম, আব্দুল্লাহ আল জায়েম, মো. রেজাউল হক, মো. রবিউল ইসলাম, মুনতাসির মাহদী, ফাবিহা তাসনিম অরনী, মুসুন্না গালিব, জাকির হোসেন, শেখ তাশরিফ উদ্দিন, সাজিদ কামাল, মোহাম্মদ এস আলী, এন এইচ এম আরাফাত, মো. মাহবুবুর রহমান শাকিল, মো. নুরুল হক, দিলশানা পারুল, মারজিয়া মিথিলা, এম এস আলী, জুলফিকার আলী, মুনা হাফসা, শাফায়েত আহমদ, শেখ মো. সাজেদুল করিম, মোহাম্মদ ইসলামুল হক, কামাল চৌধুরী, রাসেল মোহাম্মদ, নাবিদ মোহাম্মদ সিয়াম, নাসরুল ইসলাম সোহান, সায়েমা শারমিন, আব্দুর সামি, মোহাম্মদ মুনাসির মামুন চৌধুরী, আয়েশা পারভিন, শেখ মো. বোরহান, মো. আশরাফ, হুমায়রা বিনতে আশেক, মুজতাহিদুল, খালেদা আক্তার, শায়লা আফরিন, মুহাম্মদ সালেহ আবদুল্লাহ, মাহফুজা, ফরহাদ হোসেন, এম মিয়া, আবু তাইব আহমেদ, আবু জাকারিয়া, মো. নাজমুল করিম ফারুকি, আহমদ মূসা, এম এন উদ্দিন, সুবাইল বিন আলম, শাকিব মুস্তাফী, আফসানা আহমেদ, এম এইচ মাহমুদ, মো. মুক্তাদির ভূঁইয়া, মো. রাকিবুল হাসান, মো. সরকার, সাজ্জাদ হাসান, রাহনুমা সিদ্দিকা, মো. আবু জাহিদ, নেসার আলী তিতুমীর, আব্দুল মুহাইমিন, মো. কামরুল হাসান, আবু ইউসুফ, হোসেন আহমেদ, তনিমা আনন্না, সাইফ ইবনে সারোয়ার, আনামুল হক আনাম, মেজবাহ হোসেন, ইশতিয়াক আকিব, জ্জামান আসাদ, মো. সুজান আল হাসান, এনামুল হক, মো. মামুনুর রশিদ, সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া, এমরান গাজী, সামিনা আই. হোসেন, মো. আবু বকর সিদ্দিক, মুহাম্মদ তানবিরুল ইসলাম, মুহাম্মদ মুস্তাফিজ, আবদুল্লাহ নাঈম, আমিনুর রহমান, আহাসানুল করিম, মো. সাইফ উদ্দিন, শাহীন সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান তালুকদার, লে. মাহবুবুল হক হাসান (অবসরপ্রাপ্ত), খন্দকার সাবিত বিন মাহমুদ, মাহিমা করিম, ফয়েজ আহমদ, সৈয়দ শাহরিয়ার হাসান, ইসলাম মো. মোমিনুল, মো. রাশাদুল হাসান, অপু সারোয়ার, নাঈম আল তারেক, আমিনুর রহমান, কাউসার আহমেদ, আরিফুল হক, মো. মোনিরুল ইসলাম, তারেক আজিজ, আবু মুজাহিদ, তানজিলুর রহমান, ইকবাল মাহমুদ, মীর মোহাম্মদ ফাহাদ, আদিব আহমেদ, মো. নুরুল হক, হাসান আহমেদ, হোসেন ইদ্রিস, মিয়া মো. রায়হান, নাজমুল, মো. ইমাম হোসেন, আব্দুল আহাদ মেরাজ, মো. তারেক চৌধুরী, সুবর্ণা আলম, আবু সালেহ মূসা মিয়া, সাব্বির মুহাম্মদ সালেহ, মো. আবু রাফসান, তৌহিদুর রহমান, সবুজ আহমেদ, কবির ইসলাম, মো. ইসলাম, মারুফ বিল্লাহ, মো. সাজিদুল ইসলাম, শরাফত সরকার, মো. নুরুল ইসলাম, মো. আরফাত, মো. মুনিরুল হাসান, মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ফারহানা জেসমিন জলি, মো. মহসিন পাটোয়ারী, নুর আলম, মো. সাজ্জাদুল ইসলাম সাজল, মো. আব্দুস সালাম, সোহাদ আহমেদ, মোহাম্মদ সাজিদুল ইসলাম, সাজাউল মোরশেদ সাজিব, নাবিল মোরশেদ, জয়নাল আবেদিন, নেওয়াজ শরীফ, আফসানা, সালাহ খান, মাসুম, সুমাইয়া আনজুম কাশফি, আবু হাসনাত, নাজমুল আলম, মুহাম্মদ এস. আলম, মাসুদ আলম, মো. সাজেদুর হোসেন, মো. মাহিউদ্দিন সরকার, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আবদুস সামাদ চৌধুরী, মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, নজরুল ইসলাম, মিয়া ইমতিয়াজ জুলকারনাইন, মো. তাহসিন হাসান, মো. মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ ইমরান হোসেন (আনসারী), ফাহমিদা রিফাত, মো. মাহাদি হাসান, রফিকুল ইসলাম, আবু চৌধুরী, ইউনুস বিন আবদুন নূর, বোরহান উদ্দিন, সৈয়দুল আকবর মুরাদ, সুমাইয়া তাসনিম, মোহাম্মদ আল মাহফুজ, মো. আতাউর রহমান, আব্দুর রহিম, নওশীন মাহমুদ, শেখ রবিন, সাজ্জাদ আহমেদ, মোহাম্মদ জায়েদ বিন ইসলাম, এস. ফারিদ, শামসুল আরেফিন, মো. ওয়াবিদুর রহমান, মাহমুদুল হাসান, মাহমুদুল হাসান, মীর সাব্বির হাসান, মো. আবুল কালাম আজাদ, আনিসুর রহমান, মো. আবেদুর রহমান, আনজুম ইসলাম, মোহাম্মদ আসিফ নওয়াজ, আশিকুর রহমান সাকিব, মো. তৌফিকুল ইসলাম, আঞ্জুমান আরা, আশিক, আবদুল আজিজ, মোহাম্মদ আল-আমিন, মোহাম্মদ আল-আমিন, মো. ওবায়দুল্লাহ, নাসির উদ্দিন, সুজন মিয়া, সাকিব আল জাবের, আবু বকর সিদ্দীক, সৈয়দ আহমেদ, শাহ, এস এম জসিম উদ্দিন, শাহরিয়ার আজগার, বিলাল, নাহিদ, মীরাজ হোসেন, নূর, আহিল আহমেদ, ফারজানা চৌধুরী, ড. আবদুল আউয়াল, মো. সাখাওয়াত হোসেন, কামরুল হাসান মানিক, সাব্বির মাহমুদ, কায়েস, চামন মাহমুদ, শোহানুর রহমান, মো. আবু রুম্মান রিফাত, মেহেদী মুন্না, আকতারুল ইসলাম, মেরাজুল ইসলাম অনি, বদর আলী, ইকবাল হোসেন, মো. মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ সবুজ সিকদার, মুহাম্মদ নাইমুর রহমান, জাহিদ ইসলাম, ড. আহাসানুল করিম, জুলফিকার ইসলাম, শামীম হোসেন, মো. ইমরান হোসেন, রাজু আহমেদ, ড. আজাদ রহমান, খায়রুল আনাম ইমতিয়াজ, সাইফুল্লাহ ওমর নাসিফ, খায়রুল, ইমরান হোসেন তানভীর, দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ ফায়েজ উল্লাহ, হামেদ মোহাম্মদ হোবাইব, খাদিজা বিনতে ইসলাম শেফা, জসিম উদ্দিন, শামীম কবির, ফুয়াদ আল আবির, নাসির হোসেন, রফিকুল হাসান রাফি, শামসুল হক খান, মো. ইশফাকুর রহমান, মশিউর রহমান, সিয়াম আহমাদ, তাসমি-উল-হাসান, মো. মোনির, ইমদাদুর রহমান ফাহিম, মাহফুজ ইসলাম, তোদের আজরাইল, তাওহীদ ইসলাম, মিনহাজুস সিরাজ, সাইফুল ইসলাম, মো. ফুয়াদ হোসেন, মো. সাদিন প্রামাণিক, সেরাত সাদ, শাহিদুল ইসলাম, মো. নাসিম উদ্দিন, কামরুল হাসান, কবির হোসাইন, কাওছার আহমেদ, মো. রিয়াদ হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, দিদারুল ইসলাম শুভ, মুহাম্মদ আল মাহদী, মো. আশিক ভূঁইয়া, মোজামেল হোসেন, ড. সুব্রত দত্ত, মো. নূরুজ্জামান, এম. এ. মিজান, মো. নূর, রাকিন, আল আমিন, মো. আনায়েত উল্লাহ, হুমায়ুন হামিদ, মো. রাজিব, মো. আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ সাঈদুল মস্তফা, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. জিফান হোসেন, মো. মোজাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আহসান নজমুল, মো. ফিরোজ হাসনাত, মোহাম্মদ আহসান নজমুল, আব্রার মোহসিন সামিন, মোহাম্মদ সোহেল উদ্দিন, আবু আয়িশা, ফাতেমা তুজ জুহরা, রাফসান পারভেজ রণো, শোয়েব মাহমুদ, গাজী কাওসার আহমেদ, আহমেদ ইস্রাফিল, সামিয়া হক, আশিকুর রহমান।

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরেছে ৯ জেলে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরেছে ৯ জেলে

অপহরণের ১৭ দিন পর মাথা পিছু দুই লাখ ৮৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ জন জেলে। গত ২৬ জানুয়ারী দুবলার চর এলাকার বাহির সমুদ্র থেকে মুক্তি পাওয়া ৯ জন সহ ১৫ জেলেকে অপহরণ করা হয়। মুক্তিপণ নিয়ে জেলেদের চোখ বেধে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ এলাকায় জঙ্গল থেকে উপরে উঠিয়ে দিয়ে যায় বনদস্যু দয়াল বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টার দিকে তারা বাড়িতে পৌঁছায়।

জানা যায়, মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা জেলেদের মধ্যে ৭ জনের বাড়ি আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে। একজনের বাড়ি শ্যামনগরে ও আরেকজনের বাড়ি খুলনায়।

ফিরে আসা জেলেরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সুভদ্রাকাটি গ্রামের মোঃ দাউদ আলী সানার ছেলে অজাহারুল ইসলাম, রুইয়ারবিল গ্রামের জুলফিকার সরদারের ছেলে আলমগীর হোসেন, একই গ্রামের শহর আলী গাজীর ছেলে হাফিজুর রহমান, আব্দুল হক সানার ছেলে মোঃ শাহীনুর আলম, দিঘালারাইট গ্রামের মোঃ আবু দাউদ জদ্দারের ছেলে মোঃ রাসেল, শ্রীপুর গ্রামের মোঃ রুহুল আমিন ঢালির ছেলে মোঃ শাহাজান ঢালী ও দৃষ্টিনন্দন গ্রামের মোঃ আনিচ সরদারের ছেলে নুরে আলম এবং শ্যামনগর উপজেলার বন্যতলা গ্রামের আবু তালেব এর ছেলে শাহ্ আলমসহ ৯জন।

ফিরে আসা জেলেরা জানান, মুক্তিপণের টাকা দিতে না পারায় বাকি ৬ জনকে এখনো আটক রেখেছে ডাকাতরা। এদের মধ্যে সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা গ্রামের মোঃ মহিজুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, একই গ্রামের মোঃ নুরমান আলী সরদারের ছেলে অরাফাত হোসেন ও শামছুর রহমান গাজীর ছেলে শাহাজান গাজী।

অপহৃত চাকলা গ্রামের শাহাজান গাজীর স্ত্রী নাজমা খাতুন জানান, স্বামী বাড়ি আসছে খবর পেয়ে গতকাল রাত ৩টা পর্যন্ত জেগে বেড়িবাঁধের উপর বসে ছিলাম। কিন্তু প্রতাপনগরের সাতজন আসলেও আমার স্বামীসহ আমাদের চাকলা গ্রামের তিন জন ফিরে আসেনি। এত টাকা আমার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব না। তিনি স্বামীকে মুক্ত করে আনার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম রসুল জানান, মাথাপিছু ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে অপহৃত ১৫ জেলের মধ্যে ৯ জনকে মুক্তি দিয়েছে ডাকাতরা। বাকি ৬ জনের মধ্যে আমার গ্রামের তিনজন রয়েছে। মুক্তিপণের টাকা দিতে না পারায় তাদেরকে এখনো জিম্মি করে রেখেছে ডাকাতরা।

প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী তার ইউনিয়নের সাতজন জেলে ফিরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাকিদের কাছে নৌকা থাকায় এবং মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ না হওয়ায় ডাকাতরা তাদেরকে ছাড়েনি।

প্রসঙ্গতঃ গত ২৭ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ভোর ৬টার দকে সুন্দরবনের ডাকাত দয়াল বাহিনী সদস্যরা সুন্দরবনের দুবলার চরের নিরীহ জেলেদের উপর আক্রমণ করে। এসময় দুঃসাহসী জেলেরা নিজেদের আত্মরক্ষার্থে ডাকাতদেরকে প্রতিহতের চেষ্টা করে এবং একই সাথে দুবলার চরের কোস্টগার্ড স্টেশনে সাহায্য চেয়ে ফোন করে। ডাকাতদের সাথে জেলেদের হাতাহাতির একপর্যায়ে জেলেরা তিন ডাকাতকে জাল দিয়ে ধরে ফেলে। কিন্তু এসময় ডাকাতরা সেখান থেকে ১৫ জেলেকে ধরে নিয়ে যায়।

আর্জেন্টিনাকে পেছনে ফেলে সবার ওপরে ব্রাজিল

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ণ
আর্জেন্টিনাকে পেছনে ফেলে সবার ওপরে ব্রাজিল

আর্জেন্টিনার কাছে ৬-০ গোলে হেরে দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছিল ব্রাজিল। সেই ব্রাজিলই কিনা এখন পেছনে ফেলে দিয়েছে স্রেফ আর্জেন্টিনাকেই!

বি-গ্রুপের খেলায় আর্জেন্টিনার পর কলম্বিয়ার কাছেও হেরেছিল ব্রাজিল। চার ম্যাচের দুটিতেই হেরে কোনোমতে টুর্নামেন্টের ফাইনাল পর্বে জায়গা করে নেয় নেইমারদের উত্তরসূরীরা। তবে চূড়ান্ত পর্বে এসেই নিজেদের জাত চেনায় ব্রাজিল।

এই পর্বে পায়ের জাদু দেখিয়ে প্রথম তিন ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে ব্রাজিল। জয়ের হ্যাটট্রিকে আর্জেন্টিনাকে পেছনে ফেলে টেবিলের শীর্ষে উঠেছে তারা।

মঙ্গলবার ভেনেজুয়েলার এস্তাদিও ওলিম্পিকো ডে লা ইউসিভি স্টেডিয়ামে প্যারাগুয়েকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। একইদিনে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। এতে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গাও নিশ্চিত করেছে লাতিন আমেরিকার দুই ফুটবল পরাশক্তি।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে যুব বিশ্বকাপের আয়োজন করবে চিলি। চলমান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল পর্বের খেলা শেষে সেরা ৪ দল যাবে বিশ্বকাপে। সেরা চারের মধ্যে না থাকলেও আয়োজক দেশ হিসেবে খেলবে চিলি।

ফাইনাল পর্বে ব্রাজিলের মতো আর্জেন্টিনাও জিতেছে তিনটি ম্যাচ। দুই দলেরই পয়েন্ট ৯। কিন্তু গোল ব্যবধানে থাকায় টেবিলের শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে ব্রাজিল।

টুর্নামেন্টে কোনো ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না। যে দল টেবিলের শীর্ষে থেকে আসর শেষ করবে, তারাই হবে চ্যাম্পিয়ন। আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচই ঠিক করে দেবে কারা হবে চ্যাম্পিয়ন।

মঙ্গলবার প্যারাগুয়ের বিপক্ষে গোল করেন ব্রাজিলের প্রাদো (১৫ মিনিটে), রায়ান (১৭ মিনিটে) ও সান্তানা (৭৮ মিনিটে)। প্যারাগুয়ের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অ্যাঞ্জেল অ্যাগুয়াও।

অন্য ম্যাচে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ভাগ্য নির্ধারণী গোলটি করেন আর্জেন্টিনার ইয়ান সুবিয়াব্রে (৮৬ মিনিটে)।

ঢাকার বায়ু দূষণ মোকাবিলায় ঋণসহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪৭ অপরাহ্ণ
ঢাকার বায়ু দূষণ মোকাবিলায় ঋণসহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

ঢাকার বায়ু দূষণ মোকাবিলায় নতুন ঋণ প্রস্তুত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি গত বছর সেপ্টেম্বরের বন্যা থেকে পুনরুদ্ধার, জ্বালানি খাতে চাপ কমাতে একটি আধুনিক ও সুনির্দিষ্ট সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থা তৈরি করতেও সহায়তা দেবে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটি জানায়, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার আজ বাংলাদেশ সফর শেষ করেছেন এবং দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

রাইজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং উন্নত জনসেবার ভিত্তি তৈরিতে অব্যাহত সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।

তিনি বাংলাদেশে চলমান এবং পরিকল্পিত বিশ্বব্যাংকের সহায়তা সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন। তিনি এ রাজনৈতিক রূপান্তরকালকে শাসনব্যবস্থা এবং স্বচ্ছতার উন্নতির জন্য ব্যবহারের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন, যা একটি ন্যায্য বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করতে পারে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাইজার বলেন, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন সংস্কারে সহায়তা করছে বিশ্বব্যাংক। ব্যাংক রেজুলেশন এবং সম্পদ পুনরুদ্ধার, কর নীতি এবং রাজস্ব সংগ্রহ, ক্রয় এবং নিরীক্ষণ এবং জাতীয় পরিসংখ্যানের মান এবং স্বাধীনতা জোরদারে সহায়তা করা হচ্ছে। এ সংস্কারগুলো মধ্যমেয়াদে সমান সুযোগ তৈরি করতে এবং ব্যবসা ও জনগণের আস্থা বাড়াতে সহায়তা করবে।

তিনি জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের বন্যা থেকে পুনরুদ্ধার, জ্বালানি খাতে চাপ কমাতে একটি আধুনিক ও সুনির্দিষ্ট সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থা তৈরি করতে এবং ঢাকায় ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণ মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য বিশ্বব্যাংকের নতুন ঋণ প্রস্তুত করা হচ্ছে।

রাইজার এ সফরে অর্থ উপদেষ্টা, জ্বালানি উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান এবং সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন।