খুঁজুন
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৩০০ প্রবাসী শিক্ষার্থী-গবেষকদের চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৩০০ প্রবাসী শিক্ষার্থী-গবেষকদের চিঠি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে নিষিদ্ধের দাবিতে চিঠি লিখেছেন ৩০০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবী। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের ই-মেইলে তারা এই চিঠি পাঠান।

চিঠি বলা হয়েছে, বিগত ১৬ বছরের জুলুম, নির্যাতন-নিপীড়ন ও দুঃশাসনের কবল থেকে ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার খুনি ফ্যাসিবাদী শক্তি এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যসূত্র উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, সরাসরি রাজনৈতিক নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারী সাধারণ জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৮৩৪ জনকে হত্যা এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষকে আহত করেছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। দুটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রমাণ পেয়েছে যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্দোলন দমনে বেআইনিভাবে ও অপ্রয়োজনীয়ভাবে শক্তির ব্যবহার করেছে।

জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্ট উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা জানতে পেরেছি, সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ১ হাজার ৪০০ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ শিশুও রয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কীভাবে হত্যার জন্য শিশুদের টার্গেট করা হয়েছে। আহত হয়েছে অজস্র মানুষ। ১১ হাজার ৭০০-এর বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ও পুলিশ।

এতে বলা হয়েছে, শুধু জুলাই হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানিয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে আওয়ামী লীগের শাসনামলে দুই হাজারের বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। গুম কমিশনের রিপোর্টে উঠে এসেছে কীভাবে ছোট বাচ্চাকে জিম্মি করে মায়ের বুকের দুধ পান করতে না দিয়ে মায়ের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। সারাদেশে ৭০০-৮০০ আয়নাঘর তৈরি করে বছরের পর বছর সলিটারি কনফাইনমেন্টে রেখে পাশবিক নিপীড়ন চালিয়েছে অসংখ্য মানুষের উপর। নিউইয়র্ক টাইমসের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, শেখ হাসিনা ও সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে গুম করেছে যেখানে হাজার হাজার মানুষ ভুক্তভোগী হয়েছেন (হাসনাত ও মাশাল, ২০২৪)।

চিঠিতে জানানো হয়, গুমসংক্রান্ত কমিশনের রিপোর্ট, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট ও সম্প্রতি আপনার নেতৃত্বে আয়নাঘর উন্মুক্ত হওয়ার পর মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, হত্যার যে ভয়াবহ চিত্র আমরা দেখতে পেয়েছি এরপরে রাজনৈতিক দল হিসেবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বাংলাদেশে চলতে পারে না। আমরা অবিলম্বে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার খুন, গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। ফ্যাসিবাদী দলকে নিষিদ্ধ না করলে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আপনি জেনে থাকবেন, সম্প্রতি সিরিয়ায় স্বৈরাচারী আসাদ সরকারের উৎখাতের পর একই ধরনের অভিযোগে আসাদের বাথ পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জুলুম নিপীড়নের মাত্রা আসাদের চেয়েও ভয়াবহ ছিল যাকে আপনি ‘আইয়ামে জাহিলিয়াতের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন। আমাদের সামনে ফ্যাসিবাদী নাৎসি পার্টিকে নিষিদ্ধ করার উদাহরণও রয়েছে। দুনিয়ার কোথাও বিপ্লবের পরে ফ্যাসিবাদী দলকে রাজনীতি করতে দেওয়ার ইতিহাস নেই।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, শুধু গুম-খুন নয়, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। এইসব গুম-খুন-নিপীড়ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুসারে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানের ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আওয়ামী লীগ তাদের পরিকল্পিত নিপীড়ন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মাধ্যমে রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে তাদের বৈধতা হারিয়েছে। যদি অনতিবিলম্বে দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ না করা হয়, তবে তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত নেতৃত্ব, যারা কিনা তাদের জঘন্য অপরাধের জন্য একদমই অনুতপ্ত নয়, তারা আবার বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণ করতে পুনরায় সংগঠিত হবে। আওয়ামী লীগের মতো সন্ত্রাসী-ফ্যাসিবাদী দল আবারো সংগঠিত হলে আরও অনেক বেশি গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। তাছাড়া আওয়ামী লীগ দেশে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে, এতে করে আপনার সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম ও আপনার গণতান্ত্রিক শাসন পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করার মারাত্মক ঝুঁকি রয়ে যাবে।

প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি দলটির শাসনামলে সংঘটিত সব মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলা হয়েছে, আমরা ন্যায়সংগত, স্বচ্ছ ও স্বাধীন বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জুলাই ২০২৪-এর গণহত্যা ও অন্যান্য সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের সুবিচার নিশ্চিত করার প্রতি জোর দাবি জানাই। আমরা এই ক্রান্তিলগ্নে আপনার নেতৃত্বের প্রশংসা করি এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র সুরক্ষা, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং রাজনৈতিক সহিংসতা প্রতিরোধে আপনার সরকার চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবে এই প্রত্যাশা করি।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন:
ড. শিব্বির আহমদ, ড. মোহাম্মদ তারিক, ড. মারুফ মল্লিক, ড. রাশেদুল ইসলাম, ড. ফয়জুল কবির, ড. মো. খালেদ হোসেন, ড. আবু ইউসুফ, ড. এমরান হোসেন, মো. ফাহিম শারকার ঈশাত, মো. আলী আজম, আব্দুল্লাহ আল জায়েম, মো. রেজাউল হক, মো. রবিউল ইসলাম, মুনতাসির মাহদী, ফাবিহা তাসনিম অরনী, মুসুন্না গালিব, জাকির হোসেন, শেখ তাশরিফ উদ্দিন, সাজিদ কামাল, মোহাম্মদ এস আলী, এন এইচ এম আরাফাত, মো. মাহবুবুর রহমান শাকিল, মো. নুরুল হক, দিলশানা পারুল, মারজিয়া মিথিলা, এম এস আলী, জুলফিকার আলী, মুনা হাফসা, শাফায়েত আহমদ, শেখ মো. সাজেদুল করিম, মোহাম্মদ ইসলামুল হক, কামাল চৌধুরী, রাসেল মোহাম্মদ, নাবিদ মোহাম্মদ সিয়াম, নাসরুল ইসলাম সোহান, সায়েমা শারমিন, আব্দুর সামি, মোহাম্মদ মুনাসির মামুন চৌধুরী, আয়েশা পারভিন, শেখ মো. বোরহান, মো. আশরাফ, হুমায়রা বিনতে আশেক, মুজতাহিদুল, খালেদা আক্তার, শায়লা আফরিন, মুহাম্মদ সালেহ আবদুল্লাহ, মাহফুজা, ফরহাদ হোসেন, এম মিয়া, আবু তাইব আহমেদ, আবু জাকারিয়া, মো. নাজমুল করিম ফারুকি, আহমদ মূসা, এম এন উদ্দিন, সুবাইল বিন আলম, শাকিব মুস্তাফী, আফসানা আহমেদ, এম এইচ মাহমুদ, মো. মুক্তাদির ভূঁইয়া, মো. রাকিবুল হাসান, মো. সরকার, সাজ্জাদ হাসান, রাহনুমা সিদ্দিকা, মো. আবু জাহিদ, নেসার আলী তিতুমীর, আব্দুল মুহাইমিন, মো. কামরুল হাসান, আবু ইউসুফ, হোসেন আহমেদ, তনিমা আনন্না, সাইফ ইবনে সারোয়ার, আনামুল হক আনাম, মেজবাহ হোসেন, ইশতিয়াক আকিব, জ্জামান আসাদ, মো. সুজান আল হাসান, এনামুল হক, মো. মামুনুর রশিদ, সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া, এমরান গাজী, সামিনা আই. হোসেন, মো. আবু বকর সিদ্দিক, মুহাম্মদ তানবিরুল ইসলাম, মুহাম্মদ মুস্তাফিজ, আবদুল্লাহ নাঈম, আমিনুর রহমান, আহাসানুল করিম, মো. সাইফ উদ্দিন, শাহীন সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান তালুকদার, লে. মাহবুবুল হক হাসান (অবসরপ্রাপ্ত), খন্দকার সাবিত বিন মাহমুদ, মাহিমা করিম, ফয়েজ আহমদ, সৈয়দ শাহরিয়ার হাসান, ইসলাম মো. মোমিনুল, মো. রাশাদুল হাসান, অপু সারোয়ার, নাঈম আল তারেক, আমিনুর রহমান, কাউসার আহমেদ, আরিফুল হক, মো. মোনিরুল ইসলাম, তারেক আজিজ, আবু মুজাহিদ, তানজিলুর রহমান, ইকবাল মাহমুদ, মীর মোহাম্মদ ফাহাদ, আদিব আহমেদ, মো. নুরুল হক, হাসান আহমেদ, হোসেন ইদ্রিস, মিয়া মো. রায়হান, নাজমুল, মো. ইমাম হোসেন, আব্দুল আহাদ মেরাজ, মো. তারেক চৌধুরী, সুবর্ণা আলম, আবু সালেহ মূসা মিয়া, সাব্বির মুহাম্মদ সালেহ, মো. আবু রাফসান, তৌহিদুর রহমান, সবুজ আহমেদ, কবির ইসলাম, মো. ইসলাম, মারুফ বিল্লাহ, মো. সাজিদুল ইসলাম, শরাফত সরকার, মো. নুরুল ইসলাম, মো. আরফাত, মো. মুনিরুল হাসান, মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ফারহানা জেসমিন জলি, মো. মহসিন পাটোয়ারী, নুর আলম, মো. সাজ্জাদুল ইসলাম সাজল, মো. আব্দুস সালাম, সোহাদ আহমেদ, মোহাম্মদ সাজিদুল ইসলাম, সাজাউল মোরশেদ সাজিব, নাবিল মোরশেদ, জয়নাল আবেদিন, নেওয়াজ শরীফ, আফসানা, সালাহ খান, মাসুম, সুমাইয়া আনজুম কাশফি, আবু হাসনাত, নাজমুল আলম, মুহাম্মদ এস. আলম, মাসুদ আলম, মো. সাজেদুর হোসেন, মো. মাহিউদ্দিন সরকার, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আবদুস সামাদ চৌধুরী, মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, নজরুল ইসলাম, মিয়া ইমতিয়াজ জুলকারনাইন, মো. তাহসিন হাসান, মো. মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ ইমরান হোসেন (আনসারী), ফাহমিদা রিফাত, মো. মাহাদি হাসান, রফিকুল ইসলাম, আবু চৌধুরী, ইউনুস বিন আবদুন নূর, বোরহান উদ্দিন, সৈয়দুল আকবর মুরাদ, সুমাইয়া তাসনিম, মোহাম্মদ আল মাহফুজ, মো. আতাউর রহমান, আব্দুর রহিম, নওশীন মাহমুদ, শেখ রবিন, সাজ্জাদ আহমেদ, মোহাম্মদ জায়েদ বিন ইসলাম, এস. ফারিদ, শামসুল আরেফিন, মো. ওয়াবিদুর রহমান, মাহমুদুল হাসান, মাহমুদুল হাসান, মীর সাব্বির হাসান, মো. আবুল কালাম আজাদ, আনিসুর রহমান, মো. আবেদুর রহমান, আনজুম ইসলাম, মোহাম্মদ আসিফ নওয়াজ, আশিকুর রহমান সাকিব, মো. তৌফিকুল ইসলাম, আঞ্জুমান আরা, আশিক, আবদুল আজিজ, মোহাম্মদ আল-আমিন, মোহাম্মদ আল-আমিন, মো. ওবায়দুল্লাহ, নাসির উদ্দিন, সুজন মিয়া, সাকিব আল জাবের, আবু বকর সিদ্দীক, সৈয়দ আহমেদ, শাহ, এস এম জসিম উদ্দিন, শাহরিয়ার আজগার, বিলাল, নাহিদ, মীরাজ হোসেন, নূর, আহিল আহমেদ, ফারজানা চৌধুরী, ড. আবদুল আউয়াল, মো. সাখাওয়াত হোসেন, কামরুল হাসান মানিক, সাব্বির মাহমুদ, কায়েস, চামন মাহমুদ, শোহানুর রহমান, মো. আবু রুম্মান রিফাত, মেহেদী মুন্না, আকতারুল ইসলাম, মেরাজুল ইসলাম অনি, বদর আলী, ইকবাল হোসেন, মো. মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ সবুজ সিকদার, মুহাম্মদ নাইমুর রহমান, জাহিদ ইসলাম, ড. আহাসানুল করিম, জুলফিকার ইসলাম, শামীম হোসেন, মো. ইমরান হোসেন, রাজু আহমেদ, ড. আজাদ রহমান, খায়রুল আনাম ইমতিয়াজ, সাইফুল্লাহ ওমর নাসিফ, খায়রুল, ইমরান হোসেন তানভীর, দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ ফায়েজ উল্লাহ, হামেদ মোহাম্মদ হোবাইব, খাদিজা বিনতে ইসলাম শেফা, জসিম উদ্দিন, শামীম কবির, ফুয়াদ আল আবির, নাসির হোসেন, রফিকুল হাসান রাফি, শামসুল হক খান, মো. ইশফাকুর রহমান, মশিউর রহমান, সিয়াম আহমাদ, তাসমি-উল-হাসান, মো. মোনির, ইমদাদুর রহমান ফাহিম, মাহফুজ ইসলাম, তোদের আজরাইল, তাওহীদ ইসলাম, মিনহাজুস সিরাজ, সাইফুল ইসলাম, মো. ফুয়াদ হোসেন, মো. সাদিন প্রামাণিক, সেরাত সাদ, শাহিদুল ইসলাম, মো. নাসিম উদ্দিন, কামরুল হাসান, কবির হোসাইন, কাওছার আহমেদ, মো. রিয়াদ হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, দিদারুল ইসলাম শুভ, মুহাম্মদ আল মাহদী, মো. আশিক ভূঁইয়া, মোজামেল হোসেন, ড. সুব্রত দত্ত, মো. নূরুজ্জামান, এম. এ. মিজান, মো. নূর, রাকিন, আল আমিন, মো. আনায়েত উল্লাহ, হুমায়ুন হামিদ, মো. রাজিব, মো. আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ সাঈদুল মস্তফা, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. জিফান হোসেন, মো. মোজাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আহসান নজমুল, মো. ফিরোজ হাসনাত, মোহাম্মদ আহসান নজমুল, আব্রার মোহসিন সামিন, মোহাম্মদ সোহেল উদ্দিন, আবু আয়িশা, ফাতেমা তুজ জুহরা, রাফসান পারভেজ রণো, শোয়েব মাহমুদ, গাজী কাওসার আহমেদ, আহমেদ ইস্রাফিল, সামিয়া হক, আশিকুর রহমান।

রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলা একমাসেও অপরাধী গ্রেফতার হয়নি

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০৫ পূর্বাহ্ণ
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলা একমাসেও অপরাধী গ্রেফতার হয়নি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সাংবাদিক শাহীন খানের ওপর হামলার ঘটনায় দীর্ঘ এক মাস পার হলেও কোনো হামলাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় সচেতন মহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সমাজের সচেতন মহল ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

শাহীন খান রায়গঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একই উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সরাই হাজীপুর গ্রামের আব্দুল বারিক খানের ছেলে। 

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে আহত সাংবাদিকের ভাই শামীম উদ্দিন খান তার ভাইয়ের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা  মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। 

ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ১৫ মার্চ বেলা ১১ টার দিকে গভীর নলকূপ দেখাশোনা কালে পাশ্ববর্তী শ্যামগোপ গ্রামের শাহ পরান (২৫), রফিকুল ইসলাম (৪০), সজিব হোসেন (২০), শের আলী (৪৩), ইউসুফ আলী (৩৫) ও সুজন হোসেনসহ (২০) আরও ৭-৮ জন শাহীন খানকে লাঠিসোঁটা নিয়ে এলোপাথাড়িভাবে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর চিকিৎসকের পরামশ্রে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় এক মাস চিকিৎসা নেয়ার পর গত শুক্রবার তাকে বাড়িতে আনা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, এই হামলার ঘটনায় ১৬ মার্চ জড়িত বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে হামলাকারীরা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে মিথ্যা একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। তারা তদন্তপূর্বক এই মামলা প্রত্যাহার ও হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। এদিকে অভিযুক্ত শাহ পরান গংদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ওই হামলার ঘটনায় আসামিরা জামিনে রয়েছে। এ জন্য তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ওই ঘটনায় একই দিনে উভয়পক্ষের দুটি মামলা হয়েছে। যার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।

নাটোরের সিংড়ায় হাজী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে

মোঃ কুরবান আলী, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০৩ পূর্বাহ্ণ
নাটোরের সিংড়ায় হাজী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সিংড়া উপজেলা মডেল মসজিদে সিংড়া আরাফাতি হাজী কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে সিংড়া উপজেলা থেকে হজ্ব গমন ইচ্ছুক হাজী সাহেবদের সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: মহিবুল হাসান।

সিংড়া আরাফাতি হাজী কল্যাণ পরিষদের বিদায়ী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মহসিন আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা রাখেন সিংড়া জামিয়া ইসলামিয়া হামিদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম শাইখুল হাদিস মুফতী আব্দুল্লাহ আল মাদানী।

এসময় বক্তব্য দেন সিংড়া আরাফাতি হাজী কল্যাণ পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আলী আকবর, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আনোয়ার সাদাত।

উল্লেখ্য, এ বছর সিংড়া উপজেলা থেকে ২১৬ জন পবিত্র হজ্জ পালন করবেন।

হাজী সমাবেশ শেষে মাওলানা আলী আকবরকে সভাপতি, আলহাজ্ব আনোয়ার সাদাতকে সাধারণ সম্পাদক ও আলহাজ্ব মহসিন আলমকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে সিংড়া আরাফাতি হাজী কল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া আলহাজ্ব মাওলানা সাদরুল উলাকে সভাপতি ও আলহাজ্ব আব্দুস সোবহানকে সাধারণ সম্পাদক করে সংগঠনের পৌর কমিটি গঠন করা হয়।

বিএনপি নেতা হারেছ গাজীর প্রতিবাদ মিছিল

আ’লীগের অপতৎপরতা রুখতে সজাগ বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:২৭ অপরাহ্ণ
আ’লীগের অপতৎপরতা রুখতে সজাগ বিএনপি

স্বৈরাচার দোসর আওয়ামী লীগ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে ঝটিকা মিছিল করায় আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মিছিল করেছে বিএনপি নেতা হারেছ গাজী। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে রেখে নজিরবিহীন এক মিছিল করে তারা। যা নিয়ে রীতিমতো প্রশংসায় ভাসছেন ওয়ার্ডটির সকল নেতাকর্মী।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ১৪ নং ওয়ার্ডের একনিষ্ঠ ও ত্যাগী সহ সভাপতি মোঃ হারেছ গাজীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিবাদী মিছিল। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সর্বোস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে উক্ত মিছিলে।

কাফরুল থানাধীন ১৪ নং ওয়ার্ডের শেওড়াপাড়া থেকে মিছিলটি শুরু হয়। প্রায় ৩ শতাধিক নেতাকর্মীর মিছিলটি এলাকার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা প্রদক্ষিণ করে স্থানীয়দের মাঝে সচেতন মূলক ক্যাম্পেইন করে।

মিছিল শেষে বিএনপি নেতা হারেছ গাজী বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল জনপ্রিয় দল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট পলাতক খুনি হাসিনা ও তাদের দোসররা নানাভাবে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বিতর্কিত করার জন্য অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। এমনকি তারা প্রকাশ্যে ঝটিকা মিছিল করার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছে। আমরা এই খুনি হাসিনার দোসরদের যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবো। তবে আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। আমরা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ধরে সরাসরি পুলিশকে হস্তান্তর করবো। এটাই আমাদের একনিষ্ঠ ও নৈতিকতার পরিচয় হবে।

শান্তিপূর্ণভাবে এই প্রতিবাদ মিছিল শেষ করায় হারেছ গাজী সহ সকলকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মামুন বিল্লাহ ও কাফরুল থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব আকরানুল হক আকরাম।

মিছিল শেষে দোয়া চাইতে গেলে কাফরুল থানা বিএনপির জনপ্রিয় নেতা জনাব আকরানুল হক আকরাম উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নানাভাবে উৎপাত চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশকে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে। দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র যেকোনো মূল্যে রুখে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে আপনারা অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে আজ যে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। তার জন্য আপনাদেরকে আমি ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানাই। আশা করছি দেশের মানুষ, দল ও দেশের জন্য এভাবেই আপনারা সক্রিয় থাকবেন।

একদিনের প্রতিবাদী মিছিলে সহ-সভাপতি হারেস গাজী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুছ ছাড়াও যুগ্ম সম্পাদক রাতুল হাসান মহিন, প্রচার সম্পাদক ফজলে রাব্বি, ইউনিট সভাপতি মোঃ বাদল মিয়া, ইউনিট সাধারণ সম্পাদক মোঃ সালাম, ১৪ নং ওয়ার্ড কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জিয়া, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক, আবু তাহের মুন্সি, সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সদস্য মোঃ বকুল মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিট সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, ইউনিট সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সুমন মিয়া, সদস্য মোঃ আনোয়ার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তানিয়া মমতাজ, মহিলা নেত্রী তানিয়া ইয়াসমিন এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।