খুঁজুন
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ, ১৪৩২

সিরাজগঞ্জে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে সচিবের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে সচিবের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে সিরাজগঞ্জ জেলার কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, বৃহস্পতিবার (২০ফেব্রুয়ারী)  দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহিদ এ,কে, শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভার  প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ. ম. কবিরুল ইসলাম।

এসময়ে তিনি তার বক্তব্যে  বলেন, বিগত সময়ে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে অনেক ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে এই খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। এগুলো বন্ধ করে কারিগরি শিক্ষাখাতের সুনাম ফিরিয়ে আনতে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে কারিগরি শিক্ষার বাংলাদেশ। একমাত্র কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পরিবর্তন করা সম্ভব। ১৮ কোটি মানুষের দেশে আমাদের এ প্রজন্মের হাতকে কর্মক্ষম করতে চাইলে দেশে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই।

উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন,  সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। 
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো: মনিরুজ্জামান ভুইয়া, অধ্যক্ষ মো: জাফর ইকবাল, অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম অধ্যক্ষ চৈতন্য, অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলাম, সুপার রোকুনূজামান সহ প্রমুখ।

এসময়ে জেলার কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান,  কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রধান সহ অন্যান্য শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকার ৩৩৮২ ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙা হবে: রাজউক চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
ঢাকার ৩৩৮২ ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙা হবে: রাজউক চেয়ারম্যান

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ঢাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবনের অবৈধ অংশ চিহ্নিত করে ভাঙা হবে, কাজগুলো শুরুও হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘সমস্যার নগরী ঢাকা : সমাধান কোন পথে?’ শীর্ষক এক নগর সংলাপে এ কথা জানান তিনি।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, অবৈধ ভবনগুলোর কাজ স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়ে পর্যায়ক্রমে ভবনগুলো আংশিক অংশ ভেঙে ফেলা হবে। প্রথম ধাপে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ফৌজদারি মামলা দায়ের করা, নকশা বাতিল এবং প্রয়োজনে ভবনগুলো সিলগালা করা হবে।

তিনি জানান, রাজউক এলাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবন চিহ্নিত করেছি, যেগুলো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। এই ভবনগুলোর যেটুকু অংশেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে, সেটুকু ভেঙে ফেলবো। আমি যতদিন দায়িত্বে আছি তার মধ্যে এই কাজ চালিয়েই যাব। এগুলো ভেঙে হোক কিংবা অন্যভাবে হোক, তাদের নিয়মের মধ্যে আনবো। আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।

নগর সরকার কিংবা এক ছাতার নিচে আনার মতো ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব উল্লেখ করে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকাকে এক আমব্রেলার নিচে না আনলে যত পরিকল্পনাই করা হোক না কেন কাজে আসবে না। সবকাজের সিদ্ধান্ত একটি জায়গা থেকে আসতে হবে। সেখানে নগর সরকার হোক কিংবা এক মেয়রের কাছে ক্ষমতা থাকুক, সেটায় সমস্যা নেই। নগরের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সেবাসহ সব সেবার বিষয়ে একটি জায়গা থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, এই মুহূর্তে যারা বাড়ি করে ফেলেছে সেগুলোর ব্যবস্থা পরে নেবো। সব কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। তবে আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিংয়ে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না, সেটা নিশ্চিত করছি। আমাদের নতুন করে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা বেদখল হওয়া প্লটগুলো উদ্ধার করে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করবো।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির প্রকাশনা ‘ঢাকাই’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। একইসঙ্গে সংগঠনের সিনিয়র সদস্য হেলিমুল আলম বিপ্লবের প্রকাশিত ঢাকার খালগুলো নিয়ে প্রকাশিত “Dhaka’s Canals on Their Dying Breath, An In-Depth Look at How the capital’s Waterways Are Being Choked” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৫৩ অপরাহ্ণ
পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন

ভ্যাটিকান এক ভিডিও বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রথম ল্যাটিন আমেরিকান পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

পোপ ফ্রান্সিসের আসল নাম ছিল জর্জ মারিও বেরগোলিও। পোপ হওয়ার আগে ফ্রান্সিস আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসের আর্চবিশপ ছিলেন এবং কার্ডিনাল পদে অধিষ্ঠিত হন ২০০১ সালে। তার পরিচিতি ছিল একজন বিনয়ী, সাধারণ জীবনধারার ধর্মীয় নেতা হিসেবে।

২০১৩ সালের মার্চে পোপ বেনেডিক্ট ষোল-এর পদত্যাগের পর অনুষ্ঠিত কনক্লেভে (পোপ নির্বাচনের জন্য কার্ডিনালদের গোপন বৈঠক) জর্জ বেরগোলিও পোপ নির্বাচিত হন।

পোপ ফ্রান্সিস ইতিহাসে স্মরণীয় থাকবেন একজন মানবিক, সহানুভূতিশীল এবং সংস্কারক পোপ হিসেবে, যিনি বিশ্বাসের গণ্ডি পেরিয়ে মানবতার পক্ষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন।

পোপ ফ্রান্সিস সবসময়ই শান্তি ও সংলাপের পক্ষে কথা বলেছেন, বিশেষ করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রসঙ্গে। তিনি বারবার ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’— অর্থাৎ, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়েরই আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র থাকা উচিত — এই অবস্থানকে সমর্থন করেছেন।

দীর্ঘদিনের নানা শারীরিক জটিলতার পর পোপ ফ্রান্সিস মারা গেলেন। তার মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক বিশ্বাসীরা এবং অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

জামায়াত নেতা আজহারের আপিল শুনানি মঙ্গলবার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
জামায়াত নেতা আজহারের আপিল শুনানি মঙ্গলবার

0-0x0-0-0#

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানির জন্য মঙ্গলবার কার্যতালিকায় থাকবে।

আপিল শুনানির জন্য উপস্থাপনের পর সোমবার বিচারপতি জুবায়ের রহমানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনটি উপস্থাপন করেছেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী শিশির মনির।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারের বিরুদ্ধে।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২ নম্বর, ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পান আজহারুল ইসলাম। এ ছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ৬ নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।

ওই দিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী (প্রয়াত) খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন (প্রয়াত) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ওই রায়ের রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট আবেদন করেছিলেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম। ২৩ পৃষ্ঠার পুনর্বিবেচনার এ আবেদনে মোট ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।

ওই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এছাড়া দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দিতে বলেছেন। সে অনুসারে আপিল প্রস্তুত করা হয়।