খুঁজুন
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২

গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিললো আরও ২২ মরদেহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:১৪ অপরাহ্ণ
গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিললো আরও ২২ মরদেহ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ ছাড়ালো। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

১৫ মাসেরও বেশি সময় পর গত মাসেই ফিলিস্তিনের গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। আর এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার থেকেই সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিহতদের মরদেহ।

আনাদোলু বলছে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার কছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩১৯ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে করে ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৭৪৯ জনে পৌঁছৈছে। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে দখলদার দেশটি এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

তথ্যসূত্র: আনাদোলু।

ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ
ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারের দাবি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নামছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে ছাত্রদল।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাংলা একাডেমি সংলগ্ন এলাকায় কতিপয় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য মঙ্গলবার রাতে নিহত হয়েছেন। সাম্যর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।

এদিকে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) থেকে তাৎক্ষণিক মিছিল বের করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস।

এ সময় ‘দফা এক দাবি এক, ভিসির পদত্যাগ’, আমার ভাইয়ের লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। মিছিলে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদপুরে ঠিকাদারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, চিরকুটে লেখা ছিল…

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ
ফরিদপুরে ঠিকাদারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, চিরকুটে লেখা ছিল…

ফরিদপুরের সদর উপজেলায় নুরুজ্জামান বুলবুল (৪৮) নামের এক ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক সুইসাইড নোট, যার একটিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার নাম উঠে এসেছে।

সোমবার (১২ মে) বিকেল ৪টার দিকে কৈজুরি গ্রামের পৈতৃক বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এরপর লাশ পাঠানো হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। পুলিশ জানিয়েছে, এটি নিছক আত্মহত্যা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে—তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মরদেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা একটি চিরকুটে লেখা ছিল -‘বিল্লাল ভাই আমাকে আর বাঁচতে দিলেন না।’ ধারণা করা হচ্ছে চিঠির বিল্লাল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক। একসময় আলোচিত মানি লন্ডারিং মামলায় তিনি কারাভোগও করেন। একই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, যার মুরগির খামারে বিল্লাল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন।

জানা যায়, নিহত নুরুজ্জামান বুলবুল ও বিল্লাল হোসেনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তারা যৌথভাবে মুন্সিবাজার বাইপাস মোড়ে একটি চারতলা ভবন নির্মাণ করেন। তবে বিগত বছরগুলোতে তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন ও পারিবারিক কারণে দূরত্ব তৈরি হয় বলে স্থানীয়দের দাবি।

নিহতের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বুলবুলের স্ত্রী ও তিন মেয়ে রয়েছে। মেঝ মেয়ের প্রথম বিয়ে বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয় বিয়ে হয় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদের সঙ্গে। এই ঘটনা পরিবারে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দেয়। পরে বুলবুল পারিবারিক কলহ নিরসনে কিছু জমি মেয়েদের নামে লিখে দেন।

অন্য একটি চিরকুটে তিনি মৃত্যুর আগ মুহূর্তে লেখেন, আল্লাহ পাক যদি আমার মৃত্যু দেয় তাহলে আমার মেয়েরা যেন আমার মরামুখ না দেখে আর কবর যেন আমার মায়ের কবরের পাশে হয়, এ বাড়িতে নয়।

ঘটনার পর আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ইঞ্জি. হাসান রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ইঞ্জি. হাসান রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ

ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুর থানা, ১২ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার হাসান রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও অনৈতিকভাবে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছেন হাসানের পরিবার বর্গ ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়।

পরিবারের পক্ষে মো: মেহেদী আহসান গুড্ডু লিখিত বক্তব্যে বলেন ‘মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডে ভাড়াটিয়া হিসেবে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছি। ভিকটিম ইঞ্জিনিয়ার হাসান রহমান আমার শ্যালক, একজন সুশিক্ষিত ব্যক্তি। তিনি দীর্ঘ দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত, তিনি ৩২ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব এবং জুলাই আন্দোলনের গুলিবিদ্ধ আহত সৈনিক।

জনাব মো: মেহেদী আহসান গুড্ডু বলেন,
বিগত ৭ ইং মে দিবাগত রাত আনুমানিক ১২-০০ ঘটিকায় প্রশাসন তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জানা যায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রসাশন তাঁকে তুলে নেওয়া হয়েছে। মেহেদী হাসান বলেন, ভোর রাতে হাসান রহমান কে নিয়ে প্রশাসনের সদস্য বৃন্দ আমার বাসায় আসেন এবং রুম তল্লাশী করে ঘরে রাখা ব্যক্তিগত নগত ৬০,০০০/- (তিষট্টি হাজার) টাকা এবং সংসারে ব্যবহৃত দাঁ ও ব্যবহৃত চাঁপাতি পায়।

পরদিন মোহাম্মদপুর থানা থেকে জানা যায়, শ্যালক ইঞ্জি. হাসানের বিরুদ্ধে ০৩ টি মামলা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়ায় তাকে জেল হাজতেও পাঠানো হয়েছে। জনাব হাসান দাবী করেন, মামলায় আনিত অভিযোগের সাথে তাঁর শ্যালকের বিন্দুমাত্র সমপর্ক নেই, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। সে ইতিপূর্বে ও কোন অপকর্মে জড়িত ছিল না৷

সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্তের বড় ভাইসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য, ইঞ্জি. হাসানকে নির্দোষ দাবী করেন এবং নিরুপায় হয়ে সবার সুদৃষ্টি কামনা করেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন