খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

নায়িকা মেঘলার বাসায় লুকিয়ে তাকেই হত্যা করেন ওবায়দুল কাদের!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫, ৫:০১ অপরাহ্ণ
নায়িকা মেঘলার বাসায় লুকিয়ে তাকেই হত্যা করেন ওবায়দুল কাদের!

গেল বছর ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের।সেসময় দলটির সভানেত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীই গ্রেপ্তার বা পলাতক রয়েছেন।তবে আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়ার পর হাসিনার পর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে যার নাম, তিনি দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

কাদেরের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে নানা সময় নানা তথ্য জানা যায়।কখনো সিলেটে অবস্থান কিংবা হংকং বা ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনা গেলেও কার্যত এখন পর্যন্ত ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর ওবায়দুল কাদের।

সর্বশেষ নাগরিক টিভির নাজমুস সাকিবের উপস্থাপনায় জানানো হয়, নবাগত নায়িকা মেঘলার মৃত্যু রহস্য নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের লালসার শিকার হয়েছিলেন প্রয়াত এই নায়িকা।যেখানে আরো জানানো হয়, ওবায়দুল কাদেরের কল লিস্ট ট্র্যাকিং এ জানা গেছে ৫ আগস্ট সর্বশেষ ওবায়দুল কাদেরের ব্যাবহৃত ফোন নাম্বারটির লোকেশন দেখায় মোহাম্মদপুরে ।তারপর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় কাদেরের ফোন।

মোহাম্মদপুরের ট্র‌্যাক করা লোকেশন থেকে নায়িকা মেঘলার বাসার দূরত্ব বেশি নয় উল্লেখ করে সাংবাদিক সাকিব আরো জানান ৫ আগস্ট এর পর ওবায়দুল কাদের নায়িকা মেঘলার বাসায় লুকিয়ে ছিলেন।

তাঁদের সূত্র আরো জানায়, নায়িকা মেঘলার বাসায় আশ্রয় নেন ওবায়দুল কাদের।মেঘলা যাতে ওবায়দুর কাদেরের কথা ফাঁস করতে না পারে তাই মেঘলাকেই দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

পাইকগাছায় সিরাতুল হুদা ট্রাস্ট এর উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৮:৫২ অপরাহ্ণ
পাইকগাছায় সিরাতুল হুদা ট্রাস্ট এর উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আজ (১৪ মার্চ)খুলনার পাইকগাছায় পবিত্র মাহে রমাদান উপলক্ষে স্থানীয় সিরাতুল হুদা ট্রাস্ট এর উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য এ্যাড: লিয়াকত আলী (প্রধান উপদেষ্টা, শামছুর রহমান ফাউন্ডেশন)।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওঃ আমিনুল ইসলাম (জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য), উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ সাইদুর রহমান, মাওঃ আব্দুল খালেক,পৌর আমীর ডাঃ আসাদুল হক,অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম, আবু জার গিফারী।

এ সময় বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, ছাত্রশিবির দক্ষিণের সভাপতি আবু জার গিফারী,এ্যাডঃ রুহুল আমিন,আসাদ আল হাফিজ, জেড এইচ শাহীন, মোঃ হারুন অর রশিদ,মোঃ শরিফুল ইসলাম।

যৌথ অভিযানে ৭ দিনে ৩৮৩ অপরাধী গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩৭ অপরাহ্ণ
যৌথ অভিযানে ৭ দিনে ৩৮৩ অপরাধী গ্রেপ্তার

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৮৩ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিট কর্তৃক অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সকল যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ৩৮৩ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, একটি রিভলবার, দুটি শুটার গান, গোলাবারুদ, ককটেল বোমা, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনাবশত অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যগণ জনসাধারণের জানমাল রক্ষায় নিরাপত্তা প্রদান, উদ্ধার কার্যক্রম ও অগ্নি নির্বাপনে অংশ নেয়।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

‘সংস্কার সংক্ষিপ্ত হলে নির্বাচন ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে জুনে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩৩ অপরাহ্ণ
‘সংস্কার সংক্ষিপ্ত হলে নির্বাচন ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে জুনে’

রাজনৈতিক দলগুলো যদি ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজে’ সম্মত হয় তবে নির্বাচন ডিসেম্বরে আর যদি তা না হয়ে তারা ‘বৃহত্তর সংস্কার প্যাকেজ’ গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে আগামী বছরের জুনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে ঢাকায় সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সফরের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনার আসার সময়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার এ সফর শুধু রোহিঙ্গাদের জন্যই নয়, বাংলাদেশের জন্যও যথাসময়ে হয়েছে।

সংস্কার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করে ড. ইউনূস গুতেরেসকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে এরই মধ্যে ১০টি রাজনৈতিক দল তাদের প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের লক্ষ্য গঠিত ছয়টি কমিশনের সুপারিশ মেনে নেয়, তাহলে তারা জুলাই চার্টার বা জুলাই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করবে। যা দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের রূপরেখা হবে।

সাক্ষাৎকালে ড. ইউনূস গুতেরেসকে স্বচ্ছ, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান, সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রবাব ফাতেমা এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস উপস্থিত ছিলেন।