খুঁজুন
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২

কোরআনের শিক্ষা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সম্ভব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৩:৫৮ অপরাহ্ণ
কোরআনের শিক্ষা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সম্ভব

পবিত্র কোরআনের শিক্ষা ও আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

শনিবার (৮ মার্চ) ঢাকায় অফিসার্স ক্লাবে বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতি, ঢাকা আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ২০২৪-২৫ ‘আল কোরআনের আলোকযাত্রা গ্র্যান্ড ফিনালে’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণ করেন।

এক শ্রেণির লোক নারীর প্রতি সহিংস আচরণ করে, এটা পরিহার করতে হবে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, পবিত্র কোরআনের সুরা আল মুজাদালা নাজিল হয়েছে এক নারীর আর্তনাদে।

পুরুষ ও নারী এক স্থান থেকে উৎসারিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, পবিত্র কোরআনে নারীকে সম্মানিত করা হয়েছে। হাদিস শরীফে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় তিনি কোরআনের আদর্শ সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, পবিত্র কোরআনের চর্চা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। কোরআনের অনুশীলন, অনুধাবন ও আহকামের প্রতি মনোযোগী হলে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র কাঠামো গঠন করা সম্ভব।

তরুণদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে আমাদের আগামীর দিনগুলো সুন্দর হবে।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, জামালপুর জেলা সমিতি ঢাকার সভাপতি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ শাফিল মাহমুদ শামীম।

বয়সভিত্তিক চারটি গ্রুপে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিশিষ্ট ওলামায়ে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে নেত্রকোনা জেলার আব্দুল্লাহ সাঈদ মুনতাহা, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নেত্রকোনার দিদারুল ইসলাম ও টাঙ্গাইলের আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ওয়াইসি তৃতীয় স্থান অধিকার করে।

দুমকিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বসতি নির্মান ও প্রাননাশের হুমকি, অভিযোগ ভুক্তভোগীর

মোঃ নাসির উদ্দিন জুয়েল, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ণ
দুমকিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বসতি নির্মান ও প্রাননাশের হুমকি, অভিযোগ ভুক্তভোগীর

পটুয়াখালীর দুমকীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা নাকরে বসতি নির্মাণ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ সহোদর ভাই নুরুল ইসলাম হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে।

শনিবার সকাল ১১টায় দুমকী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সহোদর আঃ খালেক হাওলাদার। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নুরুল ইসলাম হাওলাদার। খালেক হাওলাদার লিখিত অভিযোগে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল ভাই নুরুল ইসলামের সাথে। ২০১১ সালে বিরোধ মিমাংশা করতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিস বৈঠক করে রোয়েদাদনামার মাধ্যমে বিরোধীয় জমি বুঝাইয়া দিলেও কিছুদিন পর শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জবরদখল করে তার ভাই। এরপরই ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি পটুয়াখালী সিনিয়র জজ আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী ।ওই বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী আদালত উক্ত জমিতে স্থাপনা নির্মাণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পুনরায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে খালেক হাওলাদার বাঁধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তাঁরা। প্রান রক্ষার জন্য ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর তারিখে পটুয়াখালী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০৭/১১৪/১১৭( সি) মামলা দায়ের করলে দুমকী থানার এএসআই দুলাল সরকার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ বছরের এপ্রিল মাসের গত সপ্তাহে পুনরায় নিষেধাজ্ঞার জমিতে স্থাপনার কাজ শুরু করলে দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্মরনাপন্ন হলে তিনি আমাদের উভয়পক্ষকে ডেকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানতে পরামর্শ দেন। প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করতে শুরু করলে আমরা বাঁধা প্রদান করতে গেলে তাঁরা আমাদেরকে প্রাণে মারার হুমকি দেন।
অভিযোগের বিষয়ে নুরুল ইসলামের ছেলে নাসির হাওলাদারের ব্যক্তিগত নাম্বারে কল করলে রিসিভ করে কোন জবাব না দিয়ে কল কেটে দেন।
দুমকী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন জানান, যেহেতু নুরুল ইসলাম আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ করতেছে সেক্ষেত্রে তাঁরা আদালতকে অবহিত করলে আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন চাইলে আমি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবো বলে নিশ্চিত করেন।

কলুষিত রেকর্ড ভাঙলেন মহিউদ্দিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবির সেক্রেটারির হল ছাড়ার ছবি ভাইরাল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৩৫ অপরাহ্ণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবির সেক্রেটারির হল ছাড়ার ছবি ভাইরাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দীর্ঘদিনের একটি আলোচিত সংস্কৃতি ছাত্রত্ব শেষে হওয়ার পরেও ছাত্ররা হলে সিট দখল করে রাখা। শুধুমাত্র ছাত্রনেতারাই নন, চাকরিপ্রার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এ প্রথায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তবে গত বছরের জুলাই মাসের ছাত্র-আন্দোলনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে।

এই নতুন বাস্তবতায় ব্যতিক্রমী এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান। স্নাতকোত্তরের ফল প্রকাশের পরপরই তিনি নিজ উদ্যোগে হল ছেড়ে দিয়েছেন। ছাত্ররাজনীতিতে এমন সচেতন পদক্ষেপের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

গত ২২ এপ্রিল প্রকাশিত স্নাতকোত্তর ফলাফলে মহিউদ্দিন খান ৩.৯৭ সিজিপিএ নিয়ে ব্যাচে প্রথম হন। এরপর ২৫ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে হল ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।

তার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ফেসবুকের এক মন্তব্যে সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, “আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি হিসেবে এখনও হলে অবস্থান করলে হয়তো বাধা দেয়ার সাহস কারও থাকতো না। কিন্তু নিজের থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীর মতো হল ছাড়ছেন—এটাই বড় মানসিকতা।”

আরেকজন মেহেদুল ইসলাম লেখেন, “সেই ছাত্রলীগের ভয়াল গণরুম-গেস্টরুম কালচার আর ফিরে না আসুক। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার সাথে সাথে হল ছেড়ে দেয়া—নতুন বন্দোবস্তের ক্ষুদ্র পদক্ষেপ।”

নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে মহিউদ্দিন খান লেখেন, “হলের সুন্দর এই পরিবেশ চলমান থাকবে যদি ছাত্রজীবন শেষ হওয়ার পর আমরা নিয়ম মেনে হল ছেড়ে দিয়ে অনুজদের অধিকার বুঝিয়ে দিই। আর্থসামাজিক বাস্তবতায় সিদ্ধান্তটা কঠিন মনে হলেও, যারা ছাত্রলীগের জুলুম সহ্য করেছে, তারা আর নতুন জুলুমের জন্ম দিতে পারে না।”

তিনি আরও জানান, প্রথম বর্ষে হলে ওঠার ১২-১৩ দিনের মধ্যে গেস্টরুমের ভয়াবহতা তাকে হল ছাড়তে বাধ্য করেছিল। এরপর দ্বিতীয় বর্ষের শেষদিকে লিগ্যাল এলিমেন্টে থাকার সুযোগ পেলেও ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি এক ভয়াবহ রাতের কথা উল্লেখ করে বলেন, “শাহরিয়াদ ও মাহমুদের উপর ছাত্রলীগ যে নির্যাতন চালায়, তার জেরে আমাকেও ঝুঁকির মুখে হল ছাড়তে হয়েছিল। মাসের পর মাস হলমুখো হওয়া যায়নি।”

স্নাতকোত্তর শেষ করার পর নিয়ম অনুযায়ী হল ত্যাগ করেছেন বলেও জানান তিনি। তার ভাষায়, “ছাত্রলীগ হলে সিট নিয়ন্ত্রণ করে শিক্ষার্থীদের উপর দখলদারি কায়েম করতো। কিন্তু জুলাইয়ের পর হলে এখন নিয়মতান্ত্রিকতা ফিরে এসেছে। গণরুম-গেস্টরুমের সেই জঘন্য চর্চা আর নেই। এখন সবাই নিয়মমাফিক হলে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন।”

মহিউদ্দিন খানের হল ছাড়ার এই পদক্ষেপকে অনেকে দেখছেন একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে, যেখানে ছাত্ররাজনীতির নেতারা নিয়মকানুন মেনে চলার মাধ্যমে একটি সুস্থ সংস্কৃতি গড়তে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন।

ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখায় আবারও গোলাগুলি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:১৫ অপরাহ্ণ
ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখায় আবারও গোলাগুলি

কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার পর পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় দিনের মতো শুক্রবার দিবাগত রাতে গোলাগুলি হয়েছে। পেহেলগামে হামলার পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এক দেশ অন্য দেশের বিরুদ্ধে পালটাপালটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ভারতের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) বিভিন্ন পয়েন্টে পাকিস্তানি বাহিনীর সেনাচৌকি থেকে ‘উসকানিমূলকভাবে’ হালকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। জবাবে ভারতীয় বাহিনীও পালটা গুলি ছোড়ে।

ভারতের সেনাবাহিনীর দাবি, গত বৃহস্পতিবার রাতেও পাকিস্তানি বাহিনী থেমে থেমে গুলি চালিয়েছিল। তবে ওই ঘটনায় ভারতীয় দিক থেকে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

কাশ্মীর পুলিশের দাবি, ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় তিনজন সন্দেহভাজন সশস্ত্র সদস্য অংশ নেন, যাদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক। পাকিস্তান এই ঘটনায় কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

এই হামলার ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে নানা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাকিস্তান তার আকাশসীমা ভারতীয় বিমান বন্ধ- ঘোষণা দিয়েছে। একইভাবে ভারত ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি বণ্টন স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।

কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকলেও মাঝেমধ্যেই সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে থাকে। কাশ্মীর অঞ্চলটি দুই দেশই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে।