খুঁজুন
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে দেখে সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিংকালে এ আহ্বান জানান। পরে তিনি প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, পবিত্র রমজান মাসে আমি সংহতির বার্তা নিয়ে কক্সবাজারে এসেছি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সংহতি জানাই। আর তাদের উদারভাবে আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশি জনগণের প্রতিও আমার সংহতি রইল।

‘আমি এখানে এসেছি শুধু তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরার জন্য নয়, বরং তাদের সম্ভাবনার ওপর বৈশ্বিক দৃষ্টি আকর্ষণে করতেও। এখানে বসবাসকারী ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আত্মসম্মানবোধ-সম্পন্ন। তারা সংগ্রামী। বৈশ্বিক সমর্থন তাদের প্রয়োজন। ’

তিনি বলেন, কয়েক দশকের বৈষম্য ও নিপীড়নের পর আট বছর আগে রাখাইন রাজ্যে ভয়াবহ গণহত্যার ফলে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা দেশ (মিয়ানমার) ছাড়তে বাধ্য হন। সম্প্রতি আরও অনেক রোহিঙ্গা এসেছেন, যারা নির্মম নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছেন, যা সামগ্রিকভাবে মুসলিমবিরোধী বিদ্বেষকে উসকে দিয়েছে।

‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এখানে এসেছেন সেই মৌলিক চাহিদার জন্য, যা বিশ্বের যেকোনো মানুষেরই থাকে—সুরক্ষা, সম্মান এবং নিজেদের ও পরিবারের নিরাপত্তা। আমি আজ অনেকের সঙ্গে দেখা করেছি ও কথা বলেছি—তাদের সাহস আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে, আর তাদের দৃঢ়চেতা মনোভাব আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে,’ বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

‘অনেকেই মিয়ানমারে তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এবং এখানে আসার পথের কষ্টকর অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন। তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চান—মিয়ানমারই তাদের মাতৃভূমি। নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনই এই সংকটের মূল সমাধান। ’

মিয়ানমারের সব পক্ষের প্রতি সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, বেসামরিক জনগণের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিন এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও সহিংসতা আরও উসকে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন—যেন গণতন্ত্রের শেকড় গজাতে পারে।

‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ, বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যে। যতদিন না রাখাইনে সংঘাত ও পরিকল্পিত নিপীড়ন শেষ হচ্ছে, ততদিন সুরক্ষার জন্য আশ্রয় খোঁজা ব্যক্তিদের পাশে থাকতে হবে আমাদের। ’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমরা গভীর মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে। অর্থ সহায়তা কাটছাঁটের কারণে ২০২৫ সালে মানবিক সহায়তার জন্য আগের বছরের তুলনায় মাত্র ৪০ শতাংশ তহবিল পাওয়া যেতে পারে— যা বড় ধরনের সংকট তৈরি করতে পারে। এর পরিণতি হবে ভয়ংকর—মানুষ কষ্ট পাবে, আর অনেকেই প্রাণ হারাবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই মানবিক সহায়তায় বিনিয়োগ করা জরুরি, কারণ এই লোকেরা এরইমধ্যে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করেছে। সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। আমাদের স্বীকার করতে হবে যে বাংলাদেশের জনগণ বিশাল ত্যাগ স্বীকার করে তাদের ভূমি, বনভূমি, সীমিত পানি ও সামান্য সম্পদ শরণার্থীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করছে।

গুতেরেস আরও বলেন, আমি শেষবার কক্সবাজারে এসেছিলাম ২০১৮ সালে। শরণার্থী শিবিরগুলোতে অনেক পরিবর্তন ও উন্নতি দেখেছি। তবে এখনো নানা ধরনের বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এই শিবির ও আশ্রয়দাতা বাংলাদেশি জনগণ সরাসরি জলবায়ু সংকটের মুখোমুখি।

‘গ্রীষ্মকালে তীব্র তাপদাহ, আর আগুন লাগার ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় ও বর্ষার মৌসুমে বন্যা ও ভয়ংকর ভূমিধস বাড়িঘর ধ্বংস করে, জীবন কেড়ে নেয়। এখানকার মানুষ শুধু খাদ্য সহায়তা নয়, বরং শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগও চায়। ’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, যখন ভবিষ্যতের আশা কমে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই সহিংসতা, অপরাধ ও নিরাপত্তা সংকট বাড়ে। কিছু রোহিঙ্গা পরিবার নিজেদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত দেখে জীবন বাজি রেখে বিপদসংকুল সমুদ্রযাত্রায় ঝুঁকতে বাধ্য হচ্ছে।

‘মানবিক সহায়তা যেন তাদের কাছে পৌঁছায়, সেটি নিশ্চিত করা আমাদের বিশেষ দায়িত্ব। তাদের সামনে এ প্রমাণ হাজির করতে হবে যে, বিশ্ব তাদের ভুলে যায়নি। ভালো সময়েও এই মানবিক সহায়তা কখনোই যথেষ্ট ছিল না। আর এখন তো সময় আরও কঠিন। ’

তিনি বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং বহু মানবিক ও উন্নয়নমূলক এনজিও বড় ধরনের তহবিল সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। এটি মানুষের জীবনে ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে—তাদের বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত খাবার, চিকিৎসা ও জরুরি সেবা, সুরক্ষা —সবই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। শরণার্থীরা সম্পূর্ণভাবে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বাজেট সংকোচনের ভয়াবহ প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে কক্সবাজারে থাকা অসহায় মানুষের ওপর। তহবিল সংকোচনের ভয়াবহ মূল্য মানুষকে জীবন দিয়ে দিতে হয়। শেষ পর্যন্ত এর স্থায়ী সমাধান মিয়ানমারেই হতে হবে।

‘শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আমরা হাল ছাড়ব না। এর আগে আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সংহতি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন—তেমনি বাংলাদেশের প্রতিও। ’

‘এই পবিত্র রমজান মাসে আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই— রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও তাদের আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি শুধু কথায় নয়, কার্যকর পদক্ষেপ ও বাস্তব সহায়তার মাধ্যমে প্রদর্শন করুন,’ বলেন তিনি।

সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ অভিযানে কষ্টিপাথরসহ ৩ জন গ্রেফতার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টাার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ অভিযানে কষ্টিপাথরসহ ৩ জন গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২, এর দিকনির্দেশনায় গত ০৮ মে,সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল ‘‘বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন ১০নং শাহবন্দেগী ইউপির অন্তর্গত রাজবাড়ি মুকুন্দ গ্রামস্থ জনৈক মওলানা মোঃ আল-আমিন এর পুকুরের দক্ষিন পাশের্^ অবস্থিত মাছের খাবারের টিনের ঘরে ভিতর’’ একটি অভিযান পরিচালনা করে মহামূল্যবান কষ্টিপাথরের তৈরি বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার সহ ০৩ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণ ১। মোঃ  নাসিম উদ্দিন (২৮), পিতা- মোঃ আঃ সালাম, ২। মোঃ ফরিদ প্রামানিক (৩৫), পিতা- মৃত আলিমুদ্দিন প্রামানিক, উভয় সাং- রাজবাড়ি মুকুন্দ, ৩। মোঃ বুলবুল আহাম্মেদ (৪০), পিতা- মৃত রইস উদ্দিন, সাং- আড়ং শাইল, সর্ব থানা- শেরপুর, জেলা- বগুড়া।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আসামিগণ মহামূল্যবান কষ্টিপাথরের তৈরি বিষ্ণু মূর্তি নিজ হেফাজতে রেখে বাংলাদেশ হইতে বিদেশে পাচারের কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণের বিরুদ্ধে বগুড়া জেলার শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন জতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র নেতাকর্মীরা। তবে পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।

আর এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে খেলার মাঠ থেকে দায়িত্ব পালন করতে জার্সি পরেই যমুনার সামনে ছুটে আসেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

এরই মধ্যে জার্সি পরা এই কর্মকর্তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নেটিজেনরা এই পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠা দেখে প্রশংসা করছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন মন্তব্য করে উৎসাহ দিচ্ছেন।

ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিতে দেখা যায়, ডিসি মাসুদ আলম সবুজ-হলুদ রঙের জার্সি ও লাল রঙের হাফ প্যান্ট পড়ে যমুনার সামনে দায়িত্ব পালন করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

ডিসির ছবিটি নিজের ফেসবুকে ওয়ালে পোস্ট করে একজন লিখেছেন, রমনা জোনের ডিসি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতা হঠাৎ করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ ঘেরাও করলে বেচারা খেলার মাঠ থেকে সরাসরি ডিউটিতে!

এর আগে, এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দেন। এ অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে যমুনার সামনে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত সাড়ে ১০টা থেকে যমুনার সামনে ডিউটিরত পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

যমুনার সামনে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও এপিবিনের সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। তারা কড়া অবস্থান নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যমুনার সামনে অতিরিক্ত পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আ’লীগকে কারা নিষিদ্ধ চায় আজকের সমাবেশেই বোঝা যাবে: হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১২:০০ অপরাহ্ণ
আ’লীগকে কারা নিষিদ্ধ চায় আজকের সমাবেশেই বোঝা যাবে: হাসনাত

রাজনৈতিক দল হিসেবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে কারা নিষিদ্ধ করতে চায় সেটি আজকের সমাবেশ থেকেই বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শুক্রবার (৯ মে) সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত বলেন, ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে সেখানে। আজকে সবাই বুঝতে পারবেন কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।

দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিবন্ধন বাতিল করে নিষিদ্ধ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না।

এ সময় হাসনাত বলেন, ‘ফোয়ারার সামনে থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের যে রাস্তা রয়েছে, যেই রাস্তা বাংলামোটর পর্যন্ত গিয়েছে, পুরো রাস্তা আজকে জনসমুদ্রে পরিণত করব।’

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘জুমার পর ছাত্রজনতা ফোয়ারার সামনে অবস্থান নেবে। ফয়সালা করেই আমরা ঘরে ফিরব। কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় আর কারা চায় না তা আজ ফয়সালা হবে।’ বাদ জুমা সব নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সারাদেশের জনগণকে জুলাই আন্দোলনের মতো রাজপথে নেমে আসার আহ্বানও জানান হাসনাত। পরে ফেসবুক পোস্টেও সেই কর্মসূচির কথা জানান হাসনাত।

হাসনাত তার পোস্টে লিখেছেন, বাদ জুমা যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।’

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শাসন আমলে টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদের দেশত্যাগের সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই উত্তাল দেশের রাজনীতি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ চলছে।