খুঁজুন
রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

প্রসাধনীর দাম বেড়েছে কয়েক গুণ, কমেছে ক্রেতা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ
প্রসাধনীর দাম বেড়েছে কয়েক গুণ, কমেছে ক্রেতা

ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। কেনাকাটার ভিড় লেগেছে রাজধানীর মার্কেটগুলোতে। রাজধানীর অন্যান্য এলাকার মতো অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত ধানমন্ডির মার্কেটগুলোতেও জমে উঠেছে বেচাকেনা। এখানে জামা-কাপড়ের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও মেয়েদের প্রসাধনীর দোকানগুলো একেবারে ফাঁকা। এর কারণ হিসেবে দোকানিরা বলছেন, প্রসাধনীর দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ‘সীমান্ত সম্ভারে’ যেসব ক্রেতা আসছেন তাদের বেশিরভাই নিজস্ব গাড়িতে আসছেন। আর ‘সীমান্ত স্কয়ারে’ আসা ক্রেতাদের বেশিরভাগই রিকশা অথবা বাইকে আসছেন। মূলত সীমান্ত স্কয়ারে মধ্যবিত্ত আর সীমান্ত সম্ভারে উচ্চবিত্ত ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া আশেপাশের নামি-দামি ব্রান্ডের শো-রুমগুলোতেও উচ্চবিত্তদের ভিড় চোখে পড়েছে।

সীমান্ত স্কয়ারে বিউটি প্রোডাক্ট ব্র্যান্ড ‘ফ্লোমার’ এর কর্মকর্তা মো. শাহনেওয়াজ খান বলেন, গত বছরের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় মেয়েদের প্রসাধনীতে চাহিদা কমেছে। অন্য বছর এসময় আমরা কারো সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেতাম না। আর এবার বসে আছি। প্রসাধনী পণ্যে ভ্যাট ও ট্যাক্স বেশি আরোপ হওয়ায় গত বছরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ দাম বেড়েছে। এটাই এই পণ্যের চাহিদা কমার কারণ।

ঈদ শপিংয়ে সীমান্ত সম্ভারকে বেছে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে রায়েরবাজার থেকে ঈদ শপিংয়ে আসা দম্পতি রাহাত ও সীথি বলেন, শপিংয়ে আসার আগে আমরা দুজনে অনলাইনে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট দেখে এসেছি। আর যে গুলো দেখেছি তার সবই সীমান্ত সম্ভারে আছে। এজন্য এখানে আসা। এছাড়া হাতের কাছে যদি সবকিছু পাওয়া যায় তাহলে এত যানজট ঠেলে বসুন্ধরায় যাওয়ার কোনো কারণ আমি দেখি না। একটু আরামে শপিং করাটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

সীমান্ত স্কায়ারে শপিংয়ে আাসা রিয়াদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমার বাসা ধানমন্ডির ১৫ নাম্বারের ভেতরে। আমি প্রতিবার আশপাশের যে শপিংমলগুলো আছে সেগুলো থেকে কেনাকাটা করি। এতে আমার সময় বাঁচে।

বসুন্ধরা বা সীমান্ত সম্ভারে না গিয়ে সীমান্ত স্কয়ারকে বেছে নেওয়ার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্ত সম্ভারে গিয়েছিলাম। ওখানে একটু ভিড় বেশি। আবার দামও বেশি। কিন্তু এখানে ভিড়ও কম, দাম হাতের নাগালের মধ্যে রয়েছে।

সীমান্ত সম্ভার ও সীমান্ত স্কয়ার পাশাপাশি হওয়ায় পণ্যের দামের পার্থক্য খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। দুই জায়গাতে প্রায় একই রকম দাম লক্ষ্য করা গেছে।

সরেজমিনে ধানমন্ডির আড়ং, ইস্টাসি ও বেশ কয়েকটি দামি ব্র্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, এসব শোরুমে এখনো তুলনামূলক ভিড় কম। তবে যারা এখানে আসছে তাদের বেশিরভাগ উচ্চবিত্ত।

ধানমন্ডিতে উদ্বোধন হওয়া নতুন আড়ংয়ের শো-রুম ঘুরে দেখা যায়, এখানে সবধরনের প্রোডাক্ট আছে। মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সব শ্রেণির মানুষই এখান থেকে সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটা করতে পারছেন। তবে চোখ আটকানোর মতো কিছু নিতে গেলে যেতে হবে আড়ংয়ের এই শো-রুমের স্টোরি বাই আড়ং সেকশানে। সেখানে একটি সিঙ্গেল পিসের দাম শুরু হয় ১৮ হাজার টাকা থেকে। আবার একটি শাড়ির দাম ৫০ হাজার টাকাও রয়েছে। এই সেকশনে নয় হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অনেক প্রোডাক্ট রয়েছে।

আড়ং থেকে শপিং করে বের হয়ে যাওয়ার সময় কথা হয় সুমি নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, আড়ং থেকে শপিং করা হয় এজন্য যে, এখানে একটা বিশ্বাস কাজ করে, যা অন্য কোথাও করে না। প্রতিবারের মতো এবারও তাই এখান থেকে কেনাকাটা করলাম। এছাড়া এক ছাদের নিচে চাহিদা মতো সব পাওয়া যায় বলেও আড়ংকে তিনি বেছে নিয়েছেন বলে জানান।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেনাপ্রধানের স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কিছু সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেন, ‘ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তার স্ত্রী।’

উল্লেখ্য, একই দিনে দুপুরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানও তার স্ত্রীসহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঈদ উপলক্ষে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এই সাক্ষাৎ ছিল রাষ্ট্রীয় সৌজন্যের অংশ হিসেবে।

ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

ঈদুল আজহার দিনেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। খবর আল জাজিরার।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নগরীর আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-শিফা হাসপাতালে।

নগরীর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিহত পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দাইর আল-বালাহ শহরে নিহত আরও পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে।

দাইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু-আজৌম বলেন, গাজায় ঈদ এমনই দেখা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় এ বছর আনন্দের বদলে বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি ও প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে ঈদের দিনটি পার হচ্ছে।

১৯ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেই সঙ্গে ঘর ছাড়া হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এ হামলার ফলে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ইসরাইলি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় অনেক ইহুদি বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যান।

ইসরাইলি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনি নেতারা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের এ ধরনের হামলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে এবং গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রতিরোধ কৌশলের অংশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘আল আকসা ঝড়’ নামে এক আকস্মিক পাল্টা হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। সেই থেকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে।