খুঁজুন
রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

চাহিদার সঙ্গে দামও বেড়েছে দেশি পোশাকের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ
চাহিদার সঙ্গে দামও বেড়েছে দেশি পোশাকের

ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। শেষ সময়ে রাজধানীর মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে কেনাকাটা। ঈদের কেনাকাটায় ছোট-বড়, ধনী-গরিব কেউ পিছিয়ে নেই। নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতারা ছুটছেন ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট-বড় মার্কেট ও বিপণি-বিতানগুলোতে। ক্রেতাদের এই ভিড়ে দোকানিদেরও ব্যস্ততার শেষ নেই।

রাজধানীর মৌচাকের সেন্টার পয়েন্ট। এই মার্কেটটির প্রতিটি দোকানে বাচ্চাদের প্রায় সবধরনের পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, দাম এবং মান দুটোতে সেরা এই মার্কেটটি। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দেশি পোশাকের চাহিদা অনেক বেড়েছে। তাই কিছুটা বাড়তি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

বিজ্ঞাপন

এই মার্কেটে বাচ্চাদের পোশাক কিনতে মেয়েরাই বেশি আসছেন। ক্রেতাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী। মায়েরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এসে পছন্দের পোশাক কিনছেন। গতবারের তুলনায় এবার বিক্রি ভালো। এজন্য সন্তোষ প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।

ঈদ উপলক্ষে মোটামুটি ভালো বেচাবিক্রি হচ্ছে। কারণ ইন্ডিয়ান পণ্য আসতে না পারলেও সেই গ্যাপটা পূরণ করেছে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের মাধ্যমে। আমাদের এই মার্কেট মূলত বাচ্চাদের পোশাকের জন্যই সেরা। আর বাচ্চাদের সেই পোশাকগুলো কিনতে মায়েরা আসছেন। বাবারা খুব কম আসছেন। দুপুরের পর থেকে বেচাবিক্রি শুরু হয় এবং ইফতারের পর বাড়তে থাকে। এরপর মধ্যরাত পর্যন্ত চলতে থাকে বিক্রি। গতবারের তুলনায় এবার পোশাকের দাম কিছুটা বাড়তি।
সেন্টার পয়েন্টের কটন প্লাসের মোহাম্মদ সাজু
মার্কেটের বেশ কয়েকজন পোশাক বিক্রেতা জানান, দুপুর থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রচুর লোকের সমাগম হচ্ছে এই মার্কেটে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতাদের সমাগম বাড়তে থাকে। এই মার্কেটে বাচ্চাদের পর্যাপ্ত কালেকশন রয়েছে। ক্রেতারা নিজের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক কিনছেন।

বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাধ ও সাধ্যের মধ্য থেকে ঈদ কেনাকাটা সারছেন তারা। শুধু কাপড়ের দোকানে নয়, ভিড় রয়েছে জুতা, কসমেটিক্স, প্রসাধনীসহ অন্যান্য দোকানগুলোতেও।

ঈদের কেনাকাটায় মার্কেটগুলোতে প্রায় সবধরনের পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শার্ট-প্যান্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামা, ট্রাউজার, বাচ্চাদের পোশাক, শাড়ি, শার্ট পিস, প্যান্ট পিস, থ্রি-পিস, বেল্ট, জুতা, গেঞ্জি, লুঙ্গি ইত্যাদি। তবে এই মুহূর্তে ক্রেতাদের আকর্ষণ এবং আগ্রহ বেশি বাচ্চাদের পোশাকের দিকে।

রঙ-বেরঙের পোশাকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে সেন্টার পয়েন্টের দোকানগুলো। ঈদকে রঙিন করে তুলতে দোকানগুলোতে শিশুদের জন্য বাহারি পোশাক তোলা হয়েছে। ঈদ সামনে রেখে এবার শিশুদের পোশাকেও এসেছে বৈচিত্র্য।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মাসুদ রানা। তিনি রাজধানীর মৌচাকের সেন্টার পয়েন্টে এসেছেন বাচ্চাদের জন্য পোশাক কিনতে। তিনি বলেন, সব সময় এই মার্কেট থেকেই বাচ্চাদের পোশাক কিনি। এখানে ভালো পোশাক পাওয়া যায় এবং মানেও ভালো। দামটাও সাধ্যের মধ্যেই থাকে।

খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে গিয়েছিলাম। তবে ওখানে মনমতো পোশাক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এই মার্কেটে চলে এসেছি। এখানে এসে বাচ্চাদের জন্য পোশাক কিনেছি। বিভিন্ন দোকানে অনেক কালেকশন রয়েছে।
সেন্টার পয়েন্টে আসা ক্রেতা কুনসুমা রুমি
নিজের জন্য কী কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজের জন্য এখনো কিছু কেনা হয়নি। বাচ্চাদের জন্য আগে কিনছি। নিজের জন্য ওভাবে কখনো ভাবা হয় না। বাচ্চাদের আনন্দেই আমাদের আনন্দ।

রাজধানীর নন্দিপাড়া থেকে বাচ্চাদের পোশাক কিনতে মৌচাক সেন্টার পয়েন্টে এসেছেন বিপাশা আক্তার। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, সেন্টার পয়েন্টে বাচ্চাদের সুন্দর সুন্দর পোশাক পাওয়া যায়। দামও বেশি নয়। এই মার্কেট যেহেতু বাচ্চাদের পোশাকের জন্য সেরা, তাই এখানে এলে ঘুরে ঘুরে পছন্দের পোশাকটি পাওয়া যায়।

বাচ্চাদের পোশাক কিনতে সেন্টার পয়েন্টে এসেছেন কুনসুমা রুমি। অন্য মার্কেট রেখে এখানে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে গিয়েছিলাম। তবে ওখানে মনমতো পোশাক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এই মার্কেটে চলে এসেছি। এখানে এসে বাচ্চাদের জন্য পোশাক কিনেছি। বিভিন্ন দোকানে অনেক কালেকশন রয়েছে।

সোয়াদ ফ্যাশনের মো. সোহেল ঢাকা মেইলকে বলেন, দুপুরের পর থেকে এই মার্কেটে বিক্রি শুরু হয়ে চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতা বাড়তে থাকে। মোটামুটি ভালো বিক্রি হচ্ছে। এই মার্কেটে নারীরাই বেশি আসে।

সেন্টার পয়েন্টের কটন প্লাসের মোহাম্মদ সাজু ঢাকা মেইলকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে মোটামুটি ভালো বেচাবিক্রি হচ্ছে। কারণ ইন্ডিয়ান পণ্য আসতে না পারলেও সেই গ্যাপটা পূরণ করেছে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের মাধ্যমে। আমাদের এই মার্কেট মূলত বাচ্চাদের পোশাকের জন্যই সেরা। আর বাচ্চাদের সেই পোশাকগুলো কিনতে মায়েরা আসছেন। বাবারা খুব কম আসছেন। দুপুরের পর থেকে বেচাবিক্রি শুরু হয় এবং ইফতারের পর বাড়তে থাকে। এরপর মধ্যরাত পর্যন্ত চলতে থাকে বিক্রি। গতবারের তুলনায় এবার পোশাকের দাম কিছুটা বাড়তি।

সেন্টার পয়েন্টের মদিনাজের নুর মোহাম্মদ ঢাকা মেইলকে বলেন, দশম রোজা থেকে শুরু হয়ে শেষ রোজা পর্যন্ত ঈদের বেচাকেনা হয়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতা বেশি থাকে। গতবারের তুলনায় এবার বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে।

এই বিক্রেতা বলেন, এ মার্কেটটি মূলত বাচ্চাদের পোশাকের জন্য ভালো। সবধরনের ক্রেতাই এখানে আসে। তবে মিড লেভেলের ক্রেতা বেশি আসে। এবার দেশি কাপড়ে চাহিদা বেশি হওয়ায় দামটা একটু বেশি।

এমই/জেবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও গ্যারান্টিতে ঋণের টাকা শোধ করতে হবে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে

ধারের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে একীভূতকরণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ধারের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে একীভূতকরণ

বেসরকারি খাতের দুর্বল পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে একটি ইসলামী ধারার ব্যাংক করার সিন্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী জুলাই থেকে একীভূতকরণের পদক্ষেপ শুরু করে ১৫ অক্টোবর এই সাড়ে তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এ বিষয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এই সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর আর্থিক তথ্য যাচাই করা হবে। এর মধ্যে কোন ব্যাংক যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টিতে ধার করা টাকা ফেরৎ দিতে পারে তবে সেই ব্যাংককে আর একীভূত করা হবে না। সেটিকে তার স্বকীয়ভাবে চলতে দেওয়া হবে। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধারের টাকা ফেলৎ দিতে ব্যর্থ হলে একীভূতকরণ করা হবে। এ বিষয়গুলো তদারকি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচটি টিম গঠণ করবে। টিমে ব্যাংকগুলো থেকেও লোক নেওয়া হবে।

গত বুধবার আলোচ্য পাঁচ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিন্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিস্ট ব্যাংকগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এবার একীভূত করার ব্যাংকগুলোর যে তালিকা করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক। এসব ব্যাংকের মধ্যে আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে যেসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় দেওয়া ঋণ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টিতে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে দেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে পারবে এবং আর্থিক দুর্বল সূচকগুলোতে উন্নতি করতে পারবে সেগুলোকে একীভূত করার আওতায় থেকে বের করে দেওয়া হবে। ওইসব ব্যাংক স্বকীয় মর্যার্দা নিয়ে চলতে পারবে।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছিলেন দুর্বল ৬টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করা হবে। এর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকের নামও ছিল। পরবর্তীতে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তারা বলেছে, ন্যাশনাল ব্যাংক ইসলামী ধারার ব্যাংক নয়, সে কারণে ওইসব ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে পারে না। এছাড়া ব্যাংকটি নতুন ব্যবস্থাপনায় আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এসব কারণে তারা একীভ’ত হতে চাচ্ছে না। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও একীভূতকরনের তালিকা থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের নাম বাদ দেয়।

বিদেশি মালিকানায় পরিচালিত আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকও একীভূতকরণের আলোচনায় ছিল। তবে ব্যাংকটিতে বিদেশি মালিকানা থাকায় এ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষ ব্যাংকটিতে নতুন করে তহবিল জোগান দিতে চায়। কিন্তু সাবেক মালিক ওরিয়ন গ্রুপের পক্ষে একটি মামলা করায় বিদেশি মালিক পক্ষ ব্যাংকে মূলধন জোগান দিতে পারছে না। এর আগে ওরিয়ন গ্রুপ ব্যাংকটি ব্যাপক লুটপাট করেছে। ফলে তাদের শেয়ার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

বৈঠকে বলা হয়, একীভূতকরণের প্রথম ধাপ শেষে ব্যাংকগুলোকে সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই ব্যাংকগুলোর এমডিদের চুক্তি বাতিল হবে। আর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের বাছাই করা সদস্যসহ বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পর্ষদ গঠন করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ব্যাংকগুলো পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত জানুয়ারিতে এসব ব্যাংকের সম্পদের প্রকৃত অবস্থা যাচাইয়ের (একিউআর) জন্য দুটি আন্তর্জাতিক অডিটর নিয়োগ দেয়। সেই কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটি হলে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।

সত্যি নাকি গোপন কৌশল ?

সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, নতুন দল করছেন মাস্ক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ
সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, নতুন দল করছেন মাস্ক!

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। পাল্টাপাল্টি ব্যক্তিগত আক্রমণের মধ্যেই এবার নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের আভাস দিলেন টেসলা সিইও।

শুক্রবার নিজের নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করেন মাস্ক। দলের নাম ‘দ্য আমেরিকা পার্টি’। তবে এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনমত যাচাই করতে একটি ভোটের আয়োজন করেন তিনি।

সেখানে মাস্ক জানতে চান—যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন জরুরি কি না। ভোটে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশ মানুষ তাতে সম্মতি জানান।

এর পরই মাস্ক পোস্ট করেন, “জনতা রায় দিয়েছে। নতুন একটি পার্টির প্রয়োজন আছে যা ৮০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে। এটাই নিয়তি।”

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সাময়িকী দ্য হিল জানিয়েছে, ভোটের ফলাফল শেয়ার করে মাস্ক তার দলের নামও জানিয়ে দেন। যদিও দল গঠনের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা।

অনেকে বলছেন, মাস্ক সত্যিই রাজনীতিতে আসছেন, না কি এটি তার কৌশলগত চমক—তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

দীর্ঘদিনের দ্বিদলীয় রাজনৈতিক কাঠামোয় তৃতীয় শক্তি হিসেবে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন, তা নিয়েও সন্দিহান বিশ্লেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রে মূলত রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এর বাইরে গিয়ে মাস্ক কীভাবে রাজনীতিতে পা রাখবেন, সেটি পরিষ্কার নয়।

তবে মাস্কের এমন ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনা তুঙ্গে।

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন দিতে গিয়ে মাস্ক ব্যয় করেছিলেন প্রায় ২৭ কোটি ডলার। ট্রাম্পও নির্বাচনের পর তাকে পুরস্কৃত করেন একটি নতুন দপ্তর দিয়ে—‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)’। এর কাজ ছিল প্রশাসনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে সাশ্রয় নিশ্চিত করা।

তবে মাসখানেক আগে কর ও ব্যয় সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধে জড়ান মাস্ক। বিলটি পাস হওয়ার পর ট্রাম্প একে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ নাম দেন। পরে সেটিকে মাস্ক ‘জঘন্য’ বলে আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করেন।

এরপরই দুইজনের মধ্যে প্রকাশ্যে বিবাদ শুরু হয়।

ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি বন্ধু ইলন মাস্ককে বহু উপকার করেছেন। মাস্ক পাল্টা বলেন, তার সহায়তা ছাড়া ট্রাম্প কখনো প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না।

তীব্র হয় বিবাদ। ট্রাম্প হুমকি দেন, মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা যেন আর সরকারি ভর্তুকি না পায়। পাশাপাশি আর্থিকভাবে অবরোধ করার ইঙ্গিতও দেন।

অন্যদিকে মাস্কও রুখে দাঁড়ান। ট্রাম্পের বিলকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি আখ্যা দিয়ে বলেন, দেশকে দেউলিয়া করে দিতে পারে এই পদক্ষেপ। এমনকি ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রস্তাবও দেন মাস্ক।

নির্বাচনী প্রচারণায় গুলিবিদ্ধ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ
নির্বাচনী প্রচারণায় গুলিবিদ্ধ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী

কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটা শহরে এক নির্বাচনী সমাবেশের সময় গুলিবিদ্ধ হন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিগুয়েল উরিবে তুরবাই। শনিবার (৭ জুন) এই হামলার ঘটনা ঘটে, যখন তিনি পার্কে একটি ছোট সমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলেই পুলিশ এক ১৫ বছর বয়সী সন্দেহভাজন যুবককে আটক করে। এই আক্রমণের কারণে দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

উরিবের উপর হামলার সময় তিনবার গুলি করা হয়—মাথায় দু’বার এবং হাঁটুতেও একবার। তিনি তখন ভোটপ্রচারের অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তার স্ত্রী মারিয়া ক্লাউডিয়া তারাজোনা জাতিকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানান এবং বলেন, “মিগুয়েল এখন জীবনযুদ্ধে লিপ্ত। আসুন আমরা চিকিৎসকদের হাত পরিচালনার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি।” এই হামলা কলম্বিয়ার গণতন্ত্রের প্রতি একটি বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ঘটনার পর থেকে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে উরিবের মাথায় গুলি লাগার মুহূর্ত দেখা যায়। ভিডিওতে উপস্থিতরা আতঙ্কিত হয়ে ছুটে পালিয়ে যায়। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আহত প্রার্থীকে দ্রুত বিমানযোগে সান্তে ফে ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তার সমর্থকরা জড়ো হয়ে তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন। কলম্বিয়ার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো এই হামলাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি শুধু উরিবের প্রতি নয়, গণতন্ত্রের প্রতি একটি আক্রমণ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও এ ঘটনাকে গণতন্ত্রের সরাসরি হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

মিগুয়েল উরিবে তুরবাই আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গত অক্টোবর মাসে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি কলম্বিয়ার একটি রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছেন, যাদের ঐতিহাসিকভাবে লিবারেল পার্টির সঙ্গে যোগ রয়েছে। তার পিতা ছিলেন একজন শ্রমিক নেতা ও ব্যবসায়ী। তার মা ডায়ানা তুরবাই ছিলেন একজন সাংবাদিক, যাকে ১৯৯১ সালে মেদেলিন ড্রাগ কার্টেলের অপহরণের সময় মুক্তির চেষ্টার সময় হত্যা করা হয়েছিল। তথ্যসূত্র : বিবিসি