খুঁজুন
বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩ বৈশাখ, ১৪৩২

১১ ব্যাংক বন্ধ করতে সরকারের প্রয়োজন ৫০ হাজার কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৩৮ অপরাহ্ণ
১১ ব্যাংক বন্ধ করতে সরকারের প্রয়োজন ৫০ হাজার কোটি টাকা

শেখ হাসিনার শাসনামলে গত দেড় দশকে সীমাহীন লুটপাটের শিকার হয়েছে দেশের ব্যাংক খাত। ঋণের নামে ডজনখানেক ব্যাংক থেকে এস আলম, বেক্সিমকোসহ গুটিকয় শিল্পগোষ্ঠী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অনিয়ম, দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে দেশের ব্যাংক খাতকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়।

লুটপাটের শিকার হওয়া ব্যাংকগুলোর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রায় এক ডজন ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তীব্র তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা ব্যাংকগুলোকে নগদ আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।

হাতে গোনা দু-একটি ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলো সংকট থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। এসব ব্যাংকের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ কারণে সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলো বন্ধ কিংবা অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। এমন ১১টি ব্যাংক নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের ওই বিশ্লেষণী প্রতিবেদন বলছে, এসব ব্যাংক বন্ধ করতে প্রয়োজন হবে ৫০ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক আমানত বিমা আইন অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর আমানতের বিপরীতে গ্রাহকদের এ পরিমাণ অর্থ দিতে হবে। তবে এই ১১ ব্যাংকের ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত রয়েছে, এমন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৯১ শতাংশ। বিমার আওতায় তাদের পুরো আমানতই নিরাপদ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সংকটাপন্ন ১১ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই ১১ ব্যাংকের আমানতকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো এক লাখ টাকা পর্যন্ত, এক লাখ এক টাকা থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত এবং দুই লাখ টাকার ওপরে। এসব ব্যাংকে মোট আমানত রয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২১৫ কোটি টাকা। আমানতকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬০ জন। এর মধ্যে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আমানতের পরিমাণ ২৫ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা এবং আমানতকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬ হাজার ২৫ জন। এক লাখ এক টাকা থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আমানতের পরিমাণ ২৫ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা এবং আমানতকারীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৯৭ হাজার ২৪৩ জন। এ ছাড়া দুই লাখ টাকার ওপর আমানতের পরিমাণ তিন লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা এবং আমানতকারীর সংখ্যা ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৯২ জন।

আমানত বিমার নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকে যত টাকা জমা রাখেন না কেন, বন্ধ হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ‘আমানত সুরক্ষা আইন’-এ এমনটিই বলা হয়েছে। এ আইন অনুযায়ী, একজন গ্রাহক যদি পাঁচ লাখ টাকা আমানত রাখেন এবং অন্য একজন পাঁচ কোটি টাকা আমানত রাখেন, দুজনই কিন্তু ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লাখ টাকা করেই পাবেন। দুর্বল এই ১১ ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকার যদি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এসব ব্যাংকের তিন কোটি ৪৫ লাখ ছয় হাজার ২৫ জন আমানতকারী আমানত বিমার আওতায় ২৫ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা পাবেন।

সূত্র: আমার দেশ

নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুট্টা ক্ষেতে পাওয়া গেল ৮ বছরের শিশুর লাশ

মোঃ সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুট্টা ক্ষেতে পাওয়া গেল ৮ বছরের শিশুর লাশ

নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রামে ৭ বছরের শিশু আকলিমা আক্তার জুইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে তার দাদী। নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর স্থানীয় একটি ভুট্টা ক্ষেতে শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়।

জানা যায়, আকলিমা আক্তার জুই বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম জাইরুল ইসলাম (মালেয়শিয়া প্রবাসি) ও মাতা মোমেনা বেগম। আকলিমা আক্তার জুঁই নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সুন্দর করে সাজগোজ করে বাবার সাথে ভিডিও কলে কথা বলেন কিছু সময় পরে শিশুটি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।

১৫ এপ্রিল সকালে পাবনার চাটমোহরের রামপুর বিলে এক কৃষক ভুট্টা ক্ষেতে খুঁজে পান পোড়া মুখ, বিবস্ত্র এক ছোট্ট মৃতদেহ,গলায় প্যাঁচানো প্যান্ট, মুখে আগুনের দগদগে দাগ, শিশুটিকে আর চেনার উপায় ছিল না।

স্থানীয়দের ধারণা, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং মুখমণ্ডলে এসিড ঢেলে তার পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এমন নির্মম ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি দ্রুত তদন্ত করে সঠিক বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে

এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা হত্যায় মামলায় যুবদলের আহবায়কসহ দুইজন গ্রেফতার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ
এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা হত্যায় মামলায় যুবদলের আহবায়কসহ দুইজন গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন (২৮) হত্যা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল (৪৬) ও এনায়েতপুরের সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারন সম্পাদক জামাল মীর (৫৫)।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এজাহার নামীয় ৪নং আসামী যুবদলের আহ্বায়ক জহুরুলকে সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেক র‌্যাব-২ ও মঙ্গলবার সকালে এনায়েতপুর গ্রাম থেকে ২৫ নং আসামী বিএনপি নেতা জামাল মীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা যায়, ১৮ মার্চ বিকেলের দিকে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে
বিএনপির দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এসময় সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক কবির হোসেন (২৮) গুরুত্বর আহত হয়। প্রথমে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হয়। পরবর্তীতে ঢাকার ক্রেটিক্যাল কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যার  টার দিকে মারা যান।

২২ মার্চ রাতে এনায়েতপুর থানায় নিহতের বড় ভাই হযরত আলী হাফিজ বাদী হয়ে এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব মনজুর রহমান মঞ্জু শিকদার, সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিঠু মীর, সদস্য সচিব কালাম শিকদার, এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহবায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল ও থানা ছাত্রদলের আহবায়ক কামরুল হাসান সোহাগ শিকদার সহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৮০-৯০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ
বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় চম্পা খাতুন  ৬৫ নামে এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু।এলাকাবাসি জানায় মৃত্যু ব্যক্তি আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল ওমরা হজে যাওয়ার ফ্লাইট ছিল কিন্তু তার সে আশা পূরণ হলো না।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ১৫-০৪-২০২৫ রোজ (মঙ্গলবার) আঞ্চলিক মহাসড়কের সমেসপুর ১১:৪৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার কারণ সমূহ জানা যায় দ্রুতগতির একটি ঘাতক প্রাইভেট কার তাকে সজরে ধাক্কা দিলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে।তিনি বেলকুচির ভাতুড়িয়া গ্রামের একজন স্থায়ী বাসিন্দা।

ঘটনাস্থলে সবাইকে প্রশ্ন করলে তারা জানায় একটি দ্রুতগতির প্রাইভেট কার তাকে সজোরে ধাক্কা দিলে সে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। ঘাতক প্রাইভেট কার আটক করা যায়নি। সে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার  অফিসার ইনচার্জ  (ওসি)  আব্দুল বারিক  বলেন দুর্ঘটনার সাথে সাথে  আমরা ঘটনা স্থলে পৌঁছাই। ঘাতক প্রাইভেট কারকে আমরা আটক করতে পারিনি।লাশ উদ্ধার করে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলে তাদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেই।দুর্ঘটনার কারণে কেউ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেনি।