খুঁজুন
বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩ বৈশাখ, ১৪৩২

বিলুপ্তপ্রায় মৃৎশিল্প প্রাণ ফিরে পায় পহেলা বৈশাখে

Staff Reporter
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ অপরাহ্ণ
বিলুপ্তপ্রায় মৃৎশিল্প প্রাণ ফিরে পায় পহেলা বৈশাখে

বাংলার নতুন বছর নববর্ষ, পয়লা বৈশাখ। বাংলা এই নববর্ষকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন টাঙ্গাইলের মৃৎশিল্পীরা। নারী, পুরুষ, শিশু থেকে শুরু করে ব্যস্ত এখন সব বয়সী মৃৎশিল্পের কারিগররা। বছরের অধিকাংশ সময় তাদের তেমন ব্যস্ততায় না থাকলেও, ফাল্গুন থেকে বৈশাখ এই তিন মাস তাদের কাটে ভীষণ ব্যস্ততায়। তবে উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় মৃৎশিল্পীদের লাভ হচ্ছে না আশানুরূপ।

নববর্ষের উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন স্থানে বসে বর্ষবরণ মেলা। সেই মেলায় চাহিদা থাকে নানা রকমের খেলনা ও মাটির জিনিসপত্রের। তাই এখন শেষ মুহূর্তে দিন-রাত সমানতালে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। হরেক রকমের মাটির তৈরি জিনিস পোড়ানো শেষ করে এখন চলছে রঙের পর্ব। মৃৎশিল্পীদের নেই দম ফেলার ফুরসতটুকু।

যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় মৃৎশিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে, তবুও বংশ পরম্পরায় এবং জীবিকা নির্বাহের তাগিদে অনেকেই এখনো মৃৎশিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। মাটির তৈরি এসব জিনিসপত্র রপ্তানি হচ্ছে বিদেশও। তবে বিদেশে এসবের চাহিদা থাকলেও মৃৎশিল্পীদের কারিগরি দক্ষতা কম থাকায় ঠিকমতো সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

জানা যায়, সারা বছর তেমন আয় না হলেও বৈশাখি মেলায় মাটির তৈজসপত্র বিক্রি করে বেশ আয় করেন মৃৎশিল্পীরা। মৃৎশিল্পীদের হাতের তৈরি এসব কারুকাজ, কলস, হাঁড়ি, মটকা, বাসন, ডালা, পুতুল এবং তৈজসপত্র গ্রামীণ মেলাতে ছড়ায় মুগ্ধতা। যা ছোট বড় সব বয়সীদেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

মৃৎশিল্পীরা এ বিষয়ে বলেন, প্লাস্টিকের জন্য মাটির খেলনা এখন আর আগের মতো বিক্রি হয় না। কিন্তু পহেলা বৈশাখের গ্রামীণ মেলায় মাটির বিভিন্ন তৈজসপত্র ও ছোটদের খেলনার কদর বেশি থাকে। বেচাকেনা ভালো হয়। চৈত্র মাসের পুরো সময় আমরা ব্যস্ত থাকি। তবে উপকরণের দাম বাড়ায় আমাদের লাভ কম হচ্ছে।

ফনিন্দ্র পাল নামের এক মৃৎশিল্পী বলেন, মাটির তৈরি জিনিসপত্রের বেচা- কেনা আগে খুব ভালো হতো। অ্যালুমিনিয়ামের জিনিস আসায় এখন আর আগের মতো এসব বেচা-কেনা হয় না। লোকজন মাটির জিনিস নিতে চায় না। আবার মাটির জিনিসের সব উপকরণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আমাদের লাভও খুব কমই হয়। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা কোনো সহযোগিতা পায় নি।

বিসিক টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক শাহনাজ বেগম এ বিষয়ে বলেন, মৃৎশিল্প বাংলাদেশের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী শিল্প। বর্তমানে এটি বিলুপ্তির পথে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এক সময় ১২৩৫ জন মৃৎশিল্পী ছিলেন। কালের বিবর্তনে বর্তমানে খুব কমই মৃৎশিল্পী রয়েছেন। মৃৎশিল্পীরা যদি আমাদের কাছে সহযোগিতা চান, তাহলে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

সিংড়ায় যুব আন্দোলনের কমিটি গঠন

মোঃ কুরবান আলী, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:২৪ অপরাহ্ণ
সিংড়ায় যুব আন্দোলনের কমিটি গঠন

ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নাটোরের সিংড়া উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় উপজেলা ইসলামী আন্দোলন অফিসে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মুফতী জালাল উদ্দিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিংড়া উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আব্দুস সালাম।

কমিটিতে ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য মোঃ আরিফুল ইসলাম (আমিন) কে সভাপতি, মোহাম্মদ আব্দুল গফুর শেখকে সহ-সভাপতি ও মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসকে সেক্রেটারী করা হয়।

গুরুদাসপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

মোঃ সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:২২ অপরাহ্ণ
গুরুদাসপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

নাটোরের গুরুদাসপুরে চাঁদাবাজির মামলায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ আটজনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায়  হযরত ওসমান গণি (রাঃ) ক্বওমি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলসহ থানা মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ওলামায়ে কেরামগণ।

আয়োজক সুত্র জানায়, ১৫-০৪-২৫ইং মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সিধুলী-পোয়ালশুড়া-চলনালী গ্রামের হযরত ওসমান গণি (রাঃ) ক্বওমি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য রশিদের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগে তাদেরকে থানায় ডেকে নিয়ে আসেন সেনা সদস্যরা। তারপর তাদের নামে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবীতে সংশ্লিষ্ট কয়েক গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ৩ কি.মি. পথ পায়ে হেঁটে থানার সামনে পথসভায় মিলিত হন। সিধুলী মাদ্রাসা এলাকার যুব সমাজের উদ্যোগে এই মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মাদ্রাসা কমিটির পক্ষে শিক্ষানবীশ আইনজীবি জার্জিস আহম্মেদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের নাটোর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাও. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা কমিটির সভাপতি মুফতি আব্দুল আহাদ ও সদস্য সচিব ফরিদুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নাটোর জেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মুকিত আহম্মেদ ও সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম রাব্বি, ইসলামী আন্দোলন গুরুদাসপুর শাখার সভাপতি মাও.ওমর ফারুক প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, সিধুলী মাদ্রাসা সংলগ্ন বাজারে রশিদ দিয়ে টাকা সংগ্রহ করত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। সেই টাকাও খেতে চান একটি দলের নেতা। এরা ফ্যাসিবাদের চাইতেও বড় ফ্যাসিবাদ। গ্রেপ্তারকৃতদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুক্তি না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ধারাবারিষা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল আহম্মেদ চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে গত মঙ্গলবার আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন,আরো ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার বাদী রুবেল হোসেনের  মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

বেলকুচি উপজেলা ও পৌর যুবদলের ৭ নেতাকে বহিষ্কার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:২০ অপরাহ্ণ
বেলকুচি উপজেলা ও পৌর যুবদলের ৭ নেতাকে বহিষ্কার

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা, পৌর ও যুবদলের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৭ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জেলা যুবদল।

সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-আমীন হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদের নির্দেশে জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মাসুম রেজা মুসা স্বাক্ষরিত ওই  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অনেকবার সতর্ককরা হলেও কোন সংশোধন না হওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হলো।

বহিষ্কৃতরা হলেন – বেলকুচি উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য পল্টন জোরদার, পৌর যুব দলের সাবেক সদস্য উজ্জ্বল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ কাইয়ুম, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি চাইনিজ রফিকুল, সাবেক সদস্য হাবিব ওরফে হাবলু, সাবেক সদস্য সেলিফ আল আকবার শশী, দৌলতপুর ইউনিয়নের দুলগরা খালির সদস্য হাফিজুল ইসলাম প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উল্ল্যেখিতব্যক্তিদের দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তাছাড়া এদের কোন অপরাধের দায়-দায়িত্ব সংগঠন নিবে না। বহিস্কৃতদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে নেতা- কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।