খুঁজুন
বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩ বৈশাখ, ১৪৩২

বাঙালির ঐক্য ও পুনর্মিলনের

আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা ১৪৩২

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ
আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা ১৪৩২

কবির ভাষায়, ‘নতুন ঊষা নতুন আলো/নতুন বছর কাটুক ভালো/কাটুক বিষাদ, আসুক হর্ষ/শুভ হোক নববর্ষ’। আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষ ১৪৩১ বিদায় নিয়েছে, আজ থেকে শুরু হলো নতুন বাংলা বছর ১৪৩২। পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন।

বাঙালির হৃদয়ে প্রকৃতি এক অদৃশ্য সুরে বাঁধা। ষড়ঋতুর লীলাভূমিতে ঝড়-বৃষ্টির দামামা বাজিয়ে, ধূলাবালির মেঘ উড়িয়ে, বজ্রের গর্জনে কাঁপিয়ে পহেলা বৈশাখ আসে এক নবজাগরণের প্রতীক হয়ে। এবার নতুন বছর এলো এক নতুন ভোরের বার্তা নিয়ে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিজয়ের অন্যরকম এক আবহেই এলো এবারের পহেলা বৈশাখ।

এ বৈশাখ শুধু ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে নতুন বছর শুরু করার নয়, এ একটি নতুন সময়ের সূচনা। স্বৈরশাসকের পতনের পর তারই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে নতুন বছরে বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে একটি আলোকিত ভবিষ্যতের।

চারদিকে উৎসবের রঙ, মুখে মুখে শুভেচ্ছা, কিন্তু এর মাঝে রয়েছে এক আশার বার্তা। সে বার্তা বদলে যাওয়ার, নতুন দেশ গড়ে তোলার। বাংলা নববর্ষে এদেশের মানুষের দেহমনে এক অনির্বচনীয় শিহরণ জাগে। হৃদয় স্পন্দিত হয় এক গভীর আবেগ ও অনুভূতিতে। একই সাথে ফেলে আসা বছরের অসংখ্য স্মৃতি মানসপটে ভেসে ওঠার পাশাপাশি আগামী দিনের আশা আকাঙ্খা ও স্বপ্ন দোলা দেয়। বাংলা নববর্ষ বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে এক সৃজনশীল মৌসুম হিসেবে। বাংলা গদ্য, কাব্য ও সংগীতের শাখা অসামান্য সমৃদ্ধি ও গতি পেয়েছে নববর্ষ উৎসবকে কেন্দ্র করে।

বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলতঃ মুসলিম বাদশাহ আকবরের সময় থেকেই। মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে। পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।

অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিলো হালখাতা। এটি পুরোপুরি একটি অর্থনৈতিক বিষয়। গ্রামেগঞ্জে ও নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরোনো হিসাব নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। চিরায়ত এ অনুষ্ঠানটি আজো পালিত হয়। নববর্ষের দিনটিতে অনেকে পান্তা ইলিশ খান। তাই হোটেল রেস্তোরাঁসহ অন্যানৗ মৌসুমের খাবারের দোকান পান্তা ইলিশের পশরা সাজায়। অনেক নরনারী বিশেষ করে তরুণ তরুণী নতুন পোশাক পরিধান করেন, নববর্ষের কার্ড ও উপহার বিনিময় করেন। হস্ত ও মৃৎশিল্পের নানা আইটেম বাজারে আসে। আয়োজন করা হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। এভাবে বাঙালীর জীবনে এক নতুন সওগাত বা উপহার নিয়ে আসে বাংলা নববর্ষ।

এছাড়া বছরের প্রথম দিনটিকে আরো উৎসবমুখর করে তোলে বৈশাখী মেলা। বাঙালির আনন্দঘন লোকায়ত সংস্কৃতির ধারক গ্রামীণ বৈশাখী মেলায় মেলে স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য, কারুপণ্য, লোকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত সামগ্রী, সব প্রকার হস্তশিল্পজাত ও মৃৎশিল্পজাত সামগ্রী, খেলনা এবং বিভিন্ন লোকজ খাদ্যদ্রব্য যেমন: চিড়া, মুড়ি, খৈ, বাতাসা, বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি প্রভৃতির বৈচিত্রময় সমারোহ। আরো থাকে নাগরদোলা, পুতুলনাচ, যাত্রা, লোকজ গানের আসরসহ নানান বিচিত্র বিনোদন। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এ আনন্দ উৎসবটি এদেশের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে যায়।

ওদিকে, এ বছর থেকে বাংলা নববর্ষ বরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি আর থাকছে না। বাংলা নববর্ষের এবারের শোভাযাত্রার নাম হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এতদিন এই শোভাযাত্রা হতো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে। এবারের শোভাযাত্রার স্লোগান হচ্ছে-‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এ প্রতিপাদ্যের আলোকে শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতির রূপ।

চিরায়ত বাংলার নতুন বছরের প্রতিটি দিন হোক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উজ্জ্বল। সবার আশা এই বছরটি হোক প্রতিজ্ঞার, হোক নতুন বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তিপ্রস্তর। অন্ধকারকে ভেদ করে প্রত্যাশিত ভোরের আলোয় উদ্ভাসিত হউক প্রিয় স্বদেশ। যা কিছু পুরনো, তা হোক ইতিহাস; নতুন বছরে হোক নতুন আশ্বাস। সুখ, শান্তি ও সফলতায় ভরে উঠুক জীবনের প্রতিটি অধ্যায়। নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা সবাইকে।

নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুট্টা ক্ষেতে পাওয়া গেল ৮ বছরের শিশুর লাশ

মোঃ সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুট্টা ক্ষেতে পাওয়া গেল ৮ বছরের শিশুর লাশ

নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রামে ৭ বছরের শিশু আকলিমা আক্তার জুইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে তার দাদী। নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর স্থানীয় একটি ভুট্টা ক্ষেতে শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়।

জানা যায়, আকলিমা আক্তার জুই বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম জাইরুল ইসলাম (মালেয়শিয়া প্রবাসি) ও মাতা মোমেনা বেগম। আকলিমা আক্তার জুঁই নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সুন্দর করে সাজগোজ করে বাবার সাথে ভিডিও কলে কথা বলেন কিছু সময় পরে শিশুটি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।

১৫ এপ্রিল সকালে পাবনার চাটমোহরের রামপুর বিলে এক কৃষক ভুট্টা ক্ষেতে খুঁজে পান পোড়া মুখ, বিবস্ত্র এক ছোট্ট মৃতদেহ,গলায় প্যাঁচানো প্যান্ট, মুখে আগুনের দগদগে দাগ, শিশুটিকে আর চেনার উপায় ছিল না।

স্থানীয়দের ধারণা, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং মুখমণ্ডলে এসিড ঢেলে তার পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এমন নির্মম ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি দ্রুত তদন্ত করে সঠিক বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে

এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা হত্যায় মামলায় যুবদলের আহবায়কসহ দুইজন গ্রেফতার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ
এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা হত্যায় মামলায় যুবদলের আহবায়কসহ দুইজন গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন (২৮) হত্যা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল (৪৬) ও এনায়েতপুরের সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারন সম্পাদক জামাল মীর (৫৫)।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এজাহার নামীয় ৪নং আসামী যুবদলের আহ্বায়ক জহুরুলকে সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেক র‌্যাব-২ ও মঙ্গলবার সকালে এনায়েতপুর গ্রাম থেকে ২৫ নং আসামী বিএনপি নেতা জামাল মীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা যায়, ১৮ মার্চ বিকেলের দিকে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে
বিএনপির দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এসময় সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক কবির হোসেন (২৮) গুরুত্বর আহত হয়। প্রথমে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হয়। পরবর্তীতে ঢাকার ক্রেটিক্যাল কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যার  টার দিকে মারা যান।

২২ মার্চ রাতে এনায়েতপুর থানায় নিহতের বড় ভাই হযরত আলী হাফিজ বাদী হয়ে এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব মনজুর রহমান মঞ্জু শিকদার, সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিঠু মীর, সদস্য সচিব কালাম শিকদার, এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহবায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল ও থানা ছাত্রদলের আহবায়ক কামরুল হাসান সোহাগ শিকদার সহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৮০-৯০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ
বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় চম্পা খাতুন  ৬৫ নামে এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু।এলাকাবাসি জানায় মৃত্যু ব্যক্তি আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল ওমরা হজে যাওয়ার ফ্লাইট ছিল কিন্তু তার সে আশা পূরণ হলো না।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ১৫-০৪-২০২৫ রোজ (মঙ্গলবার) আঞ্চলিক মহাসড়কের সমেসপুর ১১:৪৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার কারণ সমূহ জানা যায় দ্রুতগতির একটি ঘাতক প্রাইভেট কার তাকে সজরে ধাক্কা দিলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে।তিনি বেলকুচির ভাতুড়িয়া গ্রামের একজন স্থায়ী বাসিন্দা।

ঘটনাস্থলে সবাইকে প্রশ্ন করলে তারা জানায় একটি দ্রুতগতির প্রাইভেট কার তাকে সজোরে ধাক্কা দিলে সে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। ঘাতক প্রাইভেট কার আটক করা যায়নি। সে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার  অফিসার ইনচার্জ  (ওসি)  আব্দুল বারিক  বলেন দুর্ঘটনার সাথে সাথে  আমরা ঘটনা স্থলে পৌঁছাই। ঘাতক প্রাইভেট কারকে আমরা আটক করতে পারিনি।লাশ উদ্ধার করে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলে তাদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেই।দুর্ঘটনার কারণে কেউ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেনি।