খুঁজুন
শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘গোল্ডেন ডোম’ নামে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা উন্মোচন ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৫:৪৯ অপরাহ্ণ
‘গোল্ডেন ডোম’ নামে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা উন্মোচন ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি বিশাল নতুন প্রতিরক্ষা প্রকল্প প্রকাশ করেছেন, যার নাম ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢাল।

এই প্রকল্পের ব্যয় হবে ১৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং এটি মহাকাশে স্যাটেলাইট ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেছেন, এই সিস্টেমটি চীন ও রাশিয়ার মতো দেশের হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করবে।

মঙ্গলবার ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে তিনি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢালের একটি নকশা চূড়ান্ত করেছেন এবং এই প্রতিরক্ষা কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য স্পেস ফোর্স-এর একজন জেনারেলকে নিয়োগ দিয়েছেন।

হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইউএস স্পেস ফোর্স-এর জেনারেল মাইকেল গেটলাইন এই ১৭৫ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের প্রধান কর্মসূচি ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

ওভাল অফিস থেকে ট্রাম্প বলেন, গোল্ডেন ডোম আমাদের মাতৃভূমিকে সুরক্ষা দেবে এবং তিনি আরও জানান যে কানাডা এরই মধ্যে এতে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প এই প্রকল্পের নির্দেশ দেন। গোল্ডেন ডোমের লক্ষ্য হচ্ছে একটি স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক তৈরি করা, যা আসন্ন ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত, অনুসরণ এবং সম্ভব হলে বাধা দিতে পারবে।

১৭৫ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বহু বছর লাগবে, কারণ এটি রাজনৈতিক বিতর্ক ও অর্থায়নের অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হচ্ছে।

তথ্যসূত্র : রয়টার্স

হাজার হাজার ‘বাংলাদেশি ও নিষিদ্ধ আ’লীগের নেতাকর্মীদের ঢাকায় ফেরত পাঠাবে ভারত !

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ১২:২৬ অপরাহ্ণ
হাজার হাজার ‘বাংলাদেশি ও নিষিদ্ধ আ’লীগের নেতাকর্মীদের ঢাকায় ফেরত পাঠাবে ভারত !

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল এর এত বক্তব্যে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে- বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো প্রয়োজন বলে মনে করছে ভারত। দেশটি বাংলাদেশ সরকারকে এজন্য জাতীয়তা যাচাই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল বলেন, “আমাদের এখানে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি আছেন যাদের ফেরত পাঠাতে হবে। (ডিএনএ ইন্ডিয়া)

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে জাতীয়তা বাছাই করতে বলেছি। আমাদের কাছে ২ হাজার ৩৬০ জনের তালিকা রয়েছে। যাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। তাদের বেশিরভাগ কারাদণ্ড ভোগ করেছে। কিন্তু কয়েকজনের জাতীয়তা বাছাই ২০২০ সাল থেকে থমকে আছে।”

শুধু বাংলাদেশি নয়, যারাই ভারতে অবৈধ উপায়ে প্রবেশ করেছে তাদের সবাইকে আইন অনুযায়ী ফেরত পাঠানো হবে বলে মন্তব্য করেন রণধীর জসওয়াল।

আইন অনুযায়ী যদি ঢাকায় বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর মধ্যে ভারতে অবৈধভাবে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামীপন্থীরা ও থাকবে। গত ৫ আগস্ট পতিত শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দলটির অনেক নেতাকর্মীও ভারতে অবৈধভাবে আত্মগোপন করে আছে। যদি সত্যিই অবৈধ উপায়ে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের ভারত ফেরত পাঠায়, তাহলে এর মধ্যে অনেক আ.লীগের নেতাকর্মী ও থাকবেন।

এদিকে গত কয়েকদিন ধরে অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছে ভারত। গত মাসে গুজরাটে ১ হাজার জনকে আটক করেছিল দেশটির পুলিশ। যাদের অনেকেই বাংলাদেশি ছিলেন।

এছাড়া ভারত গত কয়েকদিন ধরে আইন ও নিয়মের তোয়াক্কা না করে সীমান্ত দিয়ে অনেককে পুশ ইন করছে। এতে সহায়তা করছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ড. ইউনূসের পদত্যাগ চায় না বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ৯:৪৩ অপরাহ্ণ
ড. ইউনূসের পদত্যাগ চায় না বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায় না, বিএনপি চায় নির্বাচনী রোডম্যাপ। কিন্তু সেদিকে না যেয়ে সংস্কারের কথা বলে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। তবুও তিনি কোনো কারণে আবেগের বশবর্তী হয়ে পদত্যাগ করলে জাতি নতুন বিকল্প বেছে নেবে।

শুক্রবার (২৩ মে) একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘ড. ইউনূসের পদত্যাগে কোনো শূন্যতা তৈরি হবে না। তবে বিএনপি চায় সম্মানের সঙ্গে ড. ইউনূস থাকুন এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ দিয়ে জাতিকে সংকট থেকে মুক্ত করুন।’

বিএনপির আন্দোলনের চাপে ড. ইউনূস পদত্যাগ করতে চেয়েছেন সারজিস আলমের এমন বক্তব্যের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি ড. ইউনূসের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করেনি, মেয়র হিসেবে রায় প্রাপ্ত হওয়ার পরও ইশরাককে কেনো শপথ পড়ানো হচ্ছে না সেই কারণে আন্দোলন হয়েছে। এ বিষয়টি অন্য দৃষ্টিতে নেওয়ার কিছু নেই। রাস্তায় বিএনপিকে নামতে হলো কেন?

তিনি বলেন, সংস্কার দেড় দুই মাসের মধ্যে করা সম্ভব। সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারে। নির্বাচন আয়োজনে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং উনারা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের আশপাশে কুচক্রী কারা, জানালেন জুলকারনাইন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ৯:৩৫ অপরাহ্ণ
অন্তর্বর্তী সরকারের আশপাশে কুচক্রী কারা, জানালেন জুলকারনাইন

নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার চারপাশে একটি কুচক্রীমহল বলয় তৈরি করেছে বলে দাবি করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। তারাই একটি কুৎসিত রকমের চক্রান্ত করছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার (২৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে এক পোস্টে এমনটা দাবি করেন তিনি।

ফেইসবুক পোস্টে সায়ের বলেন, প্রফেসর ইউনূস একজন ৮৪ বছর বয়সী সম্মানীত ও সমাদৃত ব্যক্তিত্ব।

তাঁর অর্জনের সিংহভাগই নিজ যোগ্যতা ও পরিশ্রমের ফসল। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে স্বৈরাচার হাসিনা সৃষ্ট আইনি ঝামেলা ব‍্যতিত তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন তিনি হননি। এর অন‍্যতম কারণ হতে পারে তাঁর আশপাশে সব সময়ই বিশ্বস্ত, শিক্ষিত, সৎ মানুষেরা ছিলেন।
জুলকারনাইন আরো বলেন, কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বভার গ্রহণের পর তাঁর পাশে চিহ্নিত কিছু ব্যক্তি (৩-৪) জন একটা বিষ বলয় বা টক্সিক সার্কেল তৈরি করেছে।

এদের পরিচয় আমি আগেও আপনাদের জানিয়েছি, নতুন করে জানানোর কিছু নেই। নূরুল ইসলাম ভূঁইয়া ছোটন ও আরো কয়েকজন কুচক্রীর পরামর্শে এরা প্রতিনিয়ত প্রফেসর ইউনূসের কাছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব, বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে একটা কুৎসিত রকমের চক্রান্ত করছে। এরা এতটাই উচ্চাভিলাষী যে, দেশের মূলধারার কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্বই তারা রাখতে চায় না এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে দেশকে একটা গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন কারা প্রতিনিয়ত সেনা নেতৃত্ব, বিএনপির নেতৃত্ব, জামায়াত নেতৃত্ব—প্রত‍্যেককে ভিলিফাই করেছে, করে চলেছে।
এরা সকলেই একসূত্রে গাঁথা।

তিনি আরো বলেন, হাসিনা কাল্ট যেভাবে গুম-খুন-নির্যাতনের মাধ্যমে দেশে একটা ভয়ের চক্র গড়ে তুলেছিলো, এই ছোটন চক্র দেশে তেমনি একটা সার্কেল তৈরি করেছে, যা জনমনে ঘৃণা ও অজানা আতংকের সৃষ্টি করেছে। আশা করছি সকল রাজনৈতিক দল ও দেশের সিভিল সোসাইটির সদস্যরা সমন্বিতভাবে এদের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করবেন, প্রফেসর ইউনূস যেন সম্মানের সাথে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব সফলতার সাথে সম্পন্ন করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে রাষ্ট্রভার হস্তান্তর করতে পারেন এমন ক্ষেত্র তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবেন।

সবশেষে সেনাবাহিনীর ওপর ভরসা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনার দেশের নিরাপত্তা বাহিনী ও এর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখুন, তাঁরা আপনাদের নিরাপত্তা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

পরে অন্য এক পোস্টে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে খলিল-ছোটন-শুভ্র-রিজওয়ানা-ফরহাদ মাজহার গং এর প্রভাব মুক্ত করতে না পারলে দেশের পরিস্থিতি আরো সংকটজনক হতে পারে।

এসব ডার্ক মাইন্ডেড লোকজন দূর করে, সৎ ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের যাদের কোন রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ নেই তাদের ক্যাবিনেটে স্থান দিন, দেশ ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে যাবে।