খুঁজুন
সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ২২ বৈশাখ, ১৪৩২

এডিবির পূর্বাভাস

শিগগিরই কমছে না মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি ৬.৬ থেকে কমে হবে ৫.১%

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ
শিগগিরই কমছে না মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি ৬.৬ থেকে কমে হবে ৫.১%

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। একই সঙ্গে দেশে চলমান মূল্যস্ফীতিও শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে না বলেও আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। সংস্থাটির গতকাল প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের সেপ্টেম্বর সংস্করণে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়।

এতে চলতি অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ কমিয়ে ৫ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে এনেছে এডিবি। এর আগে এপ্রিলের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। এ অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে সংস্থাটির পূর্বাভাস সংশোধন করে কমানো হলো ১ দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট।

এর আগে গত এপ্রিলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসতে পারে। কিন্তু এখন এডিবি বলছে, মূল্যস্ফীতি শিগগিরই কমছে না। বরং তা উন্নীত হতে পারে ১০ দশমিক ১ শতাংশে। অর্থাৎ দেশের চলমান মূল্যস্ফীতির বর্তমান ধারা বজায় থাকবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। এডিবির বক্তব্য হলো গত জুলাই ও আগস্টে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাম্প্রতিক বন্যার প্রভাব। এ দুইয়ের সম্মিলিত প্রভাবে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে আসবে।

এ বিষয়ে সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রাজস্ব ও আর্থিক নীতির কঠোরতা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া ক্রয় ও বিনিয়োগ আরো কমবে। নেতিবাচক ঝুঁকি থাকায় সামষ্টিক অর্থনীতির পূর্বাভাস অত্যন্ত অনিশ্চিত। এসব ঝুঁকির উৎস হলো চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ভঙ্গুর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আর্থিক খাতের দুর্বলতা।

এছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈশ্বিক অর্থনীতির ধীরগতি ও অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে দেশে চাহিদা কমবে বলে মনে করছে এডিবি। সংস্থাটির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে বলা হয়, পণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং টাকার অবমূল্যায়নে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে মূল্যস্ফীতি, যা আবার দুই অংকের ঘরে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমদানি-রফতানি কমায় চলতি হিসাবের ঘাটতি কমেছে।

রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, সুদ ও টাকার বিনিময় হার যথাযথ নীতির মাধ্যমে স্থিতিশীল করা এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের ওপর সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নির্ভর করবে বলে মনে করছে এডিবি।

ধারাবাহিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক হিসাবের ওপর চাপ, আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও বেসরকারি বিনিয়োগের ধীরগতির কারণে গত দুই অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশের নিচে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ; ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।

শেখ হাসিনা সরকারের পূর্বাভাস ছিল, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। চলমান চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবিদরা একে ‘উচ্চাভিলাষী ও বাস্তবসম্মত নয়’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। গত সরকারের আমলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব এ উচ্চ প্রবৃদ্ধিকে অর্থনীতিতে বড় সাফল্য হিসেবে দেখিয়েছে। কিন্তু কভিড শুরুর পর থেকে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে। অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের বেহাল দশা শুরু হয়। একই সঙ্গে তৎকালীন সরকারের দেখানো পরিসংখ্যানের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদরা।

দুই বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। সীমিত আয়ের মানুষকে চড়া দামে বাজার থেকে পণ্য কিনতে হচ্ছে। গত জুলাইয়ে দেশের মূল্যস্ফীতি দুই অংকের ঘর ছাড়িয়ে যায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, জুলাইয়ে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা গত এক যুগে সর্বোচ্চ। আগস্টে এ হার কিছুটা কমেছে। কিন্তু তা ১০ শতাংশের ওপরেই রয়ে গেছে। এ সময় খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ১১ শতাংশের মতো।

এছাড়া গত জুন পর্যন্ত আগের এক বছরের প্রতি মাসেই মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাড়ে ৯ শতাংশের আশপাশে। এ উচ্চ মূল্যস্ফীতিকেই এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন কয়েকজন উপদেষ্টা। সে আলোকে কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদহার। সামনে তা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।

অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, প্রবৃদ্ধি হয়তো কিছুটা কমবে। আর মূল্যস্ফীতি কমতেও সময় লাগবে। এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংকের নীতি সুদহার বৃদ্ধিসহ সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এসব পদক্ষেপের প্রভাব বাজারে পড়তে কিছুটা সময় লাগবে। বাজার ব্যবস্থা উন্নত করার মাধ্যমে খুব দ্রুত মূল্যস্ফীতি নামিয়ে নিয়ে আসার কথা ভাবলেও সেটা হয়তো হবে না। আর প্রবৃদ্ধি কিছুটা স্তিমিত হয়ে ৫ শতাংশের আশপাশেই থাকবে।

কারণ দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যক্তি খাত এখনো স্বস্তির স্থানে পৌঁছেনি। তাই এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে না। আবার সরকারি বিনিয়োগ বা এডিপিতেও কিছুটা কাটছাঁট করা হবে। তবে কিছুটা কম প্রবৃদ্ধি হলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে অর্থনীতিকে বেগবান করা যাবে। সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এলে পরে উচ্চতর প্রবৃদ্ধির দিকে যাওয়া যাবে।’

বিয়ের প্রলোভনে যৌনকর্মের দণ্ডের বিধান বাতিলে রুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
বিয়ের প্রলোভনে যৌনকর্মের দণ্ডের বিধান বাতিলে রুল

বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্মের দণ্ড সংক্রান্ত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর বিধান বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের শুনানি নিয়ে রবিবার (৪ মে) বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

রুলে বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্মের দণ্ড সংক্রান্ত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর বিধান অসাংবিধানিক ঘোষণা হবে না এবং কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক সচিব এবং নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।

এর আগে, বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক সংক্রান্ত বিষয়ে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশনের’ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসান এ রিট করেন।

আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান, এটা বৈষম্যমূলক সেকশন। প্রতিশ্রুতি কিন্তু যে কেউ না রাখতে পারে। নারীও না রাখতে পারে পুরুষও না রাখতে পারে। কিন্তু শুধু মাত্র পুরুষের শাস্তির বিধান করা হয়েছে। এখানে শুধু একজনকে দায়ী করা হয়েছে। এটা অসাংবিধানিক। তাই এটা বাতিল চেয়েছি। আদালত রুল জারি করেছেন।

অধ্যাদেশের ৫ নম্বর কলামে বলা হয়, ‘৯খ। বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্ম করায় দণ্ড। – যদি কোনো ব্যক্তি দৈহিক বলপ্রয়োগ ব্যতীত বিয়ের প্রলোভন দেখাইয়া ষোল বছরের অধিক বয়সের কোনো নারীর সঙ্গে যৌনকর্ম করেন এবং যদি উক্ত ঘটনার সময় উক্ত ব্যক্তির সহিত উক্ত নারীর আস্থাভাজন সম্পর্ক থাকে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

প্রাথমিকভাবে শাপলা চত্বরে নিহত ৯৩ জনের নাম প্রকাশ করল হেফাজতে ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
প্রাথমিকভাবে শাপলা চত্বরে নিহত ৯৩ জনের নাম প্রকাশ করল হেফাজতে ইসলাম

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে নিহতদের মধ্যে ৯৩ জনের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

তালিকাটি প্রাথমিক খসড়া এবং এ সংখ্যা যাচাই-বাছাইয়ের পর আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্বে থাকা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী।

তিনি বলেন, এ তালিকা প্রাথমিক। তথ্য যাচাই-বাছাই ও অনুসন্ধান চলছে। চূড়ান্ত করতে আরও সময় লাগবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে শাপলা চত্বরে সংগঠনটির মহাসমাবেশে নিহতদের এ সংখ্যা নিয়ে মতভেদ ও বিতর্ক রয়েছে। অনুসন্ধান করা মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক পেজে ৬১ জন নিহতের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। আবার তৎকালীন বিবিসি ঢাকা প্রতিনিধি মার্ক ডামেট মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান করে জানিয়েছিলেন, ৫ ও ৬ মে’র সহিংসতায় অন্তত ৫৮ জন নিহত হয়েছেন।

ব্লগারদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননা ও নারীনীতির বিরোধিতাসহ ১৩ দফা দাবি তুলে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে হেফাজতে ইসলাম। এতে লাখ লাখ কওমি আলেম শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মুসলমান মহাসমাবেশে অংশ নেন।

সেদিন রাত গভীর হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে সরিয়ে দেয় তাদের। অভিযানে ব্যাপক গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়া হয়। হেফাজতে ইসলামের দাবি, ওইদিন অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৩ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে এবার।

‘এবার আর দিনের ভোট রাতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ৬:১৬ অপরাহ্ণ
‘এবার আর দিনের ভোট রাতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা চাচ্ছি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের দিনটা যেন পালন করতে পারি। এটা ঈদের দিনের মতো একটি অনুষ্ঠান হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা ভোটকেন্দ্রে যাবো। নির্ভয়ে নির্দ্বিধায় আমরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবো। এবার আর দিনের ভোট রাতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সোমবার (৫ মে) সকালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সভাকক্ষে এ সভা হয়।

সিইসি বলেন, কোনো ধরনের প্রভাব কিংবা চাপের কাছে মাথা নত করবে না নির্বাচন কমিশন। আমরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছি এবং করে যাব। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের আমি বলেছি, তিনটি ক্রাইটেরিয়ার মাধ্যমে আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রথমটি হলো, যে কাজটি করছেন সেটি আইন সংগত কিনা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, আপনাদের বিবেক এই সিদ্ধান্তে সায় দিচ্ছে কিনা। তৃতীয়টি হলো, ১৮ কোটি মানুষের সামনে আমরা যারা নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকব, তারা আসামি। যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারি তাহলে কিন্তু আমাদের জবাবদিহি করতে হবে। এই তিনটি ক্রাইটেরিয়া মেনে আমরা কাজ করছি। কর্মকর্তারা ওয়াদা করেছেন। তারা কারো দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে, আইনকানুন মেনে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন। রাজনৈতিক দলগুলোও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা শপথ নিয়েছি। ইসি সম্পূর্ণরূপে একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। নিরপেক্ষ আছে এবং নিরপেক্ষ থাকবে, এই নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি। কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াবে না নির্বাচন কমিশন। যেকোনো সিদ্ধান্ত কমিশনের সব সদস্য মিলে নেওয়া হয়। একক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত।

সিইসি আরও বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ইশরাক হোসেনকে শপথ করানোর দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই।

সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, মাঠে এগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। যেগুলো নিয়ে বিতর্ক আছে আমরা সেগুলোতে যুক্ত হতে চাই না। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আমরা মানছি না বলে অনেকে মন খারাপ করছে। এ বিষয়ে আগে রাজনৈতিকভাবে ফয়সালা হোক। এই দেশে আইনকানুন যা হয় সব রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হয়। আমরা রাজনীতির বাইরে কাজ করতে পারব না।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিকের সভাপতিত্বে সভায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের সব অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন।