খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

পুলিশের বন্দুক যুদ্ধে নিহতর ঘটনায়

৮ বছর পর আ’লীগ নেতাকর্মীদের নামে হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:১৪ অপরাহ্ণ
৮ বছর পর আ’লীগ নেতাকর্মীদের নামে হত্যা মামলা

বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী এলাকার আমানতগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় ২০১৬ সালের ৩১ মে ভোরে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন সেলিম হাওলাদার (৪০)। ওই ঘটনার আট বছরেরও অধিক সময় পর ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মী সেলিম হাওলাদারকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ভাই।

আজ শনিবার সকালে মামলার বাদি মোস্তফা হাওলাদার অভিযোগ করেন, সেলিম হত্যার প্রকৃত ঘটনা ধামাচাঁপা দেয়া হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভয়ে দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে থাকায় মামলা দায়ের করতে পারেননি। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, সেলিমের আতঙ্ক শুধু মুলাদীতে নয়; আশপাশের এলাকায়ও ছিলো। তার (সেলিম) বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা ছিল। বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পূর্বে সেলিমকে ধরিয়ে দিতে জেলা পুলিশ ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কার ঘোষনা করেছিলো।

সর্বশেষ আদালতে দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান হাওলাদারের ছেলে বিএনপি কর্মী সেলিম হাওলাদারকে হত্যার অভিযোগে নামধারী ও অজ্ঞাতনামাসহ মোট ৩৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে আনা হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর বরিশালের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই মোস্তফা হাওলাদার। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ ফেরদৌস জানিয়েছেন, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সুমাইয়া রেজবী মৌরি নালিশী অভিযোগ এজাহার হিসেবে রুজু করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মুলাদী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০১৬ সালে মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রতিদ্বন্ধীকে সমর্থন করে বিএনপি কর্মী সেলিম হাওলাদার। এতে এলাকার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়। নির্বাচনের পর ২০১৬ সালের ১ জুন সেলিম হাওলাদার ঢাকা থেকে নিজ গ্রামে আসে। স্থানীয় লঞ্চঘাট থেকে সকালে বাড়ি ফেরার পথে সফিপুর গ্রামের ৪০-৪৫ জন দুর্বৃত্তরা তার (সেলিম) উপর হামলা করে। পরে সেলিমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যায়। পথচারীরা সেলিমকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

যদিও তৎকালীন মুলাদী থানার ওসি মতিউর রহমানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্যের সূত্র বলছে, ২০১৬ সালের ৩১ মে ভোরে সেলিমকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার খোলামোড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০ এর সদস্যরা। ওইদিন দুপুরে সেলিমকে মুলাদী থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত তিনটার দিকে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সেলিমকে নিয়ে বের হন। এসময় উত্তর বালিয়াতলী এলাকার আমানতগঞ্জ বাজারের সন্নিকটে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সেলিমের সহযোগিরা তাকে (সেলিম) ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশের ওপর গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে সেলিম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে মুলাদী থানার এসআই ফারুক হোসেন, এসআই কমল ও কনেস্টবল পারভেজ আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পাইপগান, চার রাউন্ড বন্দুকের গুলি, দুটি রামদা, দুটি লোহার রড ও দুটি বন্দুকের গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। সেলিমের বিরুদ্ধে ডাকাতি অপহরনসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ১১টি মামলা রয়েছে। পরবর্তীতে সেলিমের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।

শনিবার সকালে নিহত সেলিমের ভাই ও মামলার বাদি মোস্তফা হাওলাদার বলেন, ইউপি নির্বাচনের জেরধরে বন্দুক যুদ্ধের নামে সেলিমকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাঁপা দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভয়ে তিনি দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করায় মামলা করতে পারেননি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাড়ি ফিরে তিনি আদালতে ভাই হত্যার বিচার দাবি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় অভিযুক্তদের স্বজনরা জানিয়েছেন, এতোবছর পর বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মাঠে নেমেছে সেলিমের স্বজনরা। এখন তারা সেলিমকে বিএনপির কর্মী বানিয়ে তাকে (সেলিম) হত্যা করার অভিযোগ এনেছেন। তারা আরও বলেন, মামলার বাদি মোস্তফা হাওলাদারের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা থাকায় সে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সেইসাথে যাদের মামলায় আসামি করা হয়েছে তাদের অনেকেই কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নেই। অনেকে চাকরিসহ বিভিন্ন পেশায় রয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশনা পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, বিনা অপরাধে কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই। তদন্তে যা আসবে সেই অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।