খুঁজুন
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ, ১৪৩১

পুলিশের বন্দুক যুদ্ধে নিহতর ঘটনায়

৮ বছর পর আ’লীগ নেতাকর্মীদের নামে হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:১৪ অপরাহ্ণ
৮ বছর পর আ’লীগ নেতাকর্মীদের নামে হত্যা মামলা

বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী এলাকার আমানতগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় ২০১৬ সালের ৩১ মে ভোরে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন সেলিম হাওলাদার (৪০)। ওই ঘটনার আট বছরেরও অধিক সময় পর ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মী সেলিম হাওলাদারকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ভাই।

আজ শনিবার সকালে মামলার বাদি মোস্তফা হাওলাদার অভিযোগ করেন, সেলিম হত্যার প্রকৃত ঘটনা ধামাচাঁপা দেয়া হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভয়ে দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে থাকায় মামলা দায়ের করতে পারেননি। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, সেলিমের আতঙ্ক শুধু মুলাদীতে নয়; আশপাশের এলাকায়ও ছিলো। তার (সেলিম) বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা ছিল। বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পূর্বে সেলিমকে ধরিয়ে দিতে জেলা পুলিশ ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কার ঘোষনা করেছিলো।

সর্বশেষ আদালতে দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান হাওলাদারের ছেলে বিএনপি কর্মী সেলিম হাওলাদারকে হত্যার অভিযোগে নামধারী ও অজ্ঞাতনামাসহ মোট ৩৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে আনা হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর বরিশালের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই মোস্তফা হাওলাদার। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ ফেরদৌস জানিয়েছেন, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সুমাইয়া রেজবী মৌরি নালিশী অভিযোগ এজাহার হিসেবে রুজু করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মুলাদী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০১৬ সালে মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রতিদ্বন্ধীকে সমর্থন করে বিএনপি কর্মী সেলিম হাওলাদার। এতে এলাকার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়। নির্বাচনের পর ২০১৬ সালের ১ জুন সেলিম হাওলাদার ঢাকা থেকে নিজ গ্রামে আসে। স্থানীয় লঞ্চঘাট থেকে সকালে বাড়ি ফেরার পথে সফিপুর গ্রামের ৪০-৪৫ জন দুর্বৃত্তরা তার (সেলিম) উপর হামলা করে। পরে সেলিমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যায়। পথচারীরা সেলিমকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

যদিও তৎকালীন মুলাদী থানার ওসি মতিউর রহমানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্যের সূত্র বলছে, ২০১৬ সালের ৩১ মে ভোরে সেলিমকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার খোলামোড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০ এর সদস্যরা। ওইদিন দুপুরে সেলিমকে মুলাদী থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত তিনটার দিকে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সেলিমকে নিয়ে বের হন। এসময় উত্তর বালিয়াতলী এলাকার আমানতগঞ্জ বাজারের সন্নিকটে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সেলিমের সহযোগিরা তাকে (সেলিম) ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশের ওপর গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে সেলিম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে মুলাদী থানার এসআই ফারুক হোসেন, এসআই কমল ও কনেস্টবল পারভেজ আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পাইপগান, চার রাউন্ড বন্দুকের গুলি, দুটি রামদা, দুটি লোহার রড ও দুটি বন্দুকের গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। সেলিমের বিরুদ্ধে ডাকাতি অপহরনসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ১১টি মামলা রয়েছে। পরবর্তীতে সেলিমের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।

শনিবার সকালে নিহত সেলিমের ভাই ও মামলার বাদি মোস্তফা হাওলাদার বলেন, ইউপি নির্বাচনের জেরধরে বন্দুক যুদ্ধের নামে সেলিমকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাঁপা দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভয়ে তিনি দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করায় মামলা করতে পারেননি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাড়ি ফিরে তিনি আদালতে ভাই হত্যার বিচার দাবি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় অভিযুক্তদের স্বজনরা জানিয়েছেন, এতোবছর পর বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মাঠে নেমেছে সেলিমের স্বজনরা। এখন তারা সেলিমকে বিএনপির কর্মী বানিয়ে তাকে (সেলিম) হত্যা করার অভিযোগ এনেছেন। তারা আরও বলেন, মামলার বাদি মোস্তফা হাওলাদারের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা থাকায় সে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সেইসাথে যাদের মামলায় আসামি করা হয়েছে তাদের অনেকেই কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নেই। অনেকে চাকরিসহ বিভিন্ন পেশায় রয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশনা পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, বিনা অপরাধে কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই। তদন্তে যা আসবে সেই অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৫৩ অপরাহ্ণ
আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতির সঙ্গে পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সড়কের নৈরাজ্যের সাথে একটা পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত। সড়ক ও পরিবহণ খাতে আগে একদল দুর্নীতি করত এখন অন্যদল করছে। এটা খুব সহজে সমাধান হবে না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু রাজনৈতিক কর্মী ও নেতারা জড়িত তাই সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রাখতে হবে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সার্কিট হাউস সংলগ্ন প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। দিনব্যাপী এ সংলাপে সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও পরিবহণ সেক্টরের অংশীদারজনও উপস্থিত ছিলেন।

এ-সময় নাহিদ বলেন, বুয়েটের একজন মারা গেল। একটা ধারণা যে সমাজের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যারা আছেন তাদের বিচার হয় না, জবাবদিহিতা হয় না। এখানে সাধারণ মানুষদের জীবনটাই আসলে যায়। এই চিত্র আমাদের সমাজে আছে। এটার পরিবর্তন দরকার। সবাইক বিচারের আওতায় আনা দরকার। এখানে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। উন্নয়ন নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, এখন রাস্তায় বের হয়ে মানুষ মারা গেলে সেটাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলা হচ্ছে। কারণ এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে হচ্ছে। এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করে রাখা হয়েছে রাস্তায় মানুষ বের হলে মানুষ মারা যেতে পারে৷ এখানে ব্যবস্থাপনাতেই সমস্যা রয়েছে। যে ধরনের প্রতিষ্ঠান সড়কের নিরাপত্তা দিতে পারে সেটাই তৈরি হয়নি।

পরিবহণ সেক্টরের দুর্নীতি চলমান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের দল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল আবার এখন আরেক দল রয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা প্রয়োজন। কারণ রাজনৈতিক কর্মীরাই এগুলোত জড়িত।

জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহণ সমন্বয়ক কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আরমানা সাবিহা হকসহ অন্যান্যরা।

অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৪৯ অপরাহ্ণ
অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের আঁচ এবার শিক্ষার্থীদের ওপরও লাগছে। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিক্ষার্থীদের শনাক্তে ভারতের রাজধানী দিল্লির সব স্কুলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় যথাযথভাবে শনাক্তও যাচাইয়ের বিষয়টিও আছে নির্দেশনাতে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিল্লি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (এমসিডি) জারি করা ওই নির্দেশনাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি সরকারের প্রধান সচিবের (গৃহ বিভাগ) সভাপতিত্বে গত ১২ ডিসেম্বর এমসিডি একটি ভার্চুয়াল সভা আয়োজন করে। এতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে স্কুলে তাদের শনাক্তকরণ ও তাদের জন্ম সনদ না দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এছাড়া কোনও অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে জন্ম সনদ না দেওয়ার ব্যাপারে দিল্লির জনস্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমসিডি তাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে এবং সঠিক পরিচয় ও যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনারও নির্দেশ দিয়েছে।

এমনকি যেসব জায়গায় এই অভিবাসীরা অন্যের জমি বা জায়গা দখল করে রেখেছে, সেগুলো খালি করে দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন। কারণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য তাদের নিজস্ব রেকর্ড রাখে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে অল ইন্ডিয়া সার্ভে ফর হায়ার এডুকেশনের ২০২১-২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী ভারতে উচ্চশিক্ষার জন্য গেছেন।

শিক্ষার্থীদের আগে নয়া দিল্লিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরতেও পুলিশ অভিযানে নেমেছিল।

বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর কয়েকদিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরপর থেকেই ঢাকা ও নয়া দিল্লির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।

এরপর তা আরও নাজুক হয়ে পড়ে গত নভেম্বরে হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর। তার প্রতিবাদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় এক বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ মিশনে হামলা হয়। অন্যদিকে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ বাংলাদেশেও চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন।

এখনও বিশ্ব সেরা আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৪৩ অপরাহ্ণ
এখনও বিশ্ব সেরা আর্জেন্টিনা

ফুটবলে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে লিওনেল মেসিরা। ২০২৪ সাল শেষ করল তারা শীর্ষে থেকে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর জায়গা ধরে রাখল আর্জেন্টিনা। তাদের চিরশত্রু ব্রাজিলের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশও রয়েছে আগের জায়গাতেই।

২০২৪ সালের শেষ র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে ফিফা। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা। শীর্ষ দশেও কোনও পরিবর্তন আসেনি। এ বছর আর্জেন্টিনা রেকর্ড ১৬তম কোপা আমেরিকা জিতেছে। জুলাইয়ে কলম্বিয়াকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব জয়ের পর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের মুকুট ধরে রেখেছে তারা।

লিওনেল স্কালোনির দলের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। তিন নম্বর জায়গায় রয়েছে ২০২৪ সালের ইউরোজয়ী স্পেন।

ব্রাজিল ফুটবল কঠিন সময় পার করছে। মেজর টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার পর বিশ্বকাপ বাছাইয়েও খারাপ সময় যাচ্ছিল। তবে সবশেষ রাউন্ডে আলো ছড়িয়ে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের আগের জায়গা ধরে রেখেছে সেলেসাওরা। লাতিন আমেরিকার দেশটির রয়েছে পাঁচ নম্বরে। তাদের আগে, চতুর্থ স্থান ধরে রেখেছে ইউরোর রানার্স-আপ ইংল্যান্ড।

ষষ্ঠ থেকে দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ইতালি ও জার্মানি।

বাংলাদেশের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। নভেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে মালদ্বীপের বিপক্ষে একটি ম্যাচ জিতেছে, আরেকটিতে হেরেছে। র‌্যাঙ্কিংয়ে তাই নড়চড় হয়নি। লাল-সবুজ জার্সিধারীরা রয়েছে আগের ১৮৫ নম্বরে।