খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

মীরসরাইয়ে স্কাই বিজ কারখানায় তৈরি হবে ‘ড্রোন’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
মীরসরাইয়ে স্কাই বিজ কারখানায় তৈরি হবে ‘ড্রোন’

মীরসরাইয়ের বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুই একর জায়গায় কারখানা স্থাপন করবে স্কাই বিজ লিমিটেড নামে বাংলাদেশি কোম্পানি। সেই কারখানায় তৈরি হবে ড্রোন। এজন্য তারা বিনিয়োগ করছে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা। ‘ড্রোন’ শব্দটি সাধারণ ভাষায় পাইলটবিহীন বিমানকে (ইউএভি) বোঝায়।

সামরিক কাজ থেকে শুরু করে প্যাকেজ বিতরণসহ, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় ড্রোনের ব্যবহার দিন দিন বিস্তার লাভ করছে। চলছে উদ্ভাবনী গবেষণা। একইসঙ্গে বাড়ছে এ শিল্পের বাজারদর।

মূলত সামরিক ও মহাকাশ শিল্পের জন্য ড্রোন ব্যবহার শুরু হলেও পরে মানুষ, রক্ত ও পণ্য পরিবহন, কৃষিকাজ, পাহাড়ধসের আগাম সতর্কতা প্রাপ্তি, সেতু ও ভবনের ফাটল শনাক্তকরণ এবং মেরামত, যানবাহন শনাক্তকরণ ও গণনা, সিসিটিভি ক্যামেরার উচ্চতা নির্ধারণ, জমি পরিমাপ, চিত্রধারণ, যন্ত্রপাতিতে তাপবিষয়ক ত্রুটি ও নদীতে পানির গুণগতমান নির্ধারণ করা ইত্যাদি কাজে ড্রোনের ব্যবহার বিস্তার লাভ করেছে।

২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাস্ট রোবটিক্স অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড ইন্টারফেসিং রিসার্চ গ্রুপের সদস্যদের তৈরি করা ড্রোন আকাশে উড়লো। এরপর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কাজের অংশ হিসেবে ড্রোন তৈরির উদ্যোগ নেন। এ কাজে তারা কিছুটা সফলও হন।

সম্প্রতি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (সিইউবি) সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একদল শিক্ষার্থী তৈরি করেন ‘ওয়াটার ড্রোন’, যেটি ২ কিলোমিটার পরিসীমা পর্যন্ত ৭ কেজি ভার বহন করে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের অভাবে অনেক প্রচেষ্টাই সফলতার মুখ দেখছে না।

এ অবস্থায় স্কাই বিজ লিমিটেড ৪ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ড্রোন তৈরির কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকার বেপজা নির্বাহী দপ্তরে স্কাই বিজ লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ-উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবীর ও স্কাই বিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসীম উদ্দিন আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

স্কাই বিজ বছরে মোট ১০টি মডেলের ৭ হাজার ৩১৪ পিস বিভিন্ন ধরনের ড্রোন তৈরি করতে পারবে, যা কৃষিকাজে কীটনাশক ছিটানো, অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধারকাজ, পণ্য সরবরাহ, সিনেমাটোগ্রাফি, ম্যাপিং প্রভৃতি কাজে ব্যবহৃত হবে বলে জানা গেছে। দেশে বাণিজ্যিক ও রপ্তানির উদ্দেশে এ ধরনের ড্রোন তৈরির উদ্যোগ এটাই প্রথম। মীরসরাইয়ের বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থাপন হলে দেশের নাগরিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, দেশে ড্রোন তৈরিতে বিনিয়োগের পথিকৃৎ হিসেবে এবং রপ্তানি বাস্কেটকে প্রসারিত করতে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

স্কাই বিজের কর্মকর্তারা জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে দুটি মডেলের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারে। প্রাথমিকভাবে অগ্নিনির্বাপণের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রোটারি উইং ড্রোন এবং সিনেমাটোগ্রাফি, ম্যাপিং ও সার্ভিলেন্স উপযোগী ফিক্সড উইং বানানো হবে। কারখানা চালু হলে বছরে বিভিন্ন মডেলের ৭ হাজার ৩১৪টি ড্রোন তৈরি করে রপ্তানি করা যাবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

স্কাই বিজের এমডি জসীম আহমেদ জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেবামূলক কাজে ব্যবহারের জন্য ড্রোনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। স্কাই বিজের ড্রোনগুলোর নকশা করা হয়েছে বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য। সবগুলো মডেলের ডিজাইন, সফটওয়্যার, ফ্লাইট কন্ট্রোল স্কাই বিজের উদ্ভাবন। প্রাথমিকভাবে দুটি মডেলের ড্রোন তৈরি করা গেছে। তবে যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানি করতে হচ্ছে। কারখানা পুরোদমে চালু হলে এসব যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল উৎপাদন করা যাবে।

মীরসরাইয়ে শিল্পনগরে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা) ১ হাজার ১৩৮ একর জায়গার ওপর ৫৩৯টি শিল্প প্লটের আলাদা একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। সেখানে ইতোমধ্যে জুতার কাঁচামাল, পোশাক ও ফোম তৈরির ৩টি কারখানা উৎপাদনে গেছে। শিল্পকারখানা করতে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ নিয়েছে ১৫০টি প্লট।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।