খুঁজুন
শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৭ আষাঢ়, ১৪৩২

ফেসবুকে ফ্যাক্টচেকের পরিবর্তে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছ কমিউনিটি নোটস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৯ অপরাহ্ণ
ফেসবুকে ফ্যাক্টচেকের পরিবর্তে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছ কমিউনিটি নোটস

তথ্য যাচাই প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট মেটা। এতদিন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডস-এর কনটেন্ট যাচাই করতে তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট-চেকিং ব্যবস্থার উপর নির্ভর করত প্রতিষ্ঠানটি। তবে এবার ‘কমিউনিটি নোটস’ নামে নতুন একটি ফিচার চালু করা হচ্ছে, যেখানে সাধারণ ব্যবহারকারীরাই তথ্য যাচাই করে নোট সংযুক্ত করতে পারবেন।

১৭ মার্চ ২০২৫ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন এই ফিচার চালু করা হবে। শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের দুই লাখ ব্যবহারকারী এতে অংশ নিতে পারবেন। তবে নোট যুক্ত করার সুযোগ পাবেন শুধুমাত্র ১৮ বছরের বেশি বয়সী ও অন্তত ছয় মাসের পুরনো অ্যাকাউন্টধারীরা।

‘কমিউনিটি নোটস’ কীভাবে কাজ করবে?

– নির্দিষ্ট কিছু ব্যবহারকারী কোনো পোস্টের সত্যতা যাচাই করে সেখানে ব্যাখ্যা বা নোট সংযুক্ত করতে পারবেন।
– ফ্যাক্ট-চেকারদের পরিবর্তে সাধারণ ব্যবহারকারীরাই তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ পাবেন।
– পোস্টের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ে এই নোটগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
– ব্যবহারকারীরা পোস্টের তথ্য নিয়ে মতামত বা ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।
– মেটার বিশেষ অ্যালগরিদম এই নোটগুলোর প্রাসঙ্গিকতা বিশ্লেষণ করবে।

এই ফিচারটি মূলত এক্স (পূর্ববর্তী টুইটার)-এর ২০২১ সালে চালু হওয়া ‘কমিউনিটি নোটস’-এর অনুরূপ।

কেন মেটা ফ্যাক্ট-চেকিং পদ্ধতি বদলাচ্ছে?

মেটার মতে, তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট-চেকিং পদ্ধতিতে স্বচ্ছতার অভাব এবং সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই সাধারণ ব্যবহারকারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নতুন এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। মেটার বিশ্বাস, এটি বেশি কার্যকর এবং দ্রুত তথ্য যাচাই করতে সক্ষম হবে।

এই পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব:

– ব্যবহারকারীরা বেশি স্বাধীনতা পাবেন, নিজেরাই তথ্য যাচাই করতে পারবেন।
– ভুয়া তথ্য দ্রুত শনাক্ত ও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
– এক্স-এর মতো আরও স্বচ্ছ ফ্যাক্ট-চেকিং ব্যবস্থা তৈরি হতে পারে।

কিছু চ্যালেঞ্জ:

– রাজনৈতিক বা মতাদর্শগত পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য ছড়ানোর ঝুঁকি থাকতে পারে।
– কোনো ভুল তথ্য অনেক ব্যবহারকারী সমর্থন করলে সেটি বৈধ বলে মনে হতে পারে।
– অপব্যবহার ঠেকাতে মেটাকে কঠোর পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

গাজীপুরে বিপুল পরিমান বিদেশি মাদকসহ ২ যুবক আটক

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ণ
গাজীপুরে বিপুল পরিমান বিদেশি মাদকসহ ২ যুবক আটক

২১ জুন ২০২৫, শুক্রবার বেলা ১১:৩০ এর দিকে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি চৌকস দল গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার জৈনা ফুটওভার ব্রিজের নিচে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মাদকদ্রব্যসহ দুই যুবককে আটক করেছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ জানতে পারে, ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের পাকা রাস্তা উপরে মাদক পাচারের উদ্দেশ্যে একদল মাদক কারবারি অবস্থান করছে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকার (মডেল-এন-২১-০০৭৬) থামিয়ে তল্লাশি করে। এ সময় গাড়ির ভেতর থেকে ৪টি প্লাস্টিকের বক্সে রাখা ১৬০ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ভারতীয় বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলো: ১. ইমন হোসেন (২৪), পিতা-মৃত আমির হামজা, গ্রাম-বোয়ালকান্দি, থানা-চৌহালী, জেলা-সিরাজগঞ্জ। ২. আরিফ হোসেন বাপ্পী ওরফে বাবু (২৪), পিতা-মৃত শাহাবুদ্দিন সাং- রৌহা জামতলা বাজার, ডাকঘর কুমলী, থানা- নেত্রকোনা সদর, জেলা – নেত্রকোনা ।

তাদের সঙ্গে থাকা অপর সহযোগী পালিয়ে যায়।ডিবি পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে আটক কৃতরা স্বীকার করেছে তারা শ্রীপুর থানাধীন মাওনা এলাকার একজন মাদক ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামের নিকট মাদক বিক্রির উদ্দেশ্যে এসেছিল।

আটক কৃতদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা নং-৪৫, তারিখ-২১/০৬/২০২৫, ধারা-৩৬(১) টেবিল ২৪(খ)/৪১ অনুযায়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামি তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

আসামিদের আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শিক্ষা থেকে দূরে থাকায় বাঙালি মুসলমান সমাজ শত বছর পিছিয়ে গেছে: ফজলুল হক

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
শিক্ষা থেকে দূরে থাকায় বাঙালি মুসলমান সমাজ শত বছর পিছিয়ে গেছে: ফজলুল হক

বাংলা একাডেমি’র সভাপতি বিশিষ্ট চিন্তক ও লেখক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, “ব্রিটিশরা আসার পর স্কুল-কলেজের শিক্ষা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকায় বাঙালি মুসলমান সমাজ ১০০ বছর পিছিয়ে যায়‌। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বই পড়া তথা শিক্ষার বিকল্প নেই।’

শুক্রবার বিকেলে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বুক অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বুক অলিম্পিয়াড বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সভাপতি লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী মাহফুজ ফারুকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বুদ্ধিজীবী গবেষক ও লেখক ড. কাজল রশীদ শাহীন, বুদ্ধিজীবী লেখক ও সংগঠক নাহিদ হাসান, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, ‘এবং বই’য়ের সম্পাদক ও লেখক ফয়সাল আহমেদ এবং ‘স্বরে অ’ প্রকাশনীর প্রকাশক আবু বকর সিদ্দিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বুক অলিম্পিয়াড বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেঁজুতি হাসান।

বুক অলিম্পিয়াডের মধ্যমে দেশ সেরা পাঠক হিসেবে জাতীয় পর্বে প্রথম স্থান অধিকার করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার মিম, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিতা বিশ্বাস এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং বই তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আগত অতিথিদের বই দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। বিষয় ভিত্তিক পরীক্ষা, লেখক কথন, উপস্থিত কুইজ, অনুভূতি প্রকাশসহ বই বিষয়ক বিভিন্ন সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এসব পর্বে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বিষয়ক লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার এবং কবি ও কথাসাহিত্যিক মনোয়ার লিটন।

অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে উপস্থাপনা করেন বুক অলিম্পিয়াডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এইচ খান রোহান, সদস্য সৌরভ মন্ডল এবং সাদিয়া আফরিন।

সারাদেশের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীরা বাছাই পর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ শতাধিক বিজয়ীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পর্ব।

অলিম্পিয়াডে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত বই আল মাহমুদের ছড়া-কিশোরকবিতাগ্রন্থ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘আম আঁটির ভেঁপু’, জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ ‘বনলতা সেন’, হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘ময়ূরাক্ষী’, মাহফুজ ফারুকের লেখা ‘বুকপিডিয়া’ এবং ইমরান মাহফুজ সম্পাদিত লিটলম্যাগ ‘কালের ধ্বনি’র জুলাই অভ্যুত্থানে আহত কবি ও লেখক সংখ্যা পাঠ শেষে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

বাংলাদেশের জন্য ৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের জন্য ৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

বাংলাদেশের জন্য আরও ৫০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ১২৩ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ছয় হাজার ১৫০ কোটি টাকা।

ওই টাকা বাংলাদেশের আর্থিক স্বচ্ছতা, সরকারি খাতের জবাবদিহিতা এবং আর্থিকখাতের স্থিতিশীলতা বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হবে।

শনিবার (২১ জুন) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস এ তথ্য জানায়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি টেকসইভাবে বৃদ্ধির জন্য সরকারি অর্থায়ন কীভাবে পরিচালিত হয় তার উন্নতি গুরুত্বপূর্ণ। সরকার তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও উন্মুক্ত এবং জবাবদিহিতামূলক করার জন্য উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে তারা জনগণকে আরও ভালো সেবা দিতে পারে। এই অর্থায়ন সরকারের নীতিমালা এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে যাতে একটি শক্তিশালী, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ে তোলা যায়। যা সবার উপকার করে। গত সপ্তাহে অনুমোদিত আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে, আমরা এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করছি।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বর্তমানে, মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত সবচেয়ে কম, যা জনগণের কাছে মানসম্পন্ন পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে সীমিত করছে। এই কর্মসূচি অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহের উন্নতির লক্ষ্যে সংস্কারগুলোকে সমর্থন করবে। এই সংস্কারগুলো আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে কর প্রশাসন এবং নীতি নির্ধারণকে আরও স্বচ্ছ এবং দক্ষ করে তুলবে।

এই অর্থায়ন আন্তর্জাতিক মানের সাথে আর্থিক প্রতিবেদনের সমন্বয় সাধন এবং স্বচ্ছতা বাড়ানোর মাধ্যমে কর্পোরেট সুশাসন এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কাঠামোকেও শক্তিশালী করবে। এটি ব্যাংকিংখাতে দুর্বলতা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংককে সম্পূর্ণ সমাধান ক্ষমতা প্রদান করে আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা উন্নত করতে সহায়তা করবে।

সংস্কারের তৃতীয় ধাপটি সরকারি খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা উন্নত করবে। ২০২৭ সালের মধ্যে, সমস্ত সরকারি প্রকল্প মূল্যায়ন নথি জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করতে হবে। প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতির ঝুঁকি কমাতে সরকারি ক্রয় ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক সরকারি ক্রয় (ই-জিপি) ব্যবহার, সুবিধাভোগীর মালিকানা প্রকাশ এবং মূল্যসীমা অপসারণ করতে হবে। সরকারিখাতে আর্থিক জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা উন্নত করার জন্য, নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক কার্যালয়ের নিরীক্ষা ক্ষমতাও জোরদার করা হবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর স্বাধীন তথ্য স্বচ্ছতা উন্নত করবে, এর ফলে দেশের মানুষের জন্য উন্নত পরিষেবা সরবরাহ সম্ভব হবে।

এ অর্থায়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে মোট নতুন প্রতিশ্রুত তিন দশমিক শূন্য সাত বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ালো। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে ৪৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান, সুদমুক্ত এবং ঋণ অনুমোদন করেছে।