খুঁজুন
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

মীরসরাইয়ে স্কাই বিজ কারখানায় তৈরি হবে ‘ড্রোন’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
মীরসরাইয়ে স্কাই বিজ কারখানায় তৈরি হবে ‘ড্রোন’

মীরসরাইয়ের বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুই একর জায়গায় কারখানা স্থাপন করবে স্কাই বিজ লিমিটেড নামে বাংলাদেশি কোম্পানি। সেই কারখানায় তৈরি হবে ড্রোন। এজন্য তারা বিনিয়োগ করছে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা। ‘ড্রোন’ শব্দটি সাধারণ ভাষায় পাইলটবিহীন বিমানকে (ইউএভি) বোঝায়।

সামরিক কাজ থেকে শুরু করে প্যাকেজ বিতরণসহ, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় ড্রোনের ব্যবহার দিন দিন বিস্তার লাভ করছে। চলছে উদ্ভাবনী গবেষণা। একইসঙ্গে বাড়ছে এ শিল্পের বাজারদর।

মূলত সামরিক ও মহাকাশ শিল্পের জন্য ড্রোন ব্যবহার শুরু হলেও পরে মানুষ, রক্ত ও পণ্য পরিবহন, কৃষিকাজ, পাহাড়ধসের আগাম সতর্কতা প্রাপ্তি, সেতু ও ভবনের ফাটল শনাক্তকরণ এবং মেরামত, যানবাহন শনাক্তকরণ ও গণনা, সিসিটিভি ক্যামেরার উচ্চতা নির্ধারণ, জমি পরিমাপ, চিত্রধারণ, যন্ত্রপাতিতে তাপবিষয়ক ত্রুটি ও নদীতে পানির গুণগতমান নির্ধারণ করা ইত্যাদি কাজে ড্রোনের ব্যবহার বিস্তার লাভ করেছে।

২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাস্ট রোবটিক্স অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড ইন্টারফেসিং রিসার্চ গ্রুপের সদস্যদের তৈরি করা ড্রোন আকাশে উড়লো। এরপর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কাজের অংশ হিসেবে ড্রোন তৈরির উদ্যোগ নেন। এ কাজে তারা কিছুটা সফলও হন।

সম্প্রতি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (সিইউবি) সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একদল শিক্ষার্থী তৈরি করেন ‘ওয়াটার ড্রোন’, যেটি ২ কিলোমিটার পরিসীমা পর্যন্ত ৭ কেজি ভার বহন করে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের অভাবে অনেক প্রচেষ্টাই সফলতার মুখ দেখছে না।

এ অবস্থায় স্কাই বিজ লিমিটেড ৪ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ড্রোন তৈরির কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকার বেপজা নির্বাহী দপ্তরে স্কাই বিজ লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ-উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবীর ও স্কাই বিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসীম উদ্দিন আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

স্কাই বিজ বছরে মোট ১০টি মডেলের ৭ হাজার ৩১৪ পিস বিভিন্ন ধরনের ড্রোন তৈরি করতে পারবে, যা কৃষিকাজে কীটনাশক ছিটানো, অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধারকাজ, পণ্য সরবরাহ, সিনেমাটোগ্রাফি, ম্যাপিং প্রভৃতি কাজে ব্যবহৃত হবে বলে জানা গেছে। দেশে বাণিজ্যিক ও রপ্তানির উদ্দেশে এ ধরনের ড্রোন তৈরির উদ্যোগ এটাই প্রথম। মীরসরাইয়ের বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থাপন হলে দেশের নাগরিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, দেশে ড্রোন তৈরিতে বিনিয়োগের পথিকৃৎ হিসেবে এবং রপ্তানি বাস্কেটকে প্রসারিত করতে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

স্কাই বিজের কর্মকর্তারা জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে দুটি মডেলের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারে। প্রাথমিকভাবে অগ্নিনির্বাপণের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রোটারি উইং ড্রোন এবং সিনেমাটোগ্রাফি, ম্যাপিং ও সার্ভিলেন্স উপযোগী ফিক্সড উইং বানানো হবে। কারখানা চালু হলে বছরে বিভিন্ন মডেলের ৭ হাজার ৩১৪টি ড্রোন তৈরি করে রপ্তানি করা যাবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

স্কাই বিজের এমডি জসীম আহমেদ জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেবামূলক কাজে ব্যবহারের জন্য ড্রোনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। স্কাই বিজের ড্রোনগুলোর নকশা করা হয়েছে বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য। সবগুলো মডেলের ডিজাইন, সফটওয়্যার, ফ্লাইট কন্ট্রোল স্কাই বিজের উদ্ভাবন। প্রাথমিকভাবে দুটি মডেলের ড্রোন তৈরি করা গেছে। তবে যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানি করতে হচ্ছে। কারখানা পুরোদমে চালু হলে এসব যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল উৎপাদন করা যাবে।

মীরসরাইয়ে শিল্পনগরে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা) ১ হাজার ১৩৮ একর জায়গার ওপর ৫৩৯টি শিল্প প্লটের আলাদা একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। সেখানে ইতোমধ্যে জুতার কাঁচামাল, পোশাক ও ফোম তৈরির ৩টি কারখানা উৎপাদনে গেছে। শিল্পকারখানা করতে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ নিয়েছে ১৫০টি প্লট।

নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট ও হতাশাজনক: মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ২:৩৫ অপরাহ্ণ
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট ও হতাশাজনক: মির্জা ফখরুল

ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট ও হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির মহাসচিবসহ নেতাকর্মীরা।

এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট। ন্যূনতম সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি নির্বাচনের কথা বলে ক্ষমতায় যেতে নয়, জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য। নির্বাচিত সরকারই পারে সংকট সমাধান করতে।

অন্যদিকে চব্বিশকে যারা দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে তারা একাত্তরকে ছোট করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা। আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করেছে বলে অভিযোগ তাদের। দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি তারাও জানান।

জাতীয় স্বাধীনতা দিবসে দেশের বীর সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।

এখানেই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, চব্বিশকে যারা দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে তারা একাত্তরকে ছোট করতে চায়। ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে তাতেই বিশ্বাস রাখতে চায় তার দল। জাতির প্রয়োজনে সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।

গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে দেশের মানুষের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।

নারায়ণগঞ্জে ডিসি কার্যালয়ের সভায় ‘জয় বাংলা স্লোগান’ নিয়ে উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ২:২৯ অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জে ডিসি কার্যালয়ের সভায় ‘জয় বাংলা স্লোগান’ নিয়ে উত্তেজনা

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে বক্তব্য শেষ করেছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।

এ ঘটনা নিয়ে সভা শেষে বিভক্তি দেখা দেয় দুই পক্ষের মধ্যে। শুধু তাই নয়, ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধন থেকে বুধবারের স্বাধীনতা দিবসের সভায় মোহাম্মদ আলীকে প্রতিরোধের ঘোষণা দেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তিনি মোহাম্মদ আলীকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ফ্যাসিস্ট শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানের দালাল হিসেবে উল্লেখ করেন।

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আলী।

সে সময় তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। কাজেই আমাদের জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অসম্মান হবে না। এবং কোনো অসুবিধা হবে না। আগামী দিনে আমরা সবাই মিলে থাকবো, আমাদের যেন সমস্যা না হয়। এবার যতটুকু অনুদান দিয়েছে এটাতে আমরা খুশি। আগামীতে যেন বেশি পাই এজন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ করছি, এবার ১৪০ জনকে অনুদান দেয়া হয়েছে, আগামীতে যেন ২৪০ জনকে দেয়া হয়।’ শেষাংশে তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আলমগীর হুসাইনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো: মনিরুজ্জামান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম প্রমুখ।

এ সময় ১৪০ জন মুক্তিযোদ্ধার মাঝে ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে অনুদানের তালিকা নিয়ে তর্কের জেরে মুক্তিযোদ্ধাদের দুইপক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও হৈ-চৈ হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘২৬ মার্চে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। সেখানে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা আসবেন। কিন্তু এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, ফ্যাসিস্ট ডেভিল মোহাম্মদ আলী যদি এখানে আসে তাহলে আমরা নারায়ণগঞ্জের জনগণ তাকে প্রতিরোধ করবো।’

মঙ্গলবার এক প্রস্তুতি সভা শেষে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে একথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানকে জিম্মি করে যিনি সবসময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন, তিনি হলেন মোহাম্মদ আলী। এই মোহাম্মদ আলী নারায়ণগঞ্জের কোনো রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নিক আমরা তা চাই না।’

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ফ্যাসিস্ট, শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানের দালাল মোহাম্মদ আলী যদি শিল্পকলা একাডেমিতে আসে তাহলে তাকে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করবো।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করে তথাকথিত বিতর্কিত নামধারী মুক্তিযোদ্ধা এবং বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার ও নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ও সেলিম ওসমানের সকল অপকর্মের পৃষ্ঠপোষক এবং দোসর ডেভিল দাবি করে মোহাম্মদ আলীর তথাকথিত জয় বাংলার স্লোগানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সরকার ও প্রশাসনের সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার দাবি জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানান মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো: আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

বেলকুচিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ২:২০ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

সিরাজগঞ্জে বেলকুচিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নানা কর্মসূচি উদযাপন করা হয়েছে।

বুধবার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে দিনব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় বেলকুচি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে  নানা কর্মসূচি উদযাপন  করেছে।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিজয় সৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা করা হয় এবং সকল সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারী ভবন ও স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

একই সময় বিজয় সৌধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  এরপর বেলকুচি থানা পুলিশ,  ,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার,পৌরসভা,উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বেলকুচি প্রেসক্লাব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ,  বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল,কলেজ, এনজিও প্রতিনিধি সহ সমাজের নানান শ্রেণী পেশার মানুষেরা মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সকাল নয়টায় আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া   আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, এসময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ পুলিশ,আনসার বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস বিভিন্ন  শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে  বলেন,২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জন্য এক অবিস্মরনীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে মাধ্যমে গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করেন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্মভৌম রাষ্ট্রের। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সকল বীর শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতা। তিনি শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ জাকেরিয়া হোসেন,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। 

মহান এই দিবসটিতে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধ, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদ, মন্দির,গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়।