খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

‘দল, ধর্ম ও গোষ্ঠির ভিত্তিতে জাতিকে আর বিভক্ত হতে দেব না’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:৩২ অপরাহ্ণ
‘দল, ধর্ম ও গোষ্ঠির ভিত্তিতে জাতিকে আর বিভক্ত হতে দেব না’

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা দল, ধর্ম ও গোষ্ঠির ভিত্তিতে জাতিকে আর বিভক্ত হতে দিব না। জাতিকে ভাগ করার সুযোগ আর কাউকে দিব না। যতো বিভাজন রেখা তৈরী করা হয়েছিল তা আমরা পায়ের নীচে ফেলে দিয়েছি। আমরা বৈষম্যহীন ও শোষনমুক্ত একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

জামায়াতের আমির জনগণের টাকায় কেনা বুলেট জনগণের বুকে ছোঁড়ার দুঃসাহস করবে এমন সন্ত্রাসী সরকার আমরা আর দেখতে চাইনা। এজন্য ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতকে এক করতে হবে। বিশ্বকে জানান দিতে হবে দেশ ও জাতির স্বার্থে আমাদের মধ্যে কোন বিভাজন নাই। আমরা মধ্যপ্রাচ্যকে জানিয়ে দিতে চাই, তোমরা অতীতে যা করেছো এ জাতি আর তোমাদেরকে তা করতে দেবে না। আমরা জানিয়ে দিব এখন থেকে বাংলাদেশের মানুষ কালোকে কালো এবং সাদাকে সাদা বলবে। আমরা চাই এমন একটা দেশ হবে, যে দেশে কোন বৈষম্য থাকবে না।

আজ শুক্রবার গাজীপুর শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় বসে দেশের মালিক বনে গেলে কি পরিণতি হয় তা আমরা দেখেছি। জাতির সঙ্গে গাদ্দারি করলে যে পরিণতি হয় তা দেখে আমাদের সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে। অতীত থেকে যদি শিক্ষা গ্রহণ করি তাহলে আগামীতে আর কোন স্বৈরাচারের জন্ম হবেনা। জাতিকে তারাই ভাগ করে যারা জাতির দুশমন। কে, কোন ধর্ম পালন করবে কিংবা কোন দল করবে সেটা তার নিজের পছন্দ। কিন্তু দেশের ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশে ও বিদেশে জানান দিতে হবে যে, দেশ এবং জাতির স্বার্থে আমাদের মাঝে কোন বিভাজন নেই। এরকম একটা ঐক্যবদ্ধ জাতিকে কেউ আর দমিয়ে রাখতে পারবেনা।

জামায়াতে আমীর আরো বলেন, আমরা আদালতে ন্যায়ভ্রষ্ট বিচারক আর দেখতে চাইনা। আমরা কোনো শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদকে আদালতের বিচারক হতে দেখতে চাই না। কোনো দুর্বৃত্তকে আদালতের চেয়ারে দেখতে চাই না। নীতি নৈতিকতা ও বাস্তবতার ভিত্তিতে বিচার করবে, সেই রকম বিচারক দেখতে চাই। একজন সরকারি কর্মকর্তা রাষ্ট্রের সেবক, তিনি দল গোষ্ঠি বা ব্যাক্তির সেবক না। আমরা এমন কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী আগামীতে দেখতে চাই না যাদেরকে বাধ্য করা হবে রাষ্ট্র ও জনগন বাদ দিয়ে গোষ্ঠির পূজা করার জন্য। আমাদের এমন একটা সমাজ প্রয়োজন যে সমাজে শিক্ষিত মানুষগুলো কলমের খোঁচায় হাজার হাজার কোটি টাকা জাতির কাছ থেকে লুটপাট করবে না।

যারা এতোদিন অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যা করেছে, অন্যায় অবিচার করেছে, জনগণের অর্থ সম্পদ লুট করেছে তাদেরও ন্যায় বিচার চাই। তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। যাদের ফাঁসি হওয়া উচিত তাদের ফাঁসি হতে হবে। আর যাদের যাবজ্জীবন জেল হওয়া উচিৎ তাদের জেল এবং যারা খালাস হওয়ার তাদের খালাস হতে হবে। আমরা সকল অন্যায় অবিচারের শাস্তি হোক সেটাই চাই। এমন একটা দেশ আমাদের সকলের কামনা। সেই দেশটা আমাদেরকেই গড়তে হবে, ইনশাল্লাহ। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, জামায়াতের ঢাকা উত্তর অঞ্চল টিম সদস্য ও গাজীপুর জেলার সাবেক আমীর আবুল হাসেম খান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী, গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমীর ড. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মোঃ খায়রুল হাসান, মহানগর জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি মোঃ হোসেন আলী, মোঃ আফজাল হোসেন, শিবিরের সাবেক সভাপতি ও গাজীপুর মহানগর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আইউবী, শিবিরের গাজীপুর মহানগর সভাপতি মোঃ আবু হানিফ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমীর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের খোঁজ খবর নেন। এসময় ২৬ জন শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে ২ লাখ টাকা করে মোট ৫২ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এর আগে সকাল থেকে

জামায়াতের আমীরের আগমন ঘিরে জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মিছিল নিয়ে রাজবাড়ী মাঠে উপস্থিত হন।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।