খুঁজুন
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ, ১৪৩১

‘প্রবাসীদের জন্য বিমানবন্দরে হবে স্পেশাল লাউঞ্জ’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
‘প্রবাসীদের জন্য বিমানবন্দরে হবে স্পেশাল লাউঞ্জ’

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যেসব শ্রমিক ভাই-বোন যাচ্ছেন, তাদের জন্য বিমানবন্দরে আলাদা স্পেশাল লাউঞ্জের ব্যবস্থা করবো। আমরা ইতোমধ্যে জায়গা ঠিক করেছি, সিভিল অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে কথা হয়েছে, আশা করি দুই সপ্তাহের মধ্যে হয়ে যাবে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় একাত্তর হলে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ বিষয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এবং মালয়েশিয়ার পার্কেসোর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, লাউঞ্জ হলে প্রবাসী শ্রমিক ভাই বোনদের যন্ত্রণা অনেক লাঘব হবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য যে ভিআইপি সুবিধা সেগুলোও থাকবে। বিমানবন্দরে প্রবেশের মুহূর্ত থেকে প্লেনে উঠার আগ পর্যন্ত যে লাউঞ্জ থাকে, সেই পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে তাদের সঙ্গে একজন লোক থাকবে সহায়তার জন্য। আমরা মনে করি, এটি প্রবাসীদের প্রতি উদারতা নয়। এটি আমাদের দায়বদ্ধতা উনাদের প্রতি। এটি বহু আগে করা উচিত ছিল।

আসিফ নজরুল বলেন, গতকাল মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এসেছিলেন বাংলাদেশে। তার সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রমিকদের কল্যাণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ১৮ হাজার বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়াতে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এটা মানে এই নয় যে, নতুন কর্মী। আমি এটা একটু পরিষ্কার করি। এই ১৮ হাজার মানে নতুন চাকরি না, নতুন কর্মী নেওয়া হচ্ছে না। ১৭ হাজারের কিছু বেশি কর্মীর সব কাগজপত্র ঠিক থাকা সত্ত্বেও মালয়েশিয়া সরকারের সময়সীমার মধ্যে সেদেশে যেতে পারেননি। নানা ধরনের জটিলতার কারণে, তারা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন নাই। যেহেতু ৩১ মে’র মধ্যে তারা যেতে পারেননি, তাই মালয়েশিয়া সরকার তাদের গ্রহণ করেনি। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের শ্রমিক ভাই-বোন অনেক টাকা দিয়েছিলেন মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য। উনাদের কষ্ট এবং যন্ত্রণার কোনও তুলনা হয় না। আমি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যারকে বলেছিলাম, এই বিষয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার। গতকাল যখন বিমানবন্দর থেকে উনারা একসঙ্গে একই গাড়িতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা হোটেলে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করার আগে এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই ১৮ হাজার বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। এখন একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, প্রতিশ্রুতি মানেই কিন্তু নিশ্চিত না। আমরা মালয়েশিয়ায় আমাদের হাইকমিশন এবং আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই প্রতিশ্রুতি কার্যকর করতে যত দ্রুত সম্ভব প্রচেষ্টা চালাব। আজকে রাতে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে মিটিং আছে। সেখানে আমি বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবো, আমরা একটা রোডম্যাপ তৈরি করবো।

তিনি আরও জানান, আমি বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনটি বিষয়ে আলোচনা করেছি। তার মধ্যে বলেছি মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রম বাজার পুনরায় চালু করার বিষয়ে। পাশাপাশি যে ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল রিক্রুটমেন্ট প্রসেস, সেটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। সব রিক্রুটিং এজেন্সি যাতে কাজ করতে পারে এবং প্রক্রিয়াটি যেন স্বচ্ছ হয়।

তৃতীয়ত বলেছিলাম, কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করা যায় কি না। আমার কাছে মনে হয় মানবিক দৃষ্টি থেকে বিবেচনায় নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান প্রমুখ।

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের মর্যাদা রাখতে হবে: দুদু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৫৭ অপরাহ্ণ
নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের মর্যাদা রাখতে হবে: দুদু

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়েই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দিক হচ্ছে একটি নির্বাচিত সরকার। সেই নির্বাচিত সরকার যতক্ষণ না আসবে গণঅভ্যুত্থান তার মর্যাদা হারাবে। নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়েই সেই মর্যাদা ধরে রাখতে হবে ও সংকট কাটাতে হবে।

তিনি বলেন, ড. মো. ইউনূস সাহেব একটু হুঁশে আসুন। এই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দিক হচ্ছে একটি নির্বাচিত সরকার। এর কোনো ভিন্ন পথ আছে এটা আমি মনে করি না। সেজন্য আমরা নির্বাচনের আহ্বান করেছি। আমি মনে করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের দিকে দেশকে এগিয়ে নেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, ভারত একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের যে সহযোগিতা করেছিল, আমাদের দেশের মানুষকে তাদের ভূখণ্ডে জায়গা দিয়েছিল, এ জন্য আমরা তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা তাদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করি। কিন্তু এই ভারত বিগত ৫৩ বছরে আমাদের বন্ধুত্ব, আমাদের কৃতজ্ঞতাকে তাদের স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে। মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করার পরে নব্য বাংলাদেশে লুটপাট করেছিল তাদের সেনাবাহিনী এবং জনগণ।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্বিচারে শেখ হাসিনা যেমন লুটপাট করেছেন, ঠিক তেমনই সেই সময় ভারতও বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে। তখন আমাদের টাকার দরকার ছিল। কারণ সদ্য স্বাধীন দেশে সাধারণ মানুষের জন্য খাবারের প্রয়োজনে, বেঁচে থাকার প্রয়োজনে টাকার দরকার ছিল। কিন্তু সেই সময় ভারত টাকা নিয়ে গেছে। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ পাকিস্তানিদের কাছ থেকে যে অস্ত্র পেয়েছিল সেই অস্ত্রগুলো তারা ট্রাকে ভরে ভারতে নিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় রাশিয়ান কয়েকটি এসএলআর ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। অথচ, হাজার হাজার কোটি টাকার অস্ত্র সেই সময় আমাদের বাংলাদেশে থাকার কথা ছিল।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই পার্শ্ববর্তী বন্ধু নামধারী দেশটি সদ্য স্বাধীন এই বাংলাদেশের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে, সেই একই ব্যবহার আমরা এই ডিসেম্বরেও লক্ষ্য করেছি। এমনকি ভারত ভয়ংকর গণহত্যাকারী ও লুটেরা শেখ হাসিনা এবং তার দলকে আশ্রয় দিয়েছে। এই আশ্রয়ের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে তারা গণহত্যাকারী এবং লুটেরার পক্ষের একটা শক্তি। অর্থাৎ ভারত সবসময়ই আওয়ামী লীগ, শেখ মুজিব, শেখ হাসিনার বাইরে আর অন্য কোনো চিন্তা করতে পারে না। আর এর বাইরে কোনো চিন্তা করতে পারেনি বলেই তারা বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু হতে পারেনি।

‘বিএনপি লড়াই করেছে বলেই ছাত্ররা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে পেরেছে’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
‘বিএনপি লড়াই করেছে বলেই ছাত্ররা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে পেরেছে’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৫ বছর ধরে বিএনপির ওপর মামলা-হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। বিএনপির ত্যাগ-নির্যাতন এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিএনপি লড়াই করছে বলেই ছাত্ররা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটাতে পেরেছে। আজ সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ে এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আওয়ামী লীগ হত্যা করতে চেয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি করার অপরাধে লাখ লাখ নেতাকর্মীকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এখন বাড়িতে পুলিশ যায় না এর চেয়ে বড় শান্তি আর নেই।

দেশে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘকাল ধরে লড়াই করেছে জনগণ এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জনগণের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে। এতো পাপ করছে যে শেখ হাসিনার পালানো ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

বাংলাদেশের আন্দোলনকে উগ্রবাদী বিদ্রোহ বলে বহির্বিশ্বে শেখ হাসিনা অপপ্রচার করছে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা এখন ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে উগ্রবাদীদের বিদ্রোহ বলে অপপ্রচার করছে। কিন্তু তা ছিল জনগণের বিদ্রোহ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোন রাজনৈতিক দলের নেতা নয়, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান যেখানে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছিলো সেখানে জিয়াউর রহমান সব দলকে পুনর্বাসন করেছেন।

নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে চাই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের জন্য প্রয়োজনে আরেকটা লড়াই হবে। ভোটের অধিকার আদায়ে ৫ আগস্টের মতো আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে।

দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের উত্তেজনাপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রের এমন সংস্কার বা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন যাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আওয়ামী লীগ আর নৌকা নয়, বরং সত্যিকারের পরিবর্তন চায় দেশের মানুষ।

চাঁদপুরে জাহাজে ডাকাতের হামলা, নিহত ৭

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:০১ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে জাহাজে ডাকাতের হামলা, নিহত ৭

চাঁদপুর শহরের অদূরে হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে জাহাজে ডাকাতির ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে রয়েছেন কোস্টগার্ড ও পুলিশের সদস্যরা।

সোমবার দুপুরে মরদেহের খবর পাওয়া যায়। বাংলাদেশে কোস্টগার্ডের স্টাফ অফিসার (ঢাকা জোন) লে. কর্নেল শামস গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছ, জাহাজটির নাম ‘এমভি আল-বাখেরা’। জাহাজটি নোঙর করা অবস্থায় ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জাহাজটিতে ডাকাতরা হামলা চালিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা।

নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আব্দুর সবুর বলেন, চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট এলাকার কাছাকাছি মেঘনা নদী সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এমভি আল-বাখেরা নামক নোঙর করা অবস্থায় থাকা জাহাজে মরদেহগুলো গলাকাটা অবস্থায় দেখে আমাদের খবর জানায়।

নৌ পুলিশের ওই উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আব্দুর সবুর আরও বলেন, যতদূর জেনেছি তা হচ্ছে ডাকাতরা ডাকাতির উদ্দ্যেশ্যে জাহাজ আক্রমণ করেন। পরে তাদের প্রতিহত করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের গলায় জবাই করে দেওয়া হয়। জবাইকৃত ৭ জনের সবাই জাহাজের স্টাফ। এদের একজনের অবস্থা গলা কাটা অবস্থায় আশঙ্কাজনক রয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে এমন ঘটনা এবং নিহতেরা কারা সে সম্পর্কে এখনি সব বলা সম্ভব হচ্ছে না।