খুঁজুন
শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ২৩ ফাল্গুন, ১৪৩১

সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:১০ অপরাহ্ণ
সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (৬ অক্টোবর) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এ আদেশ দেন।

এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ারুল হক তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, মো. আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে অজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. আব্দুর রহমান দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বনখেকো চক্রের ষড়যন্ত্র

সংবাদ প্রচারের জেরে মিথ্যা অপপ্রচার, প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৬:৪৬ অপরাহ্ণ
সংবাদ প্রচারের জেরে মিথ্যা অপপ্রচার, প্রতিবাদে মানববন্ধন

সংরক্ষিত বন উজাড় করে বনখেকো চক্রের বনভূমি দখলের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যুগান্তরের ষ্টাফ রিপোর্টার ও একাত্তর টেলিভিশনের প্রতিনিধি কামরুল হাসানের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবের সামনে এ আয়োজন করা হয়।
রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাব ও সুশীল সমাজের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বনখেকো চক্রের বিরুদ্ধে সাহসী অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে দৈনিক যুগান্তর ও একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক কামরুল হাসানের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার চালাচ্ছে বনখেকো চক্র। এ ধরণের ঘটনা সাংবাদিকদের বাকস্বাধীনতার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেন তারা।

অপপ্রচারকারীদের হুশিয়ারি দিয়ে বক্তারা বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতায় হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির ডাক দিবে সচেতন মহল ও সাংবাদিক সমাজ। তাই অনতিবিলম্বে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। সেই সঙ্গে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানানো হয় এ কর্মসূচিতে। পরে রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবে প্রতিবাদ সভা করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ দৈনিক যুগান্তরে ‘গাছ কেটে ভু‚মি দখল’ শিরোনামে রাঙ্গাবালীর মাঝের চরের সংরক্ষিত বন উজাড় করে বনভূমি দখলের সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরদিন ৫ মার্চ একাত্তর টেলিভিশনে ‘রাঙ্গাবালীতে সংরক্ষিত বনের গাছ উজাড়: গাছ কাটছে বনখেকোরা, দখল হচ্ছে বনভূমি, তবুও উদাসীন বন বিভাগ’ শীর্ষক প্রতিবেদন ও লাইভ সম্প্রচার করা হয়।

বেলকুচির রাজাপুর কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি হলেন বনি আমিন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৩:২১ অপরাহ্ণ
বেলকুচির রাজাপুর কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি হলেন বনি আমিন

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর কলেজের গভর্নিং বডির এডহক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব  বনি আমিন, বিদ্যুৎসাহী সদস্য মোঃ মুনির আহম্মেদ মনোনীত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ই মার্চ) জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এর অনুমোদনে  কলেজ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই অনুমোদন করা হয়।

উল্লেখ্য সম্প্রতি  কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ হেলাল উদ্দিন মৃত্যুবরণ করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নি বডি গঠন সংক্রান্ত অধিভুক্ত কলেজ/ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহের গভর্নিং বডি (সংশোধিত) সংবিধি ২০১৯ এর ৭নং ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বনি আমিনকে সভাপতি ও মোঃ মুনির আহম্মেদ বিদ্যুৎসাহী সদস্য মনোনীত করে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এবার কি চিরতরে হাসিনার হাসি বন্ধ করলো জাতিসংঘ!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ১২:৩০ অপরাহ্ণ
এবার কি চিরতরে হাসিনার হাসি বন্ধ করলো জাতিসংঘ!

সম্প্রতি দিল্লিতে চলমান তীব্র বায়ুদূষণ পরিস্থিতি মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি সবার জন্যই উদ্বেগজনক, বিশেষত দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার জন্য। তার জন্য দিল্লির পরিবেশ এক অজুহাতের মতো কাজ করছে, কারণ তাকে এখন ঘরের বাইরে বের হতে বলা হচ্ছে না। আর হাসিনার পরিস্থিতিও ঠিক তেমন, যেমন দিল্লির আকাশ—গুমোট এবং অস্বচ্ছ।

শেখ হাসিনা, যিনি বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান থেকে পালিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, এখন তার ভবিষ্যতও খুবই অন্ধকার। একসময় যেখানে তিনি টিভির এয়ারটাইমের অর্ধেকটা দখল করতেন, এখন সেই হাসিনার নামও ফেসবুক লাইভে গোপন রাখা হয়। এমনকি, তার রাজনৈতিক জীবনেও পরিবর্তন এসেছে, এবং বেশ কিছু নেত্রী যারা একসময় তার বিরুদ্ধে কথা বলতেন, তারা এখন তাকে এড়িয়ে চলছেন—যদিও তাদের বেশিরভাগই হাসিনার সুবিধা নেওয়া চালিয়ে যাচ্ছেন।

এবার নতুন একটি দুঃখজনক খবর সামনে এসেছে। যা শেখ হাসিনার জন্য মোটেও শুভকর নয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষত ২০২২ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন দমন করার সময় সরকারের সহিংস পদক্ষেপগুলোকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ওয়ালকার তুর্ককার তুর্ক জানিয়েছেন, এই সহিংসতার কারণে বাংলাদেশে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে, এবং এই প্রতিবেদন বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক ভবিষ্যতের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এছাড়া, ১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন গণঅভ্যুত্থানের সময় বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, হাসিনা সরকার সহিংস উপায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য একটি বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে, হাসিনার দেশে ফেরার সম্ভাবনা এখন চিরকাল অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মত- তিনি হয়তো এখন হুমায়ূন আহমেদের নাটকের সেই সংলাপের মতো বলবেন: “আমার সামনে হাসবা না, আমি হাসি পছন্দ করি না, হাসি বন্ধ।”