খুঁজুন
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২

আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সিদ্ধান্ত

মেঘনা, এনআরবিসি, এনআরবি ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ণ
মেঘনা, এনআরবিসি, এনআরবি ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বেসরকারি খাতের আরও তিনটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো– এনআরবি কমার্শিয়াল, এনআরবি ও মেঘনা ব্যাংক।

বুধবার (১২ মার্চ) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মেঘনা ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক এবং এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ (বোর্ড) ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই সিদ্ধান্তের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দেওয়া হবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক তিনটির পরিচালনা পর্ষদে অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশেষ পর্যালোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়।

বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আনতে এবং আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে।

প্রসঙ্গত, সরকার পতনের পর থেকে এ নিয়ে ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমালকে সরিয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক এমডি আলী হোসেন প্রধানিয়ার নেতৃত্বে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে। মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক এমপি এএইচ এন আশিকুর রহমানকে সরিয়ে প্রাণ গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরীর নেতৃত্বে পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে। আর এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান অপসারণ করে ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ওবিইকে আনা হয়েছে। প্রতিটি পর্ষদে চেয়ারম্যানসহ সাত জন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুনভাবে গঠন করা হলো।’ বেশ আগ থেকে ব্যাংকগুলো পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার আলোচনায় ছিল। তবে পর্ষদ ভাঙলেই আমানত উত্তোলনের চাপ তৈরি হওয়ায় মাঝে বিরতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই মধ্যে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফেরায় এক দিনে তিনটি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে কেবল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটিতে নিয়োগ পাওয়া আলী হোসেন প্রধানিয়াসহ সবাই স্বতন্ত্র পরিচালক। তিনি ছাড়াও পরিচালক নিয়োগ পেয়েছেন– বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আবুল বশর ও আনোয়ার হোসেন, সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. নুরুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. শফিকুর রহমান, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ।

মেঘনা ব্যাংকে উদ্যোক্তা পরিচালকদের মধ্যে উজমা চৌধুরী এবং ক্যাসিওপিয়া ফ্যাশনের প্রতিনিধি তানভীর আহমেদ পরিচালক হয়েছেন। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে কারও নাম দেওয়া হয়নি। পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক ডেকে এখন নিজেরা ঠিক করবে। আর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. মামুনুল হক ও রজব আলী, যমুনা ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. নজরুল ইসলাম, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক হাবিবুর রহমান এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মো. আলি আকতার রিজভী এফসিএ।

এনআরবি ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়া পরিচালকদের মধ্যে ইকবাল আহমেদ ওবিই ছিলেন ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক। তাকে সরিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের পদ আকড়ে ছিলেন মাহতাবুর রহমান। নতুন পর্ষদে ইকবাল আহমেদ ওবিই ছাড়া অন্য সবাই স্বতন্ত্র পরিচালক। অন্যদের মধ্যে আছেন– গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ফেরদৌস আরা বেগম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শেখ মো. সেলিম, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি শেখ মতিউর রহমান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শরীফ নুরুল আহকাম এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মিজানুর রহমান এফসিএ।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংক ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করেছিল। এর মধ্যে এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হয়– ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি, গ্লোবাল, ইউনিয়ন, ন্যাশনাল ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পর্ষদ। তার ভাই আব্দুস সামাদ লাবুর নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হয় আল–আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। এছাড়া এস আলমের মামাতো ভাই সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ পরিবার মুক্ত করা হয়েছে ইউসিবি। আর ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিএবির দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার মুক্ত করা হয়েছে এক্সিম ব্যাংক।

পাইকগাছায় পৌরসভা বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ণ
পাইকগাছায় পৌরসভা বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

খুলনার পাইকগাছায় পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ডের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত। আজ (৮ মে) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাইকগাছা হাসপাতাল মোড়ে এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মী সভা মোঃ মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ আসলাম পারভেজ।

বিশেষ অতিথি পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম রেজা লাকি, সাবেক কাউন্সিলর কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ, মোস্তফা মোড়ল, সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান,সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান, মোঃ জিয়াউদ্দীন নায়েব, ডাঃ শাহাবুদ্দিন, উপজেলা বিএনপির নেতা সাইফুল ইসলাম তারিখ, পৌর বিএনপির নেতা গাজী মোহাম্মদ আলী, মনিরুজ্জামান মন্টু,শেখ রুহুল কুদ্দুস পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জি এম রুম্তম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজাহারুল ইসলাম সানা, জামিলুর রহমান রানা, আব্দুর রহমান জনি, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ সবুজ সানা,জাকির হোসেন মিন্টু, আবদুল কাদের, সেলিম মোড়ল, মোশাররফ হোসেন বাবুল, শাহাজাহান গাজী,তুষার সরদার, নূর ইসলাম,

বেলকুচিতে অ্যালকোহল খেয়ে ২ জনের মৃত্যু, আহত ১

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৯:৫৯ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে অ্যালকোহল খেয়ে ২ জনের মৃত্যু, আহত ১

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে কেনা অ্যালকোহল পান করে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক জন।

বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন। 

মৃত্যু ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার দৌলতপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ছাত্তার প্রামাণিকের ছেলে আবুল কালাম (৪৫), দৌলতপুর মতি মাকের্ট এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শাহ আলম (৪৩)। এ ঘটনায় আবু হানিফ নামের এক জন অসুস্থ হয়ে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ (এপ্রিল) মঙ্গলবার  উপজেলার কান্দাপাড়া বাজার থেকে মোজ্জাম্মমেল হক বাবুর হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে কেনা অ্যালকোহল খেয়ে তিন জন অসুস্থ হয়ে পরেন। তার মধ্যে বুধবার দিবাগত রাতে দুজন সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে  মারা যায়।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন জানান, অ্যালকোহল পানে দুজনের মৃত্যুর পর হোমিও প্যাথি দোকানদার মোজ্জাম্মেল হক বাবুর ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আর মোজ্জাম্মেল হককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে জামায়াতের উপহার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ
যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে জামায়াতের উপহার

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে জামায়াতের পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৭ মে) বিকালে গঙ্গাচড়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে এবং গঙ্গাচড়া মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সংবর্ধনা ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

নবদম্পতির পরিবারগুলোকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয় স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, খাট, তোশক, বালিশ, কম্বল, আলমারিরসহ সাংসারিক জীবনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আসবাব। এর আগে গত ২১ এপ্রিল ঢাকায় একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিয়ে দেওয়া হয়।

যৌতুকবিহীন বিয়ে করে উপহার পেয়েছেন উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের মাসুদ রানা ও শারমিন আক্তার দম্পতি। মাসুদ রানা বলেন, ‘যৌতুক নেওয়া ও দেওয়া ইসলামী শরিয়ায় হারাম। এ ছাড়া বাংলাদেশের আইনেও নিষেধ। আর যৌতুক দিতে যে একটা পরিবারের কত কষ্ট হয় তা বুঝি। এর জন্য আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী যৌতুক ছাড়া বিয়ে করেছি।’

উপহারসামগ্রী পাওয়া অন্য এক দপ্ততি বলেন, ‘আমরা দেখেছি যৌতুক নিয়ে পরিবারের অনেক ঝামেলা হয়। তাই আমাদের দুই পরিবাবের সিদ্ধান্তে আমরা যৌতুকবিহীন বিয়ে করেছি। আমাদের পরিবারের মাঝে কোনো প্রকার যৌতুক লেনদেন হয়নি। জামায়াতে ইসলামীকে ধন্যবাদ। আমাদের বিবাহত্তর সব খরচ বহন করার জন্য।’

নাহিদ হাসান নামের একজন বলেন, আমাদেরকে ঢাকায় প্লেনে নিয়ে যেয়ে একটি অভিজাত হোটেলে বিয়ে অনুষ্ঠানে করা হয়। আজ আমাদের আসবাপত্র দেওয়া হলো। জামাতে ইসলামীকে ধন্যবাদ আমাদেরকে নিয়ে এধরনের আয়োজন করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, আর আমি আমার মুসলিম ভাইদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা বিয়ের সময় শ্বশুর পরিবারের লোকজনকে কষ্ট দিয়ে কিছু নেবেন না। এতে আল্লাহ নারাজ হন।

উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী। এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উপজেলা শাখার আমির মাওলানা নায়েবুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা নায়েবে আমির তাজ উদ্দিন, সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল ইসলাম, জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ রোকনমুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।