খুঁজুন
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘পাহারা দিয়ে উৎসব আনন্দময় হয় না’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
‘পাহারা দিয়ে উৎসব আনন্দময় হয় না’

Oplus_131072

মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মিজ্ ফরিদা আখতার বলেছেন,পাহারা দিয়ে উৎসব উদযাপন আনন্দময় হয় না। পুলিশ দিয়ে, আনসার দিয়ে আমরা পূজাটাকে আনন্দময় করবো- এটা হয় না। এটা আসলেই একটা আনন্দের, হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলে আমরা আনন্দ করবো।

সেজন্য সামাজিক একটা পরিবেশ তৈরি করতে হবে- যেন সবাই আনন্দটা করতে পারি। এখানে রাজনৈতিক দলের যাঁরা রয়েছেন, তারাও যেন সহযোগিতা করি। তাহলে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পুজার আনন্দটা উপভোগ করতে পারবো।

আজ সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাদেরকে অনুরোধ করবো পূজা চলাকালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেন না হয়। যদি কোনো কারণে সমস্যা হয়-তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ সময় তিনি জামাতের নামাজের সময় মাইক বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন।

উপদেষ্টা মিজ ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশ একটা সম্প্রীতির দেশ। আমিও মনে করি দেশে সংখ্যালঘু বা সংখ্যা গড়িষ্ঠ বলে কিছু নেই। সবাই আমরা একটা পরিবার। আশাকরি আমরা ভালো একটা পুজা উৎযাপন করতে পারবো।

স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আমার বাড়ি হলেও অনেকে বলেন- টাঙ্গাইল আমার বাপের
বাড়ি। ১৯৮৭ সাল থেকে আমি টাঙ্গাইলে কাজ করার সুবাদে এটা হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী না থাকলে বাংলাদেশ হতো কি-না সন্দেহ আছে। তিনি বিশ্বের দরবারে টাঙ্গাইলকে পরিচিত করেছেন। মওলানা ভাসানীর জীবনী সকল পাঠ্যপুস্তকে থাকা দরকার- এজন্য যদি আমাকে মানববন্ধন কর্মসূচিতে দাঁড়াতে হয়, দাঁড়াবো।

উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত আমাদের পাশে থাকার কারণে নাম ধরতে হয়। বাংলাদেশ হল ইলিশ মাছের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। আমাদের কোস্টগার্ড নৌবাহিনী খুব সর্তক অবস্থানে রয়েছে। এবার তারা আরও সর্তক অবস্থানে রয়েছে। ইলিশ মাছ চোরাচালানও হয়। স্থলপথেও কিন্তু ইলিশ মাছ চোরাচালান হয়। সবক্ষেত্রেই বিজিবিসহ সবাই সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সানতু, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শিহাব রায়হান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এএম জহিরুল হায়াত, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুন ঝন্টু, টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কালীমন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ চৌধুরী, সদর উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি চিত্তরঞ্জন সরকার, সাধারণ সম্পাদক দীলিপ কুমার দাস, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।

ওই মতবিনিময় সভায় জেলা ও ১২টি উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি-সাধারণ
সম্পাদক, হিন্দু ধর্মীয় বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে তিনি জেলার দেলদুয়ার উপজেলার বিষ্ণুপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উবীনীগ কার্যালয়ে যান। পরে একই উপজেলার পাথরাইলে স্থানীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

ফ্যাসিস্টের সহযোগী বলায় কাঠগড়ায় কাঁদলেন নুসরাত ফারিয়া

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ২:০০ অপরাহ্ণ
ফ্যাসিস্টের সহযোগী বলায় কাঠগড়ায় কাঁদলেন নুসরাত ফারিয়া

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক রাজধানীর ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় দুই বাংলায় অশ্লীলতার জন্য বিতর্কিত নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক। এদিন সকালে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। বেলা ১০টার পর তাকে আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়।

এ সময় তাকে এজলাসের কাঠগড়ায় রাখা হয়। শুনানি চলাকালে কাঠগড়ায় নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন নুসরাত ফারিয়া। পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী নুসরাত ফারিয়াকে ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যা দিয়ে আদালতে শুনানি করেন। শুনানি চলাকালে চোখ মুছতে দেখা যায় নুসরাত ফারিয়াকে।

এ সময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করে তার আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে তার জামিন বিষয়ে আরও শুনানির জন্য আগামী ২২ মে দিন ধার্য করেন।

এর আগে গতকাল রোববার (১৮ মে) দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাজধানীর ভাটারা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় নুসরাত ফারিয়াকে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানী ঢাকার ভাটারা থানা এলাকায় হওয়া এক হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আশনা হাবিব ভাবনা, চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয় শিল্পীকে আসামি করা হয়।

গত ২৮ এপ্রিল আদালতের আদেশের পরদিন ভাটারা থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে নুসরাত ফারিয়াকে।

রেডিও জকি (আরজে) হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন নুসরাত ফারিয়া। এরপর ২০১৩ সালে নাম লেখান উপস্থাপক হিসেবে। কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার আশিকী সিনেমায় বড়পর্দায় অভিষেক হয় তার। প্রথম সিনেমাতেই সাড়া ফেলে দেন তিনি। এরপর ঢালিউড ও টালিউড মিলিয়ে প্রায় ২০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

দেশ ছাড়লেন পার্থর স্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
দেশ ছাড়লেন পার্থর স্ত্রী

অবশেষে বিদেশ গেলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিন। সঙ্গে রয়েছেন তার ছোট মেয়ে মদিনা বিনতে আন্দালিব।

রোববার দুপুরে টিজি-৩২২ ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য তিনি ব্যাংকক যান।

এর আগে মঙ্গলবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তার গতিরোধ করেছিল।

তবে কী কারণে তাকে সেদিন যেতে দেয়া হয়নি তা এখনো স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ পরিবারের সদস্য শেখ হেলালের মেয়ে হওয়ার কারণেই হয়তো তাকে আটকে দেয়া হয়েছিল।

এ ব্যাপারে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এটা আগেও বলেছি। আইন মেনেই আমার পরিবারের সদস্যরা ব্যাংকক গেছে।

ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ণ
ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যেই ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ রবিবার (১৮ মে) বিকেলে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এসময়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. আক্রাম হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মেরাজ উদ্দিন (সার্কেল-১), মো. আহসান হাবিব (বিদ্যুৎ, জোন-১/ক), রমনা কালী মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অপর্না রায় দাসসহ কালী মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে কালী মন্দির ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদে তল্লাশি জোরদার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসঙ্গে কবি সুফিয়া কামাল হল সংলগ্ন ফুট ওভারব্রীজে ওঠা-নামার সিঁড়ি রাস্তা থেকে সরিয়ে এক প্রান্ত হলের অভ্যন্তরে এবং অপর প্রান্ত কার্জন হলের অভ্যন্তরে স্থাপনের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। শিগগিরই এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

এর আগে, দুপুরে শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বকস চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, নিহত সাম্যের বন্ধু ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফুল আলম রাফি ও সাম্যের আরেক বন্ধু এস এম নাহিয়ান ইসলাম।

এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, সাম্য হত্যার সুষ্ঠু বিচার আমরা চাই। এই বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আজ (রবিবার) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। সাম্য হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দ্রুত শেষ করতে উপদেষ্টার সহায়তা চেয়েছি।

উপাচার্য আরও বলেন, এই হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এছাড়া, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।