খুঁজুন
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ, ১৪৩১

পুলিশ হবে জনগণের, পুলিশ হবে রাষ্ট্রের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
পুলিশ হবে জনগণের, পুলিশ হবে রাষ্ট্রের

পুলিশ হবে জনগণের পুলিশ হবে রাষ্ট্রের ঢাকার ধামরাইয়ে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন কালে এমন বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মেদ মইদ। পূজা মন্ডপে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টিকে বেশি প্রাধান্য দেন তিনি। সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে মাধববাড়ি মন্দির পরিদর্শন কালে এমন কথা বলেন তিনি।

পুলিশ সুপার আহম্মেদ মইদ সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, পূজা মন্ডপে সকল বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য কাজ করবেন। স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে মাঠে। থানা পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তায় কাজ করবেন। কোন দুষ্কৃতকারী যদি ঝামেলা সৃষ্টি করতে চায় তাদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। আমি আবারও আসবো আপনাদের মাঝে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নকালে পুলিশ সুপার বলেন, ৫ আগষ্টের পর সারা দেশেই দুষ্কৃতকারীরা পুলিশি সেবাদানের গাড়িগুলো পুরিয়ে দিয়েছে। এতে শুরুতে একটু সমস্যা হয়েছিল। সেটা এখন আর নেই। বেশির ভাগ সমস্যাই সমাধান হয়ে গেছে। বাকি সমস্যাও তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। এবারের পূজায় মাঠে র‌্যাব, সেনাবাহিনী, যৌথ বাহিনী থাকবে। যা আগে ছিল না। এছাড়া আনসার, পুলিশ, জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে। কেউ যদি পূজার আনন্দকে নসাৎ করতে চায় তারা কিন্তু পার পাবে না।

পৌরসভার দক্ষিণ পাড়া কালীমন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়ে আহম্মেদ মইদ বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে বানরের ছবি পাওয়া গেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের সাথে মানুষের কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় নি। আমরা আশে পাশে লোকজনের সাথেও এ বিষয়ে কথা বলেছি। ওই এলাকায় প্রচুর বানরের উপদ্রপ রয়েছে। তারপরও তদন্ত চলছে। যদি কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশ সুপার আরো বলেন, পুলিশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এটা কি জনগণের পুলিশ না রাষ্ট্রের। কারণ পুলিশ ছাড়া জনগণ চলতে পারবে না, জনগণ ছাড়া পুলিশও চলতে পারবে না। আমাদের পরিবার আছে। আপনাদেরও পরিবার আছে। আপনাদের জন্য কাজ করাই হলো আমাদের জন্য কাজ করা। পুলিশ হবে জনগণের, পুলিশ হবে রাষ্ট্রের। পুলিশের পরিবহনের যে সমস্যা সেই গ্যাপটা পূরণ করা হচ্ছে। লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অস্ত্র যা এখনো ফেরত আসে নাই তাও উদ্ধারের চেষ্টা চলমান। আসামী গ্রেফতার হলেই অভিযান চলমান তা নয়। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।

অজ্ঞাত ৪/৫ হাজার জনের নামে মামলা হয়েছে এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, মামলায় অনেক নিরপরাধ সাধারণ মানুষের নাম চলে আসছে। সেগুলো সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একজন বাদি যদি মামলা করতে আসে আমরা তাদের ফেরত পাঠাতে পারি না। সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত) প্রশান্ত কুমার বৈদ্য, ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) ফজলুল হক, ঢাকা জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন, ধামরাই উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি অজিত কুমার মজুমদারসহ বিভিন্ন মন্ডপের পূজা উৎযাপন কমিটির সদস্য।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৫৩ অপরাহ্ণ
আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতির সঙ্গে পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সড়কের নৈরাজ্যের সাথে একটা পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত। সড়ক ও পরিবহণ খাতে আগে একদল দুর্নীতি করত এখন অন্যদল করছে। এটা খুব সহজে সমাধান হবে না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু রাজনৈতিক কর্মী ও নেতারা জড়িত তাই সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রাখতে হবে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সার্কিট হাউস সংলগ্ন প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। দিনব্যাপী এ সংলাপে সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও পরিবহণ সেক্টরের অংশীদারজনও উপস্থিত ছিলেন।

এ-সময় নাহিদ বলেন, বুয়েটের একজন মারা গেল। একটা ধারণা যে সমাজের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যারা আছেন তাদের বিচার হয় না, জবাবদিহিতা হয় না। এখানে সাধারণ মানুষদের জীবনটাই আসলে যায়। এই চিত্র আমাদের সমাজে আছে। এটার পরিবর্তন দরকার। সবাইক বিচারের আওতায় আনা দরকার। এখানে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। উন্নয়ন নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, এখন রাস্তায় বের হয়ে মানুষ মারা গেলে সেটাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলা হচ্ছে। কারণ এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে হচ্ছে। এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করে রাখা হয়েছে রাস্তায় মানুষ বের হলে মানুষ মারা যেতে পারে৷ এখানে ব্যবস্থাপনাতেই সমস্যা রয়েছে। যে ধরনের প্রতিষ্ঠান সড়কের নিরাপত্তা দিতে পারে সেটাই তৈরি হয়নি।

পরিবহণ সেক্টরের দুর্নীতি চলমান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের দল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল আবার এখন আরেক দল রয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা প্রয়োজন। কারণ রাজনৈতিক কর্মীরাই এগুলোত জড়িত।

জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহণ সমন্বয়ক কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আরমানা সাবিহা হকসহ অন্যান্যরা।

অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৪৯ অপরাহ্ণ
অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের আঁচ এবার শিক্ষার্থীদের ওপরও লাগছে। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিক্ষার্থীদের শনাক্তে ভারতের রাজধানী দিল্লির সব স্কুলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় যথাযথভাবে শনাক্তও যাচাইয়ের বিষয়টিও আছে নির্দেশনাতে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিল্লি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (এমসিডি) জারি করা ওই নির্দেশনাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি সরকারের প্রধান সচিবের (গৃহ বিভাগ) সভাপতিত্বে গত ১২ ডিসেম্বর এমসিডি একটি ভার্চুয়াল সভা আয়োজন করে। এতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে স্কুলে তাদের শনাক্তকরণ ও তাদের জন্ম সনদ না দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এছাড়া কোনও অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে জন্ম সনদ না দেওয়ার ব্যাপারে দিল্লির জনস্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমসিডি তাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে এবং সঠিক পরিচয় ও যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনারও নির্দেশ দিয়েছে।

এমনকি যেসব জায়গায় এই অভিবাসীরা অন্যের জমি বা জায়গা দখল করে রেখেছে, সেগুলো খালি করে দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন। কারণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য তাদের নিজস্ব রেকর্ড রাখে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে অল ইন্ডিয়া সার্ভে ফর হায়ার এডুকেশনের ২০২১-২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী ভারতে উচ্চশিক্ষার জন্য গেছেন।

শিক্ষার্থীদের আগে নয়া দিল্লিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরতেও পুলিশ অভিযানে নেমেছিল।

বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর কয়েকদিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরপর থেকেই ঢাকা ও নয়া দিল্লির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।

এরপর তা আরও নাজুক হয়ে পড়ে গত নভেম্বরে হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর। তার প্রতিবাদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় এক বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ মিশনে হামলা হয়। অন্যদিকে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ বাংলাদেশেও চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন।