খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

পুলিশ হবে জনগণের, পুলিশ হবে রাষ্ট্রের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
পুলিশ হবে জনগণের, পুলিশ হবে রাষ্ট্রের

পুলিশ হবে জনগণের পুলিশ হবে রাষ্ট্রের ঢাকার ধামরাইয়ে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন কালে এমন বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মেদ মইদ। পূজা মন্ডপে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টিকে বেশি প্রাধান্য দেন তিনি। সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে মাধববাড়ি মন্দির পরিদর্শন কালে এমন কথা বলেন তিনি।

পুলিশ সুপার আহম্মেদ মইদ সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, পূজা মন্ডপে সকল বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য কাজ করবেন। স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে মাঠে। থানা পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তায় কাজ করবেন। কোন দুষ্কৃতকারী যদি ঝামেলা সৃষ্টি করতে চায় তাদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। আমি আবারও আসবো আপনাদের মাঝে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নকালে পুলিশ সুপার বলেন, ৫ আগষ্টের পর সারা দেশেই দুষ্কৃতকারীরা পুলিশি সেবাদানের গাড়িগুলো পুরিয়ে দিয়েছে। এতে শুরুতে একটু সমস্যা হয়েছিল। সেটা এখন আর নেই। বেশির ভাগ সমস্যাই সমাধান হয়ে গেছে। বাকি সমস্যাও তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। এবারের পূজায় মাঠে র‌্যাব, সেনাবাহিনী, যৌথ বাহিনী থাকবে। যা আগে ছিল না। এছাড়া আনসার, পুলিশ, জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে। কেউ যদি পূজার আনন্দকে নসাৎ করতে চায় তারা কিন্তু পার পাবে না।

পৌরসভার দক্ষিণ পাড়া কালীমন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়ে আহম্মেদ মইদ বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে বানরের ছবি পাওয়া গেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের সাথে মানুষের কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় নি। আমরা আশে পাশে লোকজনের সাথেও এ বিষয়ে কথা বলেছি। ওই এলাকায় প্রচুর বানরের উপদ্রপ রয়েছে। তারপরও তদন্ত চলছে। যদি কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশ সুপার আরো বলেন, পুলিশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এটা কি জনগণের পুলিশ না রাষ্ট্রের। কারণ পুলিশ ছাড়া জনগণ চলতে পারবে না, জনগণ ছাড়া পুলিশও চলতে পারবে না। আমাদের পরিবার আছে। আপনাদেরও পরিবার আছে। আপনাদের জন্য কাজ করাই হলো আমাদের জন্য কাজ করা। পুলিশ হবে জনগণের, পুলিশ হবে রাষ্ট্রের। পুলিশের পরিবহনের যে সমস্যা সেই গ্যাপটা পূরণ করা হচ্ছে। লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অস্ত্র যা এখনো ফেরত আসে নাই তাও উদ্ধারের চেষ্টা চলমান। আসামী গ্রেফতার হলেই অভিযান চলমান তা নয়। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।

অজ্ঞাত ৪/৫ হাজার জনের নামে মামলা হয়েছে এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, মামলায় অনেক নিরপরাধ সাধারণ মানুষের নাম চলে আসছে। সেগুলো সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একজন বাদি যদি মামলা করতে আসে আমরা তাদের ফেরত পাঠাতে পারি না। সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত) প্রশান্ত কুমার বৈদ্য, ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) ফজলুল হক, ঢাকা জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন, ধামরাই উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি অজিত কুমার মজুমদারসহ বিভিন্ন মন্ডপের পূজা উৎযাপন কমিটির সদস্য।

ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরকীয়া; গুঞ্জন নিয়ে যা বললেন সারিকা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরকীয়া; গুঞ্জন নিয়ে যা বললেন সারিকা

ব্যবসায়ী মাহিম করিম খানের সঙ্গে প্রথম বিয়ে ভাঙার পর জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ (রাহী) কে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল সারিকা সাবরিন। কিন্তু বিয়ের তিন বছর পেরোতেই আবারও বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন উঠেছে তার জীবনে। আর এজন্য দায়ী করা হয়েছে পরকীয়াকে। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খোলামেলা কথা বলেন অভিনেত্রী।

শোবিজ পাড়ায় গুঞ্জন উঠেছে, গুলশানের এক কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন সারিকা। স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ বেড়ে যাওয়ায় নতুন এক ব্যবসায়ীকে মন দিয়েছেন।

ভক্তমহল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরকীয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন সারিকা। সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টুকটাক বনিবনা না হওয়া বা ন্যাচারাল ১৯-২০ যেমন ঝগড়া হয়, ওটাই হয়েছে। ৩ বছর পেরিয়ে ৪ বছরের সংসার জীবনে আছি। দীর্ঘ সময়ে আমরা এক রাতও আলাদা থাকিনি।’

পরকীয়া-বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এমন তথ্য একেবারেই ভিত্তিহীন। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি আমার স্বামী-সন্তানের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। ঘুরতে যেয়েই ভুয়া খবরটি পেলাম। এমন খবর কে বা কারা ছড়ায় জানতে পারলে সমাধান বলতে পারতাম।’

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ব্যবসায়ী মাহিম করিম খানকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সারিকা। পরের বছরই তাদের ঘর আলো করে আসে একমাত্র কন্যাসন্তান। কন্যা সন্তানের বয়স ১ বছর হতেই ২০১৬ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। এরপর ৬ বছর একাই ছিলেন। ২০২২ সালে দুই পরিবারের সম্মতিতে জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ (রাহী) কে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন অভিনেত্রী।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার-আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি বরাদ্দ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার-আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি বরাদ্দ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার বিকেলে বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সময় তিনি এই বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানান।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শহীদ পরিবার ও আহতদের ভাতা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের বিষয়টি এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তিনি বলেন, শিগগির জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি এবং গুরুত্ব বিবেচনায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। এক্ষেত্রে পেনশন ব্যতীত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় দরিদ্র, প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে।

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করে বাজেটটি কার্যকর করবেন, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ণ
ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি

ঈদযাত্রায় যাত্রী দুর্ভোগ, দুর্ঘটনা, যানজট ও মানুষের ভোগান্তি কমাতে সব পথে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ সোমবার সকালে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান সমিতির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জকরিয়া ও মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর।

এতে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদে ফিটনেসবিহীন, লক্কড়-ঝক্কড় বাস, ট্রাক, লেগুনা, টেম্পু, মাইক্রোবাস, কার, নছিমন-করিমন ও সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাস দূরপাল্লার বহরে যাত্রীপরিবহনে নেমে পড়ে। মেয়াদ উত্তীর্ণ নৌযান দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে। রেলপথেও মেয়াদ উত্তীর্ণ কোচ, ইঞ্জিন, রেলপথের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুতির ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি যানজট ও ভোগান্তি তৈরি করে। এবারের ঈদে সকলপথে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

সারাদেশে প্রায় ৫ লক্ষাধিক যানবাহনের ফিটনেস নেই। ৫ লাখ ইজিবাইক, ৬০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৭ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা, ১ লাখ নছিমন করিমন, ২০ লাখ মোটরসাইকেল প্রতিদিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচল করছে। এছাড়াও মহাসড়কের পাশে পশুরহাট, পশুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে যানবাহন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের গতি কমানোর পাশাপাশি যানজটের সৃষ্টি করছে। এসব যানবাহন জাতীয় মহাসড়ক থেকে জরুরি ভিত্তিতে উচ্ছেদ করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কের প্রতি ইঞ্চি বেদখলমুক্ত করে বাধাহীন যানবাহন চলাচলে উদ্যোগ নিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ আনফিট নৌযানের চলাচল বন্ধ করা, প্রতিটি নৌযানের লোডলাইন অনুযায়ী অতিরিক্ত যাত্রীবহন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। সবপথের প্রতিটি রুটে যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা বিধান করা, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল, ও রেলস্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করা, ব্যবহার উপযোগী প্রয়োজনীয় শৌচাগারের ব্যবস্থা করা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বিধান নিশ্চিত করা জরুরি। বাসা থেকে বের হলেই পথে পথে ছিনতাই, অজ্ঞানপাটি, মলমপাটি, টানাপাটিসহ যে কোনও দুষ্কৃতিকারীদের নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হচ্ছে।