খুঁজুন
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৪ মাঘ, ১৪৩১

পুলিশ হবে জনগণের, পুলিশ হবে রাষ্ট্রের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
পুলিশ হবে জনগণের, পুলিশ হবে রাষ্ট্রের

পুলিশ হবে জনগণের পুলিশ হবে রাষ্ট্রের ঢাকার ধামরাইয়ে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন কালে এমন বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মেদ মইদ। পূজা মন্ডপে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টিকে বেশি প্রাধান্য দেন তিনি। সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে মাধববাড়ি মন্দির পরিদর্শন কালে এমন কথা বলেন তিনি।

পুলিশ সুপার আহম্মেদ মইদ সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, পূজা মন্ডপে সকল বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য কাজ করবেন। স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে মাঠে। থানা পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তায় কাজ করবেন। কোন দুষ্কৃতকারী যদি ঝামেলা সৃষ্টি করতে চায় তাদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। আমি আবারও আসবো আপনাদের মাঝে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নকালে পুলিশ সুপার বলেন, ৫ আগষ্টের পর সারা দেশেই দুষ্কৃতকারীরা পুলিশি সেবাদানের গাড়িগুলো পুরিয়ে দিয়েছে। এতে শুরুতে একটু সমস্যা হয়েছিল। সেটা এখন আর নেই। বেশির ভাগ সমস্যাই সমাধান হয়ে গেছে। বাকি সমস্যাও তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। এবারের পূজায় মাঠে র‌্যাব, সেনাবাহিনী, যৌথ বাহিনী থাকবে। যা আগে ছিল না। এছাড়া আনসার, পুলিশ, জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে। কেউ যদি পূজার আনন্দকে নসাৎ করতে চায় তারা কিন্তু পার পাবে না।

পৌরসভার দক্ষিণ পাড়া কালীমন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়ে আহম্মেদ মইদ বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে বানরের ছবি পাওয়া গেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের সাথে মানুষের কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় নি। আমরা আশে পাশে লোকজনের সাথেও এ বিষয়ে কথা বলেছি। ওই এলাকায় প্রচুর বানরের উপদ্রপ রয়েছে। তারপরও তদন্ত চলছে। যদি কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশ সুপার আরো বলেন, পুলিশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এটা কি জনগণের পুলিশ না রাষ্ট্রের। কারণ পুলিশ ছাড়া জনগণ চলতে পারবে না, জনগণ ছাড়া পুলিশও চলতে পারবে না। আমাদের পরিবার আছে। আপনাদেরও পরিবার আছে। আপনাদের জন্য কাজ করাই হলো আমাদের জন্য কাজ করা। পুলিশ হবে জনগণের, পুলিশ হবে রাষ্ট্রের। পুলিশের পরিবহনের যে সমস্যা সেই গ্যাপটা পূরণ করা হচ্ছে। লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অস্ত্র যা এখনো ফেরত আসে নাই তাও উদ্ধারের চেষ্টা চলমান। আসামী গ্রেফতার হলেই অভিযান চলমান তা নয়। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।

অজ্ঞাত ৪/৫ হাজার জনের নামে মামলা হয়েছে এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, মামলায় অনেক নিরপরাধ সাধারণ মানুষের নাম চলে আসছে। সেগুলো সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একজন বাদি যদি মামলা করতে আসে আমরা তাদের ফেরত পাঠাতে পারি না। সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত) প্রশান্ত কুমার বৈদ্য, ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) ফজলুল হক, ঢাকা জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন, ধামরাই উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি অজিত কুমার মজুমদারসহ বিভিন্ন মন্ডপের পূজা উৎযাপন কমিটির সদস্য।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:১১ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির চালা মৌজার হাজী কোরবান আলী শেখের জমি প্রতিবেশী হাজী আব্দুস সবুর তালুকদার জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ টায় বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন হাজী কোরবান আলী শেখ।

এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার হাজী আব্দুস সবুর তালুকদার  সাথে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।‌ হাজী সবুর তালুকদার ওই জমির জন্য বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে আসছেন। এরই জের ধরে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হঠাৎ করে অনুমানিক ৯ টার সময় হাজী সবুর তালুকদার লোকজন নিয়ে উক্ত জায়গায় অন্যায়, অবৈধভাবে ও জোরপূর্বকভাবে ইট বালি সিমেন্ট দ্বারা আমার জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেন। উক্ত কাজে আমি বাঁধা দিতে গেলে তিনি আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করেন। আমি এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে হাজী সবুর বলেন, এই জায়গা আমি ক্রয় করেছি। জমির মালিক ছিলো অনেকে তাই জমি নিয়ে এতো জটিলতা। তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে তা সত্য না।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকেরিয়া হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মামুনর রশিদ, রোরহান আলী শেখ, আব্দুল করিম মিয়াসহ ভুক্তভোগী কোরবান আলী শেখের পরিবারের সদস্যরা।

ঝিনাইদহে শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
ঝিনাইদহে শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে শৈলকুপা উপজেলার মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এর আগেই বাসটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়।

একজন বাসযাত্রী বলেন, ঝিনাইদহ বাসটার্মিনাল থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলাম, চলন্ত অবস্থায় বাসের মধ্যে আগুন ধরে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বাসটি থামালে বাসের যাত্রীরা সবাই নিরাপদে নেমে পড়েন। এর একটু পরেই পুরো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, খুলনা থেকে ঝিনাইদহ হয়ে রূপসা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়া যাচ্ছিল। পথে শৈলকুপার মোহাম্মদপুরে পৌঁছালে ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়।

সে সময় যাত্রীরা দ্রুতই বাস থেকে নেমে পড়েন। পরে আগুন সম্পূর্ণ বাসে ছড়িয়ে পড়ে। তখন খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে সক্ষম হয়।

শহীদ পরিবারের সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
শহীদ পরিবারের সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ অবরোধ করেন তারা।

এসময় তারা ‘আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, খুনী হাসিনার বিচার চাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, খুনি হাসিনার ফাঁসি দে’ সহ বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমাদের শুধু আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। ছয় মাস পার হয়ে গেছে অথচ বিচারের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটা কি আমাদের ভাইদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি নয়?

একজন শহীদের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে তারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। তাকে হত্যার মাধ্যমে মূলত আমাদের পুরো পরিবারকেই হত্যা করেছে তারা। কারণ পরিবার যে চালায় সে না থাকলে পরিবারের আর কিছু থাকে না। এখনো কেন আসামি ধরা হচ্ছে না? এখনো কেন বিচার করা হচ্ছে না? কেন আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে? আমরা সরকারের কাছে এগুলোর জবাব চাই।