খুঁজুন
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ, ১৪৩১

‘হাসিনা থাকলে স্বাধীনতা থাকতো দিল্লির পায়ের নিচে’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ
‘হাসিনা থাকলে স্বাধীনতা থাকতো দিল্লির পায়ের নিচে’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, শেখ হাসিনা যদি ৪১ সাল পর্যন্ত থাকতো তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিল্লির পায়ের নিচে থাকতো।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির আয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, ১৬ বছরের নির্যাতন, আয়নাঘরে রাখা, গুম, খুন করা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে আল্লাহ দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। বাবার দেশ হিসেবে তিনি গর্ব করতেন। সেই বাবার মৃত্যুর মাসেই তিনি বিদায় নিয়েছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার মদতপুষ্ট মঈন-ফখরুদ্দিন ১১ সেপ্টেম্বরেই তারেক রহমানকে প্লেনে চড়িয়ে বিদেশে পাঠিয়েছিল। ড. ইউনূস এখনো কেন তারেক রহমানের নামের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করলেন না? আমরা যখন গ্রামে যাই, গ্রামের মানুষ আমাদের জিজ্ঞেস করে। দেশের মানুষ উপদেষ্টাদের কাছে জানতে চায়, এখনো কেন শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা সচিবালয়ে বসা। বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে থাকা শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা সারাদেশে এখনো শেখ হাসিনার কথাই বলছে। এখনো কেন ছাত্রলীগ-যুবলীগ নিষিদ্ধ হলো না, দেশের মানুষ জানতে চায়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যদি ৪১ সাল পর্যন্ত থাকতো তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিল্লির পায়ের নিচে থাকতো। যারা মায়ের বুক খালি করেছে তারা কীভাবে ভারতে পালিয়ে গেলো? সরকারকে যৌক্তিক সময় নিয়ে অবশ্যই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। অবিলম্বে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জনপ্রতিনিধিদের হাতে দেশের দায়িত্বভার দেওয়া হোক।

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এস এম শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ মোহা. নেসারুল হক, আনোয়ার হোসেন বুলু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কারী আবু তাহের প্রমুখ।

গাজায় হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:০৫ অপরাহ্ণ
গাজায় হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫০

ফিলিস্তিনের উত্তর গাজা উপত্যকায় কামাল আদওয়ান হাসপাতালের সদর দপ্তরের বিপরীতে একটি ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এ হামলা চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসা কর্মী রয়েছেন।

হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলার পর বেইট লাহিয়া প্রজেক্ট এলাকায় কামাল আদওয়ান হাসপাতালের বিপরীতে একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আমাদের তিনজন মেডিকেল স্টাফসহ প্রায় ৫০ জন শহীদ হয়েছেন।

আবু সাফিয়া আরও বলেন, চিকিৎসা কর্মী ও অন্যান্য কর্মীরা তাদের পরিবারের স্বজনদের নিয়ে ওই ভবনে অবস্থান করছিলেন। নিহতদের মধ্যে আহমেদ সামুর একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, ইসরা একজন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান এবং ফারেস হাসপাতালের একজন রক্ষণাবেক্ষণ প্রযুক্তিবিদ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত বছর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৩৯৯ জনে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো সত্ত্বেও গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় গণহত্যা শুরু হয়।

এদিকে গত মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

তথ্যসূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।

নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:০৩ অপরাহ্ণ
নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইটে জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর এ ধরনের বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে দেশব্যাপী আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়ে থাকে, যা বিদ্যমান শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। ইতোপূর্বে থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজির শব্দে ভয় পেয়ে হৃদরোগে ভুগতে থাকা এক শিশুর মৃত্যু হয় বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়াও অতিরিক্ত শব্দের কারণে শ্রবণশক্তি ও স্মরণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাত, দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, কান ভোঁ ভোঁ করা, মাথা ঘোরা, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়া, মানসিক অস্থিরতা, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াসহ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে বলে জানানো হয়।

শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬-এর ৭ বিধি লঙ্ঘন করে অননুমোদিতভাবে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটালে তা বিধিমালার ১৮ বিধি অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

এ আইনের ব্যত্যয় হলে বা ভঙ্গ করলে প্রথম অপরাধের জন্য অনধিক এক মাস কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৩২ পূর্বাহ্ণ
মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে (এআইআইএমএস) চিকিৎসাধীন রাত ৯ টা ৫১মিনিটে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

এক বিবৃতিতে এআইআইএমএস বলেছে, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা মনমোহন সিংকে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই নিজ বাড়িতে চেতনা হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকদের সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তার চেতনা ফেরানো যায়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা রাত ৯ টা ৫১মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে দিল্লির একাধিক সূত্র বলেছে, শারীরিক অবস্থার আকস্মিক অবনতি হওয়ায় ৯২ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

কিন্তু যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখনই শ্বাসকষ্ট গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠেছিল বলে জানা যায়। তড়িঘড়ি আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।

১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত পঞ্জাবের গাহ্-তে শিখ পরিবারে জন্ম মনমোহনের, যা বর্তমানে পাকিস্তানের অংশ। ছোট বয়সে মাকে হারান। ঠাকুমার কাছেই মানুষ মনমোহন। প্রথমে উর্দু মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষা। গুরুমুখী, পাঞ্জাবিও জানতেন। দেশভাগের পর ভারতের অমৃতসরে চলে আসে মনমোহনের পরিবার।

মনমোহন সিং ১৯৭১ সালে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে প্রথম যোগদান করেন। পরে তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ভারতের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

চলতি বছরের শুরুর দিক পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। গত এপ্রিলে রাজ্যসভা থেকে অবসরে যান তিনি।