খুঁজুন
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ, ১৪৩১

সাকিব ইস্যুতে উত্তাল মিরপুর স্টেডিয়াম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:৫৯ অপরাহ্ণ
সাকিব ইস্যুতে উত্তাল মিরপুর স্টেডিয়াম

নিরাপত্তার কারণে বিদায়ী টেস্ট খেলতে সাকিবকে দেশে ফিরতে মানা করা হয়েছে বিসিবি এবং সরকারের পক্ষ থেকে। তার পরিবর্তে হাসান ‍মুরাদকে দলে নিয়েছে বিসিবি। এরপরই উত্তাল উঠেছে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট। সাকিবকে দল ফেরাতে আন্দোলন শুরু করেছে তার ভক্তরা। আজ শুক্রবার বিকেলে মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনে হাজির হন সাকিব ভক্তরা। তারা সাকিবকে দলে ফেরাতে বিসিবিকে চারটি দাবি জানিয়েছেন।

সেই সঙ্গে সাকিব সাকিব স্লোগানে মুখোরিত হয়ে ওঠে স্টেডিয়াম পাড়া। ভক্তদের দাবি, ক্রিকেটে বৈষম্য রাখা যাবে না। সাকিবকে দেশে ফিরতে দিতে হবে এবং মিরপুর থেকে তার বিদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সে আমাদের দেশের সেরা ক্রিকেটার।

এক আন্দোলনকারী আক্ষেপ করে বলেন, ভারতে কানপুর টেস্ট দিয়ে সাকিব টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা করেছে। এরপরই আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিং থেকে তার নামটা তুলে নিয়েছে। এতদিন সেই সেখানে বাংলাদেশের পতাকাটা ছিল। কিন্তু এখন আর নেই, ১৭ বছর ধরে দেশের পতাকাটা সেখানে ধরে রেখেছিলেন তিনি।

‘তাই আমরা চাই, তার মতো একজন ক্রিকেটারকে দেশ থেকে ভালোভাবে বিদায় দেওয়া হক। যারা তাকে দেশে আসতে দিচ্ছে না, সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।’

আন্দোলনে উপস্থিত এক বয়স্ক ব্যক্তি বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের আরও ৩০০ সংসদ সদস্য আছে। কই তাদেরকে আটক করা বা তাদের বিরুদ্ধে এইভাবে আন্দোলন হচ্ছে না। সেই দেশের একজন ক্রিকেটার, তাকে দেশে আসতে দেওয়া হক। তারপর সে যদি অন্যায় করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘কিন্তু বর্তমানে কিছু মানুষ শুধু সাকিব নিয়েই পড়ে আছে। মাশরাফী তো দেশে আছে, কই তাকে নিয়ে তো কোনো কথা হচ্ছে না। তাকে তো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে কোনোভাবে জায়গায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। আমরা এই বৈষম্য চাই না, সবার ক্ষেত্রে নিয়ম এক হতে হবে।,

আরেক আন্দোলনকারী বলেন, আমরা জানি সাকিবকে কারা দেশে আসতে দিচ্ছেন না। এখানে একটা সিন্ডিকেট কাজ করছে। তাদের পরিচয় এখনই বলতে চাই না। আমরা চার দফা দাবি তুলে ধরেছি। না মানলে আমরা এক দফায় যাব এবং কঠোর আন্দোলন করা হবে। তাই সাকিব ছাড়া যেন এই ম্যাচে না নামা হয়।

অন্যদিকে গতকাল সাকিবকে দল থেকে বাদ দিতে বিসিবিকে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) একটি স্মারকলিপি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের উদ্দেশে দেওয়া স্মারকলিপিতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা বলছেন, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব জায়গায় যে পরিবর্তন হয়েছে তার অংশ আপনি নিজে। যদি এই গণ-অভ্যুত্থান না হতো, তাহলে আপনি বিসিবিপ্রধান হতেন না।

‘তাই আপনার প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত ফ্যাসিবাদ নির্মূল করে নিজের প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা। আপনি কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন করতে পারেন না। আপনি পারেন না বাংলাদেশের জার্সি একজন ভোটচোর এমপির গায়ে জড়িয়ে দিতে। এই কাজের মাধ্যমে আপনি কেবলমাত্র পতিত স্বৈরাচারের মন্ত্রী ও সাবেক বিসিবিপ্রধান পাপনের প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে যাচ্ছেন।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, পাপন (বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন) কথা দিয়েছিল, যে সে সাকিবকে মিরপুরের মাটিতে বিদায় দেবে। আপনিও ঠিক একই কাজটা করতে যাচ্ছেন। সাকিবকে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলতে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি একজন ভোটচোর, হাসিনার দালাল, দুর্নীতিবাজ, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির অপরাধী, জুয়ার দালালের শরীরে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির জার্সি তুলে দিচ্ছেন।

এ ছাড়াও স্টেডিয়ামের দেওয়ালে সাকিবের বিপক্ষে বিভিন্ন মন্তব্য এবং গ্রাফিতি অঙ্কন করেছে আন্দোলনকারী সমন্বয়করা। কিন্তু আজ সেই সব গ্রাফিতি মুছে দিয়ে সাকিবের পক্ষে গ্রাফিতি অঙ্কন করেছে তার ভক্তরা।

সুতরাং, সাকিব ইস্যুতে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং দেশের ক্রিকেট। কারণ, দুই পক্ষের আন্দোলনকারীরা যেখানে তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন, তার পাশে অনুশীলন এবং ম্যাচ খেলবেন দক্ষিণ আফ্রিকা দল। যার ফলে অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটলে বিপাকে পড়বে দেশের ক্রিকেট।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নষ্ট হবে দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি। সাকিব ইস্যুর প্রভাব কোনোভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে উপর পড়লে আইসিসি টুর্নামেন্ট এবং বাইরের দেশের খেলতে আশা নিয়ে হুমকির মুখে পড়বে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, আর মাত্র দুই দিন পর মাঠে গড়াবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট। তাই শেষ পর্যন্ত দেখার অপেক্ষা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়।

আধুনিক বিআরটিসির রূপকার তাজুল ইসলাম

কল্যাণপুর বিআরটিসিতে নবনির্মিত পিওএল ভবন উদ্বোধন

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:২১ অপরাহ্ণ
কল্যাণপুর বিআরটিসিতে নবনির্মিত পিওএল ভবন উদ্বোধন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন তথা বিআরটিসি’র গুরুত্বপূর্ণ ডিপো কল্যাণপুর বাস ডিপোর আধুনিক কাঠামো উদ্বোধন করেছেন বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম। অবশ্য তাজুল ইসলামকে সবাই আধুনিক বিআরটিসি’র রুপকার হিসেবেই জানেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও জনকল্যাণমুখী খাত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন বা বিআরটিসি। আর এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম অংশীদার কল্যাণপুর বিআরটিসি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। রোববার (২২ ডিসেম্বর) কল্যানপুর বাস ডিপোতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক স্থাপনার উদ্বোধন করা হয়।

ডিপোর কর্মঠ ও বিচক্ষণ ম্যানেজার (অপারেশন) জনাব মোঃ শাহরিয়ার বুলবুল এর সুদক্ষ পরিচালনায় এগিয়ে যাচ্ছে কল্যাণপুর ডিপোটি। সেখানে ২.৮০ একর যায়গা জুড়ে রয়েছে বিশাল একটি মাঠ- যেখানে প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আধুনিক সাজে সজ্জিত করতে নতুন ভাবে গ্রহণ করা হয়েছে বিশেষ কর্মসূচী।

এদিনের উদ্বোধনী প্রধান বিষয়গুলো হলোঃ
১.ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও আধুনিক ক্লাসরুম
২.ওয়ার্কিং শেড এবং ইয়ার্ড
৩.জ্বালানী শাখার নবনির্মিত ভবন (পিওএল)
৪.বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী ইত্যাদি।

কারিগরি ওয়ার্কিং শেডঃ
কল্যাণপুর ডিপোর ৩৬০/৪০ ফিট কারিগরি ওয়ার্কিং শেড নির্মাণ করে সুন্দর কর্মপরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখন বৃষ্টি হলেও কারিগররা একসাথে ১৫/২০ টি গাড়ির মেরামত কাজ করতে পারেন। আর এই উন্নয়ন কাজে ব্যয় হয়েছে ৪০ লাখ ৭০ হাজার ৭২১ টাকা।

পিওএল ভবনঃ
ডিপোতে জ্বালানী শাখা বা পিওএল শাখায় ৬০/১৫ ফিট ৩ রুম বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়। একই সাথে ১২ হাজার ৩৬০ স্কয়ার ফিট ইয়ার্ড মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৪৬ লাখ ১ হাজার ১৭১ টাকা।

এছাড়াও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সহ নানাবিধ কাজে তারা সবসময় তৎপর।পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও পালন করেছে তারা।

অনুষ্ঠানে ডিপোর সাধারণ কর্মচারীদের মধ্য থেকে মতামত জানানোর জন্য বলা হয়। ঠিক এই সময়ে বাস্তবভিত্তিক ঝাঁঝালো অনুভূতি প্রকাশ করেন তারা। তাদের অনেকেই বলেন, “স্যার আপনাদের সহযোগিতা ও মনোবলই আমাদেরকে শক্তি যোগায়। জনাব তাজুল ইসলাম স্যার যতদিন আছেন- আমরা সন্তুষ্ট। আমাদেরকে আর বেতন- ভাতার জন্য আন্দোলন করতে হয়নি। আমরা চাই, আপনি চলে গেলে যেনো সেই আগের দুর্দিন পুনরায় ফিরে না আসে।”

মূলত পুরাতন জরাজীর্ণ অপুষ্টিতে ভোগা বিআরটিসিকে আধুনিক সাজে সজ্জিত করতেই বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম এর নির্দেশনায় ডিপো ম্যানেজার মোঃ শাহরিয়ার বুলবুল উপরিউক্ত এজেন্ডা গুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেন।

এবিষয়ে বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের এই বিআরটিসি প্রতিষ্ঠানটি বহু পুরোনো। কিন্তু সেই ধরনের কোনো উন্নয়ন আমাদের চোখে পড়েনি। আমরা পর্যায়ক্রমে সকল ডিপো, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং মেরামত কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা রিকভারি করছি, আমাদের অধিকাংশ কাজ শেষের দিকে। আশা করছি শীঘ্রই আমাদের বাকি কাজগুলো আমরা শেষ করতে পারবো।”

অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজন করা হয় শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা। ডিপো ম্যানেজার মোঃ শাহরিয়ার বুলবুলের শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর বিআরটিসি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন।

এদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ড.অনুপম সাহা, পরিচালক(অর্থ ও হিসাব), ব্রি. মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার পিএসসি, পরিচালক (কারিগরি) সহ অনেকেই। বক্তারা বিআরটিসি’র উন্নয়নের সার্বিক চিত্র ও মাননীয় চেয়ারম্যানের একনিষ্ঠতার বাস্তবিক চিত্র তুলে ধরেন।

বিশেষ করে বিআরটিসির মাননীয় চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম অসাধারণ দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, “বিআরটিসি দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় জনকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান। তাই চাইলে এখান থেকে দেশকে অনেক কিছু দেয়ার সুযোগ আছে। প্রয়োজন শুধু সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে পারা। আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আমার সর্বোচ্চটা করে যাচ্ছি। আমি চলে গেলেও যেনো এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে, কোনোভাবেই যেনো থমকে না যায়। সেজন্য আপনাদেরই সজাগ থাকতে হবে।”

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।