খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

সাকিব ইস্যুতে উত্তাল মিরপুর স্টেডিয়াম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:৫৯ অপরাহ্ণ
সাকিব ইস্যুতে উত্তাল মিরপুর স্টেডিয়াম

নিরাপত্তার কারণে বিদায়ী টেস্ট খেলতে সাকিবকে দেশে ফিরতে মানা করা হয়েছে বিসিবি এবং সরকারের পক্ষ থেকে। তার পরিবর্তে হাসান ‍মুরাদকে দলে নিয়েছে বিসিবি। এরপরই উত্তাল উঠেছে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট। সাকিবকে দল ফেরাতে আন্দোলন শুরু করেছে তার ভক্তরা। আজ শুক্রবার বিকেলে মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনে হাজির হন সাকিব ভক্তরা। তারা সাকিবকে দলে ফেরাতে বিসিবিকে চারটি দাবি জানিয়েছেন।

সেই সঙ্গে সাকিব সাকিব স্লোগানে মুখোরিত হয়ে ওঠে স্টেডিয়াম পাড়া। ভক্তদের দাবি, ক্রিকেটে বৈষম্য রাখা যাবে না। সাকিবকে দেশে ফিরতে দিতে হবে এবং মিরপুর থেকে তার বিদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সে আমাদের দেশের সেরা ক্রিকেটার।

এক আন্দোলনকারী আক্ষেপ করে বলেন, ভারতে কানপুর টেস্ট দিয়ে সাকিব টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা করেছে। এরপরই আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিং থেকে তার নামটা তুলে নিয়েছে। এতদিন সেই সেখানে বাংলাদেশের পতাকাটা ছিল। কিন্তু এখন আর নেই, ১৭ বছর ধরে দেশের পতাকাটা সেখানে ধরে রেখেছিলেন তিনি।

‘তাই আমরা চাই, তার মতো একজন ক্রিকেটারকে দেশ থেকে ভালোভাবে বিদায় দেওয়া হক। যারা তাকে দেশে আসতে দিচ্ছে না, সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।’

আন্দোলনে উপস্থিত এক বয়স্ক ব্যক্তি বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের আরও ৩০০ সংসদ সদস্য আছে। কই তাদেরকে আটক করা বা তাদের বিরুদ্ধে এইভাবে আন্দোলন হচ্ছে না। সেই দেশের একজন ক্রিকেটার, তাকে দেশে আসতে দেওয়া হক। তারপর সে যদি অন্যায় করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘কিন্তু বর্তমানে কিছু মানুষ শুধু সাকিব নিয়েই পড়ে আছে। মাশরাফী তো দেশে আছে, কই তাকে নিয়ে তো কোনো কথা হচ্ছে না। তাকে তো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে কোনোভাবে জায়গায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। আমরা এই বৈষম্য চাই না, সবার ক্ষেত্রে নিয়ম এক হতে হবে।,

আরেক আন্দোলনকারী বলেন, আমরা জানি সাকিবকে কারা দেশে আসতে দিচ্ছেন না। এখানে একটা সিন্ডিকেট কাজ করছে। তাদের পরিচয় এখনই বলতে চাই না। আমরা চার দফা দাবি তুলে ধরেছি। না মানলে আমরা এক দফায় যাব এবং কঠোর আন্দোলন করা হবে। তাই সাকিব ছাড়া যেন এই ম্যাচে না নামা হয়।

অন্যদিকে গতকাল সাকিবকে দল থেকে বাদ দিতে বিসিবিকে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) একটি স্মারকলিপি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের উদ্দেশে দেওয়া স্মারকলিপিতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা বলছেন, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব জায়গায় যে পরিবর্তন হয়েছে তার অংশ আপনি নিজে। যদি এই গণ-অভ্যুত্থান না হতো, তাহলে আপনি বিসিবিপ্রধান হতেন না।

‘তাই আপনার প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত ফ্যাসিবাদ নির্মূল করে নিজের প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা। আপনি কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন করতে পারেন না। আপনি পারেন না বাংলাদেশের জার্সি একজন ভোটচোর এমপির গায়ে জড়িয়ে দিতে। এই কাজের মাধ্যমে আপনি কেবলমাত্র পতিত স্বৈরাচারের মন্ত্রী ও সাবেক বিসিবিপ্রধান পাপনের প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে যাচ্ছেন।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, পাপন (বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন) কথা দিয়েছিল, যে সে সাকিবকে মিরপুরের মাটিতে বিদায় দেবে। আপনিও ঠিক একই কাজটা করতে যাচ্ছেন। সাকিবকে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলতে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি একজন ভোটচোর, হাসিনার দালাল, দুর্নীতিবাজ, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির অপরাধী, জুয়ার দালালের শরীরে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির জার্সি তুলে দিচ্ছেন।

এ ছাড়াও স্টেডিয়ামের দেওয়ালে সাকিবের বিপক্ষে বিভিন্ন মন্তব্য এবং গ্রাফিতি অঙ্কন করেছে আন্দোলনকারী সমন্বয়করা। কিন্তু আজ সেই সব গ্রাফিতি মুছে দিয়ে সাকিবের পক্ষে গ্রাফিতি অঙ্কন করেছে তার ভক্তরা।

সুতরাং, সাকিব ইস্যুতে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং দেশের ক্রিকেট। কারণ, দুই পক্ষের আন্দোলনকারীরা যেখানে তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন, তার পাশে অনুশীলন এবং ম্যাচ খেলবেন দক্ষিণ আফ্রিকা দল। যার ফলে অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটলে বিপাকে পড়বে দেশের ক্রিকেট।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নষ্ট হবে দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি। সাকিব ইস্যুর প্রভাব কোনোভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে উপর পড়লে আইসিসি টুর্নামেন্ট এবং বাইরের দেশের খেলতে আশা নিয়ে হুমকির মুখে পড়বে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, আর মাত্র দুই দিন পর মাঠে গড়াবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট। তাই শেষ পর্যন্ত দেখার অপেক্ষা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ‘বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১১ মে) মতিঝিলের একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার বাস মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দেশের পরিবহন সেক্টরের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, কফিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া কার্যকরি সভাপতি পদ শূন্য হওয়াতে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এম এ বাতেনকে মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরি সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো: জোবায়ের মাসুদ এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি পরিচালনা করবে প্রকৃত মালিকরা। বাস মালিক না হয়ে কেউ নেতৃত্ব নিতে পারবেন না। আর একটি বিষয় সবাই মাথায় রাখতে হবে এই সমিতি সব সময় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকবে। এই বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘পরিবহণ সেক্টরের ২০১৮ সালের কালো আইন বাতিল করতে হবে। ২০১৮ সালে যে সকল আইনের মাধ্যমে পরিবহণ মালিকদেরকে ধ্বংসের পায়তারা হয়েছিল। আমরা প্রধান অতিথির কাছে অনুরোধ করবো বাস মালিকদের শেষ করে দেয়ার আইনগুলো বাতিল করার বিষয়ে আপনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ঈদুল ফিতরের মতো স্তস্তিদায়ক ঈদযাত্রা যাতে ঈদুল আজহাতেও হয় সে বিষয়ে বাস মালিকদের নজর রাখতে হবে। একই সাথে যাত্রীদের স্বস্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

নবনির্বাচিত সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আগের কমিটিই আছে। এর মধ্যে হাজী আলাউদ্দিন সাহেব না থাকায় আমি নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলাম। কিন্তু আজ সাধারণ সভায় আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি সবাই আগের দায়িত্বে আছেন।’

সভায় বিগত অর্থবছরের অডিটরিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়, পরবর্তীতে উপস্থিত মালিকদের সম্মতিতে অডিট রিপোর্ট পাশ হয়। এছাড়াও মালিকদের সম্মতিতে ; আগামী অর্থবছরে অডিট ফার্ম কে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। গত অর্থবছরে যে ফার্ম অডিটরিপোর্ট প্রস্তুত করেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানকেই নতুন করে দায়িত্ব দেয়া হয়।

পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৯:২৭ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

পাকিস্তান দাবি করেছিল যে ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে পড়েছে। তবে পাকিস্তানের এমন দাবি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। খামা প্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খামা প্রেস বলছে, দিল্লির ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে বলে পাকিস্তান যে দাবি করেছে- তা জোরালোভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি গতকাল শনিবার পাকিস্তানের এমন দাবি উড়িয়ে দেন। একইভাবে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাকিস্তানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।

খামা প্রেসকে ওই মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তান নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। এমন ঘটনা ঘটেনি। এই বিবৃতিটি পরোক্ষভাবে নিশ্চিত করেছে যে আফগানিস্তানের মাটিতে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আহমদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে পড়েছে। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ভারত এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এবং আফগান কর্তৃপক্ষ উভয় দায়িত্বশীল যোগাযোগ এবং ফ্যাক্টভিত্তিক রিপোর্টের আহ্বান জানিয়েছে।

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:৩২ অপরাহ্ণ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়া হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসে কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (১০ মে) লন্ডন থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, স্যার এখনও বিমানবন্দরে আছেন। আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছি।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৫টি বাসে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে স্বাগত জানাতে এসেছেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের দিকে পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কিছু জটিলতা এবং শারীরিক কারণে তিনি স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে বসবাস শুরু করেন। তবে দেশের বাইরে থাকলেও হানিফ এন্টারপ্রাইজের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।